![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ, নামটির সাথেই যেন সারাবছর ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িয়ে রয়েছে। অথচ দুর্যোগের সময়ে সারাদেশব্যাপী বিস্তৃত নেটওয়ার্ক নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আজ পর্যন্ত এদেশে বেসরকারি পর্যায়ে কোন বিশ্বস্ত সাহায্য সংস্থা গড়ে ওঠেনি। প্রায় সবক্ষেত্রেই যেটা দেখা যায়- দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে মানুষ যে যার মত সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, একটু দরদওয়ালা লোকেরা বেশ কিছু মানুষকে সংঘবদ্ধ করে ফান্ড কালেকশানের ব্যবস্থা করে থাকে এবং বিচ্ছিন্নভাবে সেটা মানুষের মাঝে বিতরণ করে থাকে, এতে করে সুস্পষ্ট অব্যবস্থাপনার দরুন প্রায়শই দুর্যোগ পরিস্থিতিকে বেশিদিন সামাল দেওয়া সম্ভব হয়না, আবার নায্য হকদারের কাছে তার প্রাপ্য পৌঁছানো সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা। অথচ একটা উদ্যেগই পারে সারাদেশের এই ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে দিতে।
১। বাংলাদেশের তরুণ সমাজ পৃথিবীর আর দশটা দেশের তুলনায় বেশি কর্মঠ আর প্রাণোচ্ছল সেটা হয়তোবা আমরা সকলে জানি, তবে যেটা জানিনা সেটা হল , এতো এতো তারুণ্য থাকা সত্ত্বেও সম্ভবত বিশ্বব্যাপী তারুণ্যের এই শক্তিকে প্রোডাক্টিভ কাজে খুব কমই ব্যয় করে থাকি আমরা, অথচ বিজ্ঞানের বইয়ে শক্তির প্রকারভেদে আমরা যে শক্তিগুলোর নাম মুখস্ত করে থাকি, সেখানে অনেক শক্তির ভিড়ে যদিওবা তারুণ্যের শক্তির স্থান নাই তবুও এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর শক্তিশালী যদিও আমাদের মাঝে লুকায়িত সে শক্তি সম্পর্কে আমরা খুব বেশি সচেতন নই, তবে সচেতন হয়ে সে শক্তিকে একত্রিত করে কাজে লাগানোর মোক্ষম সময় এখনই।
২। বাংলাদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মিলে যে লক্ষাধিক তরুণ ছাত্রছাত্রী রয়েছে এবং তাঁদের অন্তরে তারুণ্যের যে সুপ্তশক্তি লুকায়িত রয়েছে সেটা যদি আমরা জনসম্মুখে আনতে পারি তবে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের চেহারা পরিবর্তন হতে বাধ্য হবে। কিভাবে কি হবে নিম্মে সেই আশ্চর্য ঘটনা বর্ণনা করা হলঃ
দেশে ৫৩ টি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ৯৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যমান। সাথে রয়েছে শতাধিক কলেজও। এই সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ লক্ষ তরুণের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত, কিন্তু এদেরকে একত্রিত করে একটি সম্মিলিত সাহায্য সংগঠনের অধীনে নিয়ে আসা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। একটি শক্তিশালী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভলান্টিয়ার ছাত্রদের দক্ষতা ও যোগ্যতার তথ্য লিপিবদ্ধ করে রাখলে যেকোন প্রয়োজনে দক্ষতা অনুসারে অতি সহজেই তাদের সম্মিলিত কাজে লাগানো যেতে পারে, এতে করে যেমন যোগ্য ব্যক্তিদের সমাজে অবদান রাখতে সাহায্য করা হবে তেমনিভাবে তাঁদের কল্যাণে যেকোন সামাজিক কর্মকাণ্ড তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিকল্পিত উপায়ে সুষ্ঠুভাবে সামাল দেয়া সম্ভবপর হবে। এতে করে পরিবার, সমাজ তথা দেশ সরাসরি এর সুফল ভোগ করতে সক্ষম হবে।
৩। দেশব্যাপী সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটা অরাজনৈতিক ভলান্টিয়ার সংস্থা তৈরি করা- যেখানে সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে ছাত্র প্রতিনিধিদের দ্বারা, যাতে করে দুঃসময়ে দেশ ও মানুষের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছুক প্রতিটি ছাত্র দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে সুসংগঠিতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি তুরস্কের IHH (https://www.ihh.org.tr/en), ইন্দোনেশিয়ার মুহাম্মাদিয়ার (http://www.muhammadiyah.or.id/) এর কথা, সংস্থাগুলো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের একত্রিত করে এক একটি বিশাল সাহায্য সংস্থা গড়ে তুলেছে, ইসলামীক ব্যক্তিত্বদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হলেও তারা নিজেদের কার্যক্রমের মাধ্যমে সকলের আস্থা অর্জন করেছে এবং সংস্থাগুলোকে সার্বজনিক রুপ দিতে সক্ষম হয়েছে, আমাদের দেশেও সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য বিবেচিত হবে এমন একটি সাহায্য সংস্থা গড়ে তোলার এবং দেশ ও জনগণকে দীর্ঘ মেয়াদে উপকৃত করবে এমন কিছু স্থায়ী কাজ করা এখন সময়ের দাবী।
৪। দেশের সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ছোটবড় সামাজিক সংগঠন, রক্তদাতা সংগঠন, স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশান ইত্যাদি। বিদ্যমান এই সমস্ত সাংগঠনিক কাঠামো থেকে মানুষকে বের করে এনে নতুন আরেকটি প্ল্যাটফরমে সক্রিয় করা বেশ জটিল ও দুরূহ একটি কাজ।। তাই তাদের কাঠামোকে অপরিবর্তনীয় রেখে তাদের সবাইকে একটি কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার মধ্যে রয়েছে আসল মুন্সিয়ানার পরিচয়। তারই অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালযের সাথে আলোচনা করে কর্তা ব্যক্তিদের বোঝাতে হবে যে,
“দেশের পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশের নানা প্রান্তে কাজ করা এসব সামাজিক সংগঠন ও সংস্থাকে একটি কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে আনার গুরুত্ব, পাশাপাশি এই চ্যালেঞ্জিং কাজটি সম্পাদনের জন্য দেশের সমস্ত জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা শিক্ষা অফিসার, এবং মসজিদের ইমামদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এই ব্যাপারে ভলান্টিয়ার ও আয়োজকদের সবাত্নক সহযোগিতার আহ্বান জানানো যাতে করে তাদের কাজে কোন ধরনের বিঘ্ন না ঘটে এবং ভলান্টিয়ারগণ সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সহিত নিজ নিজ কার্যক্রম পরিচালিত করতে পারে। সারাদেশব্যাপী এই আন্দোলনকে সহজে সাফল্যমণ্ডিত করতে শিক্ষক, ইমাম ও সাংবাদিকসমাজ অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে, তাই কাজের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত কল্পে প্রতিটি স্তরে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে।”
৫. বিদেশী অনুদান ছাড়াই বাংলাদেশীদের অনুদানেই দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো খুবই সম্ভব। কিন্তু বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের নিকট থেকে ছোট বড় সব ধরনের ফান্ড কালেকশনের সবচেয়ে বড় বাধা টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়ার জটিলতা, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের লোকাল করেন্সিতে ফান্ড কালেক্ট করে কিভাবে দেশে আনা যায় তার বিকল্প ভেবে দেখতে হবে। সবধরনের অনলাইন লোকাল-আন্তর্জাতিক ও মোবাইল ব্যাংকিং খাতের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে ফান্ড কালেকশন প্রক্রিয়াকে যথাসম্ভব সহজ ও দ্রুত করতে হবে।
৬. মানুষের ইচ্ছানুযায়ী দানের প্রক্রিয়া কে সবার উপযোগী করে গড়ে তোলা। উদাহরণস্বরূপ: কেউ চাইলে নিদ্দিষ্ট একটি এলাকার জন্য গাছ দান করতে পারে, তার গাছগুলো উল্লেখিত অঞ্চলে রোপন করার পরে দাতাকে ছবিসহ ফিডব্যাক পাঠানো, যাতে করে দাতার আস্থা তৈরি হয়। অনুরূপভাবে কেউ চাইলে-দুঃস্থ মানুষদের ছাগল, গরু, কুরবানীর পশু, হাঁস- মুরগী, স্থানীয়ভাবে জীবিকা অংশ হিসেবে ব্যবসার জন্য সহজলভ্য অন্যান্য উপায় যেমন, জাল কিনে দেওয়া, নৌকা কিনে দাওয়া, দোকান করে দেওয়া, রিকশা কিনে দেওয়া, চাষাবাদের জন্য বীজ সরবরাহ করা ইত্যাদি। এছাড়াও ব্যবসা করার জন্য কর্যে হাসানাহও দিতে পারে। আর এই সকল কিছুই পরিচালিত হবে একদল উদ্দীপ্ত তরুণদের হাতে আর স্বচ্ছতার পর্যবেক্ষণ করা হবে অনলাইনে, কন্ট্রোলরুমে বসে ওয়েবসাইটে নিরবিচ্ছিন্ন তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে।
৭। মাঠ পর্যায়ে মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিশৃঙ্খল আর হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় ত্রান বা সাহায্য বিতরনকালে, কোথাও কোথাও মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত আমাদের দেখতে হয় যেটা সুস্পষ্ট অপরিকল্পনার ফসল, তাই ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাপনায় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন মডেল অনুসরণ করা, যাতে বিশৃংলার সৃষ্টি না হয়।
৮. ভলান্টিয়ারদের নিদ্দিষ্ট পোশাক ও পরিচয়পত্র সরবরাহ করা যাতে করে তারা সব ধরনের পরিবেশে মর্যাদা ও স্বাচ্ছন্দ্যের সংগে কাজ করতে পারে। স্বেচ্ছাসেবী কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ছাত্রদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা করা।
৯. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সমমানের বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন ভালোকাজে উদ্বুদ্ধ করা, হতে পারে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফলজ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী, নিয়মিত ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি, বন্ধুদের উপহারসামগ্রী বিতরণ (জামা, খাতা, কলম, নগদ সহায়তা,) ইত্যাদি। এগুলো অনিয়মিত ভিত্তিতে করা হয়, কিন্ত নিয়মিত এই উদ্যেগগুলোর বাস্তবায়নে বিদ্যালয়েগুলোতে ক্লাসভিত্তিক নিজস্ব দান বক্সের ব্যবস্থা করা এবং ক্লাসরুমে ছাত্রদের নিয়মিত দান করার করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা। দান বক্সের চাবি স্থানীয় মসজিদে যত্ন করে রেখে আসা এবং খোলার দিন সকলের সম্মুখে খোলা। এটা এজন্য যে, যাতে মসজিদের মুসল্লিগণও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
১০। আমাদের দেশে মানুষজন দান করার ব্যাপারে হরেকরকম চিন্তাভাবনা করেন। সেক্ষেত্রে আমাদের কোরআন ও হাদিসের আলোকে দানের প্রক্রিয়া ও ফজীলত সম্পর্কে মানুষকে অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধ করার হিসেবে সোশ্যাল কার্ডস কার্ডস তৈরি শেয়ার শেয়ার করা।
১১। আল্লাহ্র রাসুল সাঃ থেকে শুরু করে ইসলামী খেলাফতের দীর্ঘ শাসনামলে সামাজিক, বিচারিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধা মসজিদে বসেই হতো, মসজিদে নববী যার জ্বলন্ত উদাহরণ। আজকের দিনে রাষ্ট্রের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে, মানুষের নানাবিধ চাহিদার জন্য আলাদা আলাদা বিভাগ গঠিত হয়েছে এবং মাশাআল্লাহ সকলেই কাজ করছে কিন্তু মসজিদগুলোকে যেন আমরা কেমন অদ্ভুত এক মানসিকতার জালে আবদ্ধ করে তার আসল উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার নীতি থেকে দূরে সরে গেছি।
আল্লাহ্র রাসুল সাঃ স্বয়ং যেখানে মসজিদে বসে সবকাজ সমাধা করতেন সেখানে দেশে এখনকার বড় বড় মসজিদে দেয়ালে সাইনবোর্ডে প্রায়ই দেখা যায়ঃ মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলা নিষেধ, মসজিদে ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসা নিষেধ, মসজিদে এটা নিষেধ ওটা নিষেধ ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এভাবেই মসজিদকে বিভিন্ন নিশেধাজ্ঞার জালে বন্দি করে শুধুমাত্র খটাখট সিজদা মারার জায়গায় পরিনত করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের দ্বীনতো আমাদের পরস্পরের মাঝে দয়া-মায়া, ভালোবাসা আর সৌহার্দ্যের অনুপম দৃষ্টান্তের শিক্ষা দেই, আধুনিক এই ব্যস্ততার যুগে মসজিদইতো সকলের জন্য একটু ব্যস্ততা ঝেড়ে ফেলে একত্রিত হবার স্থান, আপনার পাশে যে লোকটি নামাজ পড়লো নামাজের পরে তার একটু খোঁজ নিন না, প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে ভরা পেটে ঘুমাতে যাওয়া ব্যক্তিরা আমাদের দ্বীনের অংশদার নই, আল্লাহ্র রাসুল সাঃ এর এই কড়া বাণীর সহজ সমাধান তো মসজিদেই, সেখানেই তো পারেন প্রতিবেশিদের একটা বড় অংশের খোঁজখবর নিতে। তাই আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হোক মসজিদগুলোতে যোগ্য মানুষদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে সকল সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা। এককথায় "মসজিদভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার বিনির্মাণ"।
এটা এজন্য বলা যে, ত্রানদাতা ও ত্রানগ্রহীতার মাঝে সুষ্ঠু বণ্টনব্যবস্থা নিশ্চিত করে নায্য ব্যক্তির কাছে তার প্রাপ্য হক পৌঁছানোর কাজে আজও মসজিদের মত কার্যকরী প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে দ্বিতীয়টি নেই। এতে করে কারো বাদ পড়ার নুন্যতম সম্ভাবনাটুকুও নেই, কারণ আমাদের দেশে যেখানেই লোকালয় রয়েছে, সেখানেই আছে মসজিদ, এতো বিস্তৃত নেটওয়ার্ককে ভালো কাজে ব্যবহারের জন্য আমাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে।
প্রিয় ভাইসব, আমাদের ভবিষ্যৎকে বিনির্মাণ করার জন্য আজকের এই সংকটময় মুহূর্তে দেশের যুবসমাজ ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করা ’আজ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পৃথিবীতে মহান আল্লাহতায়ালা কক্তৃক আমাদেরকে খলিফা হিসেবে নির্বাচিত করা, বিশ্ব জাহান এবং সমগ্র সৃষ্টিকুলকে আমাদের কাছে আমানত হিসেবে প্রদান করা সর্বোপরি আমাদের সাথে আল্লাহ্র কৃত চুক্তিনামা ভালোভাবে উপলব্ধি করার সময় এসে গেছে । আমাদের পূর্ববর্তীদের হাতে গড়া দুনিয়ায় আমরা বাস করছি, তাই আজকের দুনিয়ার যে অন্যায়-অবিচার, যুলুম আর নির্যাতন বিরাজ করছে এটার জন্য আমরা এখনো আমাদের পুর্ববর্তীদের দোষারোপ করছি, ঠিক একইভাবে আমাদের পরবর্তী বংশধরদের জন্য এই দুনিয়াকে আমাদেরই প্রস্তুত করতে হবে। নতুবা আজকে যেমন আমরা আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মকে নিয়ে বিরুপ কথা বলছি, আমাদের পরবর্তী বংশধরেরাও আমাদেরকে তিরস্কার করবে। আর তার ফলাফল শুধু ইহকালেই না, আমাদের আখিরাতের জীবনকেও প্রভাবিত করবে।
প্রত্যেক মানুষই দুনিয়াতে একবার আসে। মহান আল্লাহ কতৃক প্রদত্ত্ব সময়কে যদি আমরা এই পৃথিবীকে বিনির্মাণ করার জন্য কাজে লাগাতে পারি তাহলে সেই হবে হবে অর্থবহ একটি জীবন। অন্যথায় আল্লাহ প্রদত্ত্ব সময়কে আমরা অপচয়কারী বলে গণ্য হব। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, “তিনি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি চান তোমরা যেন পৃথিবীকে বিনির্মাণ কর।”
কিয়ামতের দিন যে সকল প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কোন মানবসন্তান এক কদমও নড়তে পারবেনা তার মধ্যে একটি প্রশ্ন হল-
“ সে তার যৌবনকাল কোথায় ব্যয় করেছে। ”
তাই আসুন যৌবনের এই স্বর্ণালী সময়কে সোনালী সমাজ গড়ার উত্তম কাজে ব্যয় করি।
“একতাই বল” নামে যে প্রবাদ পড়ে আমরা বড় হয়েছি আপনাদের সাথে নিয়ে আল্লাহ্ যেন তার বাস্তবায়ন আমাদের জন্য সহজ করে দেন সেই দোয়া করি।
২| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: গড়ে উঠবে না সহজে। কারণ স্বার্থপরতা ।
৩| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে বহু সংগঠন, ফাউন্ডেশন আছে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
৪| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৩৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কেন্দ্রীয় সাহায্য সংস্থার কথা বলছেন।
কিন্তু বিভিন্ন ভাবে বলছেন শুধু মুসলিমদের মাধ্যমে মুসলিমদের।
বাংলাদেশকেও পরিচয় দিলেন মুসলিম
৫| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়ের কথা তুলেছেন, কিন্তু ইহার গঠন ইত্যাদি নিয়ে আপনার ভাবনা গুহামানবের কাছাকাছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৭
মুজিব রহমান বলেছেন: নিবন্ধন করা ছাড়া সংগঠন করা যাবে না এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করা গেলে নিবন্ধনদানকারী সংস্থাই এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।