![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে সব হারিয়ে, ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার জনগণ আবার ও জাগ্রত হয়, সোচ্চার হয় নিজেদের অধিকার আদায়ে। রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের মতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধমে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ বপন হয়। সেই সুত্র, ধরে ডাক আসে স্বাধীনতার । মুক্তিকামী মানুষের প্রবল ইচ্ছায় আর ৩০ লক্ষ্য শহীদের জীবনের বিনিময় অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে ও স্বাধীনতা আসেনি বাংলাদেশের মানুষের জীবনে। আজ সেই স্বাধীনতার যুদ্ধ কোনো পাকিস্তানির বিরুদ্ধে নয়,নিজের দেশের শাসকের বিরুদ্ধে যারা কিনা নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের দল হিসাবে দাবি করে। সেই একই দাবি ১৯৭৫ সালেও করেছিল, আর সেখান থেকে শুরু হয় আওয়ামীলীগের দীর্ঘ সময়ের পতন ।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে বাকশাল তথা এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর বিদেশের মাটিতে ঘুরে ফিরে জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবার রাজনীতি করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ। যদি জিয়াউর রহমান এই প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা না করত, তাহলে হয়ত আজ আওয়ামিলীগ বা শেখ হাসিনা নামে বাংলার মাটিতে কোনো দল বা নেতা থাকত না। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২য় বারের মতো ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ সরকার গঠন করে। ক্ষমতায় এসেই জাতিকে বিভক্তি এবং ধংশ করার কাজে লিপ্ত হয়ে পরে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ। ২০০৯ সালের সরকার গঠনের পর ২৫ শে ফেব্রুয়ারী বি. ডি. আর হত্যা ছিল সবচেয়ে নক্কার জনক ঘটনা এবং বাঙালি জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায় । এই হত্যা কান্ডের সঙ্গে সরকারের উপরের মহল ও জড়িত ছিল বলে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে আসে। তাছাড়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এর বিচার কাযক্রম শেষ করে চিরদিনের জন্য এই হত্যা কান্ডের দোষ ভার যেন তাদের উপরে না আসে সেই ব্যপারটি ও নিশ্চিত করতে চায় আওয়ামিলীগ সরকার। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এর কাযক্রম শেষ করতে না পারলে হয়তো, ভবিষ্যতে তাদেরকে আদালতের বারান্দায় রাত কাটাতে হতে পারে বলে আওয়ামীলীগের অনেকে মনে করেন। একটির রেশ কাটতে না কাটতে, আরেকটি হত্যাকান্ড। ২০১৩ সালের ৫ ই মে রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হয় ধর্মভীরু, নিরস্থ মানুষদের। একের পর এক হত্যাকান্ড, গুম , খুন , নির্যাতন এবং দুর্নীতি করে জনগণ কে ভয় দেখাতে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ নিজেই ভীত হয়ে পড়ে । আর এই ভয়ের হাত ধরে সংশোধন করা হয় সংবিধান । সংবিধান সংশোধন এর মাধ্যমে কেড়ে নেওয়া হয় মানুষের ভোটাধিকার। আওয়ামিলীগ ভালো করেই জানতেন তাদের কুকর্ম ভর্তি আমলনামা সম্পর্কে, তাই কোনো রকম ঝুকি নেওয়া যে ঠিক হবে না তা ওনারা ভালো করেই জানতেন। নিজেকে বিপদ মুক্ত রাখতে ৫ ই জানুয়ারী-র নির্বাচন যে কত প্রয়োজন ছিল তা আওয়ামীলীগের চেয়ে কেউ ভালো জানে না। নির্বাচন করেতেই হবে এবং সেটা বি এন পি কে ছাড়া করতে হবে বলে আওয়ামীলীগের শীর্ষ মহল থেকে বলা হয়। যেমন কথা তেমন কাজ, তাই অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসাবে শেখ হাসিনা অন্য কাউকে বিশ্বাস করতে পারেনি । আজ ও সরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নিজের হাতেই রেখেছেন। নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং ক্ষমতার লোভের পরিমান কত বেশি হতে পারে তার উজ্জল প্রমান শেখ হাসিনা। ভোটার বিহীন ১৫৩ টি আসনেই যেন শেখ হাসিনার বাহাদুরি। এতকিছুর পর আমরা ২০১৫ সালে এসে দাড়াই । প্রশ্ন হচ্ছে কি হবে ২০১৫ সালে ? কে জিতবে, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ নাকি নির্যাতিত, নিপীড়িত, ভোটাধিকার হারানো জনগণ ? যদি জনগণ সকল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকে, তাহলে জনগনই জিতবে।
একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে, এই লেখার প্রতিটি ঘটনার সাথে একটি নিদ্দিষ্ট নম্বর রয়েছে। আর এই নম্বর টি হলো পাচ (৫). সব হারানো ১৭৫৭, ভাষা আন্দোলনের ১৯৫২, মুজিব হত্যা ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট, বি ডি আর হত্যা ২৫ শে ফেব্রুয়ারী, ৫ ই মে হেফাজত ইসলামের উপর হত্যাকান্ড এবং সর্বশেষ ৫ ই জানুয়ারির নির্বাচন। ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট থেকে ৫ ই জানুয়ারী ২০১৪ পযন্ত উপরোক্ত প্রতিটি ঘটনার সাথে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ জড়িত। তাই এ কথা নিশ্চিন্তে বলা যাই যে, নম্বর ৫ আওয়ামীলীগের সুভাগ্যের নম্বর নয়। তাহলে কি ২০১৫ সালে আওয়ামীলীগের পতন হবে কারণ এই সালে রয়েছে নম্বর ৫ আর পুরো বছরে এই পাচ নম্বরটি রয়েছে ৩৬ বার। আওয়ামিলীগ কি পারবে, ৩৬ বার এই আনলাকি নম্বর টি এড়াতে। উত্তর সময়েই বলবে, তবে আজ পযন্ত আওয়ামিলীগ ৫ ই জানুয়ারী এবং ১৫ ই জানুয়ারী, ২০১৫ কে পার করতে পেরেছে। এই তারিখ দুটিকে এড়াতে, আওয়ামিলিগকে কি রকম তোপ পোহাতে হয়েছে তা সবাইরে জানা আর এই ভাবে কতদিন চালনো সম্ভব তা সাধারণ মানুষের জানা আছে।
ইতিহাস থেকে যদি বলি, রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিহীন বাংলার মানুষ যদি তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পারে তাহলে, নেতৃত্ব বিহীন আন্দোলন করে নিজের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে। এই আন্দোলন হচ্ছে নাগরিক অধিকারের আন্দোলন এবং গণতন্ত্র সম্মুন্নত রাখার আন্দোলন আর তাই এই আন্দোলনে বি এন পি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃতের প্রয়োজন নাই , জনগণ নিজেরাই যথেষ্ট। একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে শুধু এইটুকু অনুরোধ করবো অতীতের মুজিব হত্যা, বি ডি আর হত্যা, হেফাজত কর্মীদের হত্যা এবং গনতন্ত হত্যার মতো কোনো ঘটনা যেনো না ঘটে। অনুগ্রহ পূর্বক আমাদের কন্ঠসর চেপে না রেখে আমাদেরকে বলতে দিন, আমাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন নয়তো ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি আমাদের সবাইকে কাদিয়ে যাবে।
লেখক : এইচ, কে হীরা (একজন সচেতন নাগরিক )
কর্পোরেট ব্যাংকার, নিউ ইয়র্ক
[email protected]
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৪
নিলু বলেছেন: ভোটই কি গণতন্ত্রের মুল ? হেফাজতের কতজন মারা গেছে তার তালিকা প্রকাশ হয়েছিলো ? হত্যার রাজনীতি কখন থেকে শুরু হয়েছিলো এবং কারা শুরু করেছিলো ? নাগরিক কাকে বলে তা কি আমরা জানি ? সন্ত্রাস করে আফগান , ইরাক , পাকিস্তানে সুশাসন কি হয়েছে ? কথা আর আমরা কতো বলবো , বলতে বলতে যে কথামালার রাজনীতি হয়ে গেছে , এর কি করবেন ?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২২
হাসানুজ্জামান খান (হীরা) বলেছেন: আপনি কি জানেন ভোট ছাড়া গণতন্ত্রের সংঘা অসমাপ্ত। যেখানে ভোট নেই সেখানে গণতন্ত্র নেই, ভোট বিহীন সরকার কে একনায়কতন্ত্র বলা হয়। কথা টা আমার নয় , রাষ্ট্র বিজ্ঞানের। অন্য প্রশ্নগুলোর আর উত্তর দিলাম না কারণ আপনার গণতন্ত্র সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নাই। আর সন্ত্রাসী নিয়ে যে কথাটা বললেন সেটা নিয়ে একটু বলি, যে দেশে সমাবেশ করতে দেয়া হয় না, মত প্রকাশ করার অধিকার নেই, বালুর ট্রাক দিয়ে বিরোধী দলের নেত্র্রী কে আটকে রাখা হয়, বলুন সে দেশে কিভাবে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা যায়।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০২
আমার পথ চলা ১ বলেছেন: ভোটই গণতন্ত্রে মূল। যে কোন পরিস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্রের কোন জায়গা এই দেশে হবে না।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২২
রাফা বলেছেন: নেতৃত্ত বিহিন আন্দোলন কখনই সফল হয়না।এটা ইতিহাসের চিরন্তন সত্য।
নেতৃত্ত বিহিন ভাবে সহিংসতা চালানো যায় কারন এর দ্বায়ভার কেউ বহন করতে রাজি নয়।বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোল সহ যত আন্দোলন হোয়েছে তার প্রত্যেকটি আন্দোলনেই এই নেতৃত্বের বাস্তবতা প্রকাশ্য ছিলো।
শুধু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বা তথাকথিত আন্দোলনে কোন নেতা খুজে পাওয়া যায়না।এটা আমরা ১৯৭৫ সাল থেকেই দেখে আসছি।রাতের অন্ধকারে আর যাই হোক আন্দোলন করা যায়না।বর্তমানে যা ঘটছে সব কিছুর সিদ্ধান্ত আসতেছে অন্ধকার থেকে।
জিয়াউর রহমান -নিজের লোভ লালসা চরিতার্থ করার আশায় আওয়ামি লীগকে রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।তার একটা দলের খোলশ প্রয়োজন ছিলো এবং আওয়ামি লীগের সার্টিফিকেটের প্রয়োজন ছিলো খুব বেশি।সর্বোপরি নিষিদ্ধ ঘোষিত যুদ্ধাপরাধী সংগঠন গুলোকে বাংলাদেশের মাটিতে রাজনিতী করার অধিকার দেওয়ার ইচ্ছাই ছিলো এর প্রধান লক্ষ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সামরিক বাহিনিতে ডেপুটি চিফ বলে একটি পদের সৃষ্টি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।সেই পদটি সৃষ্টি করা হোয়েছিলো ক্ষমতালোভি একজন মেজরের জন্য।সেটাই ছিলো জাতির জনকের সব চাইতে বড় ভুল।
কিছুই হবেনা ২০১৫ সালে এটা পরিস্কার ভাবে লিখে রাখেন।বাংলাদেশের মানুষ যেদিন চাইবে তার এক মুহুর্তের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা আওয়ামি লীগ।
আর পুরো পোষ্ট নিয়ে আলোচনা করার কিছুই নেই।বেশিরভাগ তথ্য মিথ্যা।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪৩
হাসানুজ্জামান খান (হীরা) বলেছেন: ধন্যবাদ যে আপনি লেখাটি পড়েছেন কিন্তু দুখের বিষয় বুজতে পারেনি। আসলে আওয়ামীলীগের ও সেই একই অবস্থা তারা বুজতে চায়না বা পারেনা। যাই হোক, আমি বলছি রাজনৈতিক নেতৃতের কথা। বলুন তো মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কোন রাজনতিক নেতা নেতৃত দিয়েছিলেন ? দয়া করে দল এবং নেতার নামটা বলবেন। আর মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন ? আশা করি নামটা হয়ত আপনের জানা আছে। সেই থেকে একথা নিসন্দেহে বলা যায় যে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন গুলোকে বাংলাদেশের মাটিতে রাজনিতী করার অধিকার দেওয়ার ইচ্ছাই ছিলো শেখ মুজিবের, জিয়াউর রহমানের নয়। যদি অনার ইচ্ছা না থাকত তাহলে অনি বিচার করতেন, কেন বিচার করেনি ? দয়া করে জানাবেন।
জিয়া বা শেখ মুজিব কেমন ছিল তা নিয়ে আমি কোনো কথা বলিনি তাই এই বিষয়ে কোনো উত্তর দিবনা।
আপনি বলেছেন ২০১৫ সালে কিসুই হবে না , আমি কিন্তু কখনো বলিনি এটা বা ওটা হবে। কি হবে তা সময়ে বলবে। সবশেষে আপনি বলেছেন বেশির ভাগ তথ্য মিথ্যা, আসলে শাসক দল সবসময় ক্ষমতার গরমে সত্য কে সত্য হিসাবে দেখতে পায় না কারণ এখন তারা অন্ধ। উপরোক্ত লেখায় কোন সালে কোন ঘটনাটি ঘটেনি একটু জানাবেন কি ?
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১৬
রাফা বলেছেন: ১/১৯৭১ সালে প্রবাসি স রকার বলে ১টি সরকার ছিলো সেটা কি শুনেছেন?( যা মুজিব নগর সরকার নামে পরিচিত) তাজ উদ্দিন,সৈয়দ নজরুল ইসলামের নাম শুনেছেন ।নাকি তাও জানেন না।বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত হয়েছিলো সেই সরকার।পুরো যুদ্ধ-টি পরিচালিত হয়েছিলো সেই সরকারের অধিনে।কাজেই রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছিলোনা পুরো তথ্যটি ভুল।
২/বঙ্গবন্ধু কোন যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করেন নাই।উনি ক্ষমা করেছিলেন সাধারণ অপরাধিদের অর্থাত যারা খুন ,ধর্ষণ,লুট ও অগ্নি সংযোগের গঠণার সাথে জড়িত ছিলোনা।
বিষেশ আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছিলো ৭২ সাল থেকেই এবং এটা ছিলো চলমান প্রক্রিয়া।
৩/গো.আজম,নিজামি,মুজাহিদ ও কাদের মোল্লা সহ এই কুখ্যাত রজাকারেরা পলাতক ছিলো।এদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিলো।শুধু তাই নয় গো. আজমের নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলো। যা জিয়াউর রহমানের রাজনীতির ধারাবাহিকতায় বিএনপির খালেদা জিয়া ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
৪/জামাতে ইসলামি,নেজামে ইসলামি ও মুসলিম লীগ সহ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারি দল গুলোকে সংবিধানের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিলো।আইংত ভাবেই তাদের রাজনীতি করার নিষহিদ্ধ ছিলো বাংলাদেশে।
আপনি সব অর্ধ সত্য জানিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন-যা মিথ্যার চাইতে ভয়ংকর তাই বেশি আলোচনা করতে চাইনি।
তাই ৫ই মে নিয়ে আলোচনা করতে চাইনি।৫ই মে পুরোটাই ছিলো চক্রান্ত ,সেটা নিয়ে দেখবেন বিএনপি এখন কথা বলতে চায়না।৫ই মে কোন গণহত্যা হয় নাই।কাজেই বিভ্রান্ত করবেননা মানুষকে।
এইসব বিষয় নিয়ে আরো লেখাপড়া করে তারপর লিখুন।
ধন্যবাদ,লেখক।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫১
হাসানুজ্জামান খান (হীরা) বলেছেন: মিথ্যার পাহাড় এত বড় যে, উপর থেকে বোঝা খুব কঠিন মিথ্যা কোথা থেকে শুরু করেছেন । বাংলাদেশের কোনো ইতিহাসে এ কথা লিখা নাই যে মুজিব নগর সরকার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে হা আওয়ামীলীগের চেতনা ইতিহাসে থাকলেও থাকতে পারে । আপনার জন্য বলি, মুজিব নগর সরকার গঠন হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় অত্থাত ১৭/০৪/১৯৭১ (এপ্রিল ১৭, ১৯৭১) , তাই আপনার তথ্য ভুল (০১/১৯৭১) নয়। আপনার জন্য আরো বলি মুজিব নগর সরকারের রাজধানী ছিল মুজিব নগর কিন্তু কার্যক্রম চালানো হয়েছিল কলকাতা থেকে । মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় এই সরকার ভারতের সরকারের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধের জন্য বিদেশের সাপোর্ট পাওয়ার কেত্ত্রে কাজ করে। মনে রাখুন ইতিহাস পরিবর্তন করে মহান হওয়া যায় না। আর একটু বলি ওই সরকার গঠনের কারণেই শেখ মুজিব জেল থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট হতে পেরেছে নয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারত।
আমার জানা নাই, সাধারণ অপরাধী বলতে আপনি কি বুঝিয়্ছেন আর মুজিবের ক্ষমা পাওয়া ব্যক্তিরা কারা সেটা আপনি এবং আপনার দল জানে তাই আপনার ২ এবং ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দিলাম না।
ধন্যবাদ আপনার উপদেশের জন্য যে আপনি আমাকে পড়তে বলেছেন। আপনার জন্য বলি, আপনারা যারা আওয়ামিলিগ করেন অনুগ্রহ পূর্বক জাতিকে মিথ্যা বলবেন না। ৫ ই জানুয়ারী কি হয়েছে তা আপনার কাছে আমার আর আমার কাছে আপনার না শুনলেই চলবে। জাতি সবকিছু জানে সময়ে উত্তর পাবেন। আপনরা এত বেশি ইতিহাস বিকৃত করেন এবং মিথ্যা বলেন যা সহ্যের বাহিরে। আর তাই , আমি আপনার আর কোনো পশ্নের উত্তর দিচ্ছি না। ভালো থাকেন...
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৮
রাফা বলেছেন: আপনি আমার কোন প্রশ্নের উত্তর দিবেন কিভাবে..! কারন আপনি জাতিয়তাবাদির আড়ালে অন্য কিছু।বি এনপির কোন প্রথম সারির নেতাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিন আমি কোথায় ভুল বলেছি।
২৬ শে মার্চ থেকে ১৭ ই এপ্রিল কি খুব বেশি দুরে।যতটুকু সময় লেগেছিলো শুধু সরকার গঠন করতে তার পুর্ব থেকেই মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি চলছিলো প্রত্যেক এলাকাতে।
কর্নেল ওসমানিকে নিয়োগ দিয়েছিলো সেই সরকার।১১টি সেক্টরের যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে সেই ওসমানির নির্দেশে।
সাধারণ অপরাধী বুঝতে পারেন না আপনি...আপনি কি শিশু নাকি? চোর আর খুনির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেনতো ?নাকি সেটাও বুঝতে পারেন না।২জনেই কিন্তু অপরাধী এখন বলেন ২জনেই তাদের কর্মের জন্য কি সমান সাস্তী পাবে?
আপনার উত্তর আমার প্রয়োজন নেই,ধন্যবাদ।
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
জাস্টিস বলেছেন: সব সময় হলে টের পাবে আওয়ামীলীগ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কে জিতবে, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ নাকি নির্যাতিত, নিপীড়িত, ভোটাধিকার হারানো জনগণ ? যদি জনগণ সকল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকে, তাহলে জনগনই জিতবে।
++++
ইতিহাস থেকে যদি বলি, রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিহীন বাংলার মানুষ যদি তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পারে তাহলে, নেতৃত্ব বিহীন আন্দোলন করে নিজের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে। এই আন্দোলন হচ্ছে নাগরিক অধিকারের আন্দোলন এবং গণতন্ত্র সম্মুন্নত রাখার আন্দোলন আর তাই এই আন্দোলনে বি এন পি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃতের প্রয়োজন নাই , জনগণ নিজেরাই যথেষ্ট।
+++++++++++++++