![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমত: সময় নাই। দ্বিতীয়ত এখনই সময়। তৃতীয়ত: আমি না থাকলেও ব্যাপারটা ঘটবে, তবু আমাকেই চাই।
পূর্বের বেশ কিছু পোস্টে আমি ইসলামে বিশ্বাসীদের একটা বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছিলাম যে: হাদীস নির্ভূল নয়। হাদীসের সমালোচনা দূর্বল ইমানের কোন অংশ নয়, বরং ভুল হাদীস সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা নবীকে পরোক্ষভাবে অসন্মান করার সামিল, সঠিকভাবে ইসলামকে না জানার মতো অপরাধ। হাদীস যেহেতু নবী যা বলে গেছেন, তিনি নিজে যা করেছেন এবং যা অনুমোদন বা নিষেধ করেছেন সেগুলোকেই তুলে ধরে; সেহেতু হাদীসে ভিত্তিহীন, অযৌক্তিক, সরাসরি কুরআনের বিরোধী এরকম যেকোন বিষয়ে নবীকে ক্রেডিট দেওয়া মানে - নবীকেই অসন্মান করা।
ইচ্ছে করলে গন্ডায় গন্ডায় ফ্যাব্রিকেটেড হাদীসের উদাহরন দেওয়া যাবে বুখারী বা মুসলিম থেকে। কিন্তু আমি অতগুলো হাদীস এখানে পোস্ট করে আপনাদের সময় নিতে চাই না। সহীহ (!) বুখারী থেকে একটি হাদীস এখানে উল্লেখ করছি যা চরমভাবে নবীকে অপমান করা ছাড়া আর কিছুই করে না। এই হাদীস অনুসারে জনৈক আবু কিলাবা বর্ননা করছেন যে - নবী কতিপয় লোককে উটের মুত্র পান করতে নির্দেশ দেন। পুরো হাদীসে আরো অসংলগ্ন কথা আছে যা পবিত্র নবীকে অসন্মান করার প্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়। দু:খিত সত্য উদঘাটনের জন্য এরকম কুৎসিত বিষয়কেও পোস্টে দিতে হচ্ছে। অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে এই হাদীসটিও বুখারীর।
Bukhari. Volume 1, Book 4, Number 234:
Narrated Abu Qilaba:
Anas said, "Some people of 'Ukl or 'Uraina tribe came to Medina and its climate did not suit them. So the Prophet ordered them to go to the herd of (Milch) camels and to drink their milk and urine. So they went as directed and after they became healthy, they killed the shepherd of the Prophet and drove away all the camels. The news reached the Prophet early in the morning and he sent (men) in their pursuit and they were captured and brought at noon. He then ordered to cut their hands and feet (and it was done), and their eyes were branded with heated pieces of iron, They were put in 'Al-Harra' and when they asked for water, no water was given to them." Abu Qilaba said, "Those people committed theft and murder, became infidels after embracing Islam and fought against Allah and His Apostle ."
This is the picture that Hadith books depict our prophet, the man that Allah described him in the Quran as being compassionate and of high moral character.
Only the enemies of God, the enemies of the prophet Muhammed and the enemies of Islam are the ones who want us to believe these Sahih Books.
এই আচরন কি জগতের সবচেয়ে সেরা মানুষটির আচরন ও মানসিকতার সাথে মেলে? প্রথম দিকের অসংলগ্ন বক্তব্য বাদই দিলাম। অপরাধী বন্দী হোক, অমুসলিম হোক বা শত্রু হোক সে পানি চাইবে আর তাকে পানি দেওয়া হবে না, এরকম অমানবিক ইসলাম বা ইসলামের নবী কখনোই ছিলো না। জগতের জন্য রহমত স্বরূপ আগত নবী এ রকম আচরনের নির্দেশ দিতে পারেন না। তার ক্রেডিটে এই ধরনের হাদীস বর্ণনার উদ্দেশ্য কি বুঝতে পারছেন? এরপরেও চোখ বন্ধ করে চেচিয়ে যাবে 'সহীহ বুখারী', 'সহীহ বুখারী' !!!
শেষ লাইনে খেয়াল করুন আবু কিলাবা নিজে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং একটি গোত্রের প্রতি সুকৌশলে বিদ্বেষ প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছে। ধর্মকে নিয়ে নোংরা রাজনীতির কুচক্রের কালোছায়া হাদীসের কোথায় ঢুকে বসে আছে সেটা বুঝতে হলে ওখান থেকে হিন্টস নিয়ে নিন। ধর্মকে ইচ্ছে মতো ব্যবহার করার এই কৌশলটি কিন্তু আজও ব্যবহার করা হয় আমাদের চোখের সামনেই। আফসোস !
আরেকটি হাদীসে দাবী করা হচ্ছে যে নবী - মহিলা এবং পশুকে একই কাতারে তুলনা করেছেন। এটিও নবীর প্রতি অসন্মানজনক ক্রেডিট প্রদানের অনৈতিক অপচেষ্টা। নবী সব নারীর প্রতি সন্মান দেখানোর ক্ষেত্রে অতুলনীয় এবং অসাধারন এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার পবিত্র মানসিকতায় নারীকে এভাবে হেয় করা প্রকৃত ইসলামে বিশ্বাসীদের জন্য অবিশ্বাস্য। পড়ুন:
Hadiths insult women.
Sahih Bukhary 8/102 and Hanbel 4/86
"If a monkey, a black dog or a woman passes infront of a praying person, his prayer is nullified."
This hadith that was narrated by Abu Hurayra was strongly denied by Aysha, the Prophet's wife and accused Abu Hurayra of not telling the truth. Despite that this hadiths is still found in the middle of the so called authentic (Sahih) hadiths.
নবী পতি্ন আয়েশা কেন এই হাদীসের বিরোধীতা করেছেন? কারন নবী নিজেই তার ছোট্ট কুটিরে যখন নামাজ পড়তেন, অনেক সময়েই আয়েশা তার জায়নামাজের সামনে বিশ্রাম নিতেন। কখনো আয়েশা ঘুমিয়ে আছেন, নবী একদিকে কোনভাবে জায়গা করে নামাজ পড়ে নিতেন। নবী বিলাশ বৈভবে বাস করতেন না। এ কারনে নবী পত্নী ভালো করেই জানতেন এভাবে নামাজ নষ্ট হয় না এবং নবী কখনোই একথা বলতে পারেন না। তাহলে প্রশ্ন হলো আবু হুরায়রা এ ধরনের হাদীস কেন বুখারীতে বয়ান করেছেন? তার উদ্দেশ্য কি ছিলো ভেবে দেখবেন কি?
অনেকগুলো পোস্টে বারবার বিভিন্ন রেফারেন্স (এখানে সহীহ বুখারী থেকে) দেওয়ার পরেও, এই ব্লগে যারা নিজেদের সচেতন মুসলিম বলে মনে করেন তাদের আচরন, মন্তব্য, অবুঝ থাকার উদাসীনতা দেখে একটা বিষয় পরিস্কার হলো, সত্যকে বলার চেষ্টা করা বিশাল চ্যালেঞ্জের। প্রতিষ্ঠিত মিথ্যাকে বারবার দেখে ও শুনে মানুষ কখনো কখনো এতটাই অভ্যস্ত হয়ে ওঠে যে সত্য শুনলে হারে রে রে করে মারতে আসে। যাই হোক ব্যক্তিগতভাবে বেশ চমৎকার কিছু শিক্ষা পেলাম আমি যা ভবিষ্যতে আমার পাথেয় হবে। স্রষ্টা প্রতিটি কাজে, প্রতিটি মুহুর্তে মানুষকে কিছু না কিছু শেখার সুযোগ দেয়। আমি আমাকে দেওয়া সুযোগগুলোর জন্য পরম করুনাময়ের কাছে কৃতজ্ঞ।
হে প্রভু তুমি শান্তি ও রহমত বর্ষন করো আমাদের প্রিয় নবী এবং তার আহলাল বায়াতকে। নবীর প্রিয় পরিবারের উপরে তোমার রহমত দান করো। প্রিয় নবীকে দান করো বেহেস্তের সবের্াচ্চ প্রশংসিত স্থান যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাকে দিয়েছো। নিশ্চই তুমি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করো না। আমাদেরকেও প্রিয় নবীর সাফায়াত থেকে বঞ্চিত করো না হে প্রভু।
যারা নিজেদের সচেতন মুসলিম মনে করেন তাদের মন্তব্যের শুরুতে এই প্রশ্নের উত্তর আশা করছি: "কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও সন্মানের: প্রিয় নবী না কি, আবু হুরায়রাসহ যারা নবীকে ক্রেডিট দিয়ে অসংলগ্ন হাদীস বর্ণনা করার মতো গুরুতর অপরাধে অপরাধী?"
তারপরে বাকি প্রসঙ্গে কথা বলতে পারেন।
http://mysticsaint.blogspot.com
২| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫
অতিথি বলেছেন: সাদিক,
হাদিস যারা বর্ণনা করেছেন, তারা প্রত্যেকে মানুষ ছিলেন। কেউ ভুলের উধের্্ব ছিলেন না। মানুষের মধ্যে একমাত্র নবী রাসুলরাই আল্লাহ কর্তৃক রিয়েল সেনসে গাইডেড। অন্য সবার মধ্যে ভুল হতেই পারে।
ভুল আর ইচ্ছাকৃত বিকৃতি দু'টো আলাদা জিনিস।
একজন সাহাবী, যাকে রাসুল (সা) এত বিশ্বাস করতেন এবং ভালবাসতেন, তিনি ইচ্ছাকৃত বিকৃতি করেছেন বলে আমি বিশ্বাস করি না।
জাল হাদিস তাদের শোনার ভুলের কারণে বা বর্ণনাকারীর বর্ণনার ভুলের কারণে হতেই পারে। এখন কোন হাদিস কোরআনের সাথে সরাসরি সংঘর্ষশীল হলে সেগুলো কে বাদ দিতে হবে। এটা হাদিসের ব্যপারে মূলনীতি। আমারও তাতে সমস্যা নেই।
আপনি কোথাও থেকে কপি করেছেন, তার রেফারেনস দিন।
হাদিসকে কিভাবে ট্রীট করতে হবে, হাদিস সংকলনের ইতিহাস, বিস্তারিত একাডেমিক ব্যাখ্যা আপনাকে আমি হাদিসের পক্ষের কিছু সাইট থেকে পড়ে দেখার অনুরোধ করব আগে। আপনার গুণমুগ্ধ একজন আপনার আগ্রহ, প্যাশনগুলোকে উদারতা হিসেবে ব্যাখ্যা করবেন, তেমনি একই জিনিস বিপক্ষের একজন কিন্তু সুবিধাবাদী-নেস বলবেন, তাই না?
হাদিস সম্পর্কে আপনার ঠেলায় আমিও আমার পড়াশোনা একটু ঝালাই করে নিব ইনশাআল্লাহ। এই সাইটগুলো থেকে পড়তে পারেন:
Click This Link
Click This Link
জাল হাদিসের অস্তিত্ব আছে সেটা কেউ অস্বীকার করছে না। নেহায়ত, লোম বাছতে কম্বল উজাড়ের মত সব হাদিস বাতিলের জন্য জিহাদটা বন্ধের অনুরোধ করছে... কারণ কোরআনের ব্যাখ্যার জন্যই হাদিস। কোন হাদিস কোরআনের সাথে সংঘর্ষশীল মনে হলে তাই ওগুলোকে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
দ্্বিতীয় হাদিসটার ব্যাখ্যা আমি পড়েছি। প্রথমত কথা হচ্ছে, নামাজের সামনে দিয়ে নারী কেন, পুরুষদেরও যাওয়ার নিয়ম নাই। আর দ্্বিতীয়ত এ ব্যপারে আয়েশা (রা) এর স্ট্রং হাদিস পাওয়া যায়, যার মতে রাসুল (সা) তাঁর পা ধরে সরিয়ে দিয়ে সিজদা দিতেন...
বাই দ্যা ওয়ে, আয়েশা (রা) এর চমৎকার হাদিসগুলোও বাদ দিতে হবে বুখারী বিরোধী জিহাদে নামলে...
আবু হুরাইরা সম্পর্কে একটু বেশি কনসপাইরেসি থিওরীর ডোজ পেয়েছেন মনে হচ্ছে... তাঁর সম্পর্কে একটু হাদিস সংকালকদের মন্তব্য পড়ে নিন প্লীজ...
আবারও বলছি, মানবীয় দোষের উধের্্ব শুধু আবু হুরাইরা (রা) কেন, আয়েশা (রা), আলি (রা), ফাতিমা (রা), বাকি তিন খলীফা... কেউই মুক্ত ছিলেন না। কিন্তু ভুলের ভিত্তিতে বিকৃতির অপবাদ দেয়ার ব্যপারে সাবধান থাকুন... আপনি খুব বড় মিথ্যাচারের অপরাধে অপরাধী হয়ে যেতে পারেন...
অবশ্যই আল্লাহ সব চেয়ে ভাল জানেন। তিনি সবাইকে ঠিক পথ প্রদর্শন করুক। আমার ভুল হয়ে থাকলে আমাকে মাফ করে দিক এবং শুদ্ধ করে দিক এন্ড ভাইস ভার্সা। ওমা তাওফীক ইল্লা বিল্লাহ....
৩| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫
অতিথি বলেছেন: কৌশিক দা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো নেই রে ভাই। মাথায় হাজার চিন্তার পোকা স্থায়ী বাসা বেঁধেছে। থিসিস লিখবো, কিন্তু ঠিক মতো বসতে পারছি না। আপনি কি একটু প্রার্থনা করবেন আমার জন্য?
আপনি আছেন কেমন?
৪| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫
অতিথি বলেছেন: আস্তমেয়ে আমি অন্তত আপনার কাছ থেকে একটু বুঝে সুনে মন্তব্য আশা করেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম আপনি হাদীস দুটো ঠান্ডা মাথায় পড়বেন, সাথে যে রেফারেনস দেওয়া আছে সেখানে যাবেন এবং তারপরে আপনার কিছুটা হলেও সহীহ (!) নিয়ে ভুল ভাঙ্গবে।
কিন্তু আপনি রেফারেনসগুলোই দেখবেন না। হাদীসগুলোর পরে আমার মন্তব্যও পড়লেন না বা পড়লেও সেগুলো এড়িয়ে গেলেন এবং হাজার বছর ধরে ধমর্ান্ধরা যেভাবে নিজেরা অন্যদের মুড়ি খাওয়াচ্ছিলো ঠিক সেই বুলিগুলোই আউড়ালেন।
আমি মাইন্ড খাইছি। সিরিয়াস মাইন্ড খাইছি এইবার। আপনি আবারও রেফারেনস পড়ুন এবং ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন নবীর ক্রেডিটে এইসব কথা এবং তাও আবার সহী বলে চালিয়ে দেওয়া ব্যাপারটা সম্পর্কে কথা বললে কি ইমান নষ্ট হয়ে যায়?
বাই দি ওয়ে, হাদীসগুলো বুখারীতে আছে। অনলাইনেও দ্রুত দেখতে পাবেন।
http://tinyurl.com/pkckt
এখানে ব্রাউজ করে 234 নম্বর হাদীসটি পড়ুন। ভালো কথা সাইটি সুন্নী (শিয়া নয়) এবং এরা মওদুদীর রেফারেনস ব্যবহার করে। বাসায় বুখারী থাকলে তাতেও ক্রস চেক করে নিতে পারেন।
৫| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫
অতিথি বলেছেন: বাইদি ওয়ে "কোরআনের ব্যাখ্যার জন্য হাদীস" এটা প্রচন্ড ভুল একটি ধারনা। হাজার বছর ধরে মুয়াবিয়া আর ইয়াজিদদের তাবেদার ধর্মপুতুলদের বানানো ও চলে আসা একটি মিথ।
৬| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫
অতিথি বলেছেন: আমি পোস্ট-থিসিস আফটার ম্যাথ নিয়ে ব্যস্ত। আপনার ব্যপারে আমার প্রার্থনা, প্রেডিকশন সবই অত্যন্ত ঊধের্্ব।
তবে একটা বিষয়ে একটু বলতে চাই। আপনার পোস্টের যে ক'জন সমালোচক দেখলাম তাদের কাউকেই আমার যোগ্য মনে হয়নি। আপনি হয়তো তা বুঝতেও পারছেন। রিলেভেনসী নেই। কি আপনার লেখার মটো তা না বুঝেই লিখে যাচ্ছে লাইনের পর লাইন। আপনার পূর্বের লেখার অনেক লম্বা লম্বা কমেন্ট দেখলাম যা শুধুঅখাদ্যই নয়, তরলায়িত মগজের স্ফুরণ বলেও মনে হল।
তবে আপনার এ লেখাগুলি সংকলন করা উচিত। বিশেষত ইসলামের রক্ষাকবচের মত এগুলি কাজ করবে নতুন প্রজন্মের কাছে।
৭| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫
অতিথি বলেছেন: আমি জানি হাদিসগুলো বুখারীর। আমি সেটা বলি নি। হাদিসের নিচে একটা করে ব্যাখ্যা এড করে দিয়েছেন। আমি সেগুলোর রেফারেনস জানতে চাচ্ছিলাম।
আপনিও আমার মন্তব্য পড়েননি। আমি স্বীকার করেছি, সব হাদীস শুদ্ধ না... ওহ কাম অন, ডু আই হ্যাভ টু রিপিট এভরি থিং নাউ?ৎ
ওয়াও ওয়াও... মিথ ইয়াহ?
কি মিথ না?
কোরআনের ব্যাখ্যা কে করবেন? ওহ ওয়েইট? এ গ্রুপ ওফ আলোকিত এন্ড গাইডেড পিপল লাইক ইমামস?
যাই হোক, আমি এ ব্যপারে আর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবো।
আমার শেষের দোআটা আল্লাহ কবুল করুক...
৮| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫
অতিথি বলেছেন: কৌশিক এই কথাগুলো নতুন কিছু না। অনেক মানুষ বলেছেন, আর একাডেমিক রিফিউটেশনেরও অভাব নেই। হুম, তা খারাপ বলেন নি, হতে পারে তরলায়িত মস্তিস্কের স্ফুরণ... দু'পক্ষ থেকেই হতে পারে... এ ব্যপারে একাডেমিক ডিসকাশন কম হয় নি... আমরা কয়েক জন সাধারণ মানুষ ওয়েব সাইটের জ্ঞান নিয়ে লাফালাফি করছি... ঠিক হচ্ছে না।
৯| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫
অতিথি বলেছেন: ওহ আপনার শিরোনামের প্রশ্নের জবাব... অবশ্যই মুহাম্মদ (সা)।
আলী (রা) নন, নন চার খলীফার কেউই, আবু হুরায়রা (রা) এর হওয়ারও প্রশ্নই আসে না...
১০| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫
অতিথি বলেছেন: আস্তমেয়ে, আপনার কেন মনে হয় আমাদের সে যোগ্যতা নেই লাফালাফি করার। আপনার কনফিডেনস লেবেল যদি আপনাকে পারমিট না করে তবে আপনি ক্ষ্যান্তো দিন। যাদের সেটা আছে তারাই তো ভবিষতের রেফারেনস!
এটা একটা বাংগালীল চৌদ্দগুষ্ঠির সমস্যা। কেউ কিছু করতে গেলেই না এটা তুমি পারবে না, সেটা তুমি করো না, এ যোগ্যতা তোমার নেই। বলি সব যোগ্যতা যদি তাদের থাকে তবে আমরাও তাদের চোখে যোগ্য নয় কি?
আপনাকে আঘাত করার জন্য বলছি না। আপনিও বিতর্ক করুন। তর্ক করুন। যুক্তি দিন, স্টাডি করুন আরো বেশী স্টাডি করুন। ইন্টারনেট যদি না কুলোয় তবে হার্ডপেপার নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন, ব্রেইন স্টর্মিং করুন কিন্তু ভুলেও জোর করে মুখ বন্ধ করে মেধার বিকাশে অন্তরায় হবেননা। যদি সে ভুল হয় তবে তার এই চলমান স্টাডিই তাকে সংশোধন করে দেবে!
১১| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ১০:০৫
অতিথি বলেছেন: আস্তমেয়ে যে সাইটের রেফারেনস চাইছেন সেটি এখানে না দেওয়াই জনগনের জন্য মঙ্গলকর।
এখানে অনেকের কাছেই ধর্ম, বিশ্বাস বা ইমান এমনকি স্রষ্টাও কাঁেচর মতো ভঙ্গুর। উহাদের মহান বিশ্বাস যেকোন মুহুর্তে ভাঙ্গিয়া যাইতে পারে, কারন তাহাদের সত্য মিথ্যার প্রভেদ করিতে প্রচন্ড বেগ পাইতে হয়।
আপনাকে আমি ইমেইল করে দেবো পরে।
নজরুলের জাত নিয়ে ছোয়ার অছোয়ার ব্যাপার নিয়ে ধমর্ান্ধ হিন্দুদের উদ্দেশ্য করে লেখা সেই কবিতাটি পড়েছেন:
"জাতের নামে বজ্জাতী সব
জাত জালিয়াত খেলছো জুয়া।
জানিস নাকি ধর্ম,
সেতো বর্ম সম সহনশীল
তাকে কি ভাই ভাঙ্গতে পারে
ছোয়া ছুয়ির ছোট্ট ঢিল?
যে জাত, ধর্ম - ঢুনকো এতো
আজ নয় কাল, ভাঙ্গবে সেতো।
যাক না সে জাত - জাহান্নামে
রইবে মানুষ, নেই পরোয়া।
ছুলে তোর জাত যাবে জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া?"
খুব রেলিভেন্ট কবিতাটি নতুন যুগের ধমর্ান্ধদের জন্যও।
১২| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ১০:০৫
অতিথি বলেছেন: ঠুনকো হবে, ঢুনকো নয়। টাইপোর জন্য দু:খিত। পুরো কবিতটা নিয়ে একটা পোস্ট পরে দিচ্ছি। অপুর সাইটে অডিও আপলোড করার চেষ্টা চলছে। শুনে দেখবেন।
১৩| ০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ১০:০৫
অতিথি বলেছেন: কোথাকার কোন ওয়েব সাইটে হজরত আবুহূরায়রা (রাঃ ) সম্পর্কে বিদ্্বেষের বশবর্তী হয়ে,সহিহ বুখারীর নির্ভেজাল সংকলনকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য নিয়ে একটি মহল তা প্রকাশ করেছে, এই নিয়ে নবীজীর একজন নিস্পাপ সাহাবীকে অপমানিত করা হচ্ছে ।
অথচ ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম আমাদের চেয়ে ইসলামের ইতিহাস সম্মন্দে বেশি অবগত ছিলেন । এই দুই ইমাম হাদীস সংকলনের এমন মাপকাঠি নির্দিষ্ট করেন যাতে কোন মনগড়া হাদীস প্রবেশ না করতে পারে । ইমামরা উভয়ে নিজ নিজ গ্রন্থে কেবল সহিহ হাদীস লিপিবদ্ধ করে দ্্বীনের উপর চলা অধিক সহজ করে দেন । তাঁহারা যদি আবুহূরায়রার চারিত্রিক দোষক্রুটি জানতেন তাহলে তাঁহার হাদীসগুলোকে নিঃসন্দেহে বর্জন করতেন ।
কিন্তু তাঁহারা এই কাজটি করেননি । এতে বুঝা গেল সাদিক সাহেবের এই তত্ত্বটি একটি বানোয়াট গল্প ছাড়া কিছুই নয় । আমি সাদিক ভাইকে বলব, ভাই ! দয়া করে আর এনিয়ে বিতর্ক ও বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হবেননা । এটা আপনার কাজ নয় । এইজন্য বিশ্বের বুকে এখনও হাজার হাজার মুহাদ্দিস, মুফাসিসর রয়েছেন ।
আসুন এই সাইটটিতে সাহিত্য চর্চাকেই অগ্রাধিকার দেই ।
১৪| ২৪ শে মে, ২০০৬ রাত ১:০৫
অতিথি বলেছেন: সাদিক, যে প্রসঙ্গটি আপনি তুলেছিলেন তা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
কার যেন পোস্টে দেখলাম অত্যন্ত সুন্দর একটা ছবি, পিউরিফাই ইউর রিলিজিয়ন।
আপনি বোধহয় সেরকম একটা বোধ থেকেই লিখছিলেন।
১৫| ২২ শে জুন, ২০০৬ সকাল ৯:০৬
অতিথি বলেছেন: কথা সত্য শোহেইল ভাই। লিখবো এর বাকি ধারাবাহিকগুলো। হাতে আসলে এত্তো এত্তো কাজ !!
১৬| ২২ শে জুন, ২০০৬ দুপুর ১:০৬
অতিথি বলেছেন: সাদিকের এক মন্তব্যের রেফারেনেস আবার এই পোস্টটি পড়লাম। কঠিন জিনিস পড়তেই ভালো লাগে।
কৌশিকের অতি মাপা মন্তব্য পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
সাদিকের শেষ মন্তব্যটা আবার মনে করিয়ে দিই সাদিককে।
অনেক অনেক বেশি আলোচনা, কথা-বার্তা, বিতর্ক হওয়া উচিত। সব যুক্তি-তর্কগুলো সুলভ হলে মানুষ তার প্রয়োজন মত সেখান থেকে রসদ নিয়ে নিজের যুক্তি সাজিয়ে নেবে। সেই তো চাই।
১৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৬ দুপুর ২:৩৬
অতিথি বলেছেন: পড়লাম। মন্তব্যগুলোও। 'কুরআনের ব্যাখ্যার জন্য হাদিস।' কথাটা কি কুরআনে আছে? থাকলে তো জটিল একটা পরিস্থিতি হবে। আল্লাহর বলা উচিত, "ওহে বিশ্বাসীগণ। আমি যা কইতাছি, এইডা তোমাগো বুদ্ধিশুদ্ধিতে কুলাবে না। আরো শ'দুয়েক পরে আমার কিছু নেক বান্দা 'হাদিস' লিখবে, ওগুলো পড়ে বুঝে নিও।"
"আর যখন আমার নেকবান্দাদের নেকী আরো বাড়বো, তখন তুমরা দেখবা হাজারে হাজারে 'মুসলিম স্কলার'। উনারা ধরো হাজার/বারোশ' বছর পরে অতীব সহজ করে করে আমার এই কালামের আয়াত ধরে ধরে মনের মাধুরী মিশায়ে ব্যাখ্যা দিবেন। উনাদের যার ব্যাখ্যা তুমার মাথাকে পুরাপুরি চুনকাম কইরা দিতে পারবো, তার ব্যাখ্যা অনুযায়ী এচলাম কায়েম করবা আর অন্যেরা হগলে যে মিথ্যা কইতাছে, তার লাইগা তুমরা জিহাদে ঝাপাইয়া পইড়ো।"
"ও হ্যা। ভালো কথা। ভুইলা যাওনের আগে কই। তোমাগো মেইন উদ্দেশ্য কিন্তু রাষ্ট্রক্ষমতা লাভ। রাষ্ট্র নাই মানে তোমাগো এচলাম কায়েম হইলো না। পরকালে কাইন্দা বক্ষ ভাসাইয়া ফেলিলেও জান্নাত পাইবা না। উহার তলদেশ দিয়া নহর বহমান। 70 খান হুর আর অসংখ্য গেলমান! চিন্তা কইরা দেখো!"
১৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:০৫
অতিথি বলেছেন: সাদিক,
রাসুল (সঃ) বলেছেন- আস সাহাবীউ কান নুজুম । অর্থাৎ- আমার সাহাবীরা নক্ষত্রের মত । আর আবু হুরায়রা (রা) ছিলেন রাসুলের একজন জলীলুল ক্বদর সাহাবী যিনি সর্বাধিক হাদীস বর্ণণা করেছেন । তার সম্পর্কে এমন মন্তব্য করলেন কিভাবে? আচ্ছা আমি যদি বলি সাহাবীরা মদ পান করেছেন তাহলে তো আমাকে কাফের ফতোয়া দিবেন । আসলে সাহাবীদের মদ পান করার ঘটনাটি ছিল মদ হারাম হওয়ার পূর্বে । মদ যখনই হারাম হল তখন কি আর কেউ খেয়েছিলেন? সাহাবীদের মুখের মধ্যে মদ ছিল তারা কুলি করে ফেলে দিয়েছিলেন আর যারা গলদ্ধকরণ করে ফেলেছিলেন তারা বমি করে দিয়েছিলেন । এই হল আসল ঘটনা । ঠিক তেমনি পেশাব হারাম হওয়ার আগের ঘটনা এটি । আর কোন কোন মুহাদ্দিস এই হাদীসের ব্যাখায় বলেছেন-রোগ মুক্ত হওয়ার জন্য কাউকে রাসুল পেশাব খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন । তাই বলে এটা ঢালাও ভাবে সকলের জন্য প্রযোজ্য নয় । এর পরে যখন রাসুল বললেন-"ইসতানঝিউ আনিল বাউলি ফা ইন্না আজাবিল কবরি লিল বাউলি" "তোমরা পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন কর কেনণা, কবরের আজাব অনেকাংশে এর কারণেই হবে । তখন থেকে পেশাব অপবিত্র । কিন্তুু আপনি যা বলেছেন তাতে মনে হয় আবু হুরায়রা নিজে পেশাব খেয়েছেন আর আপনাকেও দিতে গেছেন???
১৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:০৭
অতিথি বলেছেন: সাদিক,
রাসুল (সঃ) বলেছেন- "আস সাহাবীউ কান নুজুম" । অর্থাৎ- আমার সাহাবীরা নত্রের মত । আর আবু হুরায়রা (রা) ছিলেন রাসুলের একজন জলীলুল ক্বদর সাহাবী যিনি সর্বাধিক হাদীস বর্ণণা করেছেন । তার সম্পর্কে এমন মন্তব্য করলেন কিভাবে? আচ্ছা আমি যদি বলি সাহাবীরা মদ পান করেছেন তাহলে তো আমাকে কাফের ফতোয়া দিবেন । আসলে সাহাবীদের মদ পান করার ঘটনাটি ছিল মদ হারাম হওয়ার পূর্বে । মদ যখনই হারাম হল তখন কি আর কেউ খেয়েছিলেন? সাহাবীদের মুখের মধ্যে মদ ছিল তারা কুলি করে ফেলে দিয়েছিলেন আর যারা গলদ্ধকরণ করে ফেলেছিলেন তারা বমি করে দিয়েছিলেন । এই হল আসল ঘটনা । ঠিক তেমনি পেশাব হারাম হওয়ার আগের ঘটনা এটি । আর কোন কোন মুহাদ্দিস এই হাদীসের ব্যাখায় বলেছেন-রোগ মুক্ত হওয়ার জন্য কাউকে রাসুল পেশাব খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন । তাই বলে এটা ঢালাও ভাবে সকলের জন্য প্রযোজ্য নয় । এর পরে যখন রাসুল বললেন-"ইসতানঝিউ আনিল বাউলি ফা ইন্না আজাবিল কবরি লিল বাউলি" "তোমরা পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন কর কেনণা, কবরের আজাব অনেকাংশে এর কারণেই হবে । তখন থেকে পেশাব অপবিত্র । কিন্তুু আপনি যা বলেছেন তাতে মনে হয় আবু হুরায়রা নিজে পেশাব খেয়েছেন আর আপনাকেও দিতে গেছেন???
২০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:২৮
অঃরঃপিঃ বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক সাদিক তোর এই রূপটাই দেখার লাইগ্যা অনেকদিন অপেক্ষায় আছিলাম
২১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:১২
অতিথি বলেছেন: সানরাইজ, রাসূল (সাঃ) যে উনার সাহাবীদেরকে নক্ষত্র বলেছেন, সে কথা আবার কে বলেছেন?
সমস্যা হলো ঐ নক্ষত্রদের কথা হিসেবে পরবর্তীকালের হাদিস লেখক স্কলার ও 'ইসলামি পলিটিশিয়ানরা' নিজেদের কথাকে চালিয়ে দিবেন না, তার নিশ্চয়তা কি?
২২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:২২
অতিথি বলেছেন:
২৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:১৬
অতিথি বলেছেন: মৃন্ময় কি বলতে চান?
২৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:৩৩
অতিথি বলেছেন: ধরম নিয়া বাড়াবাড়ি করার নিশেধ আছে, যা বোজেন না আরেকজনরে বুঝাইতে যািয়েন না
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫
অতিথি বলেছেন: আপনার কোন বিষয়ে আমার মন্তব্য যদি না দেখেন তবে ধরে নেবেন যে আমি আপনার সাথে একমত। যদি মন্তব্য দেখে থাকেন তবে ধরে নেবেন কিছু বলার আছে। যদি দেখেন যে মন্তব্যের কোন বিষয় নাই তবে বুঝবেন তার অর্থ হচ্ছে, "অনেক দিন দেখা নেই, কেমন আছেন বলুনতো?"