![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অটিজমবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে ২৫ জুলাই ঢাকা আসছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
ওইদিনই বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সোনিয়া গান্ধীর হাতে তুলে দেবেন ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে দেয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্মাননা পদক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। ওই সময় ইন্দিরা গান্ধী কয়েক হাজার ভারতীয় সেনা পাঠিয়েছিলেন। এদের অনেকে নিহত হয়েছিলেন যুদ্ধের সময়। ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় এক কোটি বাংলাদেশী নাগরিক। এছাড়া বিপুলসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধাকে ভারত প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, গোলাবারুদ সরবরাহ করেছিল। ওই সময় বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল ভারত তথা ইন্দিরা গান্ধী সরকার। সবই ঠিক আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ইন্দিরা গান্ধীর পরে ভারতে অনেক সরকার এসেছে। বর্তমানে তার পুত্রবধূ আবার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের মাথায় ছাতি ধরেছেন। বস্তুত তিনিই বর্তমান ভারত সরকারের মধ্যমণি। এসব সরকার বা নেতৃত্ব কি মুক্তিযুদ্ধকালীন বন্ধুত্বের সেই মর্যাদা রক্ষা করেছে? বাংলাদেশের জনগণ বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারতের কাছ থেকে যা প্রত্যাশা করেছেন, ভারত কি তার মূল্যায়ন করেছে বা করছে? স্বাধীনতার পর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়েছিল। বাংলাদেশ সরকার জাতীয় সংসদে তা অনুমোদন করলেও ভারতীয় পার্লামেন্ট আজ পর্যন্ত তা করেনি। সংশয়ের শুরু সেখান থেকেই। যে দেশটির স্বাধীনতার জন্য ভারত এতকিছু করেছে, সেই দেশের সীমান্ত সঙ্কটও টিকিয়ে রেখেছে সেই ভারতই। ট্রানজিট প্রশ্নে ভারত তাদের দাবি ষোলআনা আদায় করে নিলেও বাংলাদেশের জনগণের দাবিকে বন্ধুত্বের দৃষ্টিতে দেখেনি। ফারাক্কা ও পানিচুক্তি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। স্থল ও জল সীমান্ত নির্ধারণের বেলায় ভারত দীর্ঘ চার দশকেও বাংলাদেশের দাবি-দাওয়াকে গুরুত্ব দেয়নি। সেই সীমান্ত বিরোধ একসময় প্রায় প্রাত্যহিক কোন্দলে রূপ নিয়েছে। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী দফায় দফায় ভারতীয় নাগরিকদের উস্কানি দিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে, চাষাবাদের উদ্যোগ নিয়েছে, লুট করে নিয়েছে নদীর মাছ। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নিজেদের মনমত কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে, বাঁধ দিচ্ছে সীমান্তনদীর তীর ঘেঁষে। সর্বোপরি বিনা উস্কানিতে বিএসএফ গুলি করে মারছে নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিক। এই মৃত্যুর তালিকা যথেষ্ট দীর্ঘ। সম্প্রতিকালে কিশোরী গুলিবিদ্ধ ফেলানীর কাঁটাতারে ঝুলন্ত লাশ বিশ্ববিবেককেও নাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশ কেঁদেছে কিন্তু সাড়া দেয়নি ভারত। এমনকি ঢাকা-দিল্লিতে একাধিকবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও সীমান্তহত্যা বন্ধ হয়নি। সোনিয়া গান্ধীর মতো প্রাজ্ঞ রাজনীতিক এবং জননেত্রী এসব বিষয় সম্পর্কে অবহিত নন—একথা আমরা বিশ্বাস করি না। একটি জনপ্রিয় কথা চালু আছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ভারতের বর্তমান সরকারের সম্পর্ক বরাবরের মতোই ভালো। তারও কোনো উল্লেখযোগ্য নিদর্শন এ পর্যন্ত দেখতে পায়নি বাংলাদেশের মানুষ।
আমার বেশ আগের এক পোষ্টে লিখেছিলাম বেশি পিরিতে পেট বাধে..........অঅওয়ামী লীগের এই পিরিত তবে কি পেট বাধানোর অবস্থায় পৌছে গেছে?
দাদাবাবুদের প্রতি আওয়ামীলীগের যে দরদ তাতে অামজনতার আম ছালা দুটোই গেলেও অবাক হবার কিছু নেই।
কথায় আছে আমেরিকা যার বন্ধি তার শত্রুর দরকার নেই,,,,,,,কথাটা ভারতের ক্ষেত্রেও শতভাগ সত্যি।
২| ২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৪৯
বাল্মীকি বলেছেন: ৭১ এ অবদান রাখা সব বিদেশিকেই পর্যায়ক্রমে সম্মাননা দেয়া হবে।
তো আপনার মতে কারে দিয়ে শুরু করা যায়, নাম সাজেস্ট করেন, ইয়াহিয়া না ভুট্টো?
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৫২
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: View this link
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:০৫
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: ইন্দিরা গান্ধীকে আগেই সম্মাননা দেয়া উচিত ছিল। ভারত আমাদের সাহায্য না করলে আমরা মনে হয় প্যালেস্টাইনের মত অবস্থায় থাকতাম। তবে স্বাধীনতা র পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারত যে ধরণের আচরণ করে তা আমার কাছে বড়ই অদ্ভুত লাগে । যারা স্বাধীনতার সময় এত সাহায্য করল, তারাই এখন সীমান্তে এত মানুষ মারতেছে, টিপাইমুখ, ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে যাচ্ছে, ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে যাচ্ছে, আসলে অন্যের কাছ থেকে সম্মান আদায় করতে হলে আমাদের সেই রকম নেতা দরকার ছিল। দুর্ভাগ্য আমাদের আমরা যে ধরণের নেতা পেয়ে আসছি, এবং সামনে আরো যাদের নেতা হিসেবে পাওয়ার সম্ভাবনা, এরা দেশ কে স্ত্যিকার ভাবে অর্থনৈতিক, সামরিক, সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে উন্নত করার কথা বভাবে না। এরা ব্যস্ত পারিবারিক রাজনীতি বা ধর্মীয় উন্মাদনার রাজনীতি নিয়ে। স্বাধীনতার জন্য ভারত আমাদের যা সাহায্য করছে ,তার স্বীকৃতি না দেয়া মানে নিজেদের ছোট করা। তাদের স্বীকৃতি দেয়া যেমন দরকার, একি সাথে খেয়াল রাখা দরকার, আমাদের সমুদ্রসীমা কে অন্তত ঠেকিয়ে রাখার জন্য আমরা যেন সামর্থ্য অর্জন করি। আর এজন্য শুধুমাত্র দেশের কথা চিন্তা করবে এমন রাজনীতিবিদ দরকার। ভারতের দালাল, বা পাকিস্তান চীনের দালাল দের দিয়ে কখনোই হবে না। সমাধান ? সমাধান সম্ভবত একজন নিষ্ঠুর দেশপ্রেমিক সামরিক শাসকের ।
৫| ২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:৫৬
স্বাধীকার বলেছেন: ইন্দিরা গান্ধীকে এই পুরুষ্কার দেওয়াতে দোষের কিছু দেখিনা। বরং ভারতের কাছে আমরা প্রমান করতে পারি জাতি হিসাবে আমরা কৃতজ্ঞ জাতি। দেশটি ছোট হলেও আমাদের মানসিকতা ভারতের চাইতে অনেক বড়।
তাছাড়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের এবং ইন্দিরা গান্ধীর ভুমিকাকে কোনো বিবেচনাতেই অস্বীকার করার উপায় নেই। সত্যকে সত্য হিসাবে মেনে নেয়াটাই সভ্য মানুষের কাজ। যদি বিদেশী নাগরিকদের আমরা পুরুস্কৃত করি, তাহলে নিঃসন্দেহে ইন্দিরা গান্ধী এই পুরষ্কার পাওয়ার প্রথম দাবীদার। ভারতের সরাসরি সহযোগিতা আর রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতা আমাদের পক্ষে না থাকলে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস আরো দীর্ঘ কিংবা অন্যকিছু হতে পারতো। যিনি সন্মান পাওয়ার যোগ্য তাকে সন্মান জানানোটাই উচিত। যদিও ভারতের অনেক কর্মকান্ডের বিষয়ে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে।
৬| ২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৪৩
এইতোআমি০০৭ বলেছেন: অঅওয়ামী লীগের এই পিরিত তবে কি পেট বাধানোর অবস্থায় পৌছে গেছে?
৭| ২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৪৩
এইতোআমি০০৭ বলেছেন: দেশে মুক্তিযোদ্ধারা বিনা চিকিৎসায় মারা যায় , আর আওয়ামিলিগ ইন্ডিয়ার সম্মানে পারলে তো দেশটাকেই ইজারা দিয়া দেয়
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৩৮
রাজীব দে সরকার বলেছেন: ১৯৭১ এ যেকোন স্বার্থেই হোক ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন
স্বার্থের উর্ধে কেউ না
আমরাও নই