![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা: সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
তাওহীদ (توحيد) ইসলামে একত্ববাদের ধারণাকে বোঝায়। তাওহীদের বিপরীত ধারণা হল শির্ক, বা বহু-ঈশ্বরবাদ। ইসলাম এই শিক্ষা দেয় যে, স্রষ্টা একজনই, তিনিই আল্লাহ। তিনি বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা ও প্রতিপালনকারী। ইসলামে বিশ্বাসের অন্যতম প্রধান বিষয় হলো তাওহীদ অর্থাৎ আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস। তাওহীদে বিশ্বাস মানুষকে মানুষের দাসত্ব হতে মুক্ত ও স্বাধীন করে। কারণ তাওহীদ বা একত্ববাদ-এর অর্থ একমাত্র আল্লাহ তাআলার বশ্যতা, অধীনতা ও দীনতা স্বীকার করা, তার সৃষ্টি জীবের আনুগত্য ও পূজ্যতা পরিহার করা, তাঁর সাথে কাউকে অংশীদার না করা।
ইসলাম ( الإسلام) শব্দের অর্থ "আত্মসমর্পণ", বা একক স্রষ্টার নিকট নিজেকে সমর্পন। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে তার একাত্ববাদ বা তাওহীদের ঘোষনা করেছেন বহুবার। যেমন, তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে 'উহ' শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। [১৭ নং সূরা আল ইসরা : আয়াত নং ২৩ পবিত্র কুরআন]
পবিত্র কুরআনে আরো উল্লেখ আছে, তারা কি মৃত্তিকা দ্বারা তৈরী উপাস্য গ্রহণ করেছে, যে তারা তাদেরকে জীবিত করবে? যদি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র। [২১ নং সূরা আল আন্বিয়া : আয়াত নং ২১-২২ পবিত্র কুরআন]
অন্য আরেক সূরায় আল্লাহ্ আরো বলেন, তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ইহকাল ও পরকালে তাঁরই প্রশংসা। বিধান তাঁরই ক্ষমতাধীন এবং তোমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। বলুন, ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি রাত্রিকে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে আলোক দান করতে পারে? তোমরা কি তবুও কর্ণপাত করবে না? বলুন, ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি দিনকে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে যে, তোমাদেরকে রাত্রি দান করতে পারে, যাতে তোমরা বিশ্রাম করবে ? তোমরা কি তবুও ভেবে দেখবে না ? তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্যে রাত ও দিন করেছেন, যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম গ্রহণ কর ও তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। যেদিন আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বলবেন, তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে, তারা কোথায়? প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে আমি একজন সাক্ষী আলাদা করব; অতঃপর বলব, তোমাদের প্রমাণ আন। তখন তারা জানতে পারবে যে, সত্য আল্লাহর এবং তারা যা গড়ত, তা তাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে যাবে। [২৮ নং সূরা আল কাসাস : আয়াত নং ৭০-৭৫ পবিত্র কুরআন]
পবিত্র কুরআনের সূরা আয যুমারে আল্লাহ্ উদাহরণ দিয়েছেন এভাবে,
আল্লাহ এক দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেনঃ একটি লোকের উপর পরস্পর বিরোধী কয়েকজন মালিক রয়েছে, আরেক ব্যক্তির প্রভু মাত্র একজন-তাদের উভয়ের অবস্থা কি সমান? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না। [৩৯ নং সূরা আয যুমার : আয়াত নং ২৯ পবিত্র কুরআন]
আর যারা স্রষ্টার অস্তিত্ত্বই স্বীকারই করে না তাদের ব্যাপারে কুরআন বলে,
তারা বলে, আমাদের পার্থিব জীবনই তো শেষ; আমরা মরি ও বাঁচি মহাকালই আমাদেরকে ধ্বংস করে। তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমান করে কথা বলে। [৪৫ নং সূরা আল জাসিয়াহ : আয়াত নং ২৪ পবিত্র কুরআন]
আর যখন কেউ প্রশ্ন করে আল্লাহ্ কে? অথবা স্রষ্টা কে? এ প্রশ্নের উত্তর পবিত্র কুরআন দেয় অত্যন্ত চমৎকার ভাবে, বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। [১১২ নং সূরা আল ইখলাস : আয়াত নং ১-৪ পবিত্র কুরআন]
আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর পূর্বে যখন বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য খ্রীস্টীয় ত্রিত্ববাদের অনুসরণ করছিল, পারস্য যখন ভালো মন্দ দুই ঈশ্বরের ধারণাকে নিজেদের আদর্শ হিসেবে মেনে নিয়েছিল, যখন আরব ও প্রাচ্যদেশের মানুষ মূর্তিপূজা, প্রকৃতিপূজা ও বহু-ঈশ্বরবাদের আদর্শে বিশ্বাসী ছিল, যখন একত্ববাদ বিলীন হতে চলেছিল এ পৃথিবীর বুক থেকে, ঠিক তখনই আরবের বুকে আবির্ভূত হোন মুহাম্মাদ (সাঃ), পৃথিবীর বুকে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করেন তাওহীদ (একত্ববাদ)।
এ শেষ নবী ও রাসূলের আবির্ভাবের সময়কে সৈয়দ আমীর আলী বলেছেন এভাবে, "পৃথিবীর ইতিহাসে পরিত্রাণকারীর আবির্ভাবের এত বেশী প্রয়োজন এবং উপযুক্ত সময় অন্যত্র কখনও অনুভূত হয় নাই" আর এ সম্বন্ধে ঐতিহাসিক পি. কে. হিট্টি বলেছেন,"মহান ধর্মীয় ও জাতীয় নেতার আবির্ভাবের জন্য মঞ্চ প্রস্ত্তত হয়েছিল এবং সময়ও ছিল মনস্তাত্ত্বিকতাপূর্ণ"।
তথ্যসূত্রঃ
quran.com
ইসলামের ইতিহাস - কে. আলী
http://bangla.irib.ir/islam/index.php/2011-04-17-07-13-18/2011-05-03-10-48-36/157-2011-04-18-17-02-20.html
০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯
নাফাজি বলেছেন: সবার আগে তো মামুন ভাই আপনাকে পবিত্র কুরআন অর্থসহ পড়তে হবে, সেই সাথে পড়তে হবে বিশুদ্ধ হাদীস ও কুরআনের তাফসীর। ইনশাল্লাহ্ আমি চেষ্টা করে যাবো আরো বেশী পোস্ট করতে। আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাকে আরো পোস্ট করতে উৎসাহিত করবে। আর আপনার oDesk এর পরবর্তী টিউটোরিয়াল কবে আসবে?
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১৬
আবদুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাছের...
আমি শুরু করেছি কিন্তু শেষ করতে পারিনি। শীঘ্রই শেষ করে ফেলবো।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৩০
নাফাজি বলেছেন: হুমমম। আপনার টিউটোরিয়ালের অপেক্ষায় আছি। ছেলেপেলের কাজে আসবে।
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:০১
আমিভূত বলেছেন: আজকে অনেক হতাশাগ্রস্থ ছিলাম,এর মাঝে যখন আপনার পোস্ট পড়লাম, মনের মাঝে জমা ক্ষোভ মিলিয়ে গেল, সত্যই আল্লাহ্ পরম মেহেরবান ,দয়ালু ও ক্ষমাশীল ।
পবিত্র কুরআনের সূরা আয যুমারে আল্লাহ্ উদাহরণ দিয়েছেন এভাবে,
আল্লাহ এক দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেনঃ একটি লোকের উপর পরস্পর বিরোধী কয়েকজন মালিক রয়েছে, আরেক ব্যক্তির প্রভু মাত্র একজন-তাদের উভয়ের অবস্থা কি সমান? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না। [৩৯ নং সূরা আয যুমার : আয়াত নং ২৯ পবিত্র কুরআন]
এ প্রসঙ্গে বলতে চাই যে, দুজনের মাঝে যার প্রভু এক তার অবস্থা এমন যেন , যে কিনা আজকের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় টিকে গেল,তার আর হাজার পথে হাঁটতে হবে না।একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগুলো।
অন্যদিকে যার প্রভু একাধিক তার অবস্থা যেন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ছাত্রের মত কেননা তার এখন অনেক গন্তব্য অথচ কোনটিই সঠিক লক্ষ্য নয়।
ধন্যবাদ উপযূক্ত সমসাময়িক পোষ্ট দেয়ার জন্য।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:১১
নাফাজি বলেছেন: ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামতের জন্য। কিন্তু ভূত মামী আপনার মন মেজাজ খারাপ ছিল কেন জানতে পারি? আর আমি যতদূর জানি মুসলিমদের তো কখনো হতাশ হতে নেই।
৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:২৬
আমিভূত বলেছেন: Hotash hote nei tobuo majhe majhe dhorjer porikhay pass korte pari na:-( hoyto ami khati muslim howar joggota akhno orjon korte pari ni.
Mbbs test e amr chotobon chance pay ni:'(
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:৫৩
নাফাজি বলেছেন: হুমমম। বুঝতে পেরেছি। মন খারাপ করে তো লাভ নাই। ডাক্তার হলেই যে জীবণ সফল হবে এমন ভাবার কোন কারণ নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:২১
আবদুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সকালবেলা অফিসে এসে খুবই চমৎকার একটা পোস্ট দেখলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ নাছের।
অনেক কিছু জানার আছে যা দিয়ে, আমরা কিছু প্রগতিশীল (তথাকথিত) লোকদের দাঁত ভাঙা জবাব দিতে পারবো।
এই বিষয়গুলো কোথায় পাওয়া যাবে বা পড়াশোনা করার জন্য কোন রেফারেন্স আছে কিনা, যদিও তোমার পোস্ট থেকে রেফারেন্স আছে। আমি এই বিষয় গুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে চাচ্ছি।
আশাকরি আগামীতে এই বিষয়ে আরও পোস্ট থাকবে।