নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্রক্ষপুত্রের মায়া

সোনালী শৈশব

স্বপ্নচারী আবেগী মন সুতা কেটে ওড়ে যেতে চায় ঐ দূর আকাশে, হেঁটে বেড়াতে চায় অনন্তকাল আমার প্রিয় ব্রক্ষপুত্রের পাড় ধরে, যে নদী আমার জীবনের উত্থান,পতন,প্রেম-বিরহ,হাসি-কান্না, সমস্ত আবেগের একমাত্র স্বাক্ষী।ভালোবাসি মানুষের সরলতা, ঘৃণা করি কৃত্রিম শহুরে আধুনিকতার সেই রূপকে যার কারণে মানুষ ভুলে যায় মাটির টান, ঘৃণা করতে শেখে মাটির গন্ধ, অস্বীকার করে আপন শেকড়।

সোনালী শৈশব › বিস্তারিত পোস্টঃ

:Dআমার স্কুল পালিয়ে ছিঃনেমা দেখার হিস্টোরী!:D

০৪ ঠা জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪০

স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখার অভ্যাস বা ব্যারাম আমার কোনোদিনই হতো না। মূলত আমার এ ব্যারামের জন্য একজনই দায়ী---সে হচ্ছে সালমান শাহ। শুধু আমার না আমার মত আরও অনেক শান্ত-শিষ্ট, ভদ্র এবং হাবাগোবা ছেলেকে স্কুল ফাঁকি দিয়ে সিনেমা হলে আনতে শিখিয়েছিল, বাবা-মার কাছে মিথ্যা বলতে শিখিয়েছিল এই সালমান শাহ। আহ! কৈশোরের স্বপ্নের নায়ক প্রথম যেদিন সুজন সখি ছবির শুটিংয়ের জন্য শম্ভুগঞ্জ এল সে শুটিং দেখার জন্য টিফিন আওয়ারে স্কুল থেকে ক্লাশ সেভেন থেকে টেনের ট্যাটন পোলাপান গুলোর পাশাপাশি অনেক ভালো পোলাপানও পালালো। পালাতে পারলাম না শুধু নিতান্তই ভদ্র গোবেচারা গোছের এই আমি---কেননা তখন পর্যন্ত অতটা সাহসী হয়ে ওঠতে পারিনি। যাই হোক, পরে পোলাপানের কাছে গল্প শুনতাম আর আফসোস :((করতাম।

সালমান শাহর এক একটা ছবি হলে আসলে তা কমপক্ষে ৩/৪ সপ্তাহ চলত। আর স্বপ্নের ঠিকানা ছবিটা চলেছিল একটানা ৩ মাস।(কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিটাও ৩মাস চলেছিল)। বাংলা কোনো ছবি কোনো হলে ৩ মাস চলতে পারে---জানি এখনকার পোলাপানের কাছে এটা আজগুবি গল্প মনে হবে। তাদেরকে বলব স্বপ্নের ঠিকানা ছবিটা একসাথে ২টি হলে লাগানো হয়েছিল।১টিতে ৪ সপ্তাহ চালানোর পর অন্য ছবি লাগানো হয়, কিন্তু অন্যটিতে ছবিটা একটানা ৩ মাস চলে। শুধু তাই নয়, সেই হল থেকে ছবিটা চলে যাওয়ার ১মাস পর ওরা ছবিটা আবার আনে এবং আবারো ১মাস হাউজফুল প্রদর্শনী চলে।



আমার স্কুল পালানোর হাতে খড়ি অন্তরে অন্তরে, তোমাকে চাই এই ছবিগুলো দিয়ে। ওহ কি দারুণ লেগেছিল ছবিগুলো। তোমাকে চাই ছবিটা ৩ বার দেখেছিলাম--শুধু সালমান শাহর ছুঁড়ে দেয়া প্রেমপত্রটি শাবনুর বাবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে কিভাবে পা দিয়ে টেনে নেয় সেই দৃশ্যটি দেখার জন্য আর দারুণ গানগুলোর জন্য । অন্তরে অন্তরে ছবি দেখতে যেয়ে দেখি ম্যাটিনি শো শুরু হতে প্রায় ১ ঘন্টা বাকি। এই ১ ঘন্টা কোথায় থাকি? বাইরে স্কুলড্রেস পড়ে ঘোরাঘুরি করলে পরিচিত অনেকেই দেখে ফেলবে। আমার আর আসিফের ২জনের বাবাই ছিলেন সরকারী কলেজের শিক্ষক--তাদের অনেক ছাত্র-ছাত্রী আমাদের চিনত।ওহ হ্যা, আসিফ ছিল আমার সবচাইতে প্রিয় বন্ধু, ক্লাশমেট আর লুকিয়ে ছিঃনেমা দেখা সহ আমার সকল অপকর্মের বিশ্বস্ত সঙ্গী। তো, ফাঁকা হলে গ্র্যান্ড সার্কেলে ঢুকে আমি আর আসিফ বসে আছি। হলের টিকেট চেকার আমাদের স্কুলড্রেস দেখে ভয় দেখায় যে ডিসির নির্দেশ আছে স্কুল পালিয়ে কেউ আসলে স্কুলের হেডস্যারকে খবর দেয়ার জন্য। আমরা খুব ভয় পেয়ে যাই। লোকটার কাছে অনেক কাকুতি-মিনতি করি। লোকটার মন গলে এবং আমরা রক্ষা পাই। কিন্তু এখন বুঝি যে নেহায়েৎ মজা নেবার জন্যই লোকটা আমাদের মত মাছুম বাচ্চাগুলোকে সেদিন ভয় দেখিয়েছিল।



সত্যের মৃত্যু নাই ছবিটা দেখেছিলাম পুরো কাকভেজা হয়ে। ছবিটা যে সেদিন দেখব সেরকম কোনো প্ল্যান ছিলনা। বাসা থেকে স্কুলের নাম করেই তুমুল বৃষ্টির মধ্যে দুজনে রিকশায় ওঠেছিলাম। কিনতু পথে রিকশাওয়ালা ছেলেটা যখন জানালো যে সে ছবিটা এই পর্যন্ত ১৪বার দেখেছে এবং প্রতিবারই কেঁদেছে তখন সালমান শাহর ভক্ত হিসেবে আমরাও আর চুপ করে থাকতে পারলাম না---আসিফ বলল স্কুল তো ডেইলী ডেইলী যাই আজ আর যাব না, চল বড় ঘরে যাই । আমি রিকশাওয়ালাকে বললাম, অ্যাই রিকশা ঘোরাও। তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে যখন বড় ঘরে মতান্তরে ছিঃনেমা হলে গিয়ে ঢুকলাম তখন ছবির প্রায় কয়েক মিনিট হয়ে গেছে।(সে বয়সে একটা ব্যারাম ছিল ছবির শুরুতে কিছু অংশ যদি মিস হয়ে যেত আফসোসের/:) আর সীমা থাকত না।)

আমাদের ক্লাশে কিছু অতীব দুষ্ট ছেলে ছিল---বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে আসা পাজিগুলো স্কুলের হোস্টেলে থাকতো। যেহেতু তাদের শহরের বেশী মানুষ চিনত না তাই তারা এই সুযোগের পুরা সদ্বব্যবহার করত।তারা বলত ‘‘ছবিই যখন দেখবা তাইলে ইংলিশগুলাই:P:P দেখনা ক্যান?এক টিকেটে ২ টি ছবি দেখলে ইংরেজী জ্ঞানও বাড়ে;) আবার অর্থেরও সাশ্রয়;) হয়;আর ইংরেজীর জ্ঞান বাড়াইতে হইলে ইংলিশ ছবির দেখারও নাকি কোনো বিকল্প নাই;) ’’। মিথ্যা কথা বলবনা স্কুলে থাকতে সাহসে না কুলালেও ইন্টারমিডিয়েটে ওঠে ২/১ বার লুকিয়ে ইংরেজীর ভাষা জ্ঞান বাড়াতে;) আমিও গিয়েছি--বাসার সবাই যেদিন আমাকে একা রেখে গ্রামের বাড়িতে যেত সেদিন এই কাজ করবার চেষ্টা করতাম। একবার তো গিয়ে দেখি আমাদের ক্লাশের ভাজা মাছটা উলটে খেতে পারেনা এরকম এক ছেলেও গিয়েছে ইংরেজীর জ্ঞান বাড়াতে:D । আমাকে দেখতে পায়নি।সাথে ক্যাপ নিয়ে গিয়েছিলাম, কোনোমতে মাথায় দিয়ে পালিয়ে এসেছি আর ছেলেটার অধঃপতনের কথা:D চিন্তা করতে করতে বাসায় ফিরেছি।



যাই হোক ইন্টারমিডিয়েটে ওঠে খুব একটা ক্লাশ পালাতে হয়নি (তখন সালমান শাহও ছিলনা তাই পালানোটাও কমে এসেছিল। তাছাড়া বড় হয়ে যাওয়ায় শুক্রবারেও প্রাইভেট পড়া, বন্ধুদের বাসায় যাওয়া বা অন্য কোনো কাজের নাম করে বাইরে যাওয়ার স্বাধীনতা তো তখন পুরোপুরি পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই শুক্রবারে দেখার সুযোগ থাকলে আর কলেজ পালাবো কিসের জন্য?:D) তবে হ্যা, একবার পালিয়েছিলাম টাইটানিক ছবিটা দেখার জন্য। কলেজ টাইমে কলেজের কলাপসিবল গেইটে তালা ঝোলানো থাকত। তো এই ভেজাল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা মুক্তিকামী কয়েক জনতা;) ক্লাসের পেছনের দিককার একটি জানালার গরাদের ১টি রড কেটে বাঁকিয়ে নিয়েছিলাম। কাটা রডের ফাঁক দিয়ে টাইটানিকের প্রথম শোতে আমাদের প্রায় পুরো ব্যাচ নিয়ে পালিয়ে এসেছিলাম।:D



সিনেমা দেখতে গেলে প্রায়ই টেনশনে থাকতাম। পরিচিত কেউ যদি দেখে ফেলে! সবচেয়ে বেশী ভয় ছিল আমার ৩ বছরের বড় ভাইকে নিয়ে। ওরও লুকিয়ে সিনেমা দেখার ব্যারাম ছিল। একবার রিয়াজ-রিয়া সেনের একটা ছবি আসলো---‘‘পৃথিবী তোমার আমার’’ না কি যেন একটা নাম---একসাথে ২ হলে। টিভিতে দেখানো ছবিটার অ্যাডে বা প্রমোতে আইয়ুব বাচ্চুর দারুণ একটা গান শোনানো হত। তো আইয়ুব বাচ্চুর গান আর রিয়া সেনের চিকন কোমরের:P:P প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আমি আর আসিফ নামাজ পড়তে যেয়ে মসজিদের বারান্দায় বসেই মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিলাম---ছবিটা সেদিনই(নামাজ পড়ে ভাত খেয়েই) দেখতে যাব।(উল্লেখ্য,সেদিনই ছবিটা মুক্তি পেয়েছিল)। তো বাসা পাশাপাশি হওয়ায় আমরা দুজনে কখনো একসাথে বাসা থেকে বের হতাম নাB-)---পাছে আমাদের ২ জনের বাসার লোকেরাই বুঝে ফেলে যে কোথায় যাচ্ছি। একজন ৫/১০ মিনিট আগে বের হয়ে সামনে এগিয়ে যেয়ে কোনো একটা দোকানের সামনে গিয়ে অপেক্ষা করতাম আর আরেকজন পরে বের হয়ে সেখানে যেয়ে মিলিত হয়ে রিকশায় ওঠতাম। ( ছবি দেখে ফিরতে সময়ও দুজন একসাথে বাসায় ফিরতাম না। একজন বাসার বেশ খানিকটা আগে নেমে পরে হেটে হেটে বাসায় ফিরতাম, আরেকজন রিকশা নিয়ে সরাসরি বাসায় চলে আসতাম।) তো এত সাধ করে ছবিটা দেখতে যেয়ে দেখি সব টিকেট বিক্রি শেষ।কিন্তু ব্ল্যাকে পাওয়া যাচ্ছে ৩গুণ দামে। আইয়ুব বাচ্চুর গান আর রিয়া সেনের চিকন কোমর:P বলে কথা! ২৫টাকার টিকেট ৭০ টাকা করে দুজনে ১৪০ টাকা দিয়ে ২টি টিকেট কিনে হলে ঢুকে পড়লাম। সে সময় হলে ছবি শুরু হওয়ার আগে টপ টেন, নাসির গোল্ড, হিরো;) থাকলে রিস্ক নাই--এ মজার অ্যাডগুলো দেখানো হতো। তো রিয়া সেনের চিকন কোমর দেখার অনেক আশা বুকে নিয়ে দুজনে দুটো সিটে বসে অ্যাডগুলো দেখছিলাম। ছবি শুরু হবে হবে ভাব। এমন সময় অন্ধকারের মধ্যে দরজা ঠেলে দেখি ২ আগন্তুকের প্রবেশ--আমার বড়ভাই আর তার বন্ধু:-*।(এই মিথ্যাবাদীগুলোও শুক্রবারের মত পবিত্র ১টা দিনে ছিঃনেমা দেখার জন্য বাসা থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে)। চেয়ে দেখি আমাদের পাশের ২টি সিট ছাড়া পুরা ডিসিতে আর সিট খালি নাই। আসিফকে বললাম--আসিফরে চাইয়া দ্যাখ কারা ঢুকতাছে। আসিফ কয় হায় হায় এখন কি করবি?আমি কইলাম পালানো ছাড়া আর উপায় নাই।আসিফ বুকে চাপা কষ্ট আর কিছুটা রাগX(( নিয়ে বলল--এতগুলা টাকা দিয়া টিকেট কাটলাম আর ছবি না দেইখাই ফেরত যামু? আমি বললাম--ওঠ শালা বাসায় বলে দিলে আর মানইজ্জত থাকবেনা, আর সতিকারের প্রাইভেট পড়তে বের হলেও এর পর থেকে সবাই ভাববে বড় ঘরে যাচ্ছি। আসিফ কয় অগোরেটাও আমরা কইয়া দিমু।আমি বললাম-ওঠ শালা বড় ভাইয়ের সাথে বইসা রিয়া সেনের কোমর দোলানো দেখমু, না? বলতে বলতেই ২ আগন্তুক অন্ধকারে হাতড়াতে হাতড়াতে আমাদের পাশে এসে বসে পড়ল। বাইরের আলো থেকে আসায় তারা আমাদের চিনতে পারেনি। আমরা দুজন কোনো মতে ওঠে চোরের মত পালিয়ে এলাম। (আজ পর্যন্ত বড় ভাই সেদিনের সে ঘটনা জানেনা )। যাই হোক বের হয়ে এসে দুজনে হেটে হেটে ফিরছি ---তো পথে আরেকটা হলেও দেখি ছবিটা চলছে। আসিফকে বললাম পকেটে হাত দে--ওর পকেট থেকে ১৪ টাকা বের হলো , আমার পকেট থেকে ১৮।১৬ টাকা করে ৩২ টাকা দিয়ে ২টা VIP টিকেট (বসতে হয় কাঠের চেয়ারে একেবারে পর্দার সামনে) কিনে দুজনে আবার ঢুকে পড়লাম ছবিটা দেখার জন্য। ততক্ষণে ছবিটার ১০/১৫ মিনিট হয়ে গেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ছবিটা দেখে একটুও ভালো লাগলো না। একদম সাদামাটা কমন কাহিনী। তারপরে পুরা ছবিতে টিভিতে ছবিটার অ্যাডে দেখানো আইয়ুব বাচ্চুর গানটাই নাই। পাশে বসা লোকের কাছে জিজ্ঞেস করে জানলাম---ছবি শুরু হওয়ার সময় নাকি শুধু আবহসংগীত হিসেবে গানটার ২/৩ লাইন শোনানো হয়েছিল। মানে দর্শক টানার জন্য এটি ছিল পরিচালকের একটি প্রতারণা। যাই হোক, পুরা আড়াই ঘণ্টা মফিজের মত VIP সিটে বসে ঘাড় উঁচা করে পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘাড় প্রচন্ড ব্যথা হয়ে গেল। ঘাড়ের ব্যথার কষ্ট/:) আর ১৭২টা টাকা পানিতে ফালানোর এক বুক হাহাকার:((:(( নিয়ে ২টি মাছুম ছেলে অবশেষে ঘরে ফিরে এল।



ভার্সিটিতে বন্ধুগুলো সব এদিক ওদিক চলে গেলাম।আর বাংলা সিনেমাও ততদিনে ময়ুরী, মুনমুনদের দখলে চলে এল। ফলে তারপর থেকে আর বাংলা ছবি দেখার আগ্রহ ছিলনা। সম্ভবত ২০০২-এর দিকে এক ঈদের সন্ধায় কয়েকজন বন্ধু একত্র হলাম---আমি , আসিফ, এমদাদুল আর ডাঃ মনোয়ার। (ইন্টারমিডিয়েটে থাকতে ধীরাজ নামে আমাদের এক দুষ্ট বন্ধু ছিল আর ছিল এই এমদাদুল---এই দুইজনকে আমরা অনেক সময় পকেটের পয়সা দিয়ে ছিঃনেমা হলে নিয়ে যেতাম --- ছিঃনেমা দেখে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদ্গারিত এদের বিভিন্ন মজার মজার কমেন্ট শুনবার জন্য)

যাই হোক আমি , আসিফ, এমদাদুল আর ডাঃ মনোয়ার এই ৪ জন মিলে একসাথে আগে অনেক ছবি দেখেছি। অনেকদিন পর দেখা, আবার কবে দেখা হবে কে জানে।তাই স্রেফ একসাথে বসে কয়েকটা ঘণ্টা সময় কাটানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম একটা ছিঃনেমা দেখব। শহরের ৫টা হলের ৪টিতেই ময়ুরী, মুনমুন:P আর মেহেদীদের ছবি লাগানো হয়েছিল; (তখন ময়ুরী, মুনমুন,মেহেদী,আলেকজান্ডার বো এদের ছবি ছাড়া ভালো ছবি একদম বের হতো না বললেই চলে) ছবিগুলো হচ্ছে---বোমা হামলা, ধ্বংস,গজব,আর একটির নাম মনে নাই। বাকী ১টি হলে চলছিল শাবনুর-রিয়াজের ছবি--সুন্দরী বধু। ঈদের দিনতো এমনিতেই রিকশা ভাড়া ৩/৪ গুণ বেশী; তারমধ্যে এ হল থেকে ও হলে গেলাম,অনেক ঘোরাঘুরি করলাম কিন্তু কোনো হলেই টিকেট পেলামনা।বস্তা পঁচা ছবি তাও আবার ২/৩ গুণ বেশী দামে আগেই বিক্রি শেষ।ঘুরতে ঘুরতে পুরবী হলে এসে ব্ল্যাকারের কাছে সুন্দরী বধু ছবির কয়েকটা টিকেট পেলাম। কিন্তু ডাঃ মনোয়ার জেদ ধরলো--সে ময়ুরী, মুনমুন:P মেহেদীদের ছবি ছাড়া অন্য ছবি দেখবেনা---আজ যেহেতু এদের ছবির টিকেট পাওয়া গেল না তাই কালকে সন্ধায় দেখবে। কারণ হলো---এদের ছবি দেখতে গেলে এমদাদুল এমন কিছু মজার মজার কমেন্ট করবে( যেমন অনেক সময় বিরক্ত হয়ে এমদাদুল ‘‘ঐ ছবি শ্যাষ হইলে ডাক দিয়া দিস’’ বলে ঘুমিয়েও পড়েB-)) যা সুন্দরী বধু ছবি দেখতে গেলে নাও করতে পারে। কিন্তু আমার জেদাজেদিতে শেষ পর্যন্ত সবাই সুন্দরী বধু ছবিই দেখতে রাজী হলো (ছবি দেখতে গিয়ে দেখি শরৎচন্দ্রের কাহিনীতে নির্মিত অনীল কাপুরের বেটা ছবির অত্যন্ত নিম্নমানের রিমেইক)। যাইহোক, ছবি দেখে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হল থেকে বের হয়ে যে যার বাসায় চলে এলাম। পরেরদিন সন্ধ্যার দিকে বাসায় বসে আছি; চতুর্দিক থেকে শুধু এম্বুলেন্স আর পুলিশের গাড়ির হুইসেল কানে আসছে।এর মধ্যে মনোয়ার হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বাসায় ঢুকেই জানালো কিছুক্ষণ আগে শহরের একমাত্র সেনানিবাস হল ছাড়া আর বাকী ৪টি হলেই বোমা হামলা হয়েছে---অনেক মানুষ মারা গেছে, ৩টি হল আংশিক আর একটি হল পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে---পুরো শহর বিডিআর আর পুলিশে ভর্তি হয়ে গেছে। মনোয়ার আমাকে অনেক ধন্যবাদ জানালো এই বলে যে, কাল যদি ওর জেদে মেনে ছিঃনেমা না দেখে আজ দেখতে যেতাম তাহলে কি হতো। মরতাম তো মরতাম, একেবারে ময়ুরী, মুনমুনের ছিঃনামা দেখতে যেয়ে মরতাম:D-----মান ইজ্জত আর কিছুই থাকত না।আত্মীয়-স্বজনেরা আমাদের লাশ আনতে যেতেও লজ্জায় মরত:D



তো যাই হোক, এর পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনোদিন আর আমরা বন্ধুরা ছিঃনেমা দেখার নাম নেই নি:D। ছিঃনেমা দেখার ব্যারাম থেকে চির আরোগ্য লাভ করেছি।:((

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৬

রাখালীয়া বলেছেন: :) B-) B-)) :-P

০৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:০৯

সোনালী শৈশব বলেছেন: মজা পাইলেন বলে মনে হয়! :D :D :D B:-/ :-B

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২

নুরা পাগলা৫৫ বলেছেন: মজা পাইলাম :D :D :D =p~

০৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:০৯

সোনালী শৈশব বলেছেন: B:-/ :-B :D B-) :P =p~

৩| ২১ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: আপনে ময়মন্সিংহের???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.