| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব কিছুর নামকরণের একটা বিশেষ কারণ থাকে বা বিশেষ কোন পরিস্থিতির কারনেই কোন স্থান, কাল বা পাত্রের নামকরণ করা হয়। বিভিন্ন জেলার নামকরণ কিভাবে হলো, তার প্রচলিত ধারণাগুলো নিচে দেয়ার চেষ্টা করলাম। এ পর্বে দেখুন-
ঢাকাঃ বল্লাল সেন কতৃক নির্মিত ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে ঢাকা নামের উৎপত্তি। অনেকে আবার বলেন ১৬১০ সালে ইসলাম খাঁ বুড়িগঙ্গার কাছে ঢাক বাজিয়ে যতদুর পর্যন্ত শোনা যায় ততদুর পর্যন্ত সীমানা নির্ধারন করে ওই এলাকার রাজধানী বানান, সেই এলাকাই ’ঢাকা’ নামে পরিচিত। ঢাক নামক গাছ থেকে ঢাকা নামের উৎপত্তি বলেও কেউ কেউ মনে করেন।
ময়মনসিংহঃ প্রাচীন নাম মোমেনশাহী এবং নাছিরাবাদ। এ জেলাকে নিয়ে প্রচলিত ছড়া হল, হাওর, বাওর, মহিষের শিং, এই তিনে ময়মনসিংহ। একদা এ অঞ্চলে প্রচুর মহিষ ছিল। মহিষের শিং থেকে মোমেন শাহী আর এ থেকেই ময়মনসিংহ। আবার কেউ কেউ বলেন মোমেন শাহ পীরের নাম থেকে মোমেনশাহী হয়েছে।
টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইল শব্দটি টাঙ্গাই শব্দ থেকে উৎপত্তি। এ অঞ্চলে মোকলা স¤প্রদায় নামে একটি গোষ্টি বাস করত। এ মোকলা স¤প্রদায়ের সর্দারকে বলা হতো টাঙ্গাই। এ টাঙ্গাইয়ের নামানুসারে টাঙ্গাইল নাম হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জঃ হিন্দু ধর্মীয় দেবতা নারায়ণ ঠাকুরের নামানুসারে নারায়ণগঞ্জ নামকরন হয়।
মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জ জেলার নামকরণের পেছনে তিনজনের নামের তথ্য পাওয়া যায়। এরা হলেন- সুফি সাধক মানিক শাহ্, দুর্ধর্ষ পাঠান সরদার মানিক ঠালী এবং নবাব সিরাজউদৌলার বিশ্বাষঘাতক অমাত্য মানিক চাঁদ। এদের যে কোন একজনের নামানুসারে মানিকঞ্জের নামকরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
মুন্সীগঞ্জঃ মোঘল আমলে এখানে একটা কেল্লা ছিল। এই কেল্লার নাম ইদ্রাকপুর কেল্লা। কেল্লার নামানুসারে এই এলাকার নামকরণ হয় ইন্দ্রাকপুর। উনবিংশ মতকের শুরুতে এটি রামপালের মুন্সি এনায়েত আলী সাহেবের জমিদারিভুক্ত হয়। পরে নামকরণ হয় মুন্সীগঞ্জ।
আরও দেখতে এখানে ক্লিক করুন
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
শাকিলা জান্নাত বলেছেন: +