নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.nahidlink.com

নাহিদ

সময়ের তটরেখাগুলো ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়, ফলে কখনো সম্পর্ক হয় গাঢ়, কখনো হালকা সেটা সময়েরই দোষ। আমরা তো মেঘের মতো উড়ে বেড়াচ্ছি সময়ের উপর দিয়ে, যেমন উড়ে বেড়ায় মেঘ আকাশের উপর দিয়ে। কেমন করে যেন সময়ের গোলক ধাঁধাঁয় পড়ে গিয়াছি আমরা, চাইলেও বাহির হতে পারি না। সেই সকাল, দুপুর রাত্র। একই নিয়মে চলেছি আজীবন । যেমন টা আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পায় অনেকে।এ হচ্ছে সময়ের খেলা। সময় আমাদের নিয়ে খেলতে ভীষণ ভালোবাসে, ছোটবেলায় ছেলেমেয়েরা যেমন দুষ্টমি করতে ভালোবাসে, অনেকটা সেরকম। অনেক সময়ের গল্প করলাম, এখন আমি নিজের গল্পতে। লিখে চলেছি আমি, নিশ্চুপ নক্ষত্রের ছড়ানো রেড়িয়ামের মতো। এ আলোতে যখন ছাদে দাড়াই, নিজেকে বেশ অচেনা মনে হয়।

নাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

13 সংখ্যাটিকে অমঙ্গলজনক বলে মনে করা হয় কেন?

২১ শে জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৮

"13 সংখ্যাটি দুর্ভাগ্যজনক" বলে যে সাধারন ধারনাটি মানুষ পোষন করে তা কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই সংখ্যাটিকে অমঙ্গলজনক বলে গন্য করা হয়। বহুতলা বিশিষ্ট অনেক হোটেলে 13 নং তলাটি থাকেনা। তলার সংখ্যা 12 থেকে 14তে গিয়ে পৌছায়। অনেক হাসপাতালে 13 নম্বর বেড রাখা হয় না। অনেকেই খাবার টেবিলে 13 জন লোককে ডাকে না। তবে আশ্চর্যের বিষয় এই যে, উক্ত কুসংস্কারের উৎপত্তি সম্পর্কে গ্রহনযোগ্য একটি ব্যাখা নেই।



অনেক বিশেষগের মতে মানুষ যখন প্রথম গুণতে শিখেছিল তখন থেকেই 13 সংখ্যাটি জনসাধারনের কাছে অপ্রিয় প্রতিপন্ন হয়েছিল। তার দশ আঙ্গুল ও পায়ের দুই পাতাকে একত্রে ধরে সে 12 পর্যন্ত গুনতে শিখেছিল। কিন্তু ঐ 12 এর বাইরের কোন জিনিস তার কাছে ছিল অজানা ও ভীতবহুল।



ধমর্ীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে 13 কে ঘিরে কুসংস্কাররের মূলসুত্র নিহিত যীশুখ্রিষ্টের শেষ নৈশ ভোজনের সাথে। ঐ নৈশ ভোজনে তিন তার 13 জন অনুগামীকে নিয়ে অংশগ্রহন করেছিলেন এবং সেটাই তার শেষ ভোজ। সেই থেকে 13 সংখ্যাটিকে অমঙ্গলজনক বলে গন্য করা শুরু হয়। এ ব্যাপারে কেউ কেউ আবার গ্রীক পৌরণিক কাহিণীর ভালহল্লা ভোজোৎসবের কথাও তুলে ধরেন। ঐ ভোজোৎসবে 12 জন দেবতাকে নিমন্ত্রন করা হয়। বিবাদ, শত্রুতা ও অমঙ্গের প্রতিভূলোকি ঐ ভোজসভায় জোর করে প্রবেশ করে মোট সংখ্যাকে 13 তে উন্নীত করে। ফল হিসাবে দেবতাদের প্রিয় প্রাত্র বেলডোর নিহত হয়। তখন থেকে 13 সংখ্যাটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে গন্য করা হয়।



13 সংখ্যাটি যে কারণেই অমঙ্গলজনক বলে গন্য করা হোক না কেন আসলে তাকে অমঙ্গলজনক বলার কোন বৈগানিক কারন নাই। কোন সংখ্যাই মঙ্গলজনক কিংবা অমঙ্গলজনক নয়। তারা নিতান্তই সংখ্যা এবং আঙ্কিক গণনার ক্ষেত্রেই কেবল তাদের ব্যবহার।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০০৬ বিকাল ৫:০৬

অতিথি বলেছেন: আমি জানতাম যে কোন এক গ্রিক রাজকন্যাকে পাবার জন্য 13 জন রাজপুত্র প্রান হারানোর পর 14 নম্বর রাজপুত্র তাকে পেতে সক্ষম হয় তাই 13 সংখ্যাকে সেখানকার লোকজন অপয়া মনে করত আর তা থেকেই এর প্রচলন। জানিনা সত্যি কিনা।

২| ২১ শে জুন, ২০০৬ বিকাল ৫:০৬

কালপুরুষ বলেছেন: আপনার সাথে আমিও একমত। তবে যে বা যারা এই 13 সংখ্যাকে অশুভ বা কুসংস্কার হিসেবে মানে তাদের বেলায়ই ঘুরে ফিরে যত অঘটনগুলো 13 সংখ্যাতেই ঘটে। 13 সংখ্যার যৌগিক ফল 1+3 = 4। 4 সংখ্যা 8 সংখ্যার মতই রহস্যময় একটা সংখ্যা। খুবই আনপ্রেডিক্টেবল। তবে আমেরিকানরা 13 সংখ্যাকে তাদের সৌভাগ্যের প্রতীক এবং শুভ সংখ্যা হিসেবে জানে। কারণ তাদের জাতীয় প্রতীক ও পাখী ঈগলের ডানায় 13টি করে পালক। ওদের জাতীয় পতাকা 49টি তারকা খচিত। 49 মানে 4+9 = 13 শুভ সংখ্যা হিসেবে ধরে। পরে এক সময় 13 সংখ্যা নিয়ে আরও বিশদভাবে লিখবো।

৩| ২১ শে জুন, ২০০৬ বিকাল ৫:০৬

অতিথি বলেছেন: 13 তারিখ আমার জন্মদিন, অশুভ না হয়ে পারে?

৪| ২১ শে জুন, ২০০৬ বিকাল ৫:০৬

নাহিদ বলেছেন: কালপুরুষ ভাই, কিছু কিছু জিনিস খুব চিন্তা হয় যেমন আমার জন্ম সোমবার, আমি বুঝতে শিখার পর থেকে দেখে আসছি..এমনকোন সোমবার বাদ যায়নি যেদিন আমি কারো কাছ থেকে বকা খায় ণি। যেভাবে হউক না কেন দিনটা খুবই খারাপ যাবে।

৫| ২১ শে জুন, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

অতিথি বলেছেন: নাহিদ,
ঐ আপুটা কে? উনি কি সবসময় কান্না কাটি করে। না খারাপ লাগে উনারে দেখলে। তয় স্যাটালাইট দিয়া উনার বাসা বের করতাছি। তো মারে জানানো হবে। অপেক্ষায় থাকো............
21.06.2006

৬| ২২ শে জুন, ২০০৬ রাত ৩:০৬

নাহিদ বলেছেন: আচ্ছা তোমারে কিছু টিপস না দিলে তো তুমি ঐ আপুর খবর নিতে পারবে না, Tata,HU..এখন দেখি বের করতে পার কিনা।

৭| ২২ শে জুন, ২০০৬ রাত ৯:০৬

সাইফ ভুইয়া বলেছেন:

৮| ২২ শে জুন, ২০০৬ রাত ৯:০৬

সাইফ ভুইয়া বলেছেন: অন্যেরা বলে

৯| ২২ শে জুন, ২০০৬ রাত ৯:০৬

সাইফ ভুইয়া বলেছেন: অন্যেরা বলে আনলাকি থার্টিন আর আমি বলি লাকি থার্টিন । কেন জানেন ? যে দিন থেকে আমি একটি হাদিস পেয়েছি যে প্রিয় নাবীজি (সঃ) বলেছেন তোমরা কোন কিছুকে অকল্যান কর মনে করতে পার না তবে কল্যান কর মনে করাতে কোন দোষ নেই। আমি সেই দিন থেকে 13 কে কল্যানের তারিখ ই ধারে থাকি। আলহামদুলিল্লাহ আমি তার সুফল পেয়েছি। আমদের সমাজে সে সকল তারিখ বা সংখ্যাকে অকল্যানকর মনে করা হয় আমি তার বিপরিতটা ভাবি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.