নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, উপাসনায় জাগ্রত তুমি আমার কবিতা

আমি অতি সাধারন ধ্রুব। নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। ভালবাসি কবিতাকে। কবিতা মূলত আমার নেশা , পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহনের হিরন্ময় হাতিয়ার। যেখানে অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, সেখানে উপাসনায় জাগ্রত সদাই আমার কবিতা। বেঁচে থাকতে চাই একটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। ভাল

নাহিদ ধ্রুব

নিম্নগামী অতীত নিয়েই আমার বেঁচে থাকা, চায়ের দোকানে বসে ধূসর ধোঁয়ায় উড়িয়ে ছিলাম স্বপ্নের ঘুড়ি, চেতনা জুড়ে ছিল একটু ছেলে মানুষী, কল্পনা ছিল অচেনা পৃথিবীর অঙ্গ জুড়ে, কণ্ঠে ছিল মিছিলের উষ্ণতা, দৃষ্টি ছিল অসীমের কাছে, অজানা একটা ঝড় আসলো, পাল্টে গেলো চিত্র, আমি প্রস্তুত ছিলাম না, ছিলাম না সিদ্ধহস্ত, সময়ের স্রোতে আমি অচেনা হলাম, সময় টা কি খরস্রোতা নাকি কালস্রোতা তাও জানা হোল না, জানা হয় নি অনেক কিছুই- যৌনতায় গড়া প্রেম পিপাশার কথা, নিঃসঙ্গতায় বন্ধুর জন্য অপেক্ষা, পিয়াসী চলে যাওয়ায় কষ্টের তীব্রতা, ভরা যন্ত্রণায় আত্মঘাতি হওয়া , এখানে এখন কিছুই নেই, আছে কিছু মধ্য রাতের বোধ, কলুষ মনের হাহাকার, প্রতিস্থাপিত নিঃস্পৃহ বিদ্বেষ, আপন মনেই কেঁদে ফেলার ভয়, সমানুপাতিক সমীকরণ, আমার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে, অহমিকার দেয়ালে লেগেছে ঘৃণার পোস্টার, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে এলো, প্রক্রিয়া চলছে পাপ ধুয়ে ফেলার, মনুষ্যত্বের অন্বেষণে ব্রতী দেহ মন, বিশ্বাস করবে না কেউ তবু আমি বলব আমি তোমাদেরই একজন।

নাহিদ ধ্রুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ হালাল নাস্তিক ও হারাম নাস্তিক!!

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫১

সহজ ভাষায় কঠিন কথা বলার এখন আর সাহস হয় নাহ!! তবুও , কুত্তার ল্যাজ যেমন সোজা হয় না- তেমনই একজন ব্লগার হিসেবে আমাদেরও কীবোর্ডে টিপাটিপি বন্ধ হয় নাহ!!



প্রসঙ্গঃ হালাল নাস্তিক ও হারাম নাস্তিক!!



>> নাস্তিকতা ও আস্তিকতা শব্দ দুইটার সাথে এখন আমরা অতি পরিচিত ইহা বলাই বাহুল্য!! প্রশ্ন হোল আমরা কাকে নাস্তিক বলবো? কিংবা কাদের কে নাস্তিকের আয়তায় আনা যায়! কি করলে ডিবি আমাদের ধরে নিয়ে যাবে কিংবা কি করলে বাক-স্বাধীনতা অবরুদ্ধ হয়!



__ যে ব্যাক্তি একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী নয়, তাকে আমরা নাস্তিক বলে অভিহিত করতে পারি! নাস্তিকতা কোন অপরাধ হতে পারে না বলেই আমার বিশ্বাস! একজন মানুষ তাঁর নিজস্ব চিন্তা ধারায় বিশ্বাস রাখার অধিকার রাখে- এবং এটা তাঁর একান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার!আমাদের মধ্যে অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি আছেন যারা নাস্তিক! হুমায়ূন আজাদ স্যার , সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় - এরাও নাস্তিক ছিলেন! সমস্যা টা তাহলে কোথায়? সমস্যা হোল ধর্মানুভুতিতে আঘাত! এবার এই আঘাতের কিছু নমুনা ব্যাখ্যা করি! আমাদের মধ্যে একজন নাস্তিক ব্লগার ভাইয়ের উদাহরন এখানে দিতে পারি, তিনি আর কেউ নন মহান আসিফ মহিউদ্দিন! তিনি মুহাম্মাদ কে মহা - আহাম্মক বলে ব্যাঙ্গ করেছেন - যা অবশ্যই ধর্মানুভুতিতে আঘাত করে! আমি একজন মুসলমান হিসেবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই! এটা আমার ঈমানী দায়িত্ব! সেই দিক থেকে ধর্ম প্রান মুসলমান রা যদি এর প্রতিবাদ করে ও বিচার দাবি করে তাতে কোন ভুল আছে বলে আমার মনে হয় নাহ!! কিন্তু, সমস্যা হোল, বাংলাদেশের ধর্মপ্রান মুসলমান'রা এখনও নাস্তিকতার রুপ অনুধাবন করতে সক্ষম হন নি! একটু ব্যাখ্যা করা উচিৎ!



যখন একদল মানুষ ইসলামের নামে হরতাল ডেকে , জ্বালাও - পোড়াও কর্মসূচী পালন করে তখন কি ইসলাম কে অবমাননা করা হয় না? যদি হয় তাহলে তারাও নাস্তিক! যখন ইসলাম কে পণ্য করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বাজারে নিলামে তোলা হয় , তখন কি ইসলাম অবমাননা হয় না? যদি হয় তবে তাঁর সাথে সম্পৃক্ত সকলেই নাস্তিক! যখন , একজন মাওলানা মাহফিলের নামে , অন্য ধর্ম কে নিয়ে কটূক্তি করে, তখন কি এটা অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে না? যদি করে, তাহলে সেই সব মাওলানা ও নাস্তিক! যখন ইসলাম কে সামনে রেখে একদল সুযোগ সন্ধানী লোক , অন্য ধর্মের মানুষের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয় , ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করে - তারা কি নাস্তিকতার ভিতরে পরে না? অবশ্যই তারা নাস্তিক!!

ইসলাম শান্তির কথা বলে- ধ্বংসের কথা নয়!!



রাজনৈতিক পটভূমিঃ

আমাদের হাম্বালীগ সরকার নাস্তিক নিধনে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে! যার ফলশ্রুতিতে , বাংলাদেশের অক্ষম পুলিশ বাহিনী যাকে খুশী তাকে আটক করে - রিমান্ডে নেবার জন্য আপিল করছে! প্রশ্ন হোলঃ জামায়েতের ধর্ম ব্যাবসা যদি নাস্তিকতার সামিল হয় , তাহলে তাদের কে কেন আটক করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে না? এই হরতালের নামে নৈরাজ্য কি তাদের কাছে হালাল আস্তিকতা বলে মনে হয়? নাকি হাম্বালীগ ডাবল টাইমিং করে নির্বাচনে আসার জন্য নতুন নকশা করতে ব্যাস্ত!? আর আসিফ মহিউদ্দিনরা তো আজকের নাস্তিক নয়- তাহলে তাদের কে এতো দিন কেন আটক করা হয় নি?



সারকথাঃ শেষ বলে বাংলাদেশে কিছুই নেই! জামায়েত- শিবির নিষিদ্ধ ও রাজাকারের ফাঁসি দিয়ে শুরু হয়েছিল, সেখান থেকে নাস্তিক ও আস্তিক বিষয়ে বিষদ আলোচনা- কথা হোল, এর শেষ কোথায়? এর শেষ যেখানেই হোক না কেন, আমার কেবল একটাই কথা, "সমুদ্রে পেতেছি শয্যা শিশিরে কি ভয়" - রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে পথে নেমেছিলাম- ফাঁসি দিয়েই ঘরে ফিরবো ইনশাল্লাহ।। এক দফা - এক দাবি - রাজাকারের ফাঁসি দিবি!!



জয় বাংলা।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: নাস্তিকের সংজ্ঞা কি????????????????????

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৪

মুশে হক বলেছেন: সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করা নাস্তিকতা; অস্বীকার করা কুফুরী। আস্তিকতা ও নাস্তিকতা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয় যা নির্ধারণ একমাত্র সৃষ্টিকর্তার এখতিয়ারভূক্ত। যদি কেও নিজকে নাস্তিক বলে ঘোষণা দেন; তবেই কেবল তাকে অন্যরা নাস্তিক বলতে পারে। যদি কাওকে নাস্তিক বলা হয় এবং সে আসলে নাস্তিক না হয়; তবে যে বা যারা তাকে নাস্তিক বলবে তারা কুফুরীর গোণাহ করবে এবং সেটাই ইসলামের বিধান।

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৪

চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
আপনার বয়স কম। ইসলাম নিয়া জ্ঞান ও খুব কম। দয়া করে আরো পড়াশুনা করেন এই বিষয়ে।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৬

জীবন্মৃত০১ বলেছেন: সরকার নাকি ১১ জন নাস্তিক ব্লগারকে গ্রেপ্তার করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে সরকার পরিসংখ্যানগতভাবে প্রমাণ করে দিক যে আড়াই লক্ষ ব্লগারের মধ্যে নাস্তিক ব্লগারের সংখ্যা মাত্র ১১ জন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.