নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, উপাসনায় জাগ্রত তুমি আমার কবিতা

আমি অতি সাধারন ধ্রুব। নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। ভালবাসি কবিতাকে। কবিতা মূলত আমার নেশা , পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহনের হিরন্ময় হাতিয়ার। যেখানে অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, সেখানে উপাসনায় জাগ্রত সদাই আমার কবিতা। বেঁচে থাকতে চাই একটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। ভাল

নাহিদ ধ্রুব

নিম্নগামী অতীত নিয়েই আমার বেঁচে থাকা, চায়ের দোকানে বসে ধূসর ধোঁয়ায় উড়িয়ে ছিলাম স্বপ্নের ঘুড়ি, চেতনা জুড়ে ছিল একটু ছেলে মানুষী, কল্পনা ছিল অচেনা পৃথিবীর অঙ্গ জুড়ে, কণ্ঠে ছিল মিছিলের উষ্ণতা, দৃষ্টি ছিল অসীমের কাছে, অজানা একটা ঝড় আসলো, পাল্টে গেলো চিত্র, আমি প্রস্তুত ছিলাম না, ছিলাম না সিদ্ধহস্ত, সময়ের স্রোতে আমি অচেনা হলাম, সময় টা কি খরস্রোতা নাকি কালস্রোতা তাও জানা হোল না, জানা হয় নি অনেক কিছুই- যৌনতায় গড়া প্রেম পিপাশার কথা, নিঃসঙ্গতায় বন্ধুর জন্য অপেক্ষা, পিয়াসী চলে যাওয়ায় কষ্টের তীব্রতা, ভরা যন্ত্রণায় আত্মঘাতি হওয়া , এখানে এখন কিছুই নেই, আছে কিছু মধ্য রাতের বোধ, কলুষ মনের হাহাকার, প্রতিস্থাপিত নিঃস্পৃহ বিদ্বেষ, আপন মনেই কেঁদে ফেলার ভয়, সমানুপাতিক সমীকরণ, আমার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে, অহমিকার দেয়ালে লেগেছে ঘৃণার পোস্টার, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে এলো, প্রক্রিয়া চলছে পাপ ধুয়ে ফেলার, মনুষ্যত্বের অন্বেষণে ব্রতী দেহ মন, বিশ্বাস করবে না কেউ তবু আমি বলব আমি তোমাদেরই একজন।

নাহিদ ধ্রুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাশের মিছিলে সোচ্চার বাঙ্গালী।।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

লাশের মিছিলে সোচ্চার বাঙ্গালী। না , সাভারের এই ভবন ধ্বসে পরাকে আমি কোন দুর্ঘটনা বলবো না, এটা ঠাণ্ডা মাথায় খুন। খুন করা হয়েছে কিছু নিরীহ মানুষ কে যাদের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা নেই, যাদের জীবনের কোন মূল্য নেই , যারা মানুষরুপী দাস। লাশের পর লাশ পরে আছে সাভারে , কারো কোন বিকার নেই, ওরা হারিয়ে গেছে , ওরা আর আসবে না, আমাদের পোশাকশিল্প কে আরও প্রসারিত করবে না, ওরা সামান্য সহানুভুতিও পাবে না।



ঘটনার প্রেক্ষাপট স্থানীয়দের মতে অনেক টা এরকম- স্থানীয়রা বলছেন, ভবনটি যে ত্রুটিপূর্ণভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল তা আগের দিন মঙ্গলবারই স্পষ্ট হয়ে উঠে। কেননা মঙ্গলবার ভবনটিতে বড়সড় একাধিক ফাটল দেখা দেয়। এই ফাটল ধীরে ধীরে বাড়ছিলো। ভবনে ফাটল দেখা দেয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে ভবনটি পরিদর্শনে যান স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। স্থানীয় প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তিনি অভিমত দেন যে, ভবনটির নিরাপত্তার স্বার্থে বুয়েট থেকে প্রকৌশলী এনে পরীক্ষা- নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জানা গেছে, মালিক কর্তৃপক্ষ বুয়েটের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগও করেছিল। ফাটল দেখা দেয়ার পরও ভবন মালিক মঙ্গলবার সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, এতে কোন সমস্যা হবে না, সামান্য একটু প্লাস্টার খসে পড়েছে মাত্র। তবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার পুরো ভবনটি বন্ধ ঘোষণা করে । এর পরও কিভাবে এত মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। ভবটি যে ঝুকিপূর্ণ তা গার্মেন্টস শ্রমিকরা বুঝতে পেরেই অনেকেই সকালে ভিতরে ঢুকতে চায়নি। কিন্তু তাদেরকে জোরকরে কাজে বাধ্য করে মালিক পক্ষের লোকজন। ওই ভবনের চারটি ফ্লোরে তৈরি পোশাক কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করতো। ভবনের তৃতীয় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, চতুর্থ তলার প্যান্টম এ্যাপারেলস লিমিটেড, পঞ্চম তলার প্যান্টম ট্যাক লিমিটেড ও ষষ্ঠ তলার ঈথার টেঙটাইল লিমিটেডে পাঁচ থেকে ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন।



এদের জীবনের নিশ্চয়তা এখানে প্রাধান্য পায় নি, পেয়েছে অর্থলোলুপ মনে বাসনা। কে বা কারা এর পিছনে দায়ী সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ! সরকার , রাজউক , বিভিন্ন প্রকৌশলী থাকা সত্ত্বেও কি করে এই রকম একটি ঝুকিপূর্ণ ভবনে কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছিল সেটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকলো! এখানে কি তবে রানার রাজনৈতিক জোর কাজ করেছে?? রাজউক কত টাকার বিনিময়ে এই ভবন তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল সেটাও জানার বিষয়।।



আমাদের সরকারের এই বিসয়ের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই, তারা কেবল শোকপ্রকাশ করেই ক্লান্ত হয়ে পরেছেন। বরং , সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে এই নৃশংসতা। নিরীহ অসহায় গরীব মানুষের আহাজারি তাদের ছুঁয়ে যাচ্ছে না। আমরা ফেসবুকের মতো সোশ্যাল কমুনিকেসনের জায়গা গুলোয় ফাঁকা চিৎকার করছি - কিছুই করতে পারছি না!



চট্টগ্রামের ফ্লাই-ওভার ভেঙ্গে পরা, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র ভেঙ্গে পরা - আজকের এই বহুতল ভবন ভেঙ্গে পরা - এগুলো কি আসলেই দুর্ঘটনা?? না , এগুলো আমাদের নিয়তির পরিহাস, গরীব হয়ে জন্মানোর স্বীকৃতি, নষ্ট জাতীর খেয়ালীপনা, সরকারের নাটকের সুযোগ সৃষ্টি। এই আমার গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই!! আমরা স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও উন্নত মানের কোন উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে পারছি নাহ, এই দায়ভার কার??



প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর স্বাধীনতা ব্যাবসায়িদের দিতে হবে। একটা জীবনের মূল্য দিতে হবে। এই গণহত্যার বিচার করতে হবে। এই পযন্ত ১০০০ এর বেশি আহত উদ্ধার করা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকরি আরোপ করা হয়েছে। সত্যি কত মানুষ নিহত হয়েছে তা হয়ত কোন দিনই জানা যাবেনা। গুম হয়ে যাবে অনেক লাশ।



আপাতত রক্ত চাই, যাদের পক্ষে সাভার যাওয়া সম্ভব না তারা দয়া করে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করুন। ভুলে যাবেন না , এরা আমাদেরই ভাই- বোন।।



যোগাযোগঃ

01711025876 (টিএসসি)

8629042, 01711025876, 01720080012, 01917264615, 01912082919 (BUET)

01712180246 (Jahangirnagar University)

01923337010 (জাহাঙ্গীরনগর)



এনাম মেডিকেল কলেজ হসপিটালঃ

027743779-82, 01681212777, 01716358146



পঙ্গু হাসপাতাল, শ্যামলীঃ

ডাঃ সনেট: 01711733175

ডাঃ টিপু: 01714107670



শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে মেডিকেল টীমঃ

ডাঃ উজ্জ্বল-০১৭১৭৬৪ -৩২০৫

সাগর- ০১৯২৫১৫০২০৪



ব্লাড বাংকের নাম্বর:

রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড সেন্টারঃ ৯১১৬৫৬৩

সলিমুল্লাহ্ ব্লাড সেন্টারঃ ৭৩১৯১২৩

সন্ধানি (ডি ডি সি) - ৮০১৭১৪৬,৯৬৬৫১৪০

সন্ধানি (ডি এম সি এইচ) - ৯৬৬৮৬৯০

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.