নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, উপাসনায় জাগ্রত তুমি আমার কবিতা

আমি অতি সাধারন ধ্রুব। নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। ভালবাসি কবিতাকে। কবিতা মূলত আমার নেশা , পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহনের হিরন্ময় হাতিয়ার। যেখানে অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, সেখানে উপাসনায় জাগ্রত সদাই আমার কবিতা। বেঁচে থাকতে চাই একটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। ভাল

নাহিদ ধ্রুব

নিম্নগামী অতীত নিয়েই আমার বেঁচে থাকা, চায়ের দোকানে বসে ধূসর ধোঁয়ায় উড়িয়ে ছিলাম স্বপ্নের ঘুড়ি, চেতনা জুড়ে ছিল একটু ছেলে মানুষী, কল্পনা ছিল অচেনা পৃথিবীর অঙ্গ জুড়ে, কণ্ঠে ছিল মিছিলের উষ্ণতা, দৃষ্টি ছিল অসীমের কাছে, অজানা একটা ঝড় আসলো, পাল্টে গেলো চিত্র, আমি প্রস্তুত ছিলাম না, ছিলাম না সিদ্ধহস্ত, সময়ের স্রোতে আমি অচেনা হলাম, সময় টা কি খরস্রোতা নাকি কালস্রোতা তাও জানা হোল না, জানা হয় নি অনেক কিছুই- যৌনতায় গড়া প্রেম পিপাশার কথা, নিঃসঙ্গতায় বন্ধুর জন্য অপেক্ষা, পিয়াসী চলে যাওয়ায় কষ্টের তীব্রতা, ভরা যন্ত্রণায় আত্মঘাতি হওয়া , এখানে এখন কিছুই নেই, আছে কিছু মধ্য রাতের বোধ, কলুষ মনের হাহাকার, প্রতিস্থাপিত নিঃস্পৃহ বিদ্বেষ, আপন মনেই কেঁদে ফেলার ভয়, সমানুপাতিক সমীকরণ, আমার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে, অহমিকার দেয়ালে লেগেছে ঘৃণার পোস্টার, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে এলো, প্রক্রিয়া চলছে পাপ ধুয়ে ফেলার, মনুষ্যত্বের অন্বেষণে ব্রতী দেহ মন, বিশ্বাস করবে না কেউ তবু আমি বলব আমি তোমাদেরই একজন।

নাহিদ ধ্রুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মে দিবসের চেতনা রয়ে যাক ৩৬৫ দিন

০১ লা মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

মে মাসের প্রথম দিনঃ অনেক সভা - মিছিল , শ্রমিকদের প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা!

মে মাসের দ্বিতীয় দিন থেকে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্তঃ শ্রমিক হোল কাজ করার জন্য , কাজ করতে করতে মরে গেলেই বা কি!? ওদের গোনায় ধরে কে!!? অর্থাৎ , বছরের ৩৬৪ দিন হোল মালিক দিবস!!



গত কালকের একটা ঘটনা বলি , , আমার বাসার পাশেই একটা পোশাক কারখানা আছে, তো সন্ধ্যায় আমি যখন চা পান করতে বাহিরে গেলাম দেখলাম ঐ কারখানা খুব জাক- জমক লাইটিং দিয়ে সাজানো হয়েছে! আমি তো পুরাই বিস্মিত! খুব আগ্রহ করে কারখানার দারওয়ান কে জিজ্ঞেস করলাম-

-মামা , মালিকের বিয়ে নাকি?

(মামা মহা বিরক্তি ভিতরে চাপিয়ে উত্তর দিল,)

- না ! জানেন না কাল মে ডে!!

(আমি , খিঁচ খেয়ে লজ্জার মাথা খেয়ে আবারও বোকার মত প্রশ্ন করলাম)

- তো কি হইছে!?

( মামা , এবার রাগান্বিত ভঙ্গি নিয়ে তাকিয়ে বলল)

-সেই জন্যই এই লাইট লাগাইতাছে!!

(মামার ভঙ্গি দেখে আর অনীহা দেখে ভয় পেয়ে আমি ঐ জায়গা প্রস্থান করলাম!)



এবার মজার কথা টা বলা যাক , মজার কথা টা হোল , যেই ছেলে টি লাইট লাগাচ্ছিল , তার বয়স ঊর্ধ্বে গেলে ১২-১৩ হবে! সুতরাং , এটা শিশু শ্রমের আওতায় পরে , মে দিবস উৎযাপন উপলক্ষে যদি এক্তি শিশু কে খাটানো হয় , তাহলে আমি সে মে দিবস চাই নাহ! আজ আমরা যারা মিটিং মিছিল করছি তারাই কাল এইসব শ্রমিক দের কথা ভুলে যাবো! আচ্ছা , আজ কি আপনি কোন শ্রমিক কে ভালবেসে বুকে টেনে নিয়েছেন- অন্তত একদিনের জন্য? না নেন নি , আমরা কেউ নেই না! আর এটাই সত্যি! একদিনের জন্য আমরা তাদের সম্মান দিতে পারি না, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য আজ আমরা এখানে মাথা উঁচু করে বেচে আছি!



মে দিবস উপলক্ষে নয় , সামগ্রিক দিক বিবেচনা করি সকল শ্রমিক কে জানাই আমার লাল সালাম! মে দিবসের চেতনা রয়ে যাক ৩৬৫ দিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.