নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নাহিদ পারভেজ নয়ন।

নাহিদ পারভেজ নয়ন

যা মনে আসে তাই লিখি।সব লেখা পড়ার যোগ্য নয় তবুও লিখি।

নাহিদ পারভেজ নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়েটা হবেই

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২০

-দেখলি তো তুই আমার মেয়েকে

কত ভালবাসিস।



কথাটা বলেই খালা হাসা শুরু করলেন। তার সঙ্গে ঘরের সবাই যোগ দিল।

কি করব ভাবতে পারছিনা। রাগে দুঃখে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করছে।মিষ্টি আরও বেশি হাসছে। ভেবেছিলাম ও হয়তো বেশী লজ্জা পাবে কিন্তু আমার ধারণা ভুল মেয়েটা ছোট থেকে আমাকে বিপদে ফেলে মজা পায়। একে বিয়ে করলে আমি শেষ।



মিষ্টি র সম্পর্কে কিছু বলে নেই , মিষ্টি আমার খালাত বোন আর আমার হবু বউ,প্রেমিকা সব। দেখতে আহামরি নয় তবে কিছু মেয়ে আছে যাদের প্রথম দেখায় ভাললাগে কিন্তু ২য় বার দেখলে প্রেমে পরতে হয় সেরকম কিছু।



হাসির শুরু একটা ভিডিও থেকে। যে টাতে আমি মিষ্টি কে একটা চুমু দিয়ছিলাম। অনেক আগের ভিডিও, ওর গাল এত সুন্দর ছিল যে চুমু না দিয়ে থাকতে পারিনি হয়ত।



কিন্তু এটা নিয়ে এত কিছু।

আমি রাগে ঘর থেকে বের হলাম মাকে দেখি দরজার পাশে মিটিমিটি হাসছে। মাও রাজি ভেবেছিলাম মা হয়ত আমার পাশে থাকবে। না এভাবে চলেনা।



সমস্যা টা ওকে ভালবাসা না সমস্যা হচ্ছে ওকে এত তারাতাড়ি বিয়ে করা। এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চাইনা কিন্তু মা ওর কথায় পাগল বিয়ে দিয়েই ছাড়বে এখন মায়ের সাথে বাবাও বিয়ে করতে বলছে। এখনও কোন কাজ করিনা তাতেই বিয়ে।



বিয়ে নিয়ে অনেক আগে থেকেই আমি অনেক অপমানিত হয়েছি যেমন:

আমি একটু একটু রান্না পারি। তো সেই দিন মায়ের জন্ম দিন ছিল তো সেইদিনের রান্না আমি করলাম। মা আগেই খালাকে দাওয়াত দিয়েছিল তো যথারিথী খাওয়া র দশ মিনিট আগে খালা হাজির। আর তার সাথে এনেছিলেন তার সুন্দরী মেয়েকে।

খাওয়ার সময় খালাকে বললাম

-খালা,আজকেরএই রান্না করা খাবার গুলো আমার হাতে রান্না করা।

খালা উত্তরে যে কথাগুলো বলেছিলেন তা শুনে রান্না করার চিন্তা মুছে ফেলি।

খালা বললেন,

-বাবা শুভ, তুমিতো খুব ভালো রান্না করতে পারো।

-জি খালা বলতে পারেন।

-যা হোক আমার মেয়ে রান্না করা থেকে বেচে যাবে।

-বুঝলাম না খালা

-ওমা সেকি!তোমাকে তো আমার জামাই বানাবো। জামাই যদি এ রকম রান্না করতে পারে তাহলে তো আমার মেয়ে বেচে যাবে।

তুমি কি বল বাবা।



খালার কথা র কোন উত্তর দেইনি।

শুধু মার চেয়েছিলাম মা দেখি মুচকি মুচকি হাসছেন। আমি লজ্জায় আর রাগে ঘর থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম।

তখন থেকে খালার সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলিনা। একই ভুল বার বার করতে চাইনা।

এ রকম অনেক কাহিনি আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা।

বিয়েটা আমাদের পাকা হয়ে গেছে। এক সপ্তাহ পর। রাজি না থাকলেও বিয়ে করতে হবে বাবার আদেশ।



সেদিন খেতে বসে বাবা বলছে,

-তোমার বিয়ে করতে কি সমস্যা?

-না মানে,কোন কাজ করিনা, বিয়ে করে বৌকে কি খাওয়াব!!!!

বাবা অনেকক্ষন আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন,

-তোমার বাবা এখনো এত গরিব হয়নি যে নিজের ছেলের বৌকে খাওয়াতে পারবেনা।

-কিন্তু বাবা !!!!

-কোন কথা শুনতে চাইনা,আগামী সপ্তাহে তোমার বিয়ে, প্রস্তুত হও।

বিয়ে না করতে চাইলে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যেতে পার।



এখানে আর কোন কথা বলা চলেনা।তাই আমাকে ও রাজি হয়ে যেতে হয়।রাজি হওয়ার সাথে

সাথে আরও কিছু কাজ যুক্ত হল আমার যেমন ওকে কলেজে নিয়ে যেতে হবে নিয়ে আসতে হবে। ও যেখানে যেতে চায় সেখানে নিয়ে যেতে হবে।



ওর কলেজেও যেতে হল আমাকে,

ওর কলেজে আগেও এসেছি কিন্তু এবারের কথাটা আলাদা। সবাই দুলাভাই বলে ডাকাডাকি করছে শুনতে ভালই লাগছিল সবাইকে দাওয়াত দিয়ে অনেক কষ্টে মিষ্টি কে বাইকে তুলে টান।

আগে যত বার ও আমার বাইকে বসেছিল ততবাড়ি আমাকে জড়িয়ে বসেছিল আজও একই হল। ওকে একটু সরে বসতে বললাম। ও বলল ঠান্ডা।

চেপে বসায় ওর চুলগুলো আমার মুখে পরছিলো,আমি সেদিকেই মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করছিলাম।

তখন মিষ্টি জিজ্ঞেস করল,

তুমি কি আমাকে ভালবাস শুভ?

আমি পিছন ফিরলাম উত্তর টা দেওয়ার জন্য....



চোখ খুলতেই দেখলাম আমি একটা বেডে মনে হল হাসপাতালে।

সবাই আমার পাশে বসে আছে মার মাঝে কিছুটা সস্তি নিরাজ করলেও খালা কাদছে। আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।সবাই সেখানে থাকলেও মিষ্টি ছিলনা আমি বললাম মিষ্টি কই?

কেউ কোন জবাব দিলনা। আমার কেন জানি নিজেকে খুব দোষী মনে হত লাগল! আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম কোথায় মিষ্টি, কেউ কোন কথা বলছ না কেন?

তখন আমার ছোটো বোন বলল ভাবী পাশের রুমে। আমি রুম থেকে বের হয়ে পাশের রুমে যেতেই দেখি একটা লাশ বের করে আনা হচ্ছে তার উপর কাপড় বিছানো। চোখের পানি এমনি এমনি পরছিল।



মিষ্টি কে শেষ কথা বলা হলনা যে আমি ওকে ভালবাসি।

একটু জোরেই বলেছিলাম মিষ্টি তোকে ভালবাসি,কথাটা বলা হলনা।

তখনি ঘাড়ে একটা হাত পরল যেই পিছে ঘুরতে যাব তখনি কেউ বলে উঠল "সত্যি"। কন্ঠটা খুব চেনা।

মিষ্টি কে দেখেই জড়িয়ে ধরেছিলাম আর বলেছিলাম সত্যি।

সবাই দেখছিল তাই ছেড়ে দিয়েছিলাম।মনে হয়েছিল দুনিয়ার সবচেয়ে সুখি মানুষ আমি।

বিয়ের দাওয়াত রইল ।

আসবেন সবাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.