![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারাজিবন যে কোন পরিস্থিতি তে মাথা ঠান্ডা রাখছি। কিন্তু এখন পারতেছিনা । মিষ্টি যে এমন একটা কাজ করবে ভাবতে পারিনি। মিষ্টি কে দেখে মনে হচ্ছে ওর মধ্যে কোন টেনশন নেই।
আজ কার মুখ দেখে যে ঘুম থেকে উঠছিলাম কে জানে। সকালে উঠেই মিস্টি র ফোন, কি যেন জরুরী কথা আছে। কি আর করা ,নাস্তা না করেই বেরিয়ে পরলাম বাসা থেকে । এসে দেখি ও একটা ব্রেঞ্চে বসে আছে। পাশে একটা কাপড়ের ব্যাগ।তাতেই সন্দেহ হয়েছিল কিছু একটা গড়বড় আছে।আমার সন্দেহ ঠিক ছিল, মিষ্টি বাড়ি থেকে পালিয়ে আসছে।ওর বাড়িতে কোন সমস্যা ও ছিল না, তবুও ও কেন পালিয়ে আসল?আমি জিজ্ঞেস করলাম
-কেন আসলা বাড়ি থেকে?
ওকে জিজ্ঞাস করার সাথে সাথে ও ওর ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে বলতে লাগল
-তুমি কি আমাকে ভালবাসা নয়ন?
-কথা চেঞ্জ করিওনা
-তুমি আগে আমার কথার উত্তর দাও?
-হুম,তো
-তো আমাকে বিয়ে করে তোমার বাড়ি নিয়ে চল।
আমি কিছুক্ষন মিষ্টির দিকে তাকিয়ে বললাম
-এখন বিয়ে করা কি খুব জরুরী
-হুম
-কেন,একটু বল শুনি
-এক জায়গায় থাকতে আর ভাল লাগছেনা
-এক জায়গায় মানে?
- বাপের বাড়ি,প্রায় ২৩ বছর এক জায়গায় আছি। আর ভাল লাগছে না,অন্য কোথায় থাকতে হবে।
আমি পুরো অবাক মিষ্টির কথা শুনে,কি বলছে এই মেয়ে।
এর বাপের বাড়িতে থাকতে ভাল লাগেনা।আমি একটু ভেবে বললাম
-আমার সাথে কিছুদিন থাকার পর আমাকেও চেঞ্জ করে অন্য খানে যাবা?
মিষ্টি আমার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বলল
-আরে না,আমরা বাসা পাল্টিয়ে পাল্টিয়ে থাকব।
-খুব ভাল বুদ্ধি করছ,কিন্তু আমি এখন বিয়ে করতে পারব না।বাড়ি চলে যাও।
-পারব না।বাড়িতে চিঠি লিখে এসেছি,বিয়ে করতে পালিয়ে যাচ্ছি।
-চল আমার সাথে, তোমার বাড়িতে বুঝিয়ে বলছি।
-না যাবনা,বিয়ে না করতে চাইলে চলে যাও।এখানেই সারা দিন রাত বসে থাকব।
আচ্ছা ঝামেলা হয়ে গেল তো।মিষ্টিকে এ অবস্থায় রেখেও যাওয়া যাবেনা।খুব জেদী ও,যা বলবে তাই করবে।একটু চিন্তা করতে হবে, কি করা যায়।আম ওর পাশেই বসে পড়লাম।মিষ্টি আমার ঘাড়ে হাত রেখে বলল
-চলনা বিয়ে করে ফেলি!
আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম
-আচ্ছা চল কাজী অফিস।
ছোট একটা চাকরি করি,তাতেই আমাদের চলে যাবে।কিন্তু বাড়িতে গিয়ে কি বলব এটার শুধু টেনশন।
পরে দেখা যাবে, কি হবে।
আমি মিষ্টি কে নিয়ে রিক্সায় উঠে পড়লাম,ওই রিকশা ঠিক করল।
আমি রিক্সাতে উঠে বললাম
-সাক্ষী ও তো লাগবে?
-সব ঠিক করা আছে।
এই প্রথম কোন মেয়েকে দেখছি বিয়ের জন্য এত আগ্রহ।অবশ্য বিয়ে আমিও করতে চাই।কিন্তু আমার বাড়িতে একটু সমস্যা তাই আর কি!
কাজি অফিসে গিয়ে দেখি অনেক বন্ধু বসে আছে।আমি মিষ্টির দিকে তাকিয়ে বললাম
-তুমি কিভাবে জানতা যে, আমি রাজি হব?
ও আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলল
-আমি জানতাম, চল ভিতরে।
আমরা কাজির সামনে বসে আছি।আমি সাইন করে মিষ্টির দিকে খাতাটা বাড়িয়ে দিলাম। মিষ্টিকে পুরো বউ বউ লাগছে।মাথায় ওরনা দেওয়া।ও আমার দিকে তাকাল,আমি একটু হাসলাম।ও আবার মুখ নিচে করে সাইন করে দিল।
বাইরে বের হয়ে,একে একে সব বন্ধুরা চলে গেল।আমি আর মিষ্টি হাটছি।খুব নিরবতা বিরাজ করছিল আমাদের মাঝে।
আমি মাঝে মাঝে মিষ্টির দিকে তাকাচ্ছিলাম কিন্তু ও নিচে দেখেই হাটছিল।আমি একটা রিকশা ডাক দিয়ে মিষ্টিকে বললাম
-ওঠ,বাসা যাওয়া যাক।
আমি ভাবতে পারিনি, মিষ্টি এতক্ষন চুপ করে থাকতে পারে।নতুন বউয়ের মত চুপ করে আছে।
আমি বলেই ফেললাম
-নতুন বউয়ের মত চুপ করে আছ কেন?
মিষ্টি কথাটা শুনে, আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল
-ক বছর হল আমাকে বিয়ে করেছ, যে পুরনো হয়ে গেছি?
কথাটা তো ঠিক বলছে,১০ মিনিট হল আমাদের বিয়ে হয়েছে।আর ও তো নতুন বউই।আমি বললাম
-নতুন বউ,কিন্তু আমার কাছে তো নতুন নও তাহলে আমার কাছে এত লজ্জা পাচ্ছ কেন?
মিষ্টি আমার দিকে তাকিয়ে লজ্জা পেয়ে বলল
-আগের প্রেমিকা ছিলাম এখন তো নতুন বউ।তুমি চুপ করত।
আমি চুপ করে গেলাম।এখন ভাবছি বাড়িতে গেলে কি হবে।যদি বাবা বাসায় থেকে তো আমাকে তো বাড়ি থেকে বের করে দিবে।
চিন্তার মধ্য ছেদ ঘটাল মিষ্টি।
মিষ্টি বলল
-কি ভাবছ?
-বাড়িতে কি হবে তাই ভাবছি
মিষ্টি আমার হাত ধরে বলল
-খুব কি সমস্যা হবে?
আমি মিষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখলাম,ওর চোখে পানি।
আমি আমার হাত ছেরে নিয়ে, ওর হাত ধরে বললাম
-ভেবনা,যা হবার হবে।আমরা এক সাথেই থাকব।
মিষ্টি ওর মুখটা আমার বুকে গুজে দিল।আমি অতি যত্নে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।যেখানে আছে ভালবাসার ছোয়া।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৪
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৩
হাসান মাহমুদ ১২৩৪ বলেছেন: দারুণ মিষ্টি গল্প
০২ রা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: জি,একটু মিষ্টি।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৫
অবনি মণি বলেছেন: ভালো লাগলো !