![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-আপনি আমাকে বিয়ে করবেন?
আমি মেয়েটার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।এত ছোট মেয়ে কি বলে এসব।আমি উত্তরে কি বলব ভেবে পেলাম না। এরকম পরিস্থিতিতে আগে কখনোই পরিনি। আমার চুপ থাকা দেখে আবার বলল,
-কথা বলছেন না কেন?
আমি বললাম,
-শোন আপু তুমি একটু বেশি ছোট,আগে বড় হও।
মেয়েটা মনে হল আমার কথা শুনে রেগে গেল।রাগটা বুঝা গেল ওর কথায়।
-আমি আপনার কিসের আপু,,আমি নীলু।আমাকে ওই নামেই ডাকবেন।আর আমি ছোট না।
-আচ্ছা ঠিক আছে নীলু।তুমি তো আমার ছোটবোন টুকটুকির বান্ধবী তার মানে তো আমারো ছোটবোন তাই না।
-না,আমি আপনার বোন না।বলুন বিয়ে করবেন কিনা?
বড় ঝামেলায় পড়ে গেলাম।তখন থেকে একি প্রশ্ন করছে মেয়েটা।আশেপাশে অনেক ছেলে মেয়ে আমাদের দিকে দেখছে। আমি একটু ভেবে চিন্তে বললাম,
-দেখ নীলু,আমার বয়স ২৫ আর তোমার বয়স ১৯।তোমার থেকে আমি অনেক বড় তাই না।
নীলু আমার কথা শুনে হাসল,হাসি থামিয়ে বলল,
-এটা কোন সমস্যাই নয়।আমার বাবা আমার মায়ের থেকে ১১ বছরের বড়।তারা সুখেই আছে এখনো।
আমিও জানি এটা কোন ব্যাপার না।কিন্তু এই মেয়ের হাত থেকে আমাকে যে কোন ভাবে বাচতে হবে।
-আচ্ছা নীলু,আমাকে কিছুদিন সময় দাও ভেবে বলি।
-আচ্ছা।
-আর একটা কথা,, যখন তখন মোবাইলে ফোন দিওনা।
-ঠিক আছে,রাতে দিব।
নীলু কথাটা বলে মনে হয় ভুল করে ফেলল।ও আবার বলল,
-কিন্তু আপনি কি করে জানলেন যে ফোন আমি দেই।
আমি হাসতে হাসতে বললাম,
-জানতাম না।এমনি বলেছিলাম। তুমি মেনে নিলে।আচ্ছা আমি যাই।তুমিও তোমার ক্লাসে যাও।
বাইকে উঠে টুকটুকির উপর খুব রাগ উঠল।সকালে কত সুন্দর করে এসে বলল,
-ভাইয়া একটু ক্যাম্পাসে রেখে আসবি লেট হয়ে গেছে।
আমি ভাবলাম সত্যি হয়ত লেট হয়েছে ওর।রিকশায় যেতে অনেক সময় লাগবে তাই আমি রাজি হয়ে গেলাম।
কিন্তু ওর ক্যাম্পাসে এসে পরে গেলাম বিপদে।ক্যাম্পাসে ঢুকতেই নীলু কে দেখা গেল। সাদা কালারের ল্যাগিংস পড়ে দাড়িয়ে আছে।এ কাপড় টা চমৎকার মানিয়েছে মেয়েটাকে।এমনিতেই নীলু অনেক সুন্দর । নীলু কে অনেক আগে থেকেই চিনি,, কয়েকবার আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল টুকটুকির সাথে।ওর মাও দু একবার গিয়েছিল আমাদের বাড়িতে।খুব একটা কথা হয়নি কিন্তু ওকে দেখতে ছোটই লাগত কিন্ত আজ একটা বিষয় লক্ষ্য করার মত ছিল যে মেয়েটাকে দেখতে আগের থেকে বড় বড় লাগছে।হয়ত বড় হয়ে গেছে যা লক্ষ্য করিনি।
আমি নীলুর সামনে গিয়েই বাইক দাড় করালাম।টুকটুকি নেমে আমার সামনে এসে বলল,
-ধন্যবাদ ভাই।নীলু তোর সাথে একটু কথা বলবে।তোরা কথা বল আমি ক্লাস যাই।
এটুকু বলেই টুকটুকি আমাকে আর নীলুকে রেখে চলে গেল।আমি ডাকলাম কিন্তু শুনলনা। আমি নীলুর দিকে তাকিয়ে বললাম,
-কেমন আছ?
তার উত্তরে নীলু যেটা বললা তাতে আমি আকাশ থেকে পড়লাম।
-আপনি আমাকে বিয়ে করবেন।
মেয়েটা কেন এমন করল বুঝলাম না।যাক একটা সমস্যা শেষ হয়েছে সেটা হল মোবাইল সমস্যা।কদিন আগে রোজ আমার মোবাইলে আননোন নাম্বার থেকে কল আসা শুরু হল।ফোন ধরতেই এক মেয়ে তার সুমধুর কন্ঠে বলত,,
-কেমন আছেন।
তারপর হাবিজাবি।এমন ভাবে কথা বলে যেন সব জানে।অবশ্য যাই বলত তাই মেলে যেত।
এমনি আমি ব্যাস্ত মানুষ। প্রথম প্রথম কম বিরক্ত করলেও, দিন দিন কলের পরিমান বেড়ে যেতে লাগল।আগে কল শুধু রাত্রে আসত কিন্তু পরে যে কোন সময় আসা শুরু হল।অনেক রাগ হলাম তবুও কোন কাজ হল না।দুবার সিম ও পাল্টালাম তবুও ওই মেয়ের কাছে নাম্বার চলে যায় যে কোন ভাবে।আমি সপ্নেও চিন্তা করিনি এটা নীলু হতে পারে।আর নাম্বার পেয়েছে টুকটুকির কাছ থেকে।আজ টুকটুকির খবর আছে। বান্ধবীর উপকার করতে গিয়ে ভাইয়ের কষ্ট টা দেখলনা।
বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেল।তবুও আজ একটু তারাতারি ফিরলাম কারণ টুকটুকি কে একটু শায়েস্তা করতে হবে।ওর অনেক বাড় বেরেছে।
বাসায় ফিরে বাসা টাকে
একটু শান্ত মনে হল, এসময় বাসায় টিভি দেখা হয়। টুকটুকি বসে বসে ভারতীয় সিরিয়াল দেখে,,মাঝে মাঝে ওর সাথে আম্মুও যোগ দেয় কিন্তু আজ কেউ নেই।আমি সোজা নিজের ঘরে চলে গেলাম।
কিছুক্ষন বাদে টুকটুকির আমার ঘরে প্রবেশ।ও ঘরে আসতেই আমি জিজ্ঞেস করলাম,
-ব্যাপার কি?বাড়ি এত ঠান্ডা কেন?আম্মু কই?
-তোকে বাবা ডাকে।
-কেন?
-জানিনা।তোর আজ খবর আছে।
-কোথায় বাবা।
-ঘরে।
আমি বাবার ঘরের সামনে আসতেই বাবা আমাকে ঘরের ভিতরে আসতে বললেন।আমি ঢুকলাম।
-কিছু বলবেন বাবা।
-হুম।
আম্মু বাবার পাশেই বসে ছিলেন উনি বললেন,
- তুই কি নীলুকে ভালবাসিস।
আমি কথাটা শুনে যতটা অবাক হলাম তার চেয়ে বেশি লজ্জা পেলাম।আমি বললাম,
-না,এরকম কিছুই নয়।আসলে ওই মেয়ে আমাকে......
আরো কিছু বলতে চাইছিলাম। কিন্তু মাঝ পথে বাবা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলতে লাগল,
-মিথ্যা আমি পছন্দ করিনা।যদি তোমরা বিয়ে করতে চাও তাহলে আমি ব্যাবস্থা নিতে পারি।
আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে আমার সাথে।আমি আবার বলার চেষ্টা করলাম,
-না বাবা,, আপনারা যা ভাবছেন সেটা নয়......
এবারেও থামিয়ে দেওয়া হল আমাকে। আমার পাশে দাড়িয়ে থাকা টুকটুকি বলতে লাগল,
-তাই কর বাবা।ওটাই ভাল হবে।নীলু রাজি আছে।ও আমাকে বলেছে।
আমার আর কিছু বলা হলনা। বাবা আমাকে যেতে বলল।আমার সাথে টুকটুকিও বেরিয়ে আসল।খুব রাগ হচ্ছিল ওর ওপর।কিন্তু প্রকাশ করলাম না।ঠান্ডা মাথায় ওকে জিজ্ঞেস করলাম,
-কি ভাবে হল এসব?
-আমি আর মা মিলে করেছি।
-খুব খারাপ করেছিস।আমি কাল গিয়ে নীলু কে বোঝাব।
-না,,ও বুঝবেনা।কেন বোঝাবি। নীলু কে তোর ভাল লাগে না?
-লাগে কিন্তু,
-কিন্তু কি!!ও তোকে ভালবাসে অনেক আগে থেকে।তুই কিন্তু কিছুই বলবিনা ওকে?
আমি কোন জবাব দিলাম না।নিজের ঘরে এসে শুয়ে পড়লাম।
ঘুম ভাংলো ১০ টায়।টুকটুকির ডাকে ঘুম ভাংলো। চা নিয়ে এসেছে ও।আমি বললাম,
-তোর কলেজ নেই?
-না আজ বন্ধ।
-ওহ।
টুকটুকি ঘর থেকে যেতেই মনে হল নীলুর সাথে কথা বলা খুব দরকার। ওর নম্বর আমার কাছে আছে।একটা ফোন দিয়ে ওকে কোন খানে ডাকা যেতে পারে।
আমি ওর নাম্বার টা ডায়াল করলাম।দুবার বাজতেই কেউ ফোন ধরল,
-হ্যালো,
-কে নীলু,
-হুম,
-আমি...
-চিনেছি,,কি কারণে আমাকে মনে পড়লো
-তোমার সাথে একটু কথা আছে।
-কি কথা?
-দেখা করে বলি!
-কোথায় আসতে হবে।
-বিকাল ৫টায়,, খেয়া পার্ক এ
-আচ্ছা।
-বাই।
আমি ৫ মিনিট বসে থাকার পর নীলু আসল।নীল শাড়ি পড়ে এসেছে।নীল শাড়িতে নীলুকে দারুন লাগছে।তার নাম আজ পূর্ণতা পেয়েছে।মনে হচ্ছে ৫ মিনিট লেট হওয়ার কারণ তার সাজ গোজ।চোখে কাজল ও দিয়ে এসেছে।
ও কি জানে আমি কি বলব?
যদি জানত তবে ও সাজত না।এত হাসি খুশিও থাকত না।
নীলু চেয়ারে বসতেই আমি বললাম,
-কেমন আছ নীলু?
নীলু আমার দিকে তাকিয়ে হাসল।আর বলল,
-ভাল।আপনি?
-ভাল।কাল রাত্রে আমার বাবা.....
আরো কিছু বলব কিন্তু এবার নীলু আমার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বলল।
-হুম,আপনার বাবা কাল আমাদের বাসায় ফোন করেছিল।আজ আপনারা দেখতে আসবেন আমাকে।
নীলুর কথা শুনে আমি অবাক হলাম।কি বকে এই মেয়ে।এত কিছু ঘটে গেল আর আমি কিছুই জানতে পারলাম না।
নীলু আরো বলতে লাগল,
-আমি তো ভাবতেই পারিনি আপনি আমদের বিয়ের ব্যাবস্থা এত তারাতারি করবেন।
-হুম আমিও ভাবিনি।
-কি?
-কিছুনা।
নীলু কিছুক্ষন চুপ থাকল।একটু পর বলল,
-আচ্ছা,,আমি আপনাকে তুমি করে বলি,,যেহেতু আমাদের বিয়ে হবে।
-আচ্ছা,,বলতে পার।
-আজ কি রং এর শাড়ি পড়ব।কি রং তোমার ভাল লাগে।
নীলু আমাকে তুমি করে বলা শুরু করে দিয়েছে।
-নীল পরতে পার,যেটা পড়ে আছ।এটা দারুন মানিয়েছে তোমাকে।
নীলু আমার কথায় কিছুটা লজ্জা পেল।ভাবছি যেটা বলতে এসেছিলাম সেটা আর বলাই হল না।নীলুর কাজল গুলো নষ্ট করার কোন অধিকার আমার নেই।
কেউ তো কখনো আমার জন্য এভাবে সাজেনি।
নীলু আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল,
-আপনি কি রাজি আছেন?
-কেন?
-না এমনি।
-আচ্ছা,, নীলু তুমি কি আমাকে ভালবাস।
-হুম।আপনার মনে হয় না
-হুম কেন হবে না।
-আচ্ছা,,, আমি বিলিভ করিয়ে দিচ্ছি।
নীলু এমন একটা কাজ করবে ভাবতেই পারিনি।ও চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে চিৎকার করে বলল,
-আই লাব ইউ সাদিক।
যদি এর বদলে আমি তোমাকে ভালবাসি বলত তবে শুনতে আরো ভাল লাগত।
আমি দাড়িয়ে ওকে চুপ করতে বললাম।কিন্তু ও শেষ করেই দম নিল।
ও পানি খেয়ে বলল।
-তোমার পালা।
লোক জন গুলো আমাদের দিকে
দেখছে।আমি চেয়ার থেকে উঠে দাড়ালাম।কি করব এখন???
কি বিপদে পড়লাম এই পিচ্চি মেয়েটাকে নিয়ে।
আরো যে অনেক বিপদ আছে সামনে সেটা আমি খুব ভাল করেই আন্দাজ করতে পারছি।
-নাহিদ পারভেজ নয়ন
২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
আব্দুল্যাহ বলেছেন: ভাবনাগুলো অনেক রঙ্গীন
২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: হুম,,আমি নিজেও রঙীন চিন্তা করি।
ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
একলা চলো রে বলেছেন: এত এত সুখের চিন্তা করা সহজ নয়।
২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: বাস্তবে না হোক গল্পে তো করা যেতেই পারে।
ধন্যবাদ।
৪| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১
অপু তানভীর বলেছেন: আমি নিজেও এমন গল্প লিখি । মনে হচ্ছিলো যেন নিজের গল্পই পড়ছিলাম । চমৎকার !
২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: আপনি আমার ফেবারেট লেখক অপু ভাই।
আপনার কমেন্ট আমার কাছে সপ্নের মত,,,
হুম কিছুটা আপনার মতই আমি লিখি।
এ টাইপ একটা গল্প আপনার ও আছে কিন্তু।তবে দুটো অনেক আলাদা।নাম কিছুটা এক।
ধন্যবাদ অনেক।
৫| ২১ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মিষ্টি প্রেমের মিষ্টি গল্প। চমৎকার লিখেছেন ++++
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
২২ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২১ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩
আশিক ইলাহি বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন: আমি
নিজেও এমন গল্প লিখি ।
মনে হচ্ছিলো যেন নিজের
গল্পই পড়ছিলাম । চমৎকার !
আপনারা দুইজনই আমার প্রিয় লেখক।
২২ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: কারো প্রিয় লেখক হওয়া অনেক বড় ব্যাপার,, ধন্যবাদ।
৭| ২১ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভালো লিখেছেন| এটা অবশ্য ঠিক গল্পে অপু তানভীর অপু তানভীর গন্ধ আছে
২২ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: অপু তানভীর আরো অনেক দূরে,,,,
ধন্যবাদ
৮| ২২ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
ধলা বিলাই বলেছেন: যেখানে অপু তানভীর ভাই বলেছেন সেখানে কিছু বলার নাই। চমৎকার লিখেছেন।
২২ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ২২ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সুমন কর বলেছেন: মিষ্টি প্রেমের গল্প। ভাল লাগল।
২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:০৯
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ২২ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: পড়তে পড়তে মনে হল আপনার জীবনের গল্পই পড়ছি। এখানেই গল্পের স্বার্থকতা। পাঠক নিজের অজান্তেই তার জীবনকে কল্পনা করে। চালিয়ে যান
২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৩১
নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ২২ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫০
রাবার বলেছেন: প্রেমের গলপ
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই।