নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নাহিদ পারভেজ নয়ন।

নাহিদ পারভেজ নয়ন

যা মনে আসে তাই লিখি।সব লেখা পড়ার যোগ্য নয় তবুও লিখি।

নাহিদ পারভেজ নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যালোউইন এর একটি রাত

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১

জেনিফার দের বাসা থেকে বের হতে হতে রাতের প্রায় ১ টা বেজে গেল।লন্ডনে রাত একটা মানে কিছুই না,যদি বাংলাদেশ হত তাহলে মনে হত এটা গভীর রাত।তবে আজকের রাত টা আমার কাছে একটু অন্য রকম লাগছে।
অন্য রকম ব্যাপারটা সম্পূর্ণ মনের উপর নির্ভর করে,মন ভাবছে তাই অদ্ভুত।
.
মন এরকম ভাবার কারণ আজ হ্যালোউইন। ইংল্যান্ডে আসার পর এই প্রথম হ্যালোউইন উদযাপন দেখছি ।এটা যে এত পপুলার একটা উৎসব আমার জানাই ছিলনা।পুরো ম্যানচেষ্টার শহর দারুন ভাবে সেজেছে,শহরের সাথে সাথে এ শহরের মানুষ গুলোও সেজেছে দারুন ভাবে।
.
হ্যালোউইন সম্পর্ক এ খুব একটা ধারণা ছিল না আমার । সপ্তাহ খানেক আগে জেনিফার বলল হ্যালোউইন এর কথা।তখন ওকে জিজ্ঞেস করলাম, ওই হালকা বলল এ বিষয়ে পরে অবশ্য নেট থেকে জেনেছি অনেক কিছু।আজ জেনিফারের বাবা মিস্টার ব্রাউন ও অনেক কিছু জানালেন।বিষয় টা খুব ইন্ট্রাস্টিং।
হ্যালোউইন এ সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল ট্রিক-অর-ট্রিট বলে একটা খেলা , যেটা যুক্ত কয়েছে স্কটল্যান্ড থেকে। এই খেলায় বাচ্চারা মুখোশ এবং পোশাকে নিজেদের ঢেকে বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার এবং টাকা তোলে।আরো অনেক ইন্ট্রাস ব্যাপার ছিল এখানে। জেনিফারের বাসায় না আসলে জানতেই পারতাম না।
.
জেনিফার আমার কলিগ,আমি আর ও এক সাথে একটা প্রাইভেট কোম্পানি তে কাজ করি। জেনিফার এখানকার বাসিন্দা কিন্তু পুরোই আলাদা রকমের একটা মেয়ে।আমি ওর মত সুন্দর আর ভাল মেয়ে আগে কখনো দেখিনি। আস্তে আস্তে ওর প্রতি খুব দূর্বল হয়ে পরলাম। একসময় মনে হল আমি ওকে ভালবাসি। জেনিফারকে আমার মনের কথাটা জানাতেই ও রাজি হয়ে গেল।
আজ ওর বাবার কাছে যাওয়া আমাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলার জন্যই, হ্যালোউইন শুধু মাত্র একটা উছিলা ছিল।এ সুযোগ টা কোন ভাবেই হাতছাড়া করতে চাইনি।জেনিফারের বাবা শিপে কাজ করে তাই শুধু মাত্র ফেস্টিবাল গুলোতেই আসে বাসায়।
.
আমি শিউর জেনিফারের বাবা আমাকে পছন্দ করেছেন,আর আমাদের বিয়ের ব্যাপারে উনি ভেবে দেখবেন বলেছেন ।যদিও আমার মনে হয় উনি রাজি। তবুও একটু সময় নিলেন।
.
হ্যালোউইন উৎসবে যে জিনিষ টা আমার কাছে বেশি মজার লাগছে সেটা হল লোকজন দের আত্তা সাজা।এখান কার লোক জনেরা মনে করে, এ রাতে আত্তারা ঘুরে বেড়ায়।
এরা বিশ্বাস করে এই আত্মাদের কেউ কেউ ভালো, আবার কেউ কেউ খুব খারাপ। এই খারাপ আত্মাদের থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্যে এই দিনে আত্মার ছদ্মবেশ নেওয়া হয়। যদিও এখন আর এটা কেউ অত মানেনা।তবে জেনিফারের ফ্যামিলি সেজেছিল।ও আর ওর ছোট ভাই ব্রায়েন সেজেছিল আত্তা।জেনিফার সেজেছিল এনজেল আর ওর ভাই সেজেছিল কংকাল।কংকাল সাজা টা সবচেয়ে পপুলার সাজ হ্যালোউইন এ।
.
এনজেল রুপে জেনিফারকে দেখা মাত্রই আমার মনে হয়েছিল আকাশ থেকে একটা পরী নেমে এসেছে। ও আমার কাছে এসে কানে মুখ লাগিয়ে ভাঙা ভাঙা উচ্চারণে বলল,
-আমি টোমাকে ভালবাসি।
.
সেটা শুনে কি যে আনন্দ লেগেছিল মনে তা বলে বোঝানো যাবেনা।আসার সময় জেনিফার অনেক রিকুয়েস্ট করেছিল ওদের বাসায় থেকে যাওয়ার জন্য কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে আর থাকা হয়নি। জেনিফারের বাসা ক্যারিংটন এ,আর আমি থাকি প্রিন্সেস স্ট্রিট এ,মাত্র আধাঘন্টার পথ।
.
কিন্তু ট্যাক্সি পাব কি পাব না এ নিয়ে টেনশন ছিল, তাই জেনিফার তোড় জোড় করেছিল। আমি ভেবেছিলাম উৎসবের দিন অবশ্যই ট্যাক্সি ক্যাব পেয়ে যাব।কিন্তু এখনো তা পাইনি।
প্রায় আধাঘন্টা ধরে হেঁটে চলেছি কিন্তু কোন ট্যাক্সির দেখা পাইনি।
.
তবে হাঁটতে মজাই লাগছে, মনে হচ্ছে আমার পাশ দিয়ে অনেক আত্তা ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন সাজ,হঠাৎ করে যদি আপনি এরকম টা দেখেন তবে নিশ্চিত ভয় পাবেন।
তবে আমি ভয় পাচ্ছিলাম না এসব দেখে,আমার আলাদা রকমের একটা মজা লাগছিল।
আশেপাশে থেকে নানা ধরণের শন্দ হচ্ছিল,ঢোল বাজার।
.
তবে যখন ক্যারিংটন পার হয়ে সাউথ স্ট্রিট এ আসলাম তখন একটু গা ছম ছম করতে লাগল। এ পাশে কোন লোক জন নেই,অদ্ভুত রকম পরিবেশ।তবে ভয় পাওয়ার মত কিছু ছিলনা।
তবে আমার মনে হচ্ছিল আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি,এমন হওয়ার প্রশ্নই আসেনা,এ পথে আমি বহুবার যাতায়ত করেছি।
আসলে এখান কার বিল্ডিং গুলোর জন্য এমন মনে হয়, সব বিল্ডিং এক রকম লাগে।
সবচেয়ে অদ্ভুত লাগলো ডাস্টবিনের পাশে শুয়ে থাকা কুকুর টাকে দেখে।
আমি নিশ্চিত আধাঘন্টা আগে আমি এটাকে এখানেই দেখেছি,আবার এখন দেখলাম।তার মানে আমি একই জায়গাতেই ঘুড়ছি।
তখনি ভয় লাগা শুরু হল,যদিও মনের ভুল ভাবার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু ব্রেন এ ব্যাপারে সায় দিচ্ছিল না।
.
আর কিছুদুর এগিয়ে আসতেই একটা বাস স্টপ পেলাম।সস্তির বিষয় সেখানে একজন কে দেখা যাচ্ছিল।কাছে যেতেই বুঝলাম একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে।মেয়েটা সেলোয়ার কামিজ পড়ে আছে। লন্ডনে সেলোয়ার কামিজ পড়া মেয়ে দেখব ভাবিনি কখনো।
আরেক টু কাছে গিয়ে যখন চেহারা টা দেখলাম তখন আতকে উঠলাম।কি ভয়ংকর চেহারা।তারপর মনে হল এটা মেকাপ।
ভাল করে মেয়েটাকে দেখে মনে হল বাংলাদেশি মেয়ে।আমাকে দেখা মাত্রই মেয়েটা বলল,
-বাংলাদেশি?
-হুম,
(কিভাবে বুঝল বুঝলাম না)
.
মেয়েটা হাসতে হাসতে বলল,
-ভাবছেন,কিভাবে বুঝলাম?
-হুম,
-চেহারা দেখেই।
-ও আচ্ছা।এত রাতে এখানে কি করছেন?
-ট্যাক্সির জন্য ওয়েট?আপনি?
-আমিও ট্যাক্সির জন্য।
-কোথায় থাকেন?
-ম্যানচেষ্টার কাউন্সিলের পাশে,আপনি?
-প্রিন্সেস স্ট্রিট,
-কাছেই তো,হুম।
.
বাঙালী মেয়েদের কথার মধ্য এক ধরণের জড়তা থাকে কিন্তু এই মেয়ের মধ্য নেই। মেয়েটার দিকে ভাল করে তাকালাম,সুন্দরী বলা যায়,শুধু মেকাপের জন্য একটু খারাপ লাগছিল। সাদা কালারের সেলোয়ার কামিজ পড়া। হাতে একটা কালো ব্যাগ।
.
আমি পিছনে রাখা ব্রেঞ্চে গিয়ে বসতে বসতে বললাম,
-ইংল্যান্ডে এসে সেলোয়ার কামিজ পড়া মেয়ে প্রথম দেখলাম।
-অনেক বাঙালী আছে এদিকে,
-আছে,সবাই ওয়েস্টার্ন পোশাক এর দিকে বেশি ঝোকে।
.
মেয়েটা আমার পাশে এসে বসতে বসতে বলল,
-তা ঠিক বলেছেন,
-আপনি কি এরকমই পোষাক পড়েন?
-না,
-তাহলে
-আত্তা সেজেছিলাম।
-ও আচ্ছা,সেলোয়ার পড়ে,
-হুম,,
.
আমি মেয়েটার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললাম,
-আমি রাশেদ,আপনি?
.
মেয়েটা হাত বাড়াল না,হাত না বাড়িয়েই বলল,
-মাহি,
.
আমি হাত নামিয়ে নিয়ে বললাম,
-এখানে হয়ত কিছু পাওয়া যাবেনা,সামনে আগাই চলুন,
-আচ্ছা,চলুন।
.
রাস্তায় নেমে এসে বললাম,
-হ্যালোউইন এ কি সেজেছিলেন?
-মৃত আত্তা,,যে সবার রক্ত খায়,
-এত ভয়ংকর কেন?
-এমনিতেই,
.
আমি আর কথা বাড়ালাম না,কিছুদূর হাটতেই দেখলাম একটা ট্যাক্সি আসছে।আমি হাত বাড়াতেই ট্যাক্সি টা থেমে গেল।আমি গেট খুলে বললাম,
-ঢুকুন ভিতরে,,
.
ট্যাক্সিওয়ালা বলল,
-whom do you call?
-mahi
.
আমি মাহির দিকে তাকালাম, ও যেখানে দাড়িয়ে ছিল সেখান টা ফাঁকা।না কেউ নেই।অদ্ভুত ব্যাপার এখনি ছিল।
ট্যাক্সি ওয়ালা আবার বলল,
-there's nobody
-no,
.
আমি একটু আশে পাশে হেঁটে দেখে নিলাম,, না কেউ নেই।ট্যাক্সি ওয়ালা টা আমাকে বসতে বলল।আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম,যদি মাহি চলেও যায় তবে এত দ্রুত চোখের সামন থেকে আড়াল হওয়া সম্ভব নয়।
আমি ট্যাক্সিতে বসে পড়লাম,ট্যাক্সি ওয়ালা খুব দ্রুত চলতে লাগল।
আমি ট্যাক্সি ওয়ালা কে পুরো ঘটনা টাই বললাম, ট্যাক্সিওয়ালা বলল,ওটা একটা খারাপ আত্তা ছিল। প্রতি বছর এ শহরে হ্যালোউইন এর দিনে এ রাস্তায় মৃত মানুষের লাশ পাওয়া যায়।
এসব শোনার সাথে সাথে আমার খুব ভয় করা শুরু করল।এত ক্ষন একটা আত্তার সাথে ছিলাম ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিল। মনে হল যত দ্রুত বাসায় পৌছাব ততই ভাল।
আত্তা বলেই মাহি আমার সাথে হাত মেলায়নি। বার বার শুধু মাহির বিকৃত মুখ টা চোখের উপর ভাসতে লাগল।
.
ট্যাক্সিওয়ালা কে বলতে হল না আমার বাসা কোথায়, উনি সোজা এসে আমার বাসার সামনে নামিয়ে দিল।বিষয় টা একটু খটকা লাগলেও বেশি গুরুত্ত দিলাম না কারণ মাথায় তখনো মাহির ব্যাপার টা ঘুরছিল।
আমি ট্যাক্সি থেকে নেমে ভাড়া দেয়ার জন্য মানিব্যাগ থেকে টাকা বের‍্ করে যেই ট্যাক্সিওয়ালার দিকে তাকিয়েছি দেখি ট্যাক্সি, আর ট্যাক্সিওয়ালা কেউ নেই।কি হচ্ছে এগুলো আমার সাথে কিছুই মাথায় আসছিল না।
এক মুহূর্ত এ ট্যাক্সি কোথায় গায়েব হতে পারে।
আমি আর রাস্তায় দাড়ালাম না, বাসার ভিতরে চলে আসলাম।বাসায় আমি আর মিসেস মারগারেট থাকি।উনি আমার বাড়িওয়াললী।বৃদ্ধ মহিলা, হ্যাসবেন্ড মারা গেছে অনেক আগেই। আমাকে নিজের ছেলের মতই দেখেন।
আমি সব কাহিনী ওনাকে বলে দিলাম,উনি আমার ভাগ্য ভাল বললেন।আমি জিজ্ঞেস করলাম,
-কেন?
.
কারণ হিসেবে উনি বললেন, মেয়েটা খারাপ আত্তা হলেও ট্যাক্সিওয়ালা ভাল আত্তা ছিল।তাই আমাকে বাসা পর্যন্ত এসে রেখে গেছে।
.
আমি আর কিছু কথা বলে নিজের ঘরে চলে এলাম,হ্যালোউইন উৎসব টা যে শুধু আমার সাথেই ঘটবে কখনো কল্পনা করিনি।
ঘরে এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম, বারা বার মাহির ভয়ংকর চেহারাটাই মনে পড়ছিল।
.
এভাবে কখন যে ঘুম ধরে গেল মনে নাই।
ঘুম ভাঙল ঘরের দরজা ধাক্কার শব্দে।এত জোড়ে ধাক্কা দিচ্ছিল মনে হচ্ছে দরজা টা ভেঙে ফেলবে।আমি উঠে গিয়ে দরজা খুললাম।
দেখি মিসেস মারগারেট।জিজ্ঞেস করলাম,
-for what?
-there is mahi,,,
.
মাহি নাম টা শোনা মাত্রই আমার বুক টা ছ্যাৎ করে উঠল,আমি আবার বললাম,
-where is she?
.
মিসেস মারগারেট আমার কথার জবাব দিতে পারলেন না।বেচারী খুব ভয় পেয়ে গেছেন।উনি হাত দিয়ে ড্রয়িং রুমের দিকে ইশারা করলেন। আমি আস্তে আস্তে ড্রয়িং রুমের দিকে এগুতে লাগলাম।মিসেস মারগারেট আমার সাথে এলেন না,আমি যেই ড্রয়িং রুমে ঢুকে সামনে তাকিয়েছি দেখি কেউ নেই।ডান দিকেও দেখলাম কেউ নেই,ডান দিক থেকে বা দিকে তাকাতেই চোখের উপর মাহির চেহারা পড়ল।আমি ভয় পেয়ে মেঝেতে পরে গেলাম,মেঝেতে পরে মনে হল আমার মাথা ফেঁটে গেছে।আমি মারা যাচ্ছি।
চোখ বোজার আগে দেখলাম মাহির চেহারা আরো বিকৃত হচ্ছে।
.
কখন জ্ঞান ফিরেছে মনে নাই,চোখ খোলা মাত্রই আৎকে উঠলাম।সিলিং ফ্যানের সাথে মিসেস মারগারেট এর লাশ ঝুলছে।
কি বিভৎস দৃশ্য,এরকম দৃশ্য আগে কখনোই দেখিনি।তারপর সামনে তাকাতেই দেখি মাহি বিশ্রী ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
আমি মেঝে থেকে উঠে কোন ভাবে দৌড় দিয়ে নিজের ঘরে চলে এলাম।গুটি শুটি মেরে বিছানার উপর বসে পড়লাম।
মিনিট খানেক যেতেই দরজা ধাক্কাধাক্কি শুরু হল।খুব ভয় লাগল তবুও আমি এগিয়ে গিয়ে দরজার ফুটা দিয়ে চোখ রাখলাম,চোখ রাখা মাত্র আমার হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল,আমি দেখলাম মিসেস মারগারেট দরজা ধাক্কাচ্ছেন,যিনি একটু আগে সিলিং ফ্যান এর সাথে ঝুলছিলেন।
.
আমি দরজা খুললাম না,চুপচাপ গিয়ে বিছানায় বসে রইলাম।মিনিট খানেক বাদে সব ঠান্ডা।
মনে কৌতুহল জাগল ব্যাপার কি?
ভয় হচ্ছিল খুব, তবুও সাহস করে দরজা খুলে ড্রয়িং রুমে এলাম।
এসে দেখি চেয়ারে মাহি বসা,ঠিক ঠাক চেহারা।
মিসেস মারগারেট এর লাশ যেখানে ঝুলছিল সেখান টা ফাঁকা।
.
আমাকে দেখে মাহি বলল,
-বসুন,
.
আমি ততক্ষনাৎ বসে পড়লাম,মাহি হাসতে হাসতে বলল,
-আপনার আগে এ খানে আমি থাকতাম,
-মিসেস মারগারেট কোথায়?
-নেই,ভ্যানিস,
-মানে?
-উনি মানুষ না,একটা খারাপ আত্তা।
-বুঝলাম না আপনার কথা,
-উনি মানুষ ছিলেন না,উনি প্রতি হ্যালোউইন এর রাতে মানুষের বলি দেন।
-কি বলছেন এসব?
-হুম আজ আপনারো বলি হত।যেমন আমার হয়েছে।
.
আমি হকচকিয়ে গেলাম।
-তার মানে আপনি মৃত?
-হুম,মারগারেট কে ও আমি মেরেছি,
-ও,
-হুম,,আচ্ছা,আসি তাহলে।
.
চোখে একটা আলো এসে পড়ল।
আর কিছু মনে নেই,চোখ খুলে নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলাম।
কাল রাতের কথা ভাবতেই গা শিংরে উঠল।
মিসেস মারগারেট কে কোথাও খুঁজে পেলাম না,তার মানে উনি সত্যি কারের আত্তা ছিলেন।
মাহি কে ধন্যবাদ দিলাম।আমার জীবন বাঁচানোর জন্য।
.
.
.
-নাহিদ পারভেজ নয়ন

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল লাগেনি| ভয় তো পাইনি একটুও| গল্পে অনেক গ্যাপ আছে

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

নাহিদ পারভেজ নয়ন বলেছেন: মুশকিল ব্যাপার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.