নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিউরণের মুক্ত ক্যানভাসে স্বপ্ন এঁকে যাই.....

নিরপেক্ষ নই; সত্য, ন্যায় ও স্বাধীনতার পক্ষেই আছি

মোঃ নাহিদ শামস্‌

ভীষণ কল্পনাপ্রবণ একজন মানুষ আমি। কল্পলোকের ক্যানভাসে ছবি এঁকে, মনোজগতের সুবিশাল হাইপার স্পেসে নিজের এক মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে আমি হয়েছি ঈশ্বর। যখন প্রচন্ড কষ্টে কাঁদতে ইচ্ছে করে, তখন নিজের সৃজিত মহাবিশ্বের অসীম গ্যালাক্সিপুঞ্জ দেখে গর্বিত অনুভব করি। অতঃপর স্বপ্নীল জগতের দিকে তাকিয়ে উচ্চারণ করি দৈব বাণী- "নিশ্চই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান। দুঃখ কিংবা কষ্ট তাকে স্পর্শ করে না।"

মোঃ নাহিদ শামস্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম নাকি বিজ্ঞানঃ 'নেই কাজ তো খই ভাজ' প্রজাতির চিরন্তন বিতর্ক

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

****ধর্ম নাকি বিজ্ঞান?***

ফেবু এবং ব্লগের কতিপয় আঁতেলের জন্য ইহা একটি 'হট টপিক।'



ধর্ম মানুষের আগমন এবং গন্তব্যের একটি নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করে, মানবজাতির অস্তিত্বের উদ্দেশ্যকে সুসংজ্ঞায়িত করে, আমাদেরকে বেঁচে থাকার একটি লক্ষ্য প্রদান করে। উচিত এবং অনুচিত, ন্যায় এবং অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করে। একটি formal approach এর মাধ্যমে মূল্যবোধ এবং করণীয়সমূহকে তাড়িত করে। ধর্ম মানুষকে আশার বাণী শোনায়। ধর্মীয় বিশ্বাস যুগ যুগ ধরে মানুষকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরনা যুগিয়ে গেছে। আপনি নাস্তিক হতে পারেন, বেশ তো। কিন্তু অন্যের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করার অধিকার আপনার নেই। ধরুন, আমি যদি আপনাকে বলি- আপনার মা আসলে আপনাকে পেটে ধরেন নি... কিংবা যদি বলি- আপনি আপনার মায়ের অবৈধ সন্তান। তাহলে আপনার কেমন লাগবে? নিশ্চই খারাপ লাগবে! কারণ, আমি আপনার আজন্ম লালিত বিশ্বাসকে, ভালোবাসাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছি। আর আপনি? আপনি কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। নিজেকে তাদের চেয়ে উত্তম ভাবছেন? জেনে রাখুন, আপনি নিকৃষ্ট! আপনি যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন, তখন মানুষ আপনার শরীর থেকে একধরণের মহাজাগতিক দূর্গন্ধ পাবে! খানিকক্ষণ আগে সঙ্গম শেষ করে ডাস্টবিন থেকে আবর্জনা গলাধঃকরণ করে আসা রাস্তার কুকুর সে দূর্গন্ধে বমি করে দেবে।



বিজ্ঞান মানুষের অনুসন্ধিৎসা, প্রকৃতির অসীম রহস্য উন্মোচনের নিরলস প্রচেষ্টা, মহাবিশ্বের মহা সৌন্দর্যকে বৌদ্ধিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অবলোকন করার দুঃসাহস। বিজ্ঞান সবকিছুর ব্যাখ্যা খুঁজে বেড়ায়, চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এটি আপনাকে কোন সমাধান দেবে না। বিজ্ঞান যদি মিথ্যেই হত তাহলে আজ আপনি ফেসবুকে বসে এই লেখাটি পড়তে পারতেন না। বিজ্ঞানবিদ্বেষীরা বরাবরই ডারউইনের বিবর্তনবাদকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করে, আর কিছুক্ষণ পরই পকেট থেকে বিজ্ঞানেরই আবিষ্কার করা মোবাইল ফোন বের করে কথা বলে, ঘর থেকে বেরিয়ে নিউটনের তৃতীয় সূত্রের ওপর উদ্ভাবিত যানবাহনে ঝুলে ঝুলে অফিস কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। এরা হল আরেক আজব চিড়িয়া!



বিতর্ক করার এবং কটাক্ষ করার হাজারও বিষয় আছে। ন্যায় এবং অন্যায় নিয়ে কথা বলুন না! দুর্নীতি, হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ... বাংলাদেশে কত কত সমস্যা। সেসব নিয়েই লিখুন। ও হ্যা, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। সুতরাং, আপনারা যে ইস্যু নিয়েই কথা বলেন না কেন সেখানেই 'ধর্ম' এবং 'ধর্মদ্রোহীতা' ঢুকিয়ে বসে থাকবেন!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০৬

বাংলার নেতা বলেছেন: ধর্মহীন মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট! বিষয় টা গবেষনা করে দেইখেন!

২| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫২

ভারসাম্য বলেছেন: বিজ্ঞান বিদ্বেসীরা ধর্মহীনও বটে।

ভাল লিখেছেন। +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.