![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর জন্য নিবন্ধন করেছিলাম আজ থেকে এক বছর আগে। এখনো হাতে পাইনি। এদিকে ভোটার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময়ে। কিন্তু তখন আসলে নির্বাচন অফিসে গিয়ে করা হয়ে ওঠেনি। এরকম অনেকে ই আছেন। আবার যাও করার সুযোগ পেয়েছিলাম, তারপরও কার্ড হাতে পেলাম না এক বছরের মাথায়ও। আমাদের মানে প্রথম বারে যারা রেজিষ্ট্রেশন করেছে তাদের কে কার্ড না দিয়েই নতুন করে হালনাগাদ এর কাজ শুরু করা হলো!
কিন্তু আগে আমাদের কার্ডটা দেয়া উচিত ছিল। কারন এটা একটা অতি গুরুত্বপূর্ন ডকুমেন্ট। ব্যাংক এ একাউন্ট করা থেকে শুরু করে সিম কার্ড কেনার মত অনেক কাজ এই কার্ডের জন্য আটকে আছে।
মানছি এটার প্রসেসিং এতটা সহজ নয়, যে চাইলাম আর করে ফেললাম। তথ্য সংগ্রহ করার পর তা প্রাথমিক ভাবে প্রসেস করা, প্রিভিউ করা, ছবি সংযোজন ইত্যাদি অনেক সময়সাপেক্ষ এবং জটিল প্রসেস এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু একবছর সময়টা বেশী হয়ে যায় না?
আচ্ছা মানলাম একবছর যথেষ্ট নয়, তাহলে আবার নতুন কাজ হাতে নিচ্ছেন কেন? যেটা শুরু করেছেন সেটা আগে শেষ করেন।
প্রতিবছর ই নতুন ভোটার যুক্ত হবে। আর তাদের কে তালিকাভুক্ত করাটা ও সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। তবে প্রসেসটা যদি ইন্টারমিডিয়েট কলেজগুলোর হাতে ছেড়ে দেয়া যায়, যেমন জন্ম নিবন্ধন প্রাইমারী স্কুলে করা সম্ভব। মানে বিষয়টা এরকম হবে যে, একজন ছাত্র এস এস সি পাশ করে কলেজে ভর্তি হবে রেজিষ্ট্রেশনের কাজটা তখন সেরে রাখা যায় কলেজ এর মাধ্যমে। তারপর সেটা সরকারি ভাবে প্রসেস করে ফেলা হবে।
এতে করে-
১। ছাত্রের বয়স ১৮ বছর না হলেও সে নিবন্ধিত হলো, ১৮ বছর হওয়া মাত্র তার হাতে কার্ড পৌছে দেয়া সম্ভব হবে। প্রোগ্রামের জন্য অপেক্ষা করা লাগবে না।
২। যথাসময়ে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের হাতে পরিচয় পত্র তুলে দেয়া সম্ভব হবে।
৩। কিছুটা হলেও সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হবে।
৪। আর যেহেতু এভাবে করলে প্রসেস টা একটা স্বাভাবিক চলমান প্রক্রিয়ার রূপ নেবে, ফলে তখন দায়িত্বশীল কতৃপক্ষের উপর এতটা চাপ সৃষ্টি হবে না।
আগেই বলেছি এটা আমার নিজের আইডিয়া না। মনে হলো যে এটা এতটাও খারাপ আইডিয়া নয়। বরং সুষ্ঠভাবে প্রয়োগ করা গেলে ভালই হবে। তাই শেয়ার করলাম।
©somewhere in net ltd.