নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসেছি তোমার জন্য , খুজে নিব তোময় মায়ার সংসারে

মো: নাইমুর রহমান দূর্জয়

মো: নাইমুর রহমান দূর্জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীষা

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

“নীষা, আমার উপর রাগ করেছ ঠিক আছে তাই বলে খাওয়া দাওয়া করবেনা এটার কোন মানে হয়না”
নীষা আমার কথা শোনার পরও একই ভাবে বসে আছে । বুঝছি আমার উপর রাগ,অভিমান যাইহোক না কেন খাওয়া দাওয়া করতে সমস্যা কি বুঝিনা! ও খাবে না তখন মা এসে আমাকে ধরবে কেন সে খেলনা?নিশ্চয় আমি তাকে কিছু বলেছি আরও কত কথা শোনাবে আমাকে ... উফ।
“মানুষের তো অসুবিধা থাকতেই পারে কাল যাওয়া হবেনা তো অন্যদিন সুযোগ করে যাব ”
তবুও তিনার মুখে কথা নেই মনে হচ্ছে মুখে তালা মেরে বসে আছেন । এদিকে আমার লেগেছে খুধা, খেতেও যেতে পারছিনা কেননা খাবার টেবিলে বসলে মা তার প্রিয় বউমাকে না দেখলে প্রশ্ন ছুরে দিবে আমাকে আর প্রশ্নের উত্তর তার মন মত নাহলে কত কথা শোনাবে যা শোনলে না খেলেও পেট ভরে যাবে ঠিকই।
“তুমি তো একাও যেতে পারতে ?”
কথা তো বললই না একবার শুধু ঘুরে তাকাল আমার দিকে চোখে তার স্পষ্ট রাগের ছাপ।
“কথা তো অন্তত্য বল আমার সাথে”
“কি কথা বলব তোমার সাথে”
“একটু আমার পরিতিস্থি বোঝার চেষ্টা কর”
“ কি পরিতিস্থি বোঝার চেষ্টা করব! তোমার অফিসে অনেক কাজ আছে ... ... আগামি কাল আমাকে নিয়ে যেতে পারবে না তাই তো”
মহারানীর চোখ দিয়ে রাগের চাইতেও সেখানে অভিমান খেলা করছে অনেক । রাগ, অভিমান করবে না কেন সে অনেকদিন থেকেই বলছিল যে সে তার মায়ের বাসায় যাবে। তার আবার তিনি একা যাবেন না আমাকে সাথে যেতে হবে অনেকদিন থেকে যাব যাব করছিলাম ,ছুটি নেওয়ার চেষ্টাও করেছিলাম কিন্তু যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি ।
দুই দিন আগেও যখন ঘুমাবার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছিলাম তখন নীষা আমকে বলল
“কবে নিয়ে যাবে আমায়?”
“কোথায়?”
“এত তারতারি ভুলে গেলে... যে তুমি আমাকে নিয়ে বাবার বাসাতে যাবে”
“ভুলিনি ... তুমি এমন ভাবে বললে তাই বুঝতে পারিনি”
“ বুজতেই পারলাম ভুলে ছো কি ভুল নি ... শুধু শুধু অযথা বাহনা বানও কেন”
“আমি কোথাই বাহনা বনালাম”
“ আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বাহানা বানাও নি ... একার বল কবে নিয়ে যাবে?”
“কবে যেতে চাও?”
“ আপুর সাথে কথা হয়েছিল সে ও নাকি দুদিন পরে আসবে তাই আমিও চাচ্ছিলাম ঐ একই দিনে যাবার জন্য”
“আচ্ছা চেষ্ট্ াকরে দেখব ”
“ চেষ্টা করে দেখব মানে? কোন মানে টানে নাই সে দিন আমার সাথে যেতে হবে এটাই ফাইনাল”
“যখন এটাই ফাইনাল তখন আমাকে বললে যে”
“শুধু তোমাকে জানানোর জন্য”

আগামি কাল তার বাবার বাসাতে যাওযার কথা ছিল কিন্তু র্দুভাগ্য বশত যেতে পারব না ,অবশ্য আমারও খারাপ লেগেছে মেয়েটাকে না নিয়ে যেতে পারার জন্য তাছাড়া নীষা মেয়েটা খুবই অভিমানি এখটু খানিতে তার আমার সাথে অভিমান । এই অভিমান,রাগ যা শুধু আমার সাথেই করে মেয়েটা। হয়ত যারা একদম আপন মানুষ হয়, যার জন্য মনে ভালবাসা থাকে শুধু তার সাথেই এই রাগ,অভিমান করা যায়।


“ নীষা, না খেয়ে থাকলে কিন্তু শরীর খারাপ করবে”
“করবেনা”
র্নিলিপ্ত জবাব নীষার
“ আগামি শনিবাওে তোমাকে নিয়ে যাব ... প্রমিস’
“যে প্রমিস করে তা রক্ষা করতে পারেবেনা তা করার দরকার নেই’
“এবার বিশ্বাস কর আমি সত্যি নিয়ে যাব তোমাকে”
“নিয়ে যদি এবার না যাও তবে তোমাকে তোমাকে”
কথা বলতে না দিয়ে আমি আবারও বললাম
“হুম সত্যি নিয়ে যাব তোমায়”
কথাটা তার অভিমানি চোখের দিকে তাকিয়ে বলছিলাম সেও আমার চোখের দিকে তাকিযে থাকল
“খাবার খেতে চল নাহলে মা কিন্তু আমাকে নিয়ে বিচার বসাবে”
মহরানীর একটু হলে রাগ আর অভিমান যেটাই হোক না কেন একটু ভেঙ্গেছে নইলে আমার সাথে যেত না।অভিমান করুক আর রাগই করুক রাতে ঠিকই সব ভেঙ্গে আমাকে জড়িয়ে তাকে থাকতে হবে নইলে তার নাকি ঘুম হবেনা ।

“আজ তৈরী হয়ে থেক , দুপুর নাগাদ এস তোমাকে নিয়ে রওনা দেব”
“ঠিক আছে... সাবধানে অফিসে যেওয়’
কথা যখন দিয়েছিই তখন মহারানীকে নিয়ে তার বাবার বাসা থেকে ঘুরে আসি আর জামাই আদর খেয়ে আসি আর দেখি অফিসে ছুুটির ব্যবস্থা করতে পারি নাকি , নাহলে ভালভাবে জামাই আদর পাওয়া যাবে না।


***



“বুঝছ ভাই নারী জাতি বড় ছলনাময়ী ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায় বুঝা যায়না । তারা মুখে এক কথা বলে আর অন্তরে ভিন,œ কিন্তু তারা অন্তরের কথা না বলেও সেটা হয় তোমার মুখ দিয়ে নইলে কাজ করিয়ে প্রকাশ করে নেয়। এরা ভয়ংকর বিষধর সাপ যাকে একবার ছোবল মারবে সে ছাড়া অন্যকেউ বুঝতে পারেনা এর জালা”
ভাইয়ের সাথে মানে নীষার দুলাভায়ের সাথে অন্য বিষয়ে কথা বলতে বলতে ভাই হঠাত করে কথাটি বলল
“ ভাই, আমি বুঝব না আমিও ত একই ঘাটের মাঝি নাকি”
“নীষা ত তোমার বড় আপুর চাইতে অনেক ভাল মানে... তোমার আপুর চাইতে কম”
ভাই অবশ্য ভুৃল বলেনি । সাধারত বড়দের চাইতে ছোটরা অনেক চালু আর ফাজিল হয় সেই তুলনায় নীষা কমই তাই ভায়ের জন্য আমার একটু মায়া হল ।
“ তোমার আপু...”
ভাই কি যেন বলতে লেগেছিলেন তা বলতে পারলেন না কারন তখন বড় আপাকে আমাদের দিকে আসতে দেখলাম। ভাইয়ের এসব কথা যদি ঘূণাক্ষরের নীাষা বা বড় আপা জানতে পারে তাহলে ভায়ের সাথে সাথে আমারও চরম বিপদ আছে।
“দুজনে মিলে কি গল্প হচ্ছে নাকি?”
“ হুম খোস গল্প বলতে পারেন আপা”
“হুম”
“এসব কি ছাইপাস দেখছ তোমরা ’
আপা বলেই টিভির রিমোট হাতে নিয়ে স্টার জলসাতে দিল। এখন আপাকে কে বলবে আপনি এখন কি ঝগড়াঝাটি আর ক্রিমিনালি দেখছেন, ভাইতো বলতেই পারবেনা আর আমি তো কোন হানকার মামুলি ছোকরা... কি আর করা রুমে যাই তবে নীষা এদিক দিয়ে ভাল।

“খালামনি তুমি কি খালু কে ঝাড়ির উপর রাখ!!”
টিভির ঘর মানে বসার ঘর তেকে নীষার রুমে আসার সময় বড় আপার মেয়ের কথা শোনলাম। মেয়ে হলে কি হবে পুরাই বান্দর । এতদিন জানতাম ছেলেরা বান্দর হয় আর এখন একে দেখরেই বোঝা জাবে মেয়েরাও বান্দর হতে পারে ।
“কেন মৌ?”
“আম্মু কে তো দেখি বাবাকে সবসময় ঝাড়ি মারে তাই জিঙ্গাস করলাম”
“তোমার খালু অনেক ভাল তবে মাঝে মাঝে ঝাড়ির উপর রাখি”
“হি হি তুমিউ আম্মুর মত খালু কে ঝাড়ি মার ’
“হুম”
‘তুমি খালুকে ভারবাস তাইনা’
“হুম”
আজকার ছোট ছেলেমেয়েরা ছোট থেকেই বড্ড বেশি পেকে যায়। এ টুকু মেয়ে ভারবাসার কি বুজে সবে ত বোধ হয় সাঁতে পরল।
ভাবছি এবার নীষার কপি ছোট নীষাকে আনতে হবে ইদানিং বাসাটাকে কেমন ফাকা ফাকা লাগে তার চেয়ে বড় কথা নীষার কোলে বাবু এলে ঝাড়ি পরিমাণ একটু কম খেতে হবে , রাতে এ ব্যাপারে নীষার সাথে কথা বলতে হবে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.