নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরের জায়গা, পরের জমি, ঘর বানাইয়া আমি রই। আমি তো সেই ঘরের মালিক নই।

না মানুষী জমিন

পরের জায়গা, পরের জমি, ঘর বানাইয়া আমি রই। আমি তো সেই ঘরের মালিক নই।

না মানুষী জমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ নীরা (শেষ পর্ব)

২৩ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

(১)
সেদিন সন্ধ্যাবেলা রাশেদ আর রাহাত বাইরে কার সাথে যেন কথা বলছিল। হয়তোবা শালিসের ব্যাপারে। বিকেলে যা ঘটে গেল এই বাড়িতে, তারপর থেকে ওরা দুইজন আর ইমরানের সাথে ভাল করে কথাই বলছেনা।
কি হয়েছে, না হয়েছে গতরাতে সেটা জানার জন্য তেমন আর কোন আগ্রহও দেখাচ্ছেনা। ইমরান একা একা রুমে বসে রয়েছে। নিজেকে এখন তার খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। তার জন্য রাশেদকে এভাবে, এতটা অপমানিত হতে হবে, সেটা সে কখনোই ভাবেনি। কিন্তু সত্যিটা কেউ জানার প্রয়োজনও বোধ করছে না। আকস্মিকভাবেই দেখা গেল, নীরা ইমরানের কাছে এসে হাজির। এ অবস্থায় সত্যিই, এটা খুব অকল্পনীয়!

: কি ব্যাপার! তুমি এখানে? এই ভর সন্ধ্যাবেলা? তোমাকে ওরা আসতে দিল!
: মায়ের শরীরটা হঠাৎ করে খারাপ হওয়াতে, আজ সকাল থেকেই বড় চাচী আমাদের ওখানে ছিলেন। বুঝতেই পারছেন, কাল অনেক চাপ গেছে।
: ও, তাই তো এসে অবধি আন্টিকে দেখছি না।
: হুম, এখন ওনাকে নিয়ে আসলাম।
: তারপর, কি ভাবলে? কি করবে ঠিক করেছ?
: কি ঠিক করব?
: মানে! তুমি জানো না, কি ঠিক করবে!
: না তো, আমি তো কিছু জানি না! কোন কিছু ঠিক করার কথা ছিল নাকি?
: কি বলছ কি এইসব! এতো তোমার কথা না! সত্যি করে বলতো কি হয়েছে?
: না, কি আবার হবে? আসলে...
: আসলে কি?...বল...তুমি কিছু একটা বলতে এসেছ, তোমার মুখ দেখে বেশ বুঝতে পারছি কিন্তু বলতে পারছোনা। প্লিজ বলো।
: আজ, এইতো, কিছুক্ষণ আগেই অজানা এক অতীত সম্পর্কে জানতে পারলাম। হঠাৎ করেই। যেটা জানলে, হয়ত এভাবে কখনো.....
: কি সেটা!...বল, চুপ করে গেলে কেন!

মাথা নিচু করে বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকল নীরা। অপলক দৃষ্টিতে ইমরান তাকিয়ে রইল নীরার দিকে। কারো মুখেই কোন কথা নেই। যেন নীরবতার আবর্তে আবর্তিত প্রতিটি মুহূর্ত। শেষে ইমরানই নীরবতা ভাঙ্গলো।

: কি ব্যাপার,নীরা!.... এভাবে চুপ করে থেকো না। বল! আমার বিশ্বাস, তুমি আরো কিছু বলতে এসছ! এই সময়ে, এই অবস্থায়। আবার কোন এক অতীতের ঘটনাও সাথে করে নিয়ে আসছ। কিন্তু কোনটাই সঠিকভাবে বলছ না। বলবেই যখন, তাহলে চুপ করে আছ কেন?
: না, আমি,...আমি কিছুই বলতে পারব না।
: প্লিজ, তোমার মনের যত না বলা কথা, সব বলে দাও আজকে। আমায় আর দ্বিধায় জড়িয়ে রেখো না।
: আমার সমস্ত বলার শক্তি রুদ্ধ হয়ে গেছে। আমি কিছুই বলতে পারব না। যা যা বলতে এসছি, সব যেন কোথায় হারিয়ে গেছে!
: তারপরও তোমায় বলতে হবে। সবাই তোমাকে যতই প্রেশার দিক না কেন! প্লিজ, বল!.... বলছো না কেন?....বলতে বললাম তো!
: আমি যাই। আমার এখনি যেতে হবে।
: কি বলছ! এভাবে চলে যেতে পারনা। আমি তো যেতে দিবনা তোমায়! তুমি কি একবারের জন্যও আমার কথাটা ভাববে না!
: আমার কাছে আর সময় নেই। চললাম।
: নীরা, দাঁড়াও। যেওনা বলছি! দাঁড়াও। প্লিজ, এভাবে যেওনা!

সব অনুরোধ উপেক্ষা করে দ্রুতবেগে নীরা বের হয়ে গেল। যেতে যেতে দরজায় দাঁড়িয়ে হঠাৎ কি মনে করে পেছন ফিরে তাকাল ইমরানের দিকে। মনে হল, তার অসম্ভব সুন্দর ঐ চোখের কোণে অদ্ভুদ এক রহস্যাবৃত হাসির রেখা ফুটে উঠল! কি বলতে চায়, তা যেন অতি দুর্বোধ্য কোন ভাষা! কেবল মনে হতে লাগলো, অধরা এক অব্যক্ত মায়ার জাল বিছিয়ে কোন এক দূর ভুবনে মিলিয়ে গেল নীরা। যে জাল ছিঁড়ে কখনো বের হতে পারবেনা সে। আজীবন আটকে থাকতে হবে এক দ্বিধায় আচ্ছন্ন মন নিয়ে।

এর একটু পরেই, রাশেদ এসে ইমরানকে জানাল, কালকেই চলে যাবে তারা।
: তাড়াতাড়ি সবকিছু গুছিয়ে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়। কাল খুব ভোরেই রওনা দিতে হবে।
: মানে! শালিস না, কি যেন ছিল, বলছিলি?
: সব কিছু ভুলে যা। অনেক কষ্টে, নানান শর্ত-টর্ত মেনে নিয়ে সব ম্যানেজ করেছি। শুধু আজ রাতটা কোন রকমে পার করতে হবে। নিজের গ্রাম থেকে কখনো এভাবে যেতে হবে, তা স্বপ্নেও ভাবিনি! দুইদিনের জন্য গ্রাম দেখতে এসে তুই আমাকে এমন বিপদে ফেলে দিলি! আমি না হয়ে অন্য কেউ হলে..
: তুই তো আমার কোন কথাই শুনছিস না। আমাকে আসামি বানিয়ে ফেলেছিস। আর নীরা...
: নীরাকে তুই আজকের পর থেকে একেবারে ভুলে যাবি।
: আমার পক্ষে আর তা সম্ভব না!
: সে আমি জানি না।...শোন, তাকা এইদিকে...তাকা আমার দিকে...আমার চাচা সবকিছুর জন্য আমাকে আর আমার মাকে দায়ী করছে এখন। বলছে, আমরাই নাকি প্ল্যান করে, তোকে দিয়ে সব করিয়েছি। গ্রামের লোকদের এক পক্ষকে সেটা বুঝিয়েও ফেলেছে। তারা সব আমার উপর প্রচন্ড ক্ষেপে রয়েছে। সুযোগ পেয়ে চাচা ফায়দা তুলতে চাচ্ছে। বাবা থাকলে সেটা কখনো পারত না। আর তাছাড়া পুরনো এক অতীত...
: বল, তুইও চুপ করে গেলি!
: ও তোর শুনে কাজ নেই। সব পরিবারেই কিছু সিক্রেট থাকে... সেটা শোনার অধিকার তোর মত কারোর হবে, তা ভাবার কোন কারণ নেই। আমাকে আর কিছু জিজ্ঞেস করবি না। লাভ হবে না। অত অধিকার তোকে আমি দিব না। রাত পেরোলেই এখান থেকে বিদায় হতে হবে, এখন সেটাই আসল সত্য।
পরদিন ভোরেই ওরা তিনজন গ্রাম ছেড়ে চলে গেল। নীরার সাথে আর দেখা হয়নি ইমরানের।

(২)
: উফ! কি জ্যাম, এই দুপুরেও! কিরে ইমরান! ঘুমিয়ে পড়লি নাকি?
: না, মাথাটা ধরেছে। আর কতক্ষণ লাগবে বলতো! ভাল লাগছে না।
: মাথার আর কি দোষ বল? গরমও যা পড়েছে না!
: আচ্ছা, তুই জার্মানি গিয়েছিলি না? স্কলারশিপ নিয়ে?
: হুম! এখন অবশ্য লন্ডনে আছি।
: দেশে আসলি কবে?
: তা প্রায়, মাসখানেক তো হবে।
: আমরা কত দূরে সরে গেছি! কেউ কারো খোঁজ খবর রাখিনি! দেশে এসেওতো যোগাযোগ করিসনি। এত ভুল বুজেছিলি আমাকে!
: বাদ দে ওসব!
: তুই তো তবু দেশের বাইরে চলে গেলি। বাবার বিজনেস দেখার জন্য আমি তো আর কোথাও গেলাম না।
: ফালতু কথা!... তুই নীরার জন্যই কোথাও যাসনি।....শোন.... গাড়িটা ঘুরিয়ে নিলাম।.... ওই তো দেখতে পাচ্ছিস! শপিং মলের সামনে কে দাঁড়িয়ে আছে!
: ও মাই গড! রা...শেদ! কত বছর পর! নারে, তুই গাড়িটা আবার ঘুরিয়ে নে। ওর সামনে আমি দাঁড়াতে পারবনা। হয়ত এখনো রেগে আছে।
: চুপ কর! ওই তো আসতে বলল এখানে। কিন্তু সাথে নীরা বা আর কাউকে তো দেখতে পাচ্ছি না!
ইমরান যথেষ্ট ইতস্তত বোধ করলেও, রাশেদ তাকে সাদরে গ্রহণ করল। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর তিন বন্ধুতে আবার একসাথে দেখা হল!
: চল! ওপরে ফুড কোর্টে গিয়ে বসা যাক।
: তাই চল।...তারপর, কি খবর তোদের?
: খবরতো জবর! বিয়ে বাড়ি থেকে জামাই হাইজ্যাক করে নিয়ে আসছি!
: কি বলিস! আজকে ইমরানের বিয়ে! কিন্তু ও কোথায় গেল? দেখছি নাতো!
: ওই তো...দেখ...দেখ! পাগলের মত হন্যে হয়ে খুঁজছে!
: বুঝতে পেরেছি। তুই ওকে নিয়ে আয়। আমি ওপরে গেলাম।

রাশেদ খুব মজা করে পিৎজা খাচ্ছে। রাহাত আর ইমরান ফ্যালফ্যাল করে ওর দিকে তাকিয়ে রইল।
: রাশেদ, তুই কি আমাদের এখানে... পিৎজা খাওয়ার জন্য আসতে বলেছিস! আমি বাড়িভর্তি লোকজনের ভিড়ের মধ্যে থেকে ইমরান কে একরকম জোর করে....
: অত কথার দরকার নাই!... নীরা কোথায়?
: তোরা দুইজন এত অস্থির হচ্ছিস কেন? খেয়ে নি, তারপর সব বলছি।
: আমরা এখানে তোর খাওয়া দেখতে আসিনি! আমাকে বললি নীরার সাথে ইমরানের দেখা করিয়ে দিবি। আমি না থাকলে, ও আসতে চাইবে না। তাই আমি যেন ওকে নিয়ে আসি। কিন্তু এখন তো দেখছি....
: তোরা আসার কিছুক্ষণ আগেও নীরা আমার সাথেই ছিল। কিন্তু...
: তাহলে, এখন কোথায় গেল? তুই যে মিথ্যা বলছিস না, সেটাও বা বুঝব কি করে!
: আজ পাঁচ বছর ধরে নীরার সাথে আমার কোন যোগাযোগ ছিল না। বলতে পারিস, ইচ্ছা করেই রাখিনি। আমার উপর যথেষ্ট চাপ ছিল। চাচার জন্যই।
: ওই টা একটা অমানুষ!
: হুম, রাগ করে তোদের কাছ থেকেও দূরে সরে গেছি। কারো কোন খবর রাখিনি। এমনকি ফোন নাম্বারটাও চেঞ্জ করে ফেলেছিলাম। একটা চাকরি পেয়ে গেলাম। বদলীর চাকরি। নতুন নতুন জায়গায় যাওয়ার সুবাদে, সবার কাছ থেকে যেমন দূরে থাকা যেত তেমনি সবকিছু ভুলেও থাকা যেত। গ্রামে যাওয়া একরকম বন্ধই করে দিলাম। শুধু মার সাথেই যোগাযোগ রাখতাম। খবর পেতাম, মাঝে মাঝে অপরিচিত লোক গিয়ে গ্রামে খোঁজ খবর করত। বুঝতে পারতাম, এইটা ইমরানের কাজ।
: কিন্তু নীরা তো গ্রামে ছিল না! সবাই বলত, ও নাকি গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে।
: ঠিকই শুনেছিস। কিন্তু কোথায় ছিল, তা কেউ জানতনা। আমার ধারনা, চাচা হয়ত জানত। কিন্তু বলত না। আমি নিজে কখনো খবরাখবর নিতে চাইনি।
: আর গ্রামের লোকজন যে সমস্ত জায়গায় পাওয়া যাবে বলে ধারনা করত, আমি সেখানেও খোঁজ লাগাতাম। মাঝেমধ্যে আমি নিজেও অনেক জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু ওর দেখা কখনো পায়নি। আর তোদের গ্রামেও আমি কখনো যায়নি।
: সেই নীরার সাথে আজ থেকে তিন দিন আগে হঠাৎ দেখা!
: কোথায়! কিভাবে!
: আমি এখানে বদলি হয়ে এসছি দিন তিনেক হল। যদিও আসার ইচ্ছা ছিল না। আসার সময় ঘটনাচক্রে মাঝপথে ওর সাথে দেখা। ও, একটা এন জি ও তে জব করছে। তার কিসব ট্রেনিং ছিল এখানে।
: শোন, অনেক হয়েছে! ইতিহাস বাদ দে। নীরা এখন কোথায়? বললি, একটু আগেই তোর সাথে ছিল! তাহলে এখন নাই কেন? ওকে যেতে দিলি কেন?
: অনেক করে বলেছি, কিন্তু শুনল না। দেখা করতে এসে, কেন যে হঠাৎ মাইন্ড চেঞ্জ করল! জানিনা.....আর যাওয়ার সময় এই খামটা তোকে দিতে বলে গেছে।
: এইসব কি হচ্ছেরে রাশেদ! কিছুইতো বুঝতে পারছিনা!
: তোর কিছু বুঝতে হবে না, রাহাত। চল, এখন যাওয়া যাক।

বাকরুদ্ধ ইমরান ফুড কোর্টে আরো বেশ কিছুক্ষণ বসে রইল খামটি হাতে নিয়ে। খুলে দেখার কোন প্রবৃত্তিই হল না তার।
ধীরে ধীরে সে নেমে এসে গাড়িতে বসল। স্টার্ট দিয়ে আরো কিছু সময় বসে রইল। ঘোর কিছুতেই কাটছে না। এইবার মনে হতেই খামটা খুলে দেখল। ভিতরে থাকা চিঠিটি পড়ল। একবার নয়, দুইবার।

নীরা কেন তুমি এমন করলে? কেন? ভেবেছিলাম, এতদিনের অপেক্ষার প্রহর বুঝি শেষ হতে চলল। আমার সমস্ত হৃদয় সেইদিনের সে সন্ধ্যা বেলায় যে দ্বিধা আর রহস্যের আঁধারে নিমজ্জিত করে দিয়েছিলে, আজও তুমি তার পুনরাবৃত্তি করলে! অন্ধকারাচ্ছন্ন গুহায় কোন পথহারা পথিক মুমূর্ষু অবস্হায় যখন সব আশার জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়, তখন দূর হতে হঠাৎ আলোর দেখা পেলে নব উদ্যমে আবার যাত্রা শুরু করে। পেছনের সব কষ্ট, সকল পিছুটান তার কাছে তখন হার মেনে নেয়। আজও তেমনি তোমার আগমনবার্তা আমাকে তোমার কাছে টেনে এনেছে। যে অব্যক্ততা আর অপূর্ণতা কে খুঁজে বেড়িয়েছি গত পাঁচটি বছর, আজকের এই আকস্মিকতা আমাকে বারবার আশ্বাস দিচ্ছিল তার অবসানের। কিন্তু কি হল? আরো আকস্মিকতার চোরাবালিতে ডুবিয়ে দিয়ে গেলে!

কি কথা বলার ছিল তোমার? কি সেই না বলা ভাষা? কেন তুমি তা বলতে এসে, আজও কোন এক অজানা অপারগতার কারন দেখিয়ে হারিয়ে গেলে সেদিনের মত? একবারো জানতে চাইলে না আমার কথা। মনে হল না, আমি কি চাই! আর কেউ না জানুক, আমি তো জানি। তোমার সমস্ত হৃদয়, ভোরের শুভ্র শিশিরের মত। রৌদ্রের প্রখরতায় তা কখনোই নিঃশেষ হবে না। সর্বদাই অমলিন, অক্ষয়।তাই যত যাই হোক, নতুন করে অপেক্ষার প্রহর গুনতে তৈরি আমি। যদি কখনো তোমার দেখা পাই, আমি আবারো জানতে চাইব সেই অজানা অব্যক্ততা। ভাঙ্গতে চাই এই দ্বিধার দেয়াল। আমার এই অনুভূতির মূল্য তোমার কাছে কতখানি, জানি না! যা তুমি জানতে চাওনি, আর জানতেও পারলে না। তবুও আমি থাকব, তোমার অপেক্ষায়।.....
.....কিছুদুর গিয়ে ইমরান গাড়ির এফ. এম. টা অন করল। রবীন্দ্র সংগীত চলছিল তখন...." মনে কি দ্বিধা রেখে গেলে চলে, সেদিন ভরা সাঁজে...."

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ঈদ মোবারক,
ঈদ আনন্দ লেগে থাকুক বারমাস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.