![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। https://www.facebook.com/nana.bhai.5209
দেশের স্বাস্থ্য সেবার প্রতি মন্ত্রীদেরই আস্থা নেই। এমনকি খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মজিবর রহমান ফকির সব সময়ই বিদেশে চিকিৎসা করান। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৩ জন পুর্ণ মন্ত্রীও জনগণের অর্থে চিকিৎসা নেন বিদেশে।
আওয়ামী লীগ সরকার মন্ত্রীদের চিকিৎসার জন্য এক কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় করে যা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দ্বিগুণ। মন্ত্রীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। তবে তারা স্থানীয় চিকিৎসার চেয়ে বিদেশে চিকিৎসাকেই পছন্দ করেন। দেশের হাসপাতালগুলোতে তারা নিরাপদ বোধ করেন না। এতে মানুষ মন্ত্রীদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সিটিজেন রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুষার রেহমান বলেছেন, দেশে স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ থাকার পরও মন্ত্রীদের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার অধিকার নেই। তাদের বিদেশে চিকিৎসা নেয়াই প্রমাণ করে তারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যর্থ হচ্ছেন।
সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, স্থানীয় চিকিৎসা সেবার প্রতি মন্ত্রীদের আস্থা নেই বলেই তারা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান। মন্ত্রীদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরিবর্তে সরকারের উচিৎ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
এখন সবারই জানা যে, দেশের স্বাস্থ্য খাতে অচলাবস্থা রয়েছে যদিও বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যেকোন মানুষের জন্য এখন হাসপাতালে চিকিসা নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। দরিদ্র রোগীদের জন্য বরাদ্দ ওষুধ বাইরে বিক্রি হচ্ছে। অস্ত্রোপচারের জন্য এখন সবকিছুই রোগীর কিনে দিতে হয়। সরকারী হাসপাতালে ভর্তির জন্য শয্যা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
হাসপাতালকে ঘিরে নানা ধরণের টাউট রোগী ও তাদের সহযোগীদের নানাভাবে যন্ত্রণা দেয়। অভিজাত বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া সাধারণ মানুষের জন্য স্বপ্নের ব্যাপার।
২০০৯ সাল থেকে ৮ জন মন্ত্রী ও ৫ জন প্রতিমন্ত্রী জনগণের অর্থে বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন এ সময়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ৬০৪ টাকা নিয়েছেন। এ সময়ে মন্ত্রীদের মধ্যে তার চিকিৎসা ব্যয়ই সবচেয়ে বেশী। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকিরের ব্যয় দ্বিতীয় স্থানে। তিনি নিয়েছেন ৩৫ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৯ টাকা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে এডভোকেট সাহারা খাতুন বাথরুমে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়ে প্রথমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. রুহুল হকের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে চিকিৎসকের সুপারিশ ছাড়াই তিনি সিঙ্গাপুর চলে যান।
মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আব্দুল রতিফ বিশ্বাস বিদেশে চিকিৎসার জন্য ২৯ লাখ ৭০ হাজার ৪৯৭ টাকা নেন। অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত নিয়েছেন ২৩ লাখ ৫ হাজার ১১৫ টাকা। সমাজ কল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মো¯ত্মফা শহীদের চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৫৭২ টাকা। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া নিয়েছেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার ২১০ টাকা। সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমদ মানকিনের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯০ টাকা। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান নিয়েছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬১ টাকা। সাংস্কৃতিক মন্ত্রীর পেছনে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৮ টাকা। শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া ২ লাখ ১৮ হাজার ৪১৯ টাকা এবং পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার ২ লাখ ৯১২ টাকা নিয়েছেন।
বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শাসনামলে মন্ত্রী ও সরকারের সাথে যুক্তদের চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয়েছিল ৬৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬ টাকা। বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরী চিকিৎসার জন্য ১১ লাখ ২০ হাজার ৭৯৬ টাকা নিয়েছিলেন। সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী সেলিমা রহমান এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদের পেছনে ব্যয় হয়েছিল ৩ লাখ টাকা করে। খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ নিয়েছিলেন ২ লাখ টাকা। কৃষিমন্ত্রী ও জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর পেছনে ব্যয় হয় এক লাখ ২৭ হাজার ৪৯২ টাকা। ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিসায় ব্যয় হয় ৪২ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
Click This Link
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি !!
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৫
নানাভাই বলেছেন: ঠিক কিচেন।
পিলাচ মারলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
ননদালীনাজ বলেছেন: সেলুকাস !