![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। https://www.facebook.com/nana.bhai.5209
নেশার জগতে নতুন নাম ‘ক্যাটামিন’। গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল, পেথিডিন, ইয়াবার পর ক্যাটামিন যুক্ত হয়েছে নেশার রাজ্যে। মাদক ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা নতুন এই নেশাকে অভিহিত করেছেন ‘রেভ ড্রাগ’ ও ‘ক্লাব ড্রাগ’ হিসেবে। হেরোইন সদৃশ এই নেশা জাতীয় পাউডার নেশার জগতে নিয়ে এসেছে নতুন আতঙ্ক। বন, জঙ্গল, চিড়িয়াখানায় হিংস্র ও ভয়ানক পশুকে বশে আনা ও চিকিৎসার প্রয়োজনে এই
পাউডার ব্যবহার হয়। সিরিঞ্জ গান ব্যবহার করে পশুর শরীরে পুশ করা হয় চেতনানাশক তরল ক্যাটামিন। এতে হিংস্র পশু কিছুক্ষণের জন্য চোখে ঝাপসা দেখে। অল্প সময়ে ঝিমিয়ে পড়ে। শরীর নেতিয়ে পড়লে চলে যায় ঘুমের রাজ্যে। হিংস্র পশুকে বশ করা এই নেশা ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক গ্রহণকারীদের মাঝে। তরুণ-তরুণী ও কিশোর- কিশোরীরা নেশাগ্রস্ত হওয়ার জন্য দেদারসে ব্যবহার করছে তা। যে কোন পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হচ্ছে ভয়ঙ্কর এই নেশা জাতীয় দ্রব্য। মাদকের প্রচলিত আইনে ক্যাটামিনকে এখনও নেশা জাতীয় দ্রব্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ বিষয়ে নেই কোন তৎপরতা। আর এই সুযোগটিই নিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ক্যাটামিন এখন ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ডিসকো ও ডিজে পার্টিতে। নেশায় বুঁদ হচ্ছে তরুণসমাজ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তরুণ-তরুণী ও অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েরা খুব দ্রুতই এই নেশার প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ক্যাটামিন বিক্রি নিষিদ্ধ। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে তা বিক্রি হচ্ছে কোন নিয়ম না মেনেই। মাদক ব্যবসায়ীরা অসাধু ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে তা চড়া দামে বিক্রি করছে মহাখালীর কড়াইল বস্তি, হাজারীবাগ সুইপার কলোনি, মিরপুর, বাড্ডাসহ অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী ও ধানমন্ডিতে। প্রতি কেজি ক্যাটামিন বিক্রি হচ্ছে ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকায়। তবে নেশাগ্রস্তদের কাছে তা বিক্রি হয় পুরিয়া হিসেবে। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতি পুরিয়া ক্যাটামিন বিক্রি করছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি সার্জন ডা. নাজমুল হুদা মানবজমিনকে বলেন, ক্যাটামিন একটি ভেটেরিনারি প্রডাক্ট। কুকুর জাতীয় প্রাণী ছাড়া তৃণভোজী ও মাংসাশী পশুদের জটিল অপারেশন, চিকিৎসা বা বশে আনার প্রয়োজনে আমরা এই পাউডার ব্যবহার করি। বাঘ, সিংহ, হাতি, ভালুকসহ অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে প্রাণীর ওজন ও ভারসাম্যের ওপর ক্যাটামিন ব্যবহার করতে হয়। ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকাটা জরুরি। পরিমাণে কম-বেশি হলে প্রাণীর জন্য তা হবে ক্ষতিকর। আর মানুষ যদি নেশার জন্য তা ব্যবহার করে হয়তো সাময়িক আনন্দ হবে। তবে এর পরিণতি ভয়াবহ।
মাদক ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্যাটামিনের প্রভাব ভয়াভহ আকার ধারণ করবে। মরণনেশা হেরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবার মতোই তা তরুণসমাজকে ধ্বংস করবে। তারা বলছেন ক্যাটামিন একটানা ব্যবহারে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়া, লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, কিডনি ড্যামেজ, যৌনক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, মানসিক সমস্যার মতো ভয়ঙ্কর রোগ সৃষ্টি করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ক্যাটামিনকে দেশের প্রচলিত শাস্তিযোগ্য অন্যান্য মাদকদ্রব্যের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা এ বিষয়ে মানবজমিনকে বলেন, নেশার জগতে এটি নতুন। পশু-পাখিদের জন্য ব্যবহার করা এই ওষুধ তরুণ- তরুণীদের নেশা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দীর্ঘমেয়াদি ক্যাটামিন ব্যবহারে দৃষ্টিভ্রম, কিডনি, লিভারের জটিল সমস্যাসহ অন্যান্য মাদকের মতোই তা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্যাটামিনকে প্রচলিত মাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। তবে সবার আগে জরুরি জনসচেতনতা। এজন্য বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম করে এর ভয়াবহতা কিশোর-কিশোরী ও তরুণসমাজের সামনে তুলে ধরতে হবে।
পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন হওয়াটা একান্ত জরুরি। এ বিষয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব)’র আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, মাদক নির্মূলে আমরা সবসময়ই তৎপর। ক্যাটামিন নামক নেশার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে এখনও কোন নির্দেশনা পাইনি। পেলে অবশ্যই জরুরি পদক্ষেপ নেবো।
মানবজমিন
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজিব!!!
মানুষ আর কিছূই ছাড়ছে না!!!!!
প্রাণী জগতে না জানি কবে গালি দেবে একে অন্যকে- যা তুই মানুষদের মতো হয়ে গেছিস!!!!!!!!!
এই নেশার ব্যবসায়ীরাতো বাইরের কেউ না। এই দেশেরই। তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেয়া হোক।
স্রেফ টাকার জন্য একটা জেনারেশনকে কে তারা অধঃপতে পাঠাবার মাধ্যমে নিজের উন্নতি খুজছে!!!!!
রাঘব বোয়াল কি ধরা ছোঁয়ার বাইরের কিছু?
আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কি ধরতে পারেনা?
রাজনীতিবিদরা কি পুষ্ঠপোষকতা না করে পারে না!!!
মিডিয়া মুঘল রা কি করে?
এ নিয়ে ধারাবাহিক অনুস্ধনানী প্রতিবেদনের পাশাপাশি নেশা প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক কাজ কই???????
সবাই কেমন গা বাঁচিয়ে দায়সারা চলছে!!!!!!
কেন ? কেন? কেন?
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
নামহীন একজন বলেছেন: আল্লাহ্ই জানে কবে কুকুর, বিড়াল, গরুর গোবর নেশা হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়!!! শেষে দেখা যাবে মানুষের গু থেকেও নেশা করা শুরু হয়ে গেছে !
একজন রাতের আধারে খোলা মাঠে ময়দানে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে যাবে অন্যজন তা চুরি করে নিয়ে পালাবে।
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
শূন্য পথিক বলেছেন: নামহীন একজন বলেছেন: .........শেষে দেখা যাবে মানুষের গু থেকেও নেশা করা শুরু হয়ে গেছে !
সেই দিন আমার এক বন্ধুকে বলাছিলাম এই কথাটা!
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
আকরাম বলেছেন: সত্য মিথ্যা জানি না, এক সময় শুনেছিলাম টিকটিকি লেজ পুড়িয়ে নাকি নেশা করে অনেকে!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: আমি খুজতেছি সার্জেরির জন্য, পাইনা। আর খোরগুলা স হজেই পায়, আজব