![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। https://www.facebook.com/nana.bhai.5209
মাত্র ১শ’ টাকা না দিতে পারায় লাশ নামানোর স্ট্রেচার দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে নিরুপায় হয়ে চতুর্থ তলা থেকে মায়ের লাশ কাঁধে করে নিচ তলায় নামিয়েছেন এক হতভাগা ছেলে।
বৃহস্পতিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে এ ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠেছে সর্বত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, লালমনিরহাটের বাড়াইপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা নছিরন অসুস্থ অবস্থায় বুধবার বিকেলে রংপুরে আসেন চিকিৎসা নিতে। চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে তাকে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সেই সাথে তাকে দ্রæত অক্সিজেন দেয়ার পরামর্শ দেন।
পরামর্শ অনুযায়ী নছিরনকে রমেকের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয় বুধবার সন্ধ্যায়। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত বার বার কাকুতি-মিনতি করার পরেও হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়নি। ফলে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান নছিরন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মৃত নছিরনের লাশ হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে নিচে নামিয়ে আনার জন্য কর্মচারীদের অনুরোধ করা হলে তারা একশ’ টাকা দাবি করে। দাবিকরা টাকা দিতে না পারায় তারা স্ট্রেচার দেয়নি নিহতের স্বজনদের। শেষ পর্যন্ত কাঁধে করে লাশ নিয়ে নিচে নামিয়ে আনে হতভাগা শরিফুল।
এদিকে, চিকিৎসার জন্য টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে হতদরিদ্র নছিরনের স্বজনরা। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের সামনেই মায়ের লাশ নিয়ে ছেলে শফিকুল ভিক্ষা শুরু করে। তার কাকুতি-মিনতিতে অনেকেরই মন গলে। দিনভর লাশ সামনে রেখে ভিক্ষা করে টাকা সংগ্রহ করে তার ছেলে ও স্বজনরা। পরে সে টাকায় লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ছেলে শফিকুল জানান, সন্ধ্যা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত তার মা শ্বাসকষ্টে কাহিল হয়ে পড়ে। বার বার কাকুতি-মিনতি করার পরেও অক্সিজেন দেয়া হয়নি। রাত তিনটায় এক চিকিৎসক চিরকুটে ট্যাবলেটের নাম লিখে বাইরে থেকে আনতে বলেন। অনেক কষ্টে ওষুধ নিয়ে এসে খাওয়ানোর পর আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন তার মা। ভোরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
শফিকুল দাবি করেন, চিকিৎসকদের অবহেলা আর বিনা চিকিৎসায় তার মার মৃত্যু হয়েছে। তাদের সহায়-সম্বল কিছুই নেই। যে টাকা নিয়ে এসেছিলো বাইরে থেকে ওষুধ কিনেই তা ফুরিয়ে গেছে। লাশ বাড়িতে নেয়ার মতো কোনো টাকা নেই। তাই বাধ্য হয়ে মায়ের লাশ নিয়ে ভিক্ষা করতে বসতে হয়েছে।
এদিকে মায়ের মৃত্যুর পর শফিকুলের আহাজারিতে হাসপাতালের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। মায়ের লাশ নিয়ে কাঁদতে দেখে অনেক রোগী ও তাদের স্বজনরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত তিন হাজার টাকা সংগ্রহ করে শফিকুল তা দিয়ে মাইক্রোবাস ভাড়া করে। পরে মায়ের লাশ নিয়ে রওনা দেয় বাড়ির দিকে।
এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উৎসঃ ঢাকাটাইমস২৪
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
নানাভাই বলেছেন: থান্কু, আপুনি!
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: কুত্তার বাচ্চা গুলা ডাক্তার হয় কীভাবে? মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় মানুষের বাচ্চা স্ক্যান করার কোন সিস্টেম নাই, এজন্য।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
নানাভাই বলেছেন: ভাষা নাই!
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: কুত্তার বাচ্চা গুলা ডাক্তার হয় কীভাবে? মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় মানুষের বাচ্চা স্ক্যান করার কোন সিস্টেম নাই, এজন্য।
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: কুশিক্ষিত ভন্ডদের দ্বারা দেশটা ভরে গেছে, ফলে এরকম ঘটনা ঘটছে অহরহ . . . !!
কোনো মানব সমাজ যদি দীর্ঘ দিন ধরে দরিদ্র, অশিক্ষিত, যথাযথ কর্ম-সংস্থানহীন, নৈতিক অবক্ষয়-এর মধ্যে থাকে তবে সেই সমাজ ধীরে ধীরে ধংসপ্রাপ্ত হয় - জাতি পরিনত হয় হতদরিদ্র, কুশিক্ষিত, লোভী আর দুর্নীতিপ্রিয় এক অসভ্য সমাজে। বাংলাদেশেও এই প্রক্রিয়ার প্রভাব যথেষ্ট ক্রিয়াশীল। ফলে আজ সৎ সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। প্রচলিত কুশিক্ষা, অনৈতিক লোভ-লালসার সংষ্কৃতি আর পদ্ধতিকরণকৃত দূর্নীতির আবাধ চর্চার ক্ষেত্রকে সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে দীর্ঘ মেয়াদি বৃহত্তর পরিকল্পনার অধীনে ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগে প্রস্তুত থাকতে হবে। সুযোগ করে দিতে হবে মানুষের ভিতরের সৎ-সুন্দর-মানবিকতাকে লালন-পালন-চর্চা করার।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
নানাভাই বলেছেন: সহমত।
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
তিক্তভাষী বলেছেন: মানুষ নামের অমানুষ চারদিকে!
ঠিকই বলেছেন। সামান্য একশ' টাকার জন্য ওরা এতো অসভ্য, হৃদয়হীনের মতো আচরণ করতে পারে?
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০০
দার্শনিক ফিনিক্স বলেছেন: ব্যাপারটা দুঃখজনক.কিন্ত খবরটা ভুলভাবে প্রকাশিত হয়েছে. কর্মচারীরা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ না,এরা বকশিশ দাবি করলে এর দায় কর্তৃপক্ষের না.
ইদানিং একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে যে রোগী মারা গেলেই ডাক্তারকে দোষ দেওয়া হয়,এখানেও ব্যাপারটাকে এভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে(অষুধ খেয়ে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে গেছে,এই টাইপের কথা).অথচ বাস্তবে রোগীর অবস্থা ভয়াবহ ধরনের খারাপ না হওয়া পর্যন্ত দরিদ্র শ্রেণীর লোকেরা হাসপাতালে আসেননা,ফলস্বরূপ অনেকক্ষেত্রেই রোগির জীবন বাচানো সম্ভব হয়না.
তবে অক্সিজেনের ব্যাপারটা বিস্তারিত জানা উচিৎ.কারণ হাসপাতালে অক্সিজেনের সরকারি সাপ্লাই নাও থাকতে পারে
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া নিউজটা দেখে ঢুকেছিলাম তোমার ব্লগে! কিছু মানুষের কর্মকান্ডে পশুও যেন লজ্জা পায়!
যাই হোক, শুভ জন্মদিন ভাইয়া!