নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন মানে হয় না...

আকডুম বাকডুম

আকডুম বাকডুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরিফ ভাই আমাকে ক্ষমা করবেন আপনার সাথে আমি পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:২০

আরিফ ভাইয়ের পোস্ট

(মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে তাই পোস্টকারে দিলাম)



আপনি যাদেরকে দানব বলছেন তারা সাই-ফাই সিনেমার মতো ভিনগ্রহ থেকে আগত কোন অ্যালিয়েন না। তারা আমাদেরই কারো সন্তান, ভাই, ভাগ্নে অথবা ভাতিজা। তারাও মানুষ। তারাও আমাদের মত ভূল করে, অপরাধ করে। যে ভুল বা অপরাধের জন্য আপনি তাদেরকে মানব থেকে দানবে নামিয়ে নিয়ে এসেছেন- আপনার এই লেখায় তা যথেষ্ট বোধগম্য হয়নি। আপনার এই লেখা নিছক ক্ষণিকের আবেগ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি। যথেষ্ট যুক্তি এবং তথ্যের অভাবে আপনার মত যুক্তিবাদী একজন এক্স সাংবাদিকের এই লেখাটা পুরেটাই খেলো মনে হল।



বর্তমান এই আর্মি ব্যাকড সরকারের অনেককিছু সমর্থনযোগ্য নয় এটা যেমন ঠিক তেমনি আবেগের ফুলঝুড়ি দিয়ে রুপকথার কাব্য রচনা করে তাদের বিরূদ্বে আদাজল খেয়ে নেমে পড়ব এতটা অবিবেচক কি আমাদের হওয়া উচিত যেখানে হাসিনা খালেদার স্বর্ণযুগের সোনালী দিনগুলির স্মৃতি এখনো তরতাজা।



সত্য যত কঠিনই হোক, পরিণতি যত ভয়ংকর হোক- সেটা প্রকাশ করতে যারা শুভানুধ্যায়ীর পরামর্শে পিছুপা হয়, তাদেরকে আমি ঝোপ বুঝে কুপ মারা সুবিধাবাদী ছাড়া আর কিছুই বলব না।



আমাদের লজ্জাশরম আসলে হয় কম অথবা আমাদের স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত দূর্বল। নাহলে যাদের জন্য বাব বার চ্যাম্পিয়ন হই তাদের জন্য আমাদের অন্তর এত হাহাকার করত না (আপনাকে মিন করি নাই, হাসিনা খালেদার জন্য জেলের তালা ভাঙ্গার শপথ দেখে মনে পড়ল) । ক্ষমতায় যেতে হরতালকে সফল করতে ভয় তৈরির জন্য বাসের ভেতরে সাধারণ যাত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মানব কয়লা বানিয়ে ফেলা; অফিস যাত্রীকে ন্যাংটা করে রাস্তায় ছেড়া দেয়া; সরকারের সমর্থক সংসদ সদস্যর প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্র প্রদর্শন, ধর্মীয় উগ্রবাদীদের সাথে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীদের ঘনিষ্ট যোগাযোগ,মন্ত্রী- প্রধানম্ত্রীর ছেলে সদলবলে মিছিল সহকারে প্রতিযোগীতার মনোভাব নিয়ে দূনীতিতে ঝাপিয়ে পড়া....; প্রকাশ্যদিবালোকে পিঠিয়ে মানুষ হত্যা..সবকিছু আমরা ভুলে যাই। ভুলে যাই হরতালের দিন সময়মতো হাসপাতালে যেতে না পেরে কত সাধারণলোক যে মারা গেছে তাদের কথা। আরিফ ভাই আপনার হয়ত সমস্যা হয়নি-

কারণ সাংবাদিকের গাড়ী হরতালে আওতামুক্ত থাকে ।



যাইহোক..হেলমেট না পরে বাইক চালানো কার জন্য বিপদজনক? অবশ্যই যে বাইক চালায় তার জন্য। বয়স্ক লোকের কান ধরে উঠবস করাটা আবেগের দৃষ্টিতে খারাপ লাগে। যুক্তিতে গেলে হয়ত উল্টাটা। ঐ ভদ্রলোকের শাস্তি দেখে অন্তত কয়েকজনলোক যদি লজ্জা পেয়ে নিয়মিত হেলমেট পরে...সেদিকটা কি আপনি চিন্তা করে দেখেছেন?

( প্রসঙ্গত উল্লেখ করি, বছর কয়েক আগে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এক মন্ত্রীকে পুরো পোষাক খুলে অ্যামেরিকার অ্যায়ারপোর্টে তল্লাশী করা হয়েছিল- এটার উদ্দেশ্য কি ছিল, নিছক অপমান না কি অন্যকিছু?)



তাসনিম খলিলের ব্যাপারটি দূ:খজনক। নেটে প্রতিদিন নামে বেনামে সরকারে বিরুদ্বে কতকিছু প্রকাশিত হচ্ছে। তাদের পরিণতি তাসনিম সাহেবের মত হচ্ছে বলে শুনিনি। আপনার জানা থাকলে কাইন্ডলি জানাবেন।



সবশেষে আবারো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যদি নিজের অজান্তে কোনভাবে আপনাকে কষ্ট দিই।



মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১১/-৬

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:২৩

আরিফুর রহমান বলেছেন: তারা আমাদেরই কারো সন্তান, ভাই, ভাগ্নে অথবা ভাতিজা। তারাও মানুষ।

এই একই ধান্ধাবাজি করে রাজাকার/দালাল গুলিকে বাঁচিয়ে দেয়া হয়েছিলো ৭১এ।

এখনো একই সুর।

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:২৭

আকডুম বাকডুম বলেছেন: মতামতের এবং মাইনাসের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:২৫

হুমমম... বলেছেন: আরিফ কবে যুক্তিবাদী ছিলো? হেয় তো গায়ের জোরে কথা কয়। আর চাপা মারে। হোহোহো :)

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:২৮

আকডুম বাকডুম বলেছেন: ব্যক্তি আক্রমন আমার উদ্দেশ্য নয়।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:২৫

আরিফুর রহমান বলেছেন: বয়স্ক লোকের কান ধরে উঠবস করাটা আবেগের দৃষ্টিতে খারাপ লাগে। যুক্তিতে গেলে হয়ত উল্টাটা। ঐ ভদ্রলোকের শাস্তি দেখে অন্তত কয়েকজনলোক যদি লজ্জা পেয়ে নিয়মিত হেলমেট পরে..

তোমাদের হাতে ক্ষমতা গেলে দেশের কি হাল হবে এজাতীয় কথাবার্তায় তা প্রতীয়মান হয়।

আতঙ্কের কথা!

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৩১

আকডুম বাকডুম বলেছেন: আমি কোন দলে নেই।
আর আপনি আমার সম্পকে আগে থেকেই একটা বাজে ধারণা নিয়ে বসে আছেন মনে হচ্ছে।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৪২

আরিফ জেবতিক বলেছেন: প্রিয় আকডুম বাকডুম ,
পোস্টের কিছু বিষয়ে আমি ঠিকমতো কমিউনিকেট করতে পারিনি মনে হচ্ছে ।
আবার চেষ্টা করা যাক ।

১. প্রথম কথা হচ্ছে বাংলাদেশ আর্মির লোকজন আমাদের ভাই -বন্ধু-আত্মীয় এটা অস্বীকার করছি না । আফসোসের বিষয় হচ্ছে এটা আপনি যেভাবে দরদ দিয়ে বলছেন , তারা সেভাবে বলেন না । অথচ বলা উচিত উনাদের পক্ষ থেকেই বেশি , কারন ক্ষমতাটা উনারা প্রয়োগ করছেন , আমরা নই । আমরা উনাদেরকে প্রতিপক্ষ বানাতে আসিনি , উনাদের অনেকেই আমাদেরকে ক্রমে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলছেন ।

২. তাদের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নেমে পড়াটাও আমার উদ্দেশ্য নয় । " কাউন্টার একটিভ " থাকা মানে হচ্ছে তাদেরকে সবসময় চ্যালেঞ্জের মধ্যে রাখা । দূর্ণীতিবাজ-সন্ত্রাসীদের প্রতি তাদের আচরন আর নিরীহ জনসাধারনের সাথে আচরনকে একসূত্রে গাঁথা যাবে না । প্রথমটির জন্য আমরা তাদেরকে সাধুবাদ জানাতে পারি, কিন্তু একই সাথে দ্বিতীয়টির জন্য আমরা ক্রমাগত তাদেরকে সতর্ক করে রাখব ।


৩. বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আপনি যদি বদমাশ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমান পাল্লায় মাপেন , তাহলে সেটা আপনার পর্যবেক্ষনের প্রতি সুবিচার হবে না । রাজনৈতিক বদমাশদেরকে প্রতিরোধের ব্যর্থতা আমাদের গোটা জাতির ।

কিন্তু আর্মি একটি প্রতিষ্ঠিত বাহিনী , যারা প্রকারান্তরে আমাদের দেয়া বেতন ভোগ করে থাকেন । আমাদের বেতন খেয়ে উনারা আমাদেরকে পাহারা দেবেন ,এটাই উনাদের চাকুরির শর্ত ।
আমাদেরকে নির্যাতন করাটা উনাদের চাকুরির শর্ত নয় । এটা বারংবার তাদেরকে মনে করিয়ে দেয়াটা আমাদের দায়িত্ব ।

রাজনৈতিক দলগুলো বাসের ভেতর ২০ জন মানুষ পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে বলে আর্মি কিংবা পুলিশ ২ জন মানুষ রিক্সায় পুড়িয়ে মেরে ফেললে সেটা জায়েজ হয়ে যাবে , এমনটা আমি কখনোই বিশ্বাস করি না ।

দয়াকরে মনে রাখতে হবে আমাদের সকলের যে , দরজার ওপারেই মায়ানমার । বার্মার এই সামরিক জান্তাদের অমানুষিক গুন্ডামির আছর যাতে দরজার এপাশে আমাদের গরীব দেশটির উপর না পড়ে সেটা দেখার দায় নাগরিক হিসেবে আমার আপনার সকলেরই ।



২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:১৮

আকডুম বাকডুম বলেছেন: আরিফ ভাই বির্তকের জন্য বা বিতর্ক করতে আসিনি।
আমি আর্মির পক্ষে সাফাই গাইতেও আসিনি।
আপনি যে দেশ বা সমাজের আমিও তাই।
উনারা কিভাবে আমাদের প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে সেটা একই সমাজে থেকেও আমি বুঝতে পারছি না ( এটা আমার অক্ষমতা হিসেবে ধরে নিলাম)।


যাইহোক.....ভাল থাকবেন।




৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৩৪

মাইনুল বলেছেন: আসলে আইন বহির্ভুত যেকোন জিনিস ই খারাপ । ওই যে বয়স্ক লোকটিকে কান ধরে উঠাবসা করা হয়েছিল এট কিন্তু গুলি করে মেরে ফেলার চেয়েই অপমান জনক। আর তাসনিম খলিল বা রেজোয়ানের উপর যা করা হয়েছে তাও অমানবিক। আর হরতালে মানুষ পুড়িয়ে মারা বা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারা মানবতার জন্য কলঙ্ক। বোমা মেরে নিরীহ মানুষ হত্যা করা জঘন্য।
আমার মতামত হচ্ছে এইগুলি যারাই করুক, যেই সরকারের আমলেই করুক তারাই অমানুষ তারা গনতান্ত্রিক ই হোক আর সামরিক ই হোক বা যেই তান্ত্রিক ই হোক। তাদের সবার ই শাস্তি হওয়া উচিত ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৪১

আকডুম বাকডুম বলেছেন: ওই যে বয়স্ক লোকটিকে কান ধরে উঠাবসা করা হয়েছিল এট কিন্তু গুলি করে মেরে ফেলার চেয়েই অপমান জনক।

আপনি হলে কি করতেন?

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৩৫

আকডুম বাকডুম বলেছেন: আরিফ ভাইয়ের দানবের জঙ্গল
আমার কাছে হাসিনা-খালেদা-নিজামীর মানবীয় জঙ্গল থেকে অন্তত ১ মিমি বেশী ভাল মনে হওয়াতে এই পোস্ট।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৪১

অমিত বলেছেন: আপনি যাদেরকে দানব বলছেন তারা সাই-ফাই সিনেমার মতো ভিনগ্রহ থেকে আগত কোন অ্যালিয়েন না। তারা আমাদেরই কারো সন্তান, ভাই, ভাগ্নে অথবা ভাতিজা। তারাও মানুষ। তারাও আমাদের মত ভূল করে, অপরাধ করে। যে ভুল বা অপরাধের জন্য আপনি তাদেরকে মানব থেকে দানবে নামিয়ে নিয়ে এসেছেন- আপনার এই লেখায় তা যথেষ্ট বোধগম্য হয়নি। ----
আর্মির ট্রেনিং এর মূল অংশ হচ্ছে কিভাবে একটা মানুষকে নির্ভুলভাবে, সর্বোচ্চ এফিশিয়েন্সি সহকারে মারা যায়। তাদের মানিবিল গুণাবলী গুলোকে আস্তে আস্তে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে সেটা সবচেয়ে বড় দূর্বলতা। সুতরাং আপনি ১০০জন অফিসার আর ১০০জন মানুষের মধ্যে স্যাম্পলিং করলে দানবের আধিক্য কার মধ্যে বেশি পাবেন বলে মনে হয় ? কেউ দানব হয়ে জন্মায় না, দানব হওয়ার জন্য তাকে যথেষ্ট ট্রেনিং এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

বয়স্ক লোকের কান ধরে উঠবস করাটা আবেগের দৃষ্টিতে খারাপ লাগে। যুক্তিতে গেলে হয়ত উল্টাটা। ঐ ভদ্রলোকের শাস্তি দেখে অন্তত কয়েকজনলোক যদি লজ্জা পেয়ে নিয়মিত হেলমেট পরে...সেদিকটা কি আপনি চিন্তা করে দেখেছেন?

অসাধারণ যুক্তি। তা চুরি করার জন্য তাহলে হাতও কেটে ফেলা উচিত কি বলেন ? আর মিথ্যা কথা বলার জন্য গলা কাটা !! হেলমেট না পড়ার জন্য কানধরে ওঠবসের শাস্তি কোন আইনে আছে বলবেন কি ?যেহেতু মার্শাল ল নাই দেশে, সুতরাং একজন ফিল্ডমার্শালেরও সাধ্য নাই হেলমেট না পড়ার জন্য একজন সিভিলিয়ানকে কিছু বলার। কাজটা সে করতে বাধ্য করছে তার বন্দুকের জোরে, সেটা একমাত্র মধ্যযুগীয় শাসন ব্যবস্থায় সম্ভব।

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:০৩

আকডুম বাকডুম বলেছেন: আপনার অতি অসাধারণ যুক্তির খোচায় আমি আপাতত ধরাশয়ী। :)
বেশ কিছু অসাধারণ তথ্য দেবার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৪৩

মাইনুল বলেছেন: দেশের প্রচলিত আইনেই তো করা যায়। আর প্রচলিত আইন যদি এনাফ না হয় আরো কঠোর আইন করা উচিত।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৪৪

ইয়র্কার বলেছেন: আর্মির দালাল এই পোড়ার দেশে সবসময়ই ছিলো

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৫২

এস্কিমো বলেছেন: খুবই হতাশ হলাম। নেটে বাংলা টাইপ করতে পারে এমন একজন শিক্ষিত মানুষ একজন বৃদ্ধকে কানধরে উঠা বসা করাকে সমর্থণ করতে পারে। ভাবতেই ভয় হয়।

আরিফ ভাই,

পাইকারী হারে রাজনৈতিক দলের দায় চাপিয়ে দেওয়া কি ঠিক। স্বাধীনতার পর অধিকাংশ সময় রাজনীতিকে নিয়ণ্ত্রন করেছে সেনাবাহিনী। গনতন্ত্রের বিকাশের পথ রুদ্ধ করে - কতগুলো নষ্ট মানুষকে টেনে সামনে এনেছে সেনাবাহিনীর ক্ষমতালোভীরা।

কতজনের নাম শুনতে চান -

বিগত সরকারের সবচেয়ে বড় নীতিনির্ধারক ১) সাকাচৌ আর ২) মওদুদ আহমেদ কি সেনাবাহিনীর সৃস্টি নয়।

এবার ওদের গারবেজ করে নতুন মুখের সন্ধান করা হয়েছে । লাভ হয়নি।


সেনাবাহিনীর এই দানবীয় ক্ষমতা যদি নিয়ষ্ত্রন না করা হয় তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যত এর চেয়ে ভাল হবে না।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৫০

হরিসূধন বলেছেন:

ভালো লিখেছেন। আমাদের দেশটাই হুজুগে চলে। আরিফ ভাই লেখক
তবে ভালো আওয়ামীলীগার দেশপ্রেমিক ও বটে। বাংলাদেশের বেশীর ভাগ সাংবাদিকই কোন না কোন দলের হয়ে লিখে। নিখাদ দেশ প্রেম নিয়ে লেখে না। তাদের ও দোষ দিবেন কিভাবে? দেশপ্রেমে নগদ কিছুই নাই। অথচ আপসোসের ব্যপার হলো আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে কিন্তু সেনা বাহিনীর বেশী অবদান। তার প্রমান আমাদের বীর শ্রেষ্টরা।

অথচ সাংবাদিক নামের কিছু লেখক আছে যারা সেনাবাহিনীই চায় না।
যে রকম চায় না আমাদের পাশের দেশের বন্ধুরা। এই আরিফ ভাই তখন কিন্তু কিছুই লিখে নাই যখন ৩০০/৪০০ টাকার চাল ১০০০ টাকার মুল্যে গিয়ে ঠেকে ছিলো বন্ধুত্বের বাজারে। কারন ?

এ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লিখে নিজে কে গনতন্ত্রমনার বড় মানবতাবাদী উপস্হাপন করে অনেকেই। কি কারনে রোগ হয়েছে তা কিন্তু দেখে ও দেখে না! বিপক্ষে যাওয়ার সম্ভবনা আছে তাই হয়তো।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৫৬

অমিত বলেছেন: হরিসূধন বলেছেন:

অথচ আপসোসের ব্যপার হলো আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে কিন্তু সেনা বাহিনীর বেশী অবদান। তার প্রমান আমাদের বীর শ্রেষ্টরা

কি আর কমু !!!

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৫৯

হরিসূধন বলেছেন:
এস্কিমো দা @ উপরের দুইজনের তালিকা ঠিক আছে? মদুদ এবংসাকা চৌধুরী জিয়ার আমলের আগে থেকেই রাজনীতিতে ছিলো।
তবে আমাদের দুই মহান নেত্রীর হাজারী, পিন্টু, সেলিম, শামীম, এ রকম হাজার তালিকা দেয়া যাবে তাদের তালিকাটা দিলে মনে হয় আরো ভালো হইতো আপনার মন্তব্য।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:০৪

হাসিব মাহমুদ বলেছেন: পোস্ট পড়লাম । আপনার সাথে যুক্তি তর্কে যাওয়া অর্থহীন ।

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:১৩

আরিফ জেবতিক বলেছেন: হরিসূদনের কমেন্টটিতে বেশ মজা পেলাম ।
এ ধরনের ট্যাগিং ইদানিং আমার নামে বেশ হচ্ছে , সুতরাং অভ্যস্ত হয়ে গেছি । তবু উনার জ্ঞানতৃষ্ঞা মেটানোর আকাংখায় উনাকে অবগত করতে চাই যে আমি কখনোই আওয়ামীলীগের সমর্থক ছিলাম না , আওয়ামীলীগকে ভোট দেই নি এবং নিকট ভবিষ্যতে তাদেরকে সমর্থন করার কোন যৌক্তিক সম্ভাবনাও দেখছি না ।

রোগের কারনটা সকলেরই জানা ,কিন্তু সেখান থেকে উত্তরনের জন্য কাউকে রাস্তায় কান ধরে উঠবস করাতে হবে , সেই যুক্তির ডালভাত আমি খাই না ।


@এস্কিমো ,
পাইকারী হারে দায়ভার যদি কারো থেকে থাকে তাহলে রাজনৈতিক দল কিংবা আর্মির নয় , আমাদের মতো নিরীহ জনগনের । আমাদের নিষ্ক্রীয়তার সুযোগেই এই বদমাশরা বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে চুষে ছিবড়ে বানিয়ে ফেলেছে ।

কিন্তু সাকা কিংবা মওদুদ কিন্তু সেনাবাহিনীর সৃষ্ঠি নয় । এরা আগে থেকেই রাজনীতিবিদ । ঠিক যেমনটি আসম আবদুর রব , মান্নান ভূইয়া , চিনি জাফর , মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরী ।
আর্মি এদেরকে নষ্ট করে নি , বরং উনারাই বিভিন্ন সময়ে আর্মি আসার পথ সুগম করে দিয়ে দেশকে লুটেপুটে খেয়েছেন ।
তাই রাজনীতিবিদদেরকেই বেশির ভাগ দায়ভার নিতে হবে বৈকি ।

খালেদা জিয়ার গোয়ার্তুমি না থাকলে ১/১১ এর সৃষ্ঠি হতো না । কিছু পাগল ছাগলকে নির্বাচন কমিশন আর দুদকে না বসিয়ে যদি ভালো মানুষ দেয়া যেত , তাহলে আর্মির ব্যারাক ছেড়ে বেরিয়ে আসার প্রেক্ষিত তৈরী হতো না ।









১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:১১

এস্কিমো বলেছেন: হরিসুদন - আমি একটু বিশেষায়িত করেছি "দুইজনকে" লক্ষ্য করবেন।

বিগত দুই সরকারের আমলে প্রচুর রাজনীতিবিদ সংসদে গেছে যাদের সংসদের দরজা মোছার যোগ্যতাও ছিলো না।

তাদের রাস্তা তৈরী করেছে মুলত সেনাশাসন।

আজও কি দেখছেন না একই খেলা। বাংলাদেশকে দূর্নীতি শীর্ষে নিতে যে মন্ত্রনালয় সবচেয়ে বেশী অবদান রেখেছে - সেই মন্ত্রী পর্দার আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছে আর নির্ববাচন কমিশন উদোর চিঠি বুদুরে পাঠাচ্ছে। এর দায় কি সেনাবাহিনীকে নিতে হবে না।

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:১৬

এস্কিমো বলেছেন: হুমম, হয়তো আপনিই ঠিক।

তবে সেনা গোয়েন্দার কাজটি কিন্তু রাজনীতিকদের নিয়ে খেলাধুলা করা। ওদের ভাগের যাতে কমতি না হয় - সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সেনাবাহিনী রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করবে।

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:২৩

আরিফ জেবতিক বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরিফ ভাই বির্তকের জন্য বা বিতর্ক করতে আসিনি।
আমি আর্মির পক্ষে সাফাই গাইতেও আসিনি।
আপনি যে দেশ বা সমাজের আমিও তাই।
উনারা কিভাবে আমাদের প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে সেটা একই সমাজে থেকেও আমি বুঝতে পারছি না ( এটা আমার অক্ষমতা হিসেবে ধরে নিলাম)।


----------

যতোদিন বুঝতে পারবেন না , ততোদিনই আরামে থাকবেন রে ভাই ।
আরামে থাকাটাই মূল কথা ।

ভালো থাকুন ।
আমার পোস্ট পড়ে কষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বলে আন্তরিক
কৃতজ্ঞতা ।

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:৩৩

আকডুম বাকডুম বলেছেন: আপনার পোস্ট থেকে
------------------
এই অসহনীয় পরিস্থিতে নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের উচিত কাউন্টার একটিভ থাকা । প্রত্যেকটি নির্যাতনের ঘটনাকে প্রকাশের জন্য কাজ করে যাওয়া , প্রত্যেকটি নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে নিজ নিজ সাধ্যানুযায়ী কাজ করা ।

----
ঘঠনাগুলো প্রকাশিত হবার অপেক্ষায়।
বেরামের আসল কারণ জানা উচিত।

আজকের জন্য বিদায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.