নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার

তীরন্দাজ

গান ভালোবাসি, সাহিত্য ভলোবাসি, রাজনৈতিক দায় ও দলবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকতে চাই। সবার উপরে মানুষ, তারপর বাকী যা কিছু।

তীরন্দাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাহাজী জীবনের গল্প (4), জীবন মৃত্যুর কাছাকাছি।

৩০ শে মে, ২০০৬ রাত ৩:৪১

'তালাতা উনুস, তালাতা উনুস' চিৎকার আর দরজায় ঠক ঠক শব্দে ঘুম ভাংলো। মিসরিয় মুহম্মদের ডিউটি শেষ, এবার আমার পালা। মুহম্মদ ইংরেজী জানে না। তাই আমাকেই শিখে নিতে হয়েছে। তালাতা উনুস এর অর্থ সাড়ে তিন, মানে এখন বাজে সাড়ে তিনটে। বিছানা না ছাড়লেও একটু এপাশ ওপাশ করে মনে মনে তৈরী হলাম। জানি মুহম্মদ 'আরবা এল্লাতেল' বলতে বলতে পনোরো মিনিট পর আবার আসবে। তখন তড়িঘড়ি করে বিছানা ছেড়ে এককাপ গ্রীক কফি হাতে ঢুকতে হবে মেশিনরুমে। তাই একটু আগে থেকেই তৈরী থাকা ভাল। আমাদের এবারকার যাত্রা পেরিয়াস থেকে সিসিলি। তিনদিন হলো আমরা বন্দরছাড়া।



ঘুমটা আরেকটু ভাঙ্গার পর টের পেলাম বাইরের শো শো আওয়াজ। জাহাজও দুলছে বেশ। তাড়াতাড়ি বাতি জালিয়ে উঠে বসলাম। এরই মাঝে মুহম্মদ আরেকবার দরজায় টোকা দিয়ে গেল। আমি সাড়া দিলাম। জাহাজ এত বেশী দুলছে যে, দাঁড়াতেও কষ্ট হচ্ছিল। দ্রুত কাজের ওভারঅলটি গায়ে চড়িয়ে যখন কেবিনের বাইরে দাড়ালাম, চারটা বাজতে দশ মিনিট বাকী। কোনক্রমে হেলতে দুলতে সিড়ি বেয়ে ডেকে উঠে এলাম। সমুদের দিকে তাকিয়েই ভয় পেয়ে গেলাম।



উস্মাদের মতো আছড়ে পড়ছে একেকটা ঢেউ আরেকটার উপর। আবার ফেনা হয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে আরেকটা বিশাল ডেউএর আড়ালে। এর মাঝে অসহায় খোলামকুচির মতো হাবুডুবু খাচ্ছে আমাদের জাহাজ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সামন্য পরে এই হাবুডুবুও শেষ হয়ে যাবে। ডেকের উপরও আছড়ে পড়ছে ঢেউ। মেশিনরুম অবধি হেটে যাবার এলাকাটি পেরুতেই ভয় হচ্ছিল। মনে হল, এই ঢেউই টেনে নিয়ে যাবে সমুদ্রে। কোনক্রমে রেলিং ধরে ধরে হেলতে দুলতে আধভেজা হয়ে মেশিনরুমে পেঁৗছে মুহম্মদকে মুক্তি দিলাম।



মেশিনঘর অনেক নীচে, তাই সেখানে জাহাজের দোলনী অনেকটা কম টের পাওয়া যায়। তারপরও সকালের প্রথম কফিটুকু পেট থেকে বেরিয়ে এলো। এরই মাঝে কাজও চালিয়ে যেতে হলো। মেশিনের তাপ বেড়ে যাওয়ায় উপরে ক্যপ্টেনকে খবর দিলাম। গতি কমিয়ে দেয়া হলো তাই। মেশিনের বিভিন্ন অংশে তেল মবিল আরো বেশী ঢালতে হলো। জাহাজের খোলের ভেতরের জল পাম্প করে বাইরে ফেলতে হলো। থার্ড ইনজিনীয়ার এলেন হেলতে দুলতে। তার চেহারাতেও উৎকন্ঠার ছাপ। আমার অবস্থা দেখে স্বান্তনা দিলেন একটু। তারপর মেশিনরুমের এদিক সেদিক একটু ঘুরে বেরিয়ে গেলেন বাইরে। একটা বিষয় টের পেলাম স্পষ্ট। জাহাজ এখন ডুবলে অন্য সবাই কোনভাবে বাঁচলেও এই এতোটা নীচের মেশিনঘরে আমার মৃত্যুই সবার আগে। কাজ ও বমির ফাঁকে ফাঁকে উপরের সিড়ির দিকে তাকালাম। একটু আলো দেখা যাচ্ছে। আর দেখতে পাব কি এই আলো ? কতোটা সময় লাগবে উপরে উঠতে ? লাইফ বোটে চড়ার আগে আমাকে জানাবে কি ? আমার বন্ধুটি আমাকে ছেড়ে নিশ্চয়ই বোটে উঠবে না। এরকম আবোল তাবোল ভাবতে ভাবতে ডিউটির অসহ্য চারঘন্টা শেষ হলো। নাইজেরিয়ার জিমি এসে আমাকে এই মেশিনরুমের বিভিষীকা থেকে পরিত্রাণ দিল। আমি হাফ ছেড়ে উপরে ওঠার সিড়িতে পা দিলাম।



বাইরে এসে দেখি প্রকৃতি আরো বেশী নারাজ, সমুদ্র আরো বেশী নির্দয় আমাদের উপর। ঢেউ এর উচ্চতা বেড়েছে আরো বেশী। প্রায় পুরো জাহাজই একবার ঢেউএর তলায়, আবার বেরিয়ে আসছে ঢেউ ফুড়ে। নিজের ভেতরে দু'ধরণের উত্তেজনা টের পেলাম। প্রথমটি ভয়, দ্বিতীয়টি সে ভয় ছাপিয়েও বিপদের সাথে যুদ্ধের টগবগে নেশা। এমনি এক পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করে বিজয়ী হলে আমার বাকী জীবনের জন্যে পাথেয় হয়ে থাকবে এই জয়। ক'জন মানুষ এই সৌভাগ্যের অধিকারী ? এরই মাঝে হেলেদুলে সকালের নাস্তা শেষ করেছে আমাদের মায়রা। খেতে ইচ্ছে করলো না। আবার তো বেরিয়ে আসবে সব। তেল কালি নোংরা পোষাক পাল্টানোর জন্যে কেবিনের দিকে রওয়ানা হলাম। তখনো আকাশে আলো ফোটেনি তেমন। কেবিনে যাবার সিড়ির আরো পেছনে রেলিংএর পাশে দাড়িয়ে জাহাজের প্রথম অফিসার। চোখে মুখে তার সমান্যও ভয়ের ছায়া নেই। দৃপ্ত ভঙ্গিমায় সমুদ্র আর ঝড়ের সাথে কি এক অজানা যুদ্ধ যেন চলছে তার। এই যুদ্বের আনন্দের রেশ ফুটে উঠছে আর চোখে মুখে, তার দাঁড়ানোর দৃপ্ত ভঙ্গিমায়।



সুপ্রভাত বিনিময় করলাম এই দুরন্ত বাতাসের মাঝেও। আমাকে কাছে ডাকলেন। আমার চেহারা দেখে জানতে চাইলেন, ভয় পেয়েছি কি না। সত্যি কথাটিই বললাম। বললেন' জাহাজে চাকুরী করছো, এরকম ভয়ের এবারেই শেষ নয়, সামনে আরো পাবে'। কথাটি একধরণের অভয় হয়ে দাড়ালো আমার জন্যে। আমরা এবারেই ডুবছি না, এমন একটি ভরসাই হলো তার বাক্যটি। আমাকে কেবিনে গিয়ে বিশ্রাম করে পরবর্তী অবস্থার জন্যে তৈরী থাকতে বললেন।



কেবিনে এসে কাপড় পাল্টালাম। বিছানায় শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। পারলাম না। শুলেই পেটের নাড়ীভুড়ি শুদ্ধ বেরিয়ে আসতে চায় গলা পার হয়ে। টেবিলের সামনের চেয়ারটায় বসে পড়লাম। কান্তিতে টেবিলে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পড়লাম অল্প সময়ের জন্যে হলেও।



দরজায় টোকার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল। সকাল ছ'টা বাজে তখন। দরজা খুলে ঢুকল আমাদের খালাসীদের বসম্যান। জরুরী সমস্যার কারনে ক্যাপ্টেন সবাইকে একসাথে ডেকেছেন। দ্রত পোষাক পড়ে ছুটলাম। বাইরে ঝড়ের তান্ডব তখন আরো অনেক বেশী। বাতাস আর ঢেউ্রলের চাবুক আছড়ে পড়লো শরীরে। কিন্তু ভয় পেলাম না। বাবা মায়ের ছত্রছায়াকে নিজ হাতে দুমড়ে মুচড়ে হাতের মুঠোয় নিয়েছি জীবন, নিজ ইচ্ছায় ভাইবোন ছেড়ে এই অথৈ অনিশ্চয়তায়, আমার বুকের ভেতরে তখন শত আমারই সাহস। এ সাহস বুকে জমিয়ে পাড়ি দিচ্ছি সমুদ্র। আমার ভয় পেলে কি চলে !



ব্রীজে এসে দেখি সবাই এসে জমা হয়েছে মায়রা(পাচক) বাদে। শুনলাম ব্রীজ থেকে পেছনের হালের যে যোগাযোগ, সেটা বিকল হয়েছে ঝড়ের দাপটে। জাহাজকে তাই ব্রীজ থেকে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। জাহাজের পেছনে ছোট একটি কামরা রয়েছে। সেখানে একটা হুইল ঘুরিয়ে জাহাজের নিয়ন্ত্রন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেজন্যে দিকদর্শন যন্ত্র ও হিসেব বোঝে, এমন দু'জন লোকের বাড়তি দরকার। আমি ও আমার বন্ধুর শিক্ষাদীক্ষার খবর তারা জানেন। আমাদেরকেই তাই একাজের জন্যে নেয়া হয়েছে। অন্য খালাসীরা দু'জন করে বাইরে থাকবে। ব্রীজে দিকনির্নয়ের হিসেব তারা আমাদের জানিয়ে দেবে।



বাইরে এসে আবার ভালকরে চারিদিকে তাকালাম। প্রায় দেড়মাইল দুরে একটা ডুবো-পাহাড় দেখা যাচ্ছে। একটু স্থলভাগ দেখতে পেয়ে সাহস আরো বাড়ল। আমার দু'ঘন্টা বিশ্রাম হয়েছে। তাই আমিই প্রথম নতুন দ্বায়িত্ব নিলাম। ব্রীজ থেকে হিসেব করে বলা হলো, 'পয়তিরিশ ডিগ্রী নর্থ'। একজন খালাসী তা চিৎকার করে আরেকজনকে জানালো। সে আবার আরেকজনকে। সে জানালো, আমি যে কামরায় বসে কাজ করছি, তার সামনে দাড়ানো একজনকে। আমি তার কাছ থেকে শুনে হুইল ঘুরিয়ে দিক ঠিক করলাম জাহাজের। আমি আমার কাজ শেষ করে বল্লাম, দ্যাকসি (অথ: ঠিক আছে) । আমার সেই দ্যাকসি তিনজন হয়ে পৌছে গেলো ব্রীজে। কতোক্ষন পর আবার নতুন নির্দেশ এলো। আমিও সেইমতো জাহাজের দিক ঠিক করলাম। এভাবে যে কতো ঘন্টা চালিয়ে গেলাম, তা বলতে পারবো না। একসময় সেকেন্ড অফিসার আমাকে বিশ্রাম নিতে পাঠিয়ে নিজেই কাজে লাগলেন। কতোটা সময় বিশ্রাম নিতে পেরেছি, তা জানা নেই। একসময় আমার বন্ধুকে বিশ্রামে পাঠিয়ে আমাকে লাগতে হলো। এভাবেই পর হলো দু'টো দিন দু'টো রাত। ঝড়ও আমাদের সাথে কান্তিহীন পাল্লা দিয়ে চললো।



দুদিন পর ঝড় কিছুটা কমার পর একটা বিষয় নজরে এলো আমার। এতোদিন আসলে কোন নজর দেবার সময়ও ছিল না। যে ডুবোপাহাড়টি দুদিন আগে দেখেছি, বারবার জাহাজের বা দিকে একই পাহাড় কেন বারবার দেখছি ? একজন খালাসীকে জিজ্ঞেস করে জানলাম এই পাহাড়কে কেন্দ্র করেই ঘুরছি আমরা গত দু'দিন। যদি ডুবে যায় জাহাজ, তাহলে এই পাহাড়ে গিয়ে বাঁচার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু কাছাকাছি যেতে পারছি না। যদি ঝড়ের দাপটে পাহাড়ের সাথে ধাক্কা লাগে, তাহলে তো সলিল সমাধি। বিপদের সম্যক রূপটি উপলব্ধি করে এই শীতের মাঝেও ভয়ে ঘাম ছুটলো শরীরে। কিন্তু বিপদের এতোটা অংশ পার হয়েছি, আর তাতে সামান্য হলেও নিজের অবদানের কথা ভেবে আনন্দ হলো তারচেয়ে আরো বেশী।



আবহাওয়াদেব সদয় হলেন সামান্য। একটু শান্ত হলো সমুদ্র আবহাওয়াদেবের নির্দেশেই যেন। আরো দুদিনের সমুদ্রপথ পেরিয়ে আমরা ফিরে এলাম আবার পেরিয়াসে সিসিলি যাত্রা বাদ দিয়ে। জাহাজ মেরামত না করে সিসিলি যাওয়া তো অর্থহীন। কিন্তু ঝড়ের রেশ রয়ে গেছে তখনো। বন্দরেও আমরা জাহাজকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলাম না। চারটে টাগবোট দিয়ে থামিয়ে রাখার চেষ্টা ব্যার্থতায় পর্যবসিত হলো। একটা জাপানী পতাকাবাহী জাহাজের সাথে ধাক্কা লাগলো একটু। যেহেতু আমরা অন্যান্য জাহাজের জন্যে বিপদজনক, নির্দেশ দেয়া হলো আমাদের আবার গভীর সমুদ্রে ফিরে যেতে। আমরা বাধ্য হয়ে নির্দেশ পালন করলাম। আরো দু'দিন সমুদের একই এলাকায় ঘুরপাক খেয়ে ঝড় পুরোপুবি থামার পর ফিরে এলাম পেরিয়াসে।



পেরিয়াসে দুপ্তাহ সময় নিয়ে মেরামত করা হলো জাহাজ। এই দুই সপ্তাহ আমাকেও কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। কিন্তু যতটুকো শিখলাম, তা এই পরিশ্রমের চেয়ে অনেক বেশী মুল্যবান। শিখলাম জীবন মরণের সন্ধিনে সাহস কতখানি শক্তি দেয়। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে ফিরে আমার আনন্দ জীবনকে কতোটা মূল্যবান করে আবার নিজের সামনে তুলে ধরে, তা টের পেলাম এবার। আমাদের সামনের সময়ে সাথে যুদ্ধ করার শক্তি বেড়ে গেল আর কয়েকগুন। এরই মাঝে জানলাম, আমাদের পরবর্তী ভ্রমণ রুটটি বেশ লম্বা, সৌদী আরবের গীজান বন্দরে।

চলবে........

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: ভালো বা মন্দই হোক না কেনো, মন্তব্য না পেলে লেখার কোন আনন্দ থাকে না......।

২| ৩০ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: পড়তেছি। মন্তব্য দিচ্ছি একটু পরেই ।

৩| ৩০ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: ভাল্লাগছে । গায়ে কাটা দেয় রীতিমতো ।

৪| ৩০ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: সুমন ভাই এর মতো গায়ে কাটা দায়নি। তবে পড়ে খুবি ভাল লাগলো। সিচুয়েষন টা খুবি ভাল ডিস্ক্রাইব করেছেন। বাকি লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

৫| ৩০ শে মে, ২০০৬ দুপুর ২:০৫

অতিথি বলেছেন: ভাল লাগছে। আপনার আজকের লিখাটা পড়ে আমার কিছু কথা মনে পড়ে গেল।

না সমুদ্্র ভ্রমন না। একবার আমাদের ফ্যমিলী আর আমার আব্বার কয়েক বন্ধুর ফামিলী মিলে আমরা পদ্মার ওপাড় যাব। ভর বর্ষা, তার উপর লনচে, রাতএর বেলা। ঝড় উঠল,

আমি আমার বান্ধবি, আমাদের আশে পাশে বয়স এমন কিছু ছেলে মেয়ে, মানে 14-15 বছর বয়সি, আমাদের কোন পাত্তা ই নাই। এই দিকে এক দিন থেকে ঢেউ উঠে তো ডেকে এসে ভেংগে পড়ে. সেই কি দুলুনী। সবার কান্না কাটি, চিৎকার, হেসে চলছি আমরা কয়জন, মায়েরা আমাদের ছাড়বে না, লাইফ জ্যকেট পড়ায়ে বসায়ে রাখতে চায়, আর আমরা পড়ব না, সবার কান্ড দেখে খুব হাসি লগছিল তখন, আমরা হাসছিলাম ও....আর আমদের দেখে সবাই মহা বিরক্ত, তাও প্রকাশ করতএ পারছে না, ভয়ে, কখন নিজে ই মরে যায়....ভয় নাই শুধু আমাদের।

এখন মনে হয় , এই 30 এ এসে যদি ঐ অবস্থায় পড়তাম , তাহলে আমি ও হয়ত তাদের মত ই আচরন করতাম। আপনার বর্ননা পড়ে ই শূণ্যতা অনুভব করছি।

৬| ৩০ শে মে, ২০০৬ দুপুর ২:০৫

হযবরল বলেছেন: ভেসে যান , আমরা আসছি পেছনে টাগ বোট নিয়ে , ঢুবলেই খপ করে ধরে তুলে ফেলব । আমাদের জাহাজি কে আমরা কি হারাতে পারি ?

৭| ৩০ শে মে, ২০০৬ বিকাল ৪:০৫

অতিথি বলেছেন: প্রেরনাদাতাদের অশেষ ধন্যবাদ ! স্বরহীন, আমি নিজে প্রায় দশ বছর আগেও যা করেছি, আজ তা ভাবতেই ভয় পাই।

৮| ০২ রা জুন, ২০০৬ বিকাল ৫:০৬

সাইফ ভুইয়া বলেছেন: দূর্দান্ত লেখা । লেখা পড়ে শিহরন লাগে।

৯| ২০ শে জুন, ২০০৬ দুপুর ১:০৬

অতিথি বলেছেন: আপনার গল্পটি ছবিতে রূপান্তর করলে, বাস্তবের সাথে অনেকাংশে মিলত ।

একে গল্প না বলে সত্যি ঘটনা বলা চলে ।
জীবনের সত্যিকারের পথচলা ।

১০| ২০ শে জুন, ২০০৬ দুপুর ১:০৬

অতিথি বলেছেন: বিফাত, ঘটনাগুলো দিনের আলোর মত সত্যি। আমার জীবনের পথচলা....। প্রশংসার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.