![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গান ভালোবাসি, সাহিত্য ভলোবাসি, রাজনৈতিক দায় ও দলবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকতে চাই। সবার উপরে মানুষ, তারপর বাকী যা কিছু।
নিজেও প্রবাসী, আর তাই প্রবাস সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন অনেক সময়েই নড়াচাড়া করে ভেতরে। প্রবাসে পরবর্তী প্রজন্মের জাতীয়তা কি? কাগজে কলমে অনেকেই বৃটিশ, কেউ কেউ আমেরিকান, কেউবা জার্মান। আবার কেউ কেউ বাংলাদেশীই রয়ে গিয়েছেন। কাগজে কলমে কার কি জাতীয়তা আলোচনার মূল বিষয়বস্তু নয়। আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে, এরা মনে, শিক্ষায়, মননে কোন জাতীয়তাবোধ নিয়ে নিজেদের স্থান করে নিচ্ছেন পৃথিবীতে।
রাষ্ট্রের, সমাজের, মানুষের বিবর্তন পৃথিবী পরিবর্তনশীলতার সাথে তাল মিলিয়ে আপন গতিতেই ঘটে যাচ্ছে। আমরা কেউ কেউ গা এলিয়ে দিই তাতে - কখনো নির্ভাবনায়, কখনো চারিদিকে তীর্যক নজর রেখেই , কেউ কেউ আপ্রাণ চেষ্টা করি সেই বিবর্তনকে ঠেকিয়ে রাখতে। কেউ কেউ নিরাপদ দুর থেকে দেখে মুচকি হাসেন অবহেলায়। বিবর্তিত হচ্ছে সমাজ, বিবর্তিত হচ্ছে ভাষা, নতুন আচারে সাজানো হচ্ছে রূচিবোধের পেয়ালা। গতকাল যা অসহনীয়, অসুন্দর ছিল, আজ তা বাদ দিলেই চলে না। এখনকার ভাষায় এই মুহুর্তে যা গ্রহনযোগ্য, তা হচ্ছে 'ইন', আর তার উল্টোটা হচ্ছে 'আউট'। এই ইন আর আউটের জোরেই চলছে সব, কাল যা ভাল ছিল, আধুনিক ছিল, এই ইনআউটের কল্যানেই আজ পঁচা নর্দমাকে আরো বেশী দুর্গন্ধে ভরাচ্ছে।
আপনারা হয়তো ভাবছেন, এমন একটি ভারিক্কি প্রসঙ্গের অবতারনার পর তীরন্দাজ আবার ইনআউটে মাতলো কেন? এই ইনআউটের জোরে ভেসে যাচ্ছে সমাজ, সংসার সব, তীরন্দাজ তো কোন ছাড়! এ সত্যটাকেই তুলে ধরলাম এভাবে। তারপর দেখা যাক না, কোথাকার জল কদ্দুর গড়ায়।
আমাদের অনেকেই নিজ দেশে যতো না, প্রবাসে আরো বেশী আমাদের দেশীয় ও জাতীয় ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাই। এই ধরে রাখার প্রকাশ একেকজনের বেলায় একেক রকম। দেশে থাকতে যে সব লোকগীতি একেবারেই শুনতে চাইতাম না, এখন ঘর অন্ধকার করে সে সব লোকগীতিতে ডুবে গিয়ে নিজের আত্মা ও মানসকে তৃপ্ত করি। দেশে শুটকী পছন্দ করতাম না, এখন কারো কাছে পেলে কনুই ডুবিয়ে খাই। এমনি ভবেই বিভিন্ন প্রবাসী বিভিন্ন পথে দেশের সাথে তাদের সংযোগ। কেউ আকড়ে ধরেন ধর্ম, কেউ সংস্কৃতি, কেউ খাবার দাবার, কেউ কেউ ভাষা।
আমাদের কথা বললাম, ইনআউটের কথা বললাম, প্রবাসী প্রসঙ্গও আনা হলো, এবার এই পটভুমিকাতেই টেনে আনতে চাইছি আমাদের উত্তরসুরীদের কথা। এদের উপর অনেকগুলো প্রভাব। আমরা যতগুলো প্রভাবের আওতায় পড়ি, তারচেয়ে অনেক অনেক বেশী ও তা ক্রমশ: বেড়েই চলেছে।
ক) যেহেতু এদের জন্ম দেশের বাইরে, বাংলাদেশ তাদের পিতৃ-মাতৃভুমি হলেও জন্মভুমি নয়। এরা এই প্রশ্নে এদের অনুভুতিকে দু’টি ভাগে ভাগ করতে বাধ্য হন।
খ) অনেক বাবা মায়েরা দেশী ঐতিহ্য ধরে রাখার আপ্রান চেষ্টা করে থাকেন। এর মাঝে ছেলেমেয়ে ও বাবা মায়ের মাঝে আদান প্রদান যতোনা বেশী, তার চেয়ে বেশী চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা। তাতে দুই জেনারেশনের মাঝে এক ফাঁক সৃষ্টি হয়।
গ) এরা তাদের বয়েসের কারণেই ‘ইনআউটের’ প্রভাবে অনেক বেশী প্রভাবিত হতে পারেন। আর্থিক সচ্ছলতা এই প্রভাবকে আরো বেশী শক্তিশালী করে।
ঘ) এদের ঘরে বাইরে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি। এই দুইএর ভেতর যতো কম আদান প্রদান, ততো বেশী দ্বৈত সত্বার প্রভাব পড়ে এদের উপর।
ঙ) ঘরে বাইরে আলাদা আলাদা ধর্ম হলে, তার প্রভাবাহ্নিত হন এর। অনেক সময় ধর্মের বিশ্বাসী প্রভাবের চেয়ে সামাজিক প্রভাব অনেক বেশী শক্তিশালী।
আরো অনেক প্রভাব থাকতে পারে। বাবা মায়ের নিজেদের শিক্ষা, প্রবাসী সমাজে তাদের নিজস্ব অবস্থান, সে সমাজের সাথে তাদের আদানপ্রদান, এ সবগুলো বিষয় তাদের ছেলেমেয়েরকেও প্রভাবাহ্নিত করে ।
লন্ডনে এ ও শুনেছি যে, ধার্মিক পরিবারের ছেলে মেয়েরা সকাল বেলা বাড়ী থেকে বের হবার সময় দেশীয় ও ইসলামী পোষাক পড়ে নেন যাতে বাবা মায়ের সাথে কোন দন্ধ তৈরী না হয়। পথে কোথাও কোন বন্ধুর বাড়ীতে তা পাল্টে ইউরোপীয় পোষাক পড়ে নেন, যাতে স্কুলে বা কলেজে স্থানীয় সহপাঠিদের কোন কটাক্ষ না শুনতে হয়। বাবা মায়ের চাওয়া ও সহপাঠিদের কটাক্ষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবেই মেনে নিয়ে নিজের সত্বাকে দ্বিখন্ডিত করতে হয় তাদের। এই দ্বিখন্ডিত সত্বাকে সারাজীবন বয়ে বেড়ানো খুব সহজ কথা নয়। পরিনামে হতাশা আসে, নিজেদেরকেই নিজেদর কাছে অচেনা মনে হয়।
জার্মানীতে দেখেছি, স্বামী সারাদিন রেষ্টুরেন্টে কাজ করেন, আর ধার্মিক স্ত্রী সারাদিন হিজাব পড়ে বাড়ীতে। বাড়ীতে সারাদিন টিভি-ভিডিও চলছে, চলছে বলিউড ছবির রগরগে নাচ। ছোট শিশুরা এরই মাঝে বড় হচ্ছে। কোন আবদার করলেই বসিয়ে দেয়া হচ্ছে টিভির সামনে। এই শিশুগুলোর ভবিষ্যত কি? বড় হয়ে এরা কোথায় নিজেদের স্থান খুজে নেবে? বাংলাদেশে? কতটুকো সম্ভব? দেশের বাইরে বড় হয়ে ক’জনইবা বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায়? যেখানে বড় হচ্ছে, সেখানে? তাদের ছোটবেলার অশিক্ষার কারনে ওদের চেয়ে মননে, চিন্তায় এ আত্মিক অনেক এগিয়ে তাদের সমবয়েসীরা। বাস্তবিক কারণেই তাই দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হয়েই চালিয়ে যেতে হবে তাদের জীবন। আমরা এভাবে অনেক অনেক দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক তৈরী করে যাচ্ছি পৃথিবীর বুকে। এদেরকে আত্মিক নিভর্রতার পথ দেখানো ছাড়া এর কোন বিকল্প নেই।
কোন এক ভাষা ও বিবর্তন গবেষক বলেছিলেন দু’শো বছর পর বৃটিশ আর আমেরিকান ইংরেজী বিবর্তিত হতে হতে দু’টো আলাদা ভাষাই হয়ে যাবে। আজকাল দেশ বা বিদেশ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বাংগালীদের মুখে যা বাংলা শুনি, তা ভাবলে এই বিবর্তন আরো স্পষ্ট হয় । প্রথমত প্রচুর বিদেশী শব্দের মিশ্রণ, তারপর উচ্চারণের এমনি এক অদ্ভুত ভঙ্গী, মনে হয় ঠোট আর ধনির বৈরীতা চলছে সারাক্ষণ। আমার কাছে হাস্যকর বো পীড়াদায়ক মনে হলেও মেনে নিতে হবে একদিন। একদিন দু’দিন হয়তো প্রতিবাদ করবেন আরো কেউ কেউ, তারপর এটাই বাংলা ভাষা হয়ে দাঁড়াবে। “বাংলা বললে শুধু বাংলাই বলুন”, এখনকার পৃথিবীতে এ বক্তব্য আপাতত: ‘আউট’!
বিবর্তনকে ঠেকিয়ে রাখার সাধ্য আমাদের কারোরই নেই। চোঙ্গা প্যান্টের ফ্যশান পাল্টে যখন ঢোলা প্যন্ট পড়ার ফ্যাসান প্রতিষ্ঠিত হলো, তখন সে ফ্যসানের প্রতি বৈরীতা প্রকাশের জন্যে যারা সাধারণভাবেই ঢোলা প্যন্ট পড়তেন, তারা চোঙ্গা পড়া শুরু কললেন। যারা ফ্যসান বিরোধী তারা তাদের বিরোধীতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে হলেও পরোক্ষ ভাবে ফ্যসান প্রতিযোগীতায় যোগ দিতে বাধ্য হলেন। বিবর্তন তাই বহমান নদীর মতো। কিন্তু এই বহমান নদীকে থামানো নয়, সঠিক পথে প্রবাহিত করা সামাজিক চিন্তার একটি দরকারী দিক। আমরা যেনো সবাই এ পথটি খুজে পাই, যাতে আমাদের উত্তরসুরীদের অপরিচিতির অন্ধকারের মুখোমুখি না হতে হয়।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৪
কম্পিউটার গুরু বলেছেন: ?
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৭
মনিটর বলেছেন: ভাল লেখা।৫!
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৮
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: সেরম পোস্ট। ভাবনার খোরাক প্রচুর। আমিও সেটাই ভাবি
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:২২
তীরন্দাজ বলেছেন: আমি প্রতিদিন দেখছি। মাঝে মাঝে বেশ কষ্টে পড়ে যাই। হয়তো নিজের ভেতর যে নষ্টালজী কাজ করে, তার প্রভাবও অস্বীকার করার নয়। সেটা নাহয় নিজের ভেতরই রইল।
কিন্তু আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এসব কষ্ট নিয়ে কোথায় দাঁড়াবে, কি ভাবে দাঁড়াবে, তাদের সত্বার ভেতরে শক্তিমত্তা কতটুকো, এ নিয়ে অনেক ভাবার ও করার আছে।
আপনাদের ধন্যবাদ।
৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:৩০
মিরাজ বলেছেন: তীরন্দাজ আপনাকে ধন্যবাদ প্রবাস জীবনের একটি মৌলিক সমস্যাকে তুলে ধরার জন্য। আমি নিজেও যেহেতু প্রবাসে আছি তাই এই সমস্যা আমারও নিজের সমস্যা।
আসলে আমাদের সন্তানদের জন্য প্রবাস জীবন একটা ভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি করছে। তারা না দেখা একটি সমাজের (বাংলাদেশের) চিন্তাভাবনাকে সহজে গ্রহণ করতে পারছেনা আর আমরা চাচ্ছি সেটা চাপিয়ে দিতে। একই সাথে তারা দেখা সমাজের (যে দেশে বড় হচ্ছে) মুল্যবোধকে গ্রহণ না করাকে মেনে নিতে পারছেনা। ফলে আপনি যে দ্বৈত সত্বার কথা বললেন সেটি দিন দিন প্রবল হচ্ছে।
আসলে আমরা অনেকে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বলে প্রবাসে দীর্ঘস্থায়ী হই কিন্ত প্রকারান্তরে তা সন্তানদের মানসিক বিকাশ ও বেড়ে ওঠাকেই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ করে।
এ এমন একটি সমস্যা যার সমাধান সহজ নয়। আমি নিজেও আমার ছেলের বাংলার প্রতি অনীহায় কষ্ট পাই, কিন্তু তার পছন্দকে তোয়াক্কা না করে অনেক কিছুই চাপিয়ে দিচ্ছি।
ইচ্ছা ছিল পি এইচ ডি এর পরে পোষ্ট ডক্টরাল রিসার্চ করবো কিন্তু সন্তানদের বাংলা চর্চা আর বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা দেখে মনে হচ্ছে দ্রুত দেশে যাওয় প্রয়োজন। নাড়ীর টানটা ছুটে যাবার আগেই।
ধন্যবাদ।
৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৩
মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: শেষ অনুচ্ছেদটাকেই নিজের মন্তব্য বলি, আশা বলি.. সুন্দর উপস্থাপনা। ধন্যবাদ।
৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৮
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: আমার চিন্তাটা এরকমই, বিবর্তন হবে, কিন্তু শুধু বিবর্তন রেজিস্ট করলে তো হবে না, একটা যৌক্তিক নরম্যাটিভ স্ট্যান্ডার্ড দিতে হবে যা বিবর্তনকে নিয়মতান্ত্রিক পথনিদর্শন দিবে, কিন্তু থামিয়ে রাখবে না। যারা রেজিস্ট করে, তাদের অনেকেই জানে না রেজিস্ট করার কারণ কি। এই না জেনে তীব্র বিরোধিতার সাথে মানুষের শিক্ষাকে মানানো যায় না। এই হিপোক্রেসী স্পষ্ট হয়ে গেলেই প্রবাসী, দ্বিতীয় প্রজন্মের মানুষেরা সবচেয়ে বিগড়ে যায়। হিপোক্রেসী হয় হিপোক্রেসীর জন্ম দেয়, আর না হয় বিদ্রোহীর জন্ম দেয়। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থতার জনক হিপোক্রেসী কখনও হতে পারে না।
ভালো লেগেছে পোস্ট।
৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৫:০০
তীরন্দাজ বলেছেন: মিরাজ,
আপনার একাত্বতা ও দীর্ঘ মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ! আপনি দেশ ও আপনার সন্তানদের কথা ভেবে দেশে ফিরে যেতে চাচ্ছেন, এটা অবশ্যই সঠিক এ সময়োপযোগী চিন্তা।
আমার ব্যপারটা অনেকটাই আলাদা। ওর মা এদেশীয় হবার কারণে, এ অনেকটা এখানকার মতোই বড় হচ্ছে। আমি তাতে কোন প্রভাব বিস্তার করতে চাইনা। তবে ও প্রতি বছরই একবার বাংলাদেশে যায় নিজের টানেই। একবার তার স্কুলের কোন এক রচনায় নিজ থেকেই লিখেছে, তার মায়ের দিককার আত্মীয়স্বজনরা বেশ ধনী হলেও বাংলাদেশের আত্মীয়দের জীবন তার কাছে ।অনেক সুখী মনে হয় ও সেকারনেই ওখানে যেতে পছন্দ করে। তার ভেতরে দ্বৈত সত্বার প্রভাব এতটা বড় না, কিন্তু বিবর্তনের প্রভাব হতো রয়েছেই।
ছেলে পুরোপুরি বাঙ্গালী না হওয়াই আমার নিজের ভেতরে যে কষ্ট রয়েছে, তা নিজের ভেতরেই রাখি। আর এ কষ্টের পথ তো আমার নিজেরই বেছে নেয়া পথ!
আপনার বা আমার কথা আলাদা। আপনি দেশে ফিরে যাচ্ছেন, আর আমি ছেলেকে এখানকার মতোই বড় করছি।
তার বাইরে বেশীরভাগই দেশে ফিরে যেতে পারছেন না, অথচ বাইরের জীবনে সাথে খাপ খাওয়াতে ইচ্ছুক বা সক্ষম নন। তাদের ছেলেমেয়েদের কথাই আমার এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয়।
১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৫:০১
সান্তর বলেছেন: সহমত।
১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৫:০২
তীরন্দাজ বলেছেন: সন্ধ্যাবাতি, আপনার মুল্যবান সংযোগের জন্যে ধন্যবাদ ও পরোপুরি সহমত জানাচ্ছি।
১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৫:১৩
মিরাজ বলেছেন: তীরন্দাজ,
আমি এই বিবর্তনকে ভয় পাই। এই বিবর্তনের যৌক্তিক দিক আর আমার দেশী সভ্যতার মূল্যবোধের বিপরীতমুখীতাকে সামনাসামনি আনতে চাইনা। সত্যি বলতে আমি আপনার মত সাহসী নই, তাই দেশে ফিরে যেতে চাচ্ছি।
@ সন্ধ্যাবাতি
আপনার সাথে একমত। অধিকাংশ প্রবাসীই এই হিপোক্রেসির শিকার, এখানে সেটি দেখতে পাচ্ছি।
আপনার প্রতি শুভকামনা রইল। আসলে সবাই সন্তানের মাঝে নিজের এবং নিজের সমাজের ছায়া দেখতে চান। যখন সেটি খুজে পাননা, তখনই শুরু হয় হিপোক্রেসির। তবে আমার মতে সন্তানের বেড়ে ওঠার একেবারে শুরুর দিকে এদিক নজর দিলে, পরবর্তী জীবনে হিপোক্রেসি অনেকটাই এড়ানো যায়।
১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৯
মাহবুব সুমন বলেছেন: ভাবনাজাগানীয়া পোস্ট।
আমার অভিগ্যতাই বলছি..........
এটা প্রবাসে না, দেশেই।
আদি বাড়ী ছিলো বৃহত্তর ময়মনসিংহে, দাদা সেটেল করেছিলেন বৃহত্তর দিনাজপুরে, অর্ধ শতাব্দীদেরও আগে। আমার জন্মও উত্তরবংগে। জীবনের আধেক অংশও উত্তর বাংলায়। বাংলা উচ্চারনে উত্তরবংগীয় টান প্রচুর, খাবার-দাবার থেকে শুরু করে অন্যান্য কিছুতেও উত্তর বংগীয় প্রভাব অনেক। আত্মীয় স্বজন আদি-বর্তমান দু জায়গাতেই বর্তমান। দিনাজপুরে পুরোপুরি শক্ত অবস্থান আমাদের। এতোকিছুর পরও আমাদের সেটেলার/ভাটিয়া/ময়মনসিংগা ইত্যাদি শুনতে হয়, স্থানীয় -অস্থানীয় ভেদাভেদের কথা শুনতে হয়, একটা বিভেদ কাজ করে সব সময়ই, এটা বিয়ে-শাদীতেও।
প্রবাসে এসে পুরোপুরি অন্য পরিবেশে প্রবাসীদের ছেলে-মেয়েদের অবস্থা কি এর থেকে খুব একটা পরিবর্তিত হয় !!?
১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:৩০
নাজিম উদদীন বলেছেন: আপনি দেশ ও আপনার সন্তানদের কথা ভেবে দেশে ফিরে যেতে চাচ্ছেন, এটা অবশ্যই সঠিক এ সময়োপযোগী চিন্তা।
আমার মনে হয়, এসব বিষয় ব্যক্তিগত।
শুধু শুধু দেশ টেনে আনার মানে হয় না।
আপনার ভাল লাগে দেখে বিদেশে থাকেন, লাগে না তাই জন্মভূমিতে ফেরত গেলেন।
অনেকে লেখেন, বিদেশে সুন্দর চাকরি,উজ্জল ভবিষ্যত রেখে তিনি দেশের টানে ফেরত এসেছেন। বাখোয়াস..।
বিদেশে ছেলেমেয়েকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা , বা নতুন পরিস্হিতির সাথে খাপখাওয়াতে চায় না তাই দেশে ফিরে যায়। ভাব ধরে মহানুভবতার।
ইউরোপের সব দেশ থেকে অনবরত মাইগ্রেট করে এমেরিকায় আসছে, তাদের কাছে এসব শোনা যায় না।
১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:৩৬
তীরন্দাজ বলেছেন: আপনি দেশ ও আপনার সন্তানদের কথা ভেবে দেশে ফিরে যেতে চাচ্ছেন, এটা অবশ্যই সঠিক এ সময়োপযোগী চিন্তা।
এটা মিরাজকে উদ্দেশ্য করেই ব্যাক্তিগত, নাজিম উদ্দিন।
বরং আপনার কথানুযায়ী
"বিদেশে সুন্দর চাকরি,উজ্জল ভবিষ্যত রেখে তিনি দেশের টানে ফেরত এসেছেন। বাখোয়াস..।"
এর সাথে আমি একেবারেই একমত নই নাজিম উদদীন । এটাও কারো ব্যাক্তিগত ভলোবাসা, অনুভুতির ব্যাপার। তাকে ঢালাওভাবে বাখোয়াস আপনি কোন যুক্তিকোন থেকে বলতে পারেন?
১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:১১
এস্কিমো বলেছেন: কঠিন পোস্ট।
চিন্তার কথা। তবে নিজের ক্ষেত্রে খুব একটা ভাবি না। কারন আমার জন্ম নোয়াখালী - বড় হয়েছি সিলেটে - পৈত্রিক ভুমি ঢাকায় - আছি কানাডায়।
মাঝে মধ্যে আফসোস লাগে যদি বিমান ভাড়াটা যদি কম হতো!
১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:১৭
রাশেদ বলেছেন: হুমম...এই চিন্তা আপাতত মাথায় নাই। মেলা দেরি আছে এইসব চিন্তা করার। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১২:৫৪
পুতুল বলেছেন: তীরুদা, চারপাশে তাকালে আপনার আশংকা গুলো আরো প্রকট ভাবে চোখে পরে। আনেকে বাচ্চাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়। কোরান খেখার জন্য। এখানে এসে সে বাচ্চারা কী ভাবে জীবন সংগ্রাম শুরু করবে ভেবে শংকিত হই। শুধু এ কামনা করি" জন্ম হোক যথায় তথায় কর্ম হোক ভাল।
১৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১:০৩
মাহবুব সুমন বলেছেন: আমার ছোট ভাইয়ের এক হাফ রাশান বন্ধু আছে, কি সুন্দরভাবে মিশে গিয়েছে বাংলাদেশে !!
২০| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১:৩০
তীরন্দাজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে।
মাহবুব সুমন, আপনার কথাটি আশার তো বটেই। তবে বেশীরভাগই অন্যরকম। পুতুল যা বলেছেন, তারই মতো। স্ত্রী অসুস্থ। স্বামী মানত করেছেন, স্ত্রী সুস্থ হলে ছেলেকে দেশে মাদ্রাসায় পড়াবেন। তাই করেছেন। তবে এটাও একক একটি ব্যাপার। আমি সার্বিক সমস্যার উপর আলোকপাত করতে চাচ্ছি।
২১| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১:৪১
গিয়াসউদ্দিন বলেছেন: কঠিন পোস্ট..........৫...পরে ডিটেইল মতামত জানাবো...তিরুদা...ধন্যবাদ..ফর পোস্ট..
২২| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১:৫৮
তীরন্দাজ বলেছেন: হ্যা এস্কিমো।
দুরত্বের কথা ভেবে আমেরিকার দিকে যাইনি। এত লম্বা সময় বিমানে থাকতে হবে ভাবলে দম বন্ধ হয়ে আসে। আমেরিকা, কানাডা থেকে আগত যাত্রীদের সাথে মাঝে মাঝে ট্র্যানজিটে দুবাই দেখা হয়। বেশ দুরবস্থা ওদের।
২৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:১৪
মাহবুব সুমন বলেছেন: একজন শিশু যে দেশে জন্মগ্রহন করবে সে দেশকেই সে তার মাতৃভূমি হিসেবে ভাবেবে,এটাই স্বাভাবিক। এখানে চাপিয়ে দেয়া যা না। এ অনুভুতিটুকু ধীরে ধীরে দৃড় হতে থাকে যখন যে বাহিরের পৃথিবীর সাথে মিশতে শুরু করে, স্কুলে যেতে শুরু করে , বন্ধু বানাতে শুরু করে।
অনেকসময় দেখা যায় বাবা-মারা এসব মেনে না নিতে পেরে চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করেন যাতে হীতে বিপরীত হয় সব সময়। শুরু হয় দ্বন্ধ।
অনেক বাবা-মাই বাসায় নিজের ভাষায় বাংলা বলেন না যাতে সন্তান ইংলিশ বা অন্য ভাষায় পারদর্শি হয় ; তার নিজের সংস্কৃতি বা ধর্ম শেখাতে বা জানাবার চেষ্টা করেন না। কিন্তু সন্তান বড় হয়ে গেলে তারা যখন তা শেখানোর চেষ্টা করেন তখনই দেখা দেয় আসল সমস্যা।
এজন্য আমার মনে হয় , সন্তানকে ছোট বেলা থেকেই নিজ দেশের সংস্কৃতি,ঐতিহ্য, ভাষা, ধর্ম ইত্যাদি শেখাতে হয়, বাবা -মার জাতিগত মিল না থাকলে শিশুকে ধীরে ধীরে শেখাতে হবে, শিশুই তার ভালোলাগা থাকে একটা বেছে নিবে, এখানে চাপানো যায় না।
২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৯
হুদা বলেছেন: প্রচুর চিন্তার খোরাক আছে।ভাবছি পুর্বজন্মে কি পাপ করেছিলাম,এমন অসাধারন পোস্ট আমার মাথায় আসেনা কেন।৫ দেবনা(ঈর্ষাবশত)
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৩
ঢালী! বলেছেন: আউসলান্ডারের জীবন!