![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গান ভালোবাসি, সাহিত্য ভলোবাসি, রাজনৈতিক দায় ও দলবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকতে চাই। সবার উপরে মানুষ, তারপর বাকী যা কিছু।
আমার এক অতি পরিচিত জন থাকেন বাংলাদেশে। আমার জানা মতে বাংলাদেশে যতগুলো সৎ লোক আছেন, তাদের মাঝে অন্যতম। ওনি বেশ ধর্মভীরু মানুষ। আমি নিজে ধার্মিক নই। তারপরেও সে মানুষটির প্রতি আমার প্রগাঢ় শ্রদ্বা ও বিশ্বাস। আমি মাঝে মাঝে আমার প্রবাসী জীবনের বেড়াজাল পেরিয়ে তার সাথে কথোপকথনে ডুবে যাই। বেশ বড় সরকারে চাকুরে ছিলেন, এখন অবসরে। অর্থপ্রতিপত্তিতে লালে লাল হবার সুযোগ ছিল অনেক, কিন্তু সবসময় সৎপথে থেকেছেন। ওনার ছেলেমেয়েরাও তার মতোই হয়েছেন ও বাবাকেই তাদের আদর্শ হিসেবে দেখেন। রিটিায়ার করেও বাবা তাদের চোখের মনি হয়ে আছেন।
একদিন তাকে ফোন করলাম। কুশল বিনিময় হল। তার শারিরীক অবস্থার কথা জানতে চাইলাম। ওনি হাসতে লাগলেন। হাসতে হাসতে বললেন,
- আরে মিয়া, এখন তো আমার ভাল সময়। দুদিন পরেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেব। কোনরকমে বেহেশতে পৌছাতে পারলে ইহজগতের জঞ্জাল ছেড়ে শরাবন তহুরা আর বেহেশতের হুরপরীদের নিয়ে থাকবো।
ওনার হাসি টা বেশ অদ্ভুত মনে হলো আমার কাছে। মনে হলো নিজেকেই নিজে টিটকিরি করছেন। আমি বললাম
- এটা তো লোভ, এই লোভেই এটা কষ্ট করেছেন সারা জীবন। আর ধর্ম আপনাকে এই লোভই দেখাচ্ছে?
বলা বাহুল্য, সৎ পথে থাকার কারনে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে সারাজীবন। অনেকগুলো ছেলেমেয়ে ছিল, নিজে অনেক সময় অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু এ অবস্থাতেও কখনো কোন পদস্খলন হয়নি তার।
- আরে লোভ তো বটেই। আর ভালো কিছু করলে তার পুরস্কার থাকতে হবে না। শরাবন তহুরা আর বেহেশতের হুরপরী তো বড় পুরস্কার!
ওনার কথাগুলো বেশ শ্লেষাত্বক মনে হল। আর সেখানেই আমার খটকা। বক ধার্মিক ওনি নন। প্রচুর পড়াশোনা করেছেন। অফিসে ছোট কাগজে আয়াৎ লিখে নিয়ে যেতেন, যাতে ভুলে না যান। খোলামেলা মনের মানুষ। আমার এক জার্মান বন্ধু বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়েছিল। দুজনের ধর্মবিষয়ক অনেক গল্প হয়। বন্ধুটি বৌদ্ধ ধর্মকে সেরা ধর্ম হিসেবে মনে করে প্রশ্রয়ের হাসি হেসে ওর সাথে এ নিয়ে অনেক কথাও বলেছিলেন। ইসলাম ধর্মের নানা ভলো দিক নিয়েও তাকে অনেক বলেছিলেন। জার্মান বন্ধুটিও তার সাথে আলোচনার পর তাকে তার সন্মানের শিখরেই বসিয়েছে।
ওনার এই শ্লেষের হাসি আমাকেও ভাবিয়েছে অনেক। অন্য কেউ হলে এতটা ভাবতাম না। বিষয়টা নিয়ে কোথও না কোথাও খটকা লেগেছে তার। আর তাই এই অদ্ভুত হাসি।
শরাবন তহুরা তো মদ। মদ ইহলোকে নিষিদ্ধ, পরলোকে নিষিদ্ধ নয় কেন ? পরলোকে কি কেউ মাতাল হয়না? মাতাল না হলে মদ কি করে হলো ? পরলোকের হুর পরীরা পরনারী বা পরপুরুষ নয় ? বিয়ে না করেই বহুনারী বা বহুপুরুষ সেখানে বৈধ ? অর্থাৎ আমরা যে তথাকথিত বেলেল্লাপনার কারনে পাশ্চাত্য কে অপছন্দ করি, বেহেশতে তারই একটা পরিবেশ আমাদের জন্যে তৈরী করে রেখেছেন ঈশ্বর। আর সে লোভেই আমরা সৎ থাকবো, ধার্মিক থাকবো ?
ধর্ম নিয়ে তেমন বেশী পড়াশোনা করিনি। তাই আপনাদের মতো আয়াৎ কপচাতে পারবো না। তাই বিজ্ঞজনেরা উত্তর জানা থাকলে জানাবেন। তবে স্বাভাবিক বুদ্ধিবৃত্তি প্রভাবে পরিস্কার মনের অধিকারী। অনেক খেটেখুটে যৌক্তিক ভিত্তি তৈরী করেছি নিজের ভেতরে। তাই ছেলে ভুলানো ছড়ায় গদগদ হবার পাত্র নই। 'দা ভিঞ্চি কোড' ছবিটা দেখার পর ক্রিষ্টান ধর্মগুরুদের উপরও খিচড়ে আছে মন।
২| ২১ শে মে, ২০০৬ রাত ১২:০৫
অতিথি বলেছেন: আমার মন্তব্যটা একটু লম্বা হবে, কিন্তু দিচ্ছি...
৩| ২১ শে মে, ২০০৬ রাত ১২:০৫
অতিথি বলেছেন: আপনি একটু বুঝিয়ে দেন, সেই আশায়..........লিখলাম।
৪| ২১ শে মে, ২০০৬ রাত ১২:০৫
অতিথি বলেছেন: আগের মন্তব্য টি পারভেজ সাহেবকে উদ্দেশ্য করা...।
৫| ২১ শে মে, ২০০৬ রাত ১২:০৫
হযবরল বলেছেন: ধনুকের টংকার শুনে লগ ইন করলাম । ভাল লিখার বীজ এটা । এই অজ্ঞ আজ কিছু শিখবে আপনার সভা থেকে ..........আমিন ।
৬| ২১ শে মে, ২০০৬ রাত ১২:০৫
অতিথি বলেছেন: ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করুন।আপনি নিজেই বুঝে যাবেন।কাউকে বুঝিয়ে দিতে হবে না।
৭| ২১ শে মে, ২০০৬ রাত ২:০৫
অতিথি বলেছেন: মাসুদ আপনাদের 'নিজেই বুঝবেন' রোগ কবে যাবে? ধর্ম নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলেই 'আরো পড়ুন নিজে বুঝবেন' টাইপের কথা না বলে আপনিই বুঝিয়ে দিন না।
বাই দ্যা ওয়ে আপনিই কি ত্রিভুজ নাকি?
৮| ২১ শে মে, ২০০৬ রাত ২:০৫
অতিথি বলেছেন: সুন্দর , প্রশ্নবোধক লেখা।
এইরকম পোস্ট চাই যা আর দশজনকে ভাবায়।
৯| ২১ শে মে, ২০০৬ রাত ২:০৫
অপ বাক বলেছেন: অবশ্য তীরন্দাজ একটা কথাই মনে হলো পোষ্টটা পড়ে, কষ্ট করে বেহেশতে যাওয়ার কি দরকার, ওখানে যা যা বৈধ্য তা তো পশ্চিমেই বৈধ্য, মোটের উপর লাভ হলো এখানে একেবারে অলীক কল্পনা না করেই এসব উপভোগের সুযোগটা আছে, বেহেশতের একটা রাস্তা মনে হয় এই পশ্চিমে খোলা আছে, এইটার অনুকরন করেই বেহেশত তৈরি করেছে হয়তো।
১০| ২১ শে মে, ২০০৬ রাত ৩:০৫
অতিথি বলেছেন: অপ বাক, আপনার কথাটা সত্যি মনে হইতাছে। এইজন্য কি এত মোল্লার পশ্চিমে আইসা ভিড় জমায়?? হা! হা! হা!
১১| ২১ শে মে, ২০০৬ ভোর ৪:০৫
নতুন বলেছেন: সুন্দর লেখা ......................
সাদিক ভাই মানুষ প্রশ্ন কে কেন ভয় পায় ??? উত্তর জানা নেই বলে???
১২| ২১ শে মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫
অতিথি বলেছেন: যারা যারা মন্তব্য করেছেন, সবাইকেই অশেষ ধন্যবাদ। কিন্তু উত্তরের কোন সুত্র পেলাম না।
১৩| ২১ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫
শাওন বলেছেন: শতকের স্বাগতম ভাইয়া ... দেরিতে আসায় এখানেই মন্তব্য করলাম । হাত খুলে লিখে যান ...
১৪| ২১ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫
অতিথি বলেছেন: তীরন্দাজ, যে প্রশ্নগুলো তুলেছেন সেগুলো মৌলিক, এরই উত্তর যখন কেউ দিতে পারছে না তখন আর আর সব প্রশ্নগুলোতো ওদের পাগল করে দেবে। কেবলমাত্র কোরআনেই তিনজায়গায় তিন ভাবে মানুষ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। হাওয়া, পানি ও মাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে; তাহলেই বুঝুন যারা পাঠক তারা কি বুঝবে, আসল সত্যি কোনটা? হাওয়া, পানি নাকি মাটি?
ধন্যবাদ তীরন্দাজ।
১৫| ২১ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫
অতিথি বলেছেন: এই নিয়ে তৃতীয় বারের মত লিখছি। বার বার হাপিশ হয়ে যাচ্ছে। লেখার মুড পুরা চলে গেছে হা হা হা।
আমার একটা দুর্বলতা আছে। কথা গুছিয়ে বলতে পারি না। ধারণা করে নেই, যার সাথে কথা বলছি স্ওে আমার মতই একই লাইনে চিন্তা করছে, তাই অনেক কিছু দুই লাইনের ফাঁকে রেখে দেই। আবার কনটেক্সটচুয়াল করার জন্য এদিক সেদিকের অনেক কথা বলে ফেলি। এই দুর্বলতাটা ক্ষমা করবেন।
যেই প্রশ্নটা করলেন সেটা অনেক জটিল, উত্তরটা অনেক বড়।
ইসলামে জান্নাত আর পৃথিবীর জীবনের কনসেপ্টটা আগে বলি।
পৃথিবীর জীবন হচ্ছে মুসলিমদের জন্য পরীক্ষার ক্ষেত্র।
তার ফলাফল দেয়া হবে আখিরাতে, মৃত্যুর পরের জীবনে।
পরীক্ষার হলের নিয়ম কিন্তু সব সময় ভিন্ন হয়। কিছু স্পেশাল রেস্ট্রিকশন থাকে, নিয়ম থাকে। ক্লাসের ্ওই কোনে বসা চুপচাপ মেয়েটা, যে কখনই কার্ও সাথে কথা বলে না, তাকে কিন্তু অসামাজিক বলা হবে। তার স্বভাবে নিন্দা করবে সবাই, অথচ এই মেয়েটার এই গুণটাই সবচেয়ে কাম্য হবে পরীক্ষার হলে।
আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষকে পাঠিয়েছেন ভাল আর খারাপের অনুভূতি দিয়ে। ভালকে চেনার, ভাল কাজ করার ইচ্ছা আর খারাপ কাজ করার প্রবনতা দু'টোই আছে মানুষের। আল্লাহ দেখবেন কোন দিকটা জয়ী হয়। নেহায়তই কি খারাপ প্রবৃত্তির জয় হয়? খারাপ কাজের ইচ্ছা থেকে মনকে দূরে রাখতে পারে কি না...
অনেক কিছু আছে যেগুলো আপাত: দৃষ্টিতে খারাপ না, কিন্তু সেগুলো্ও পৃথিবী পরীক্ষাস্থল বলে এখানে নিষেধ।
শূকর খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় সেটার কোন অবিতর্কিত প্রমান নেই, অনেকে বলেন অল্প পরিমানের মদ শরীরের জন্য ভাল। হোক, তাতে এগুলো খা্ওয়া হালাল হয়ে যাবে না। মূল কথা হচ্ছে, এগুলো খেতে নিষেধ করেছেন আল্লাহ, যুক্তি দিয়ে রিফিউট করে এগুলো খা্ওয়া হবে ভুল প্রশ্নের উত্তর দা্ওয়া, অবশ্যই তাতে কোন নম্বর পা্ওয়া যাবে না।
আদম হা্ওয়ার জান্নাত এবং সেখান থেকে বহিস্কার সম্পর্কে কোরআনে অল্প কথা বলা আছে, অনেক শাখা প্রশাখা মানুষ বানিয়েছে। কোরআন অনুযায়ী, আদম হা্ওয়াকে একটা গাছের কাছে ফল খেতে নিষেধ করা হয়েছে, তারা খেয়েছে, তাতে আল্লাহর নিষেধের অমান্য করা হয়েছে। কোরআনে বলা হয় নি গাছের ফলটা স্বাস্থ্যের জন্য বা জান্নাতের পরিবেশের জন্য খারাপ ছিল কি না, অথবা জ্ঞান আরোহণের বৃক্ষ ছিল কি না। দ্যা বটম লাইন ইজ, আল্লাহর অর্ডার ভায়োলেট করা হয়েছে।
চারিদিকে তাকালে একটা মজার অবজারভেশন পা্ওয়া যায়। মানুষের সব কাজের পিছনে মটিভেশনকে মোটামুটি দুই ধরণের কার্নাল হাঙ্গারের মধ্যে ফেলা যায়! মানুষ মূূলত এই দু'টোর জন্য সব ধরণের অন্যায় কাজ করে। এই দু'টোকে ঘিরে তাই অনেক বেড়াজাল দেয়া হয়েছে। অনেক নিয়ম কানুন দিয়ে দেয়া হয়েছে, স্রেফ মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য।
সারাদিন খাওয়া ব্যপারটা এখন খারাপ, অপচয়ের পর্যায়ে পড়ে, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আখিরাতে সে রকম সুযোগ থাকবে, কোন বাধা ছাড়া... এরকম, পৃথিবীর সাথে জান্নাতের নিয়মের পার্থক্য থাকবেই।
এখন জান্নাতের ব্যপারে আল্লাহর প্রমিস হচ্ছে, জান্নাত অল পারফেক্ট। পারফেকশনে ভরা। কোন রকম ইমপারফেকশন নেই। পরিপূর্ণতা পাবে প্রতিটা মানুষ প্রতিটা সেন্সে। যা কিছু ভাল লাগে তাই পাবে, ইভেন মোর। সীমাহীন ভাবে। পৃথিবীতে মানুষকে সুন্দর জিনিসগুলো লিমিটেড এবং ক্ষণস্থায়ী করে দেয়া হয়েছে, আখিরাতে সেগুলো হবে সীমাহীন। পৃথিবীতে চির যৌবন চায় মানুষ, প্লাস্টিক সার্জারি করে যৌবন ধরে রাখার চেষ্টা করে... আখিরাতে এই জিনিসটাই পা্ওয়া যাবে। ইয়াহিয়া এমেরিক জান্নাতের ধরণ ধারণ বুঝাতে গিয়ে একবার তাতে মডার্ণ শপিং সেন্টার, হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকশন, স্পোর্টস এরিয়া থেকে শুরু করে সব ঢুকিয়েছেন... ব্যপারটা এমন, মানুষ যা চাইবে তাই পাবে। 620 সালের একজন মানুষ হয়ত দুধের নহর চাইতে পারেন, কিন্তু আমি চাই না, তাই আমাকে ওই জিনিস দেয়া সুখ দেয়ার পুরো উল্টা হবে! আমি শুধু জানি, দ্যাটস আ পারফেক্ট লাইফ। যা চাই তাই পাব।
কার্নাল হাঙ্গার মেটানোর অপরিসীম সুন্দর সুযোগ বোধ হয় অন্যতম জিনিস যেটাতে কারই আপত্তি থাকবে না, তাই এই ব্যপারটা এক্সপ্লিসিটলি এসেছে...
তবে, জান্নাতে 'খারাপ' কিছু থাকবে না তা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। শরাবটা ঠিক কি অর্থে বলা হয়েছে, আমি জানি না, তবে তার সাথে এসোসিয়েটেড দুর্গন্ধ, মাতলামি, অসুস্থতা অর্থাৎ কোন নেগেটিভ দিক থাকবে না অতটুকু জানি ।
আর সঙ্গীর ব্যপার, কার সঙ্গী কোনটা সেটা পরিষ্কার থাকবে, তাই পশ্চাত্যের অবস্থার সাথে এর তুলনা না। কেউ অন্য কার্ও সঙ্গীকে ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে না... পৃথিবীতে সামাজিক সমস্যা, বংশ বিস্তার, সন্তান লাভের আকাংখা, এসোসিয়েটেড নিরাপত্তা বোধের প্রয়োজন, এরকম অনেক জটিলতা থাকে যৌন সম্পর্কের সাথে, আখিরাতে এই প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। বিয়ে তো সামাজিক ঘোষণা, সামাজিক ঘোষণার প্রয়োজন দেখছি না জান্নাতে, তবে কেউ করতে চাইলে আল্লাহ নিশ্চই বাধা দিবেন না!
আসলে শরাব বা যৌনতা, শুধু এগুলো যুগ যুগ ধরে মানুষকে পাগল করে দিবে তা ভাবা হাস্যকর। বিশেষত যখন হাতের কাছেই সুযোগের অভাব নেই... মানুষ ইনস্ট্যান্ট রেজাল্ট চায়। এক জীবন ধরে নিজেকে আটকে রাখবে মৃত্যুর পরে যৌনতা পাবে বলে?
না, বরং মূল আকর্ষণটা হল সীমাহীন পারফেক্টনেস আর পরিপূর্নতা...
ওনার গলার স্লেষ? আমার ব্যাখ্যাটা বলি, জান্নাতের মূল ধারণা বুঝে না এরকম মানুষেরা বরাবর বহু কুমারী নারীর কথা বলে মুসলিমদের বিব্রত করার চেষ্টা করে আসছে। মিডিয়ার স্টেরিওটাইপের একটা বড় অস্ত্র এটা। ড্যানিশ কার্টুনগুলো একটা ছিল এই আইডিয়াটাকে এক্সপ্লয়েট করে তৈরি। স্টেরিওটাইপের ধরণটাই এমন, কেউ মুক্ত হতে না চাইলে তাকে জোড় করে মুক্ত করা যাবে না। যারা স্টেরিওটাইপ করে তাদের সম্পর্কে আমার খুব উচ্চ ধারণা নেই, তাই ছেড়ে দেই অনেক সময়, ধারণা ভাঙার চেষ্টা করি না। মনে হয় চোখ খুলতে চাইলে এমনিই খুলবে। তখন স্টেরিওটাইপ নিয়েই প্লে এলঙ করি। মৌলাবাদী শব্দটার পিছনে ইতিহাসের কারণেই মৌলবাদী হতে আমার আপত্তি আছে। কিন্তু আমাকে কেউ মৌলবাদী বলে গালি দিলে তাকে থামাই না। শুধু শুধু নাচব কেন কারও কথায়? কেউ কিছু দাবী করলেই আমি সেটা হয়ে যাচ্ছি না।
তৃতীয় বার যতটুকু উৎসাহ নিয়ে লেখা সম্ভব লিখলাম!
১৬| ২১ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫
অতিথি বলেছেন: উপস, বেশি বড় হয়ে গেছে... সরি
১৭| ২১ শে মে, ২০০৬ বিকাল ৪:০৫
অতিথি বলেছেন: আস্তমেয়ে
আপনার বিস্তারিত আলোচনার জন্যে ধন্যবাদ। আমার প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পেলাম কি না পেলাম, তা বড় কথা আপাতত: নয়। তবে আপনার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাতে কার্পন্য করছি না।
আপনার চেয়ে বয়েসে অনেক বড় আমি। যার কথা দিয়ে এ লেখা আমি শুরু করেছি তার বয়েস আমার চেয়েও অনেক বেশী। তার ভেতরে কোন কপটতা খুজে পাবার আগে আরো অনেক পথ পেরুতে হবে আমায়। হয়তো আমি প্রকাশ করতে ভুল করেছি। তার ভেতরে ছিল এক হতাশা, যার অকৃত্তিমতা নিয়ে আমার ভেতর সামান্যতমও সন্দেহ নেই।
আপনি আপনার লেখায় স্টেরিওটাইপের একটা প্রসঙ্গ তুলেছেন। যে বেহেশতের বর্ননা দিয়েছেন, সেখানে মানুষ যা পায়, তাই আসবে। কোন ইচ্ছেই অপূর্ন থাকবে, এমন ভাবনাও আসতে পারে না। পুরো বিয়য়টাই আমার কাছে এত বেশী স্টেরিওটাইপ মনে হচ্ছে যে, নি:স্বাস বন্ধ হয়ে আসছে আমার। আমার কাছে সুখ-দু:খ, পাওয়া-নাপাওয়া দন্ধে ছন্দিত এই পার্থিব পৃথিবীই অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য। আমার কাছে কোন ব্যাখ্যা বেশ হাস্যকর মনে হয়েছে। তারপরও আপনার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।
আমার মনে হয় আপনি ধর্মের ভেতরে এত বেশী ডুবে যে, আপনার পরিস্কার দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হচ্ছে বারবার। সামান্য সময়ের জন্যে একটু দুরে দাড়িয়ে দেখলে অনেকটা ভালো দেখা যায়। আপনার একটা লেখায় লিখেছিলেন ইসলাম শান্তির ধর্ম। তার প্রমানের জন্যে বলতে চেয়েছেন, সবাই ইসলামের ছায়াতলে আসলে কোন অশান্তির চিহ্নও থাকবে না। কোন বৈপরীত্ব না থাকলে, শান্তি এমনিতেই বিঘি্নত হয় না। এখানে ইসলামের মহার্ঘ হাত কোথায় ? সবশেষে 'তালগাছটা আমার' এমনি এক অপ সুর আপনার কথায়।
তারপরও আপনার ভেতরে যে স্ফাটিক চিন্তা, তার প্রতি আমি শ্রদ্ধা রাখি । ধন্যবাদ ।
১৮| ২২ শে মে, ২০০৬ রাত ১:০৫
অতিথি বলেছেন: এব্যাপারে আমি একটি পোষ্ট দিয়েছি... তীরন্দাজ কে পড়ে দেখার আমন্ত্রন জানাচ্ছি...
Click This Link
১৯| ২২ শে মে, ২০০৬ রাত ১:০৫
অতিথি বলেছেন: প্রশ্নটা যেখানে সেখান দিয়ে না যেয়ে মানুষজন দেখি ভালোই কল্পনার স্বর্গ সাজিয়ে বসেছে, বিষয়টা নিয়মের বৈপিরত্বের, কে স্বর্গ পাওয়ার আশায় উপাসনা করে কে আল্লাহকে ছোঁয়ার আশায় উপাসনা করে এই নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। আমরা স্বর্গত হলে কি কি উপহার পাবো এই নিয়ে কল্পনা করতে বাধা নেই, স্বর্গ সব ভালো জিনিষের সমাহার আরও ভালো কথা, কিন্তু মূল প্রশ্নটা যেখানে, এই যে পৃথিবীতে নিষিদ্ধ সব কিছু যে স্বর্গে বৈধ এই বিষয়টা কেনো এমন, আসল প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সবাই ধরি মাছ না ছুঁই পানি না, এইটা কুমির তওর জলে নেমেছি খেলা শুরু করেছে, প্রশ্নটার উত্তর জানা জরূরি আসলে, পৃথিবীতে যেসব কাজের জন্য নিষেধ আছে সেগুলো করার জন্য কেনো বেহেশতবাসি হতে হবে, আমরা পৃথিবীতেও একই কাজ করতে পারি,
২০| ২২ শে মে, ২০০৬ রাত ২:০৫
অতিথি বলেছেন: তীরন্দাজ,
আমি কিন্তু একবারও কোথথাও বলিনি সবাই ইসলামের ছায়াতলে আসলে শান্তি থাকবে। হতে পারে ভুলে গেছি, কোথায় বলেছি যদি বলে দিন, তাহলে আমি ক্ষমা চাইব এবং সংশোধন করব। কারণ আমি তা মনে করি না। আমি বলেছি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস কেউ যদি ইসলামকে সত্যিকার ভাবে বুঝে তাহলে কেউ ইসলাম থেকে দূরে থাকতে পারবে না।
দেখুন, মৃতু্য পরকালীন জীবন ব্যপারটাই এমন যেটা যৌক্তিক ভিত্তি তেমন নেই, ওমন একটা জীবনের প্রয়োজন হয়তো যুক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে, ব্যস এটুকুই। এখন পর্যন্ত কেউ সেই জীবন দেখে এসে সাক্ষ দেই নি, সে রকম কোন সম্ভবনাও নেই... এটাতে স্রেফ বিশ্বাস আসতে পারে, দ্যাটস ইট।
মৃত্যুর পরের জীবনে বিশ্বাসের জন্য সেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে আল্লাহর কথার উপর নি:শর্ত বিশ্বাস স্থাপন। সেটা কারো আসলে তখনই কথাগুলো এত অদ্ভুত মনে হবে না। আমি যা বললাম তার প্রতিটা বলা হয়েছে কোরআনে, কোরআনের কোন আয়াত সম্পর্কে এক ফোটা সন্দেহ নেই বলেই বিশ্বাস এসেছে...
আমি তো প্রথমেই বলে নিয়েছি আমি ইসলামের পারসপেক্টিভ থেকে বলব
রাসেল, সব নিষিদ্ধ জিনিস জান্নাতে পাওয়া যাবে না। মানুষ খুন করা নিষিদ্ধ, সেটা পাওয়া যাবে না... খারাপ কোন কিছুই থাকবে না।
আনলিমিটেড যে কোন কিছুর (উদাহরণ হতে পারে মদ এবং যৌন সম্পর্ক) সাথে পৃথিবীতে কতগুলো 'কনসিকুয়েনস' যুক্ত থাকে, সেখানেই আসে নৈতিকতার প্রশ্ন। জান্নাতে এই কনসিকুয়েনসটা থাকবে না। তাই বিবেকের খচখচানি থেকে মুক্ত পেতে, বা সামগ্রিক স্বার্থের কথা চিন্তা করে বেহেসতবাসীই হতে হবে, আই গেস।
তীরন্দাজ,
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস না থাকলে এগুলোতে আমার বিশ্বাস হত না... আপনার চেয়ে অনেক ছোট আমি, তবুও প্রশ্ন জাগে নি এগুলোর সত্যতা সম্পর্কে ঘটনা তা না। প্রশ্ন জাগার পরে এখন আমার বিশ্বাস দৃঢ়। সে যাই হোক, আমার সেই বিশ্বাস আমার মানবিকতার পথে বাধা হয়ে দাড়াতে পারবে না, বরং আমাকে আরও মানবিক হতে সাহায্য করবে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ওটুকু তো মৃত্যুর পরের জীবন, অদেখা সেই জীবন সম্পর্কে এক এক জনের এক এক রকম হাইপোথিসিস থাকবেই। ওটুকু বাদ দিলে মানবিকতার ইস্যুগুলো আমাদের জন্য এক... সেদিকে মনযোগ দিলে সামগ্রিক কল্যাণে বেশি কনট্রিউশন রাখতে পারব আমরা, আমার বিশ্বাস ।
২১| ২২ শে মে, ২০০৬ রাত ২:০৫
অতিথি বলেছেন: বেহশতে মানুষ মরবে না, এই জন্যই মৃতু নিষিদ্ধ, যদি মরে যাওয়া সম্ভব হইতো তাহলে মানুষ বেহেশতে গনহারে আত্মহত্যা করতো।
২২| ২২ শে মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫
অতিথি বলেছেন: রাসেল, হিমু একবার মহা হতাশ হয়ে পোস্ট করেছিলেন বিশ্বাসীরা সব কিছুতে বিশ্বাস খুঁজে পায়, সব কিছুর উত্তর খাড়া করা থাকে।
আপনি যা বললেন, সেটা পুরান যুক্তি... এমনটা মানুষ বলে বটে, কিন্তু এর জবাব আছে বিশ্বাসীদের কাছে। প্রতিজ্ঞা হচ্ছে, তাদের ভাল লাগবে... একঘেয়েমি আসবে না...
যাই হোক, আখিরাতে বিশ্বাস ইগনোর করলেও আমি দেখি না মানবিকতার ব্যপারে কেন সংঘাত হবে। আখিরাতে যারা বিশ্বাস করে, তাদের সামনে দু'টো পথ, হয় জান্নাত না হয় জাহান্নাম। জাহান্নামেও মৃত্যু নেই, তাই জান্নাতে যাওয়াই বেছে নিবে বেশির ভাগ মানুষ।
২৩| ০২ রা জুন, ২০০৬ বিকাল ৩:০৬
অতিথি বলেছেন: ঈশ্বরের নিয়ামত ও পুরষ্কারের লোভকে অস্বীকার করলে পরোক্ষে ইশ্বরকে অস্বীকার করা হয়। কারণ তখন আর ঈশ্বরের কথার ও পরিকল্পনার দাম থাকে না। যেমন রাজ্জাকের গানের এই বাক্যটি:
সত্তুরটা হুর-পরীতে আমার দরকার নাই..
আমি দোযখে যাবো....
২৪| ০২ রা জুন, ২০০৬ বিকাল ৩:০৬
অতিথি বলেছেন: শোমচৌ, এই গানটা চারুকলার মিঠুভাই লিখছিল বইলা জানতাম । ভুল ও হইতে পারে
২৫| ০২ রা জুন, ২০০৬ বিকাল ৩:০৬
হযবরল বলেছেন: হা হা হা , ঈশ্বর বিশ্বাস হচ্ছে পরম পিতায় বিশ্বাস , যিনি আপনার সাথে সব অবস্থায় থাকবেন । আমার কাছে ঈশ্বর একটা অনতিক্রম্য লজিক , অনস্বীকর্ায লজিক । হ্যা এবং না । 0 এবং 1। এই লজিক মহাবিশ্বের সর্বব্যপী পাবেন । এই লজিকই ঈশ্বর।
২৬| ০২ রা জুন, ২০০৬ বিকাল ৩:০৬
অতিথি বলেছেন: নাউজুবিল্লাহ ! পামু কই ?
২৭| ০২ রা জুন, ২০০৬ বিকাল ৩:০৬
অতিথি বলেছেন: গানটা শুনিনি। শ ম চৌ কে অশেষ ধন্যবাদ...।
২৮| ০২ রা জুন, ২০০৬ বিকাল ৩:০৬
অতিথি বলেছেন: সুমন গানটার বাকী লাইনগুলো জানলে দেন।
নতুবা তুহিনের কাছ থেকে নিতে হবে।
তুহিন গানটা রেকর্ড করেছিল।
২৯| ০২ রা জুন, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০৬
সাইফ ভুইয়া বলেছেন: আস্তমেয়ে উত্তর দেয়ার পর আমার আর কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না। সত্তিকার অর্থে আমি অত সুন্দর করে লিখাতেও পারব না। মেনে নিচ্ছি।
৩০| ০৬ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ১২:০৬
মদন বলেছেন: আস্ত মেয়ের লেখা এক কথায় চমৎকার। এর সাথে সামান্য লেজ লাগিয়ে আমি কিছু লিখছি। সাহাবী বা ব্যক্তির নাম আমার মনে নাই কিন্তু তার বক্তব্য মনে আছে। তিনি বলেছেন কিয়ামতের দিন আমাকে যদি বেহেস্ত এবং দুই রাকাত নামাজের সুযোগ দেয়া হয় তাহলে আমি নামাজকেই বেছে নেব। কেননা বেহেস্ত হলো আমার জন্য কিন্তু নামাজ হলো আমার রবের সন্তুষ্টির জন্য।
৩১| ০৬ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ২:০৬
অতিথি বলেছেন: কুরআন অথবা হাদীস শরেিফর কথা মোটামুটি এইরকম:
"জান্নাতে কি আছে তা কোন কান শুনেনি,
জান্নাতে কি আছে তা কোন চোখ দেখেনি,
জান্নাতে কি আছে তা কেও দুনিয়াতে থেকে কলপনাও করতে পারবেনা"
তাহলে দুনিয়াতে থেকে আমরা কি ভাবে বলতে পারব জান্নাতে কেন মদ নিষেধ না,বিয়ে না করেই বহু নারী বা পরুষ বৈধ কেন ।
আর যদি দুনিয়াতে থেকেই আমরা বলতে পারতাম কি কারণে অনুমতি দেওয়া হবে তাহলে তো উপরের কুরআন বা হাদীস শরীফের আয়া ত ভুল প্রমানিত হবে ।
৩২| ০৬ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ২:০৬
অতিথি বলেছেন: তবে আমার মনে হয়......যে হুর ,শরাবন তহুরা র জন্য জান্নাতে যাওয়ার আশা না করে আল্লাহকে ভালবেসে জান্নাতে যেতে পারলে মর্যাদা অনেক বেসি হবে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০০৬ রাত ১২:০৫
অতিথি বলেছেন: আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন, ধর্ম নিয়ে বেশী লেখাপড়া করেননি।সেটা না করেই কেন অন্যের বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করেন?