![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"প্রত্যেক প্রাণীই মরণের স্বাদ ভোগ করবে ... এই পার্থিব জীবন কিছু বাহ্যিক ছলনার মাল সামানা ছাড়া আর কিছুই নয়।" {সূরা আল-ই-ইমরান, আয়াত ১৮৫} "সত্যিকার ঈমানদার ব্যক্তি হচ্ছে তারা, যারা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূলের ওপর ঈমান আনে, অতঃপর (আল্লাহ তায়ালার বিধানে) সামান্যতম সন্দেহও পোষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে; এরাই হচ্ছে সত্যনিষ্ঠ।" {সূরা আল হুজুরাত, আয়াত ১৫}
আগের পর্ব...
জাহান্নামের প্রহরী
মহান আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণকে জাহান্নামের প্রহরী নিযুক্ত করেছেন যারা আল্লাহর আদেশ পালনে সদা প্রস্তুত থাকে, কখনোই তা অমান্য করে না। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলার বাণী, ‘হে মু’মিনগণ তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ, যারা অমান্য করে না আল্লাহ তাঁদেরকে যা আদেশ করেন তা পালনে। আর তাঁরা যা করতে আদিষ্ট হয় তাই পালন করে’ {সূরা আত-তাহরীম: ৬}।
আর জাহান্নামের প্রহরী হিসাবে নিয়োজিত ফেরেশতাগণের সংখ্যা ১৯ জন। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন: ‘আমি তাদেরকে নিক্ষেপ করব সাকার-এ। তুমি কি জান সাকার কি? উহা তাদেরকে জীবিত অবস্থায় রাখবে না এবং মৃত অবস্থায়ও ছেড়ে দেবে না। ইহা গাত্রচর্ম দগ্ধ করবে। সাকার-এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে উনিশজন প্রহরী’ {সূরা মুদ্দাছছির: ২৬-৩০}।
আয়াতে উল্লেখিত সংখ্যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদেরকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। কারণ, তারা ধারণা করে যে, এই অল্প সংখ্যক ফেরেশতার শক্তির সাথে বিপুল পরিমাণ জাহান্নামীদের বিজয়লাভ সম্ভব। কিন্তু তারা জানেনা যে, একজন ফেরেশতার শক্তি দুনিয়ার সকল মানুষের চেয়েও বেশী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমি ফেরেশতাগণকে জাহান্নামের প্রহরী নিযুক্ত করেছি, কাফিরদের পরীক্ষাস্বরূপই আমি তাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করেছি যাতে কিতাবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বৃদ্ধি হয় এবং বিশ্বাসীরা ও কিতাবীগণ সন্দেহ পোষণ না করে’ {সূরা মুদ্দাছছির: ৩১}।
জাহান্নামের প্রশস্ততা ও গভীরতা
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর অবাধ্য বান্দাদের শাস্তি দেয়ার জন্য জাহান্নাম সৃষ্টি করেছেন যার প্রশস্ততা বিশাল এবং গভীরতা অনেক যার প্রমাণ নিম্নরূপ:
১- পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ জাহান্নামে প্রবেশ করবে। জাহান্নামীদের সংখ্যার আধিক্য বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছা.) বলেছেন, হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন মানুষ জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এর পরেও আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামীদেরকে বিশাল আকৃতির দেহ দান করবেন। যেমন- তাদের এক একটি দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের সমান, এক কাঁধ থেকে অপর কাঁধের দুরুত্ব একজন দ্রুতগামী অশ্বারোহীর তিন দিনের পথ, চামড়া হবে তিন দিনের পথ পরিমান মোটা, যা জাহান্নামীদের দেহ অবয়ব অধ্যায়ে আলোচনা করব ইন্শাআল্লাহ। এতো বিশালাকৃতির হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন মানুষ জাহান্নামে প্রবেশ করলেও তা পূর্ণ হবে না। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজের পাঁ জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামকে বলবেন: ‘সেদিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞেস করব, তুমি কি পূর্ণ হয়ে গেছ? জাহান্নাম বলবে, আরও কিছু আছে কি?’ {সূরা ক্বাফ: ৩০}।
এই উত্তর শুনে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজ পাঁ জাহান্নামের মধ্যে প্রবেশ করাবেন। এ সম্পর্কে হাদীছে এসেছে, আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছা.) বলেছেন, জাহান্নামে অনবরত (জ্বিন-মানুষ) কে নিক্ষেপ করা হবে। তখন জাহান্নাম বলতে থাকবে, আরো অধিক কিছু আছে কি? এভাবে ততক্ষণ পর্যন্ত বলতে থাকবে, যতক্ষণ না আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজ পাঁ প্রবেশ করাবেন। তখন জাহান্নামের একাংশ অপর অংশের সাথে মিলে যাবে এবং বলবে, তোমার মর্যাদা ও অনুগ্রহের কসম! যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে।*১৪*
২- জাহান্নামের গভীরতা সম্পর্কে হাদীছে এসেছে, আবু হুরায়রাহ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ছা.)-এর সাথে ছিলাম। যখন তিনি একটি শব্দ শুনলেন তখন বললেন, তোমরা কি জান এটা কি? তখন আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। রাসূলুল্লাহ (ছা.) বললেন, এটি এক খন্ড পাথর যা জাহান্নামের মধ্যে নিক্ষেপ করা হয়েছে ৭০ বছর পূর্বে, এখন পর্যন্ত সে নিচের দিকে অবতরণ করছে জাহান্নামের তলা খুজে পাওয়া অবধি। অন্য হাদীছে এসেছে, আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছা.) একদা একটি বড় পাথর খন্ডের দিকে ইশারা করে বলেন যে, যদি এই পাথরটি জাহান্নামের কিনারা দিয়ে তার ভিতরে নিক্ষেপ করা যায়, তবে ৭০ বছরেও সে তলা পাবেনা।*১৫*
৩- জাহান্নাম এতো বিশাল যে, ক্বিয়ামতের দিন তাকে টেনে আনতে বিপুল পরিমাণ ফেরেশতার প্রয়োজন হবে। হাদীছে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছা.) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন জাহান্নামকে এমন অবস্থায় উপস্থিত করা হবে, যার ৭০ টি লাগাম হবে এবং প্রতিটি লাগামের সাথে ৭০ হাজার ফেরেশতা থাকবে, তাঁরা তা টেনে আনবে।*১৬*
৪- ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর দু’টি বিশাল সৃষ্টি চন্দ্র-সূর্যকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, যার প্রমাণে বায়হাক্বীতে বর্ণিত হয়েছে: হাসান বাছরী (রহ.) বলেন, আবু হুরায়রাহ (রা.) আমাদেরকে রাসূল (ছা.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন সূর্য ও চন্দ্রকে দুটি পনিরের আকৃতি বানিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তখন হাসান বাছরী জিজ্ঞেস করলেন, তাদের অপরাধ কি? জবাবে আবু হুরায়রাহ বললেন, আমি রাসূল (ছা.) হতে এ ব্যাপারে যা কিছু শুনেছি, তাই বর্ণনা করলাম, এই কথা শুনে হাসান বাছরী নীরব হয়ে গেলেন।*১৭*
উপরোল্লিখিত দলীল সমূহ থেকে প্রতীয়মাণ হয় যে, জাহান্নামের বিশালত্ব অকল্পনীয়। কারণ এত বিশালাকৃতির হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন জাহান্নামী এবং পৃথিবী থেকে ১৩ লক্ষ গুণ বড় সূর্যকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার পরেও যদি তার পেট পূর্ণ করার জন্য আল্লাহ তা‘আলার নিজের পাঁ প্রবেশ করানোর প্রয়োজন হয়, তাহলে তা কত বিশাল হতে পারে তা আমাদের কল্পনার বাইরে। আল্লাহ আমাদের তা হতে রক্ষা করুন। আমীন!
ইনশাআল্লাহ চলবে ...
রচনাঃ
শরীফুল ইসলাম বিন জয়নাল আবেদীন
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,
সঊদী আরব।
*১৪* বুখারী, ‘আল্লাহর ইযযত, গুণাবলী ও কালেমাসমূহের কসম করা’ অধ্যায়, হা/৬৬৬১, বাংলা অনুবাদ, তাওহীদ পাবলিকেশন্স, ৬/১১৪, মুসলিম, হা/২৮৪৮, মিশকাত, হা/৫৪৫১, বাংলা অনুবাদ, এমদাদিয়া, ১০/১৭২।
*১৫* মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ, ‘আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামীদের জন্য যা প্রস্তুত রেখেছেন’ অধ্যায়, হা/৩৫২৮৪, ছহীহ আল-জামে’ আছ-ছাগীর, হা/৫২১৪।
*১৬* মুসলিম, ‘জাহান্নামের আগুনের তাপের প্রখরতা’ অধ্যায়, হা/২৮৪২, মিশকাত, বাংলা অনুবাদ, এমদাদিয়া, ১০/১৬০, হা/৫৪২২।
*১৭* সিলসিলাতুল আহাদীছিছ ছহীহাহ, ১/৩২, হা/১২৪, মিশকাত, হা/৫৪৪৮, বাংলা অনুবাদ, এমদাদিয়া, ১০/১৬৯।
০৭ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:১২
মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জ্বীন শয়তান ও মানুষ শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।
২| ০৬ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫০
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: যতদূর মনে হয় মহানবী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন, যদিও তিনি একজন অত্যন্ত ভালো লোক। এখনো অনেক রোগিই নানান রকম অবাস্তব দৃশ্য দেখে থাকেন, সেগুলো বলেন, কিন্তু কেউ তা বিশ্বাস করেনা, চিকিৎসা করানো হয় রোগীকে। মহানবীর সেই প্রাচীন আমলে চিকিৎসা বিজ্ঞান এতো উঁচু মানের ছিলোনা, তিনি নিজের অসুস্থ মস্তিকে এসব দেখতেন আর তার সাঙ্গপাঙ্গদের বলতেন। এটা যে রোগ তা কেউ বুঝতোনা। এখনো গ্রামে গন্জে এসব রোগীদের পীর-ফকির মেনে তাদের বশ্যতা স্বীকার করে মানুষ। সব কিছুর মূলে রয়েছে অশিক্ষা ও অজ্ঞতা।
০৭ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:১৩
মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জ্বীন শয়তান ও মানুষ শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।
৩| ০৬ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:২৮
কষ্টসখা বলেছেন: @নক্শী কাঁথার মাঠ,ভাই আপনার বিশ্বাস,ভাবধার্,চিন্তা চেতনা আলাদা হতে পারে তাই বলে পবিত্র ধর্মের নামে আর মহান আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসুল (ছা.) এর নামে যা খুসি তাই বলতে পারেন না।আমি আপনাকে পবিত্র ইসলাম ধর্মের পথে ফিরে আসার আহবান করছি।আল্লাহ আপনার হেফাযত করূন।আমিন
০৭ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:১৪
মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন: ওরা বিকারগ্রস্থ ... ওরা কখনো ঈমান আনবেনা। আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৪১
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ভাই "কস্টসখা", যা খুশি তাই বলিনি, আমার যা মনে হয়েছে তাই বলেছি। আমার ব্যক্তিগত ধারনা আরকি। আপনার ধর্ম-বিশ্বাস আপনারই থাকলো, সেখানে একমাত্র আপনি নিজে ছাড়া আর কেউ ক্ষতি করতে পারবেনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৪৩
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: "এই উত্তর শুনে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজ পাঁ জাহান্নামের মধ্যে প্রবেশ করাবেন। এ সম্পর্কে হাদীছে এসেছে, আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছা.) বলেছেন, জাহান্নামে অনবরত (জ্বিন-মানুষ) কে নিক্ষেপ করা হবে।"
-- আল্লাহর আবার হাত-পা আছে নাকি? তিনি না নূরের তৈরী নিরাকার একটা অবস্থা? আল্লাহ সম্পর্কে কখন কি বর্ননা দিচ্ছেন তা মনে হয় নিজেই মনে রাখতে পারতেননা।
"এর পরেও আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামীদেরকে বিশাল আকৃতির দেহ দান করবেন। যেমন- তাদের এক একটি দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের সমান, এক কাঁধ থেকে অপর কাঁধের দুরুত্ব একজন দ্রুতগামী অশ্বারোহীর তিন দিনের পথ, চামড়া হবে তিন দিনের পথ পরিমান মোটা"
-- এই লোক যখন যা মনে এসেছে বলে গেছে। এক কাঁধের থেকে অপর কাঁধের দূরত্ব তিন দিনের পথ, আবার চামড়ার পুরুত্বও তিনদিনের পথ? এটা কোন আকৃতি? এইসব বিকার গ্রস্থ মানুষের ধর্মগ্রন্থ কিভাবে এখনো বিশ্বাস করেন আপনারা বুঝিনা। সবার আগে প্রশ্ন ওঠে কেন একজন মানুষকে এরকম পুড়তে হবে? নিজেই সৃস্টি করে নিজেই পোড়াচ্ছে, এর কোন মানে হয়? তাহলে বলতে হয় আল্লাহ নিজেই আসলে বিকার গ্রস্থ। আমার ক্ষমতা থাকলেই সৃস্টি করে বারবিকিউ করবো? যন্ত্রনা দেব? দোযখে যদি কাউকে যেতেই হয় তাহলে সবার আগে যাওয়া উচিৎ আল্লাহর নিজের। তিনিই সবচেয়ে বড় পাপি। সব থেকে বেশি কস্ট মানুষকে তিনিই দিয়েছেন। এটাতো আর সম্ভব না, আল্লাহর অস্তিত্ব আসলে মানুষের মনে, ঐ সৃস্টিফৃস্টি কিছুই না।