নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন জীবনের জন্য, সাহিত্য জীবনের অর্থ বোঝার জন্য৷

নাসিম আহমদ লস্কর

নাসিম আহমদ লস্কর

নাসিম আহমদ লস্কর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেধাবীদের পীঠস্থান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

প্রতিবছর এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়৷অনেক পরিশ্রম আর নিরবচ্ছিন্ন অধ্যবসায় এবং সেই সাথে অভিভাবকদের সচেতনতার ফলস্বরূপ এসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়৷কেউবা পাস করে জিপিএ ৫·০০ পেয়ে,কেউবা ৪·০০ পেয়ে,আবার কেউবা এর চেয়ে ও কম পয়েন্ট নিয়ে৷সবাই আবার সমান স্বপ্ন নিয়ে উত্তীর্ণ হয়না৷কেউ হতে চায় ডাক্তার,কেউ ইঞ্জিনিয়ার,কেউ শিক্ষক,কেউ বিসিএস ক্যাডার৷

এরকম আরো বিভিন্ন স্বপ্ন থাকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই৷
স্বপ্ন সকল শিক্ষার্থীর সমান হবে এমন নয়৷যারা লেখাপড়াকে জীবনের হাল হিসেবে ধরে নেয় কেবল তাঁরাই সোনালি জীবনের স্বপ্ন দেখে৷তাঁদের মধ্যেও স্বপ্নের তারতম্য আছে৷আবার সকলের স্বপ্ন পূরণ হয়না৷

কেবল মেধাবীদের মধ্যে মেধাবী যারা,যারা বইকে আপন সন্তান মনে করে পরম স্নেহে কাছে টেনে নিয়ে পড়াশোনা করে কেবল তাঁরাই ওই সোনালি স্বপ্নকে বাস্তবিক রূপ দিতে পারে৷

এখন প্রশ্ন হল,প্রতিবছর তো হাজার হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ ৫·০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়৷এরা সবাই কী মেধাবী?

আসলে,জিপিএ ৫·০০ যারা পায় তারা প্রত্যেকে মেধাবী নয়৷অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা সারা বছরেও একদিন বইয়ের একটি পৃষ্ঠাও উল্টিয়ে দেখেনি৷পরীক্ষার ২/৪ মাস আগে তাঁরা কোচিং সেন্টারের দ্বারস্থ হয়৷সেখানে গিয়ে গাদা গাদা নোটখাতা গলাধঃকরণ করে৷তারপর পরীক্ষালয়ে গিয়ে উত্তরপত্রে তা উদগীরণ করে৷যাকে জ্বর হলে ঔষধ খাওয়ার সাথে তুলনা করা যায়৷আবার কোন কোন শিক্ষার্থী আছে যারা পাঠ্যবইয়ের সব খুঁটিনাটি বিষয় আয়ত্ত করে৷নিরবচ্ছিন্ন অধ্যবসায়ের ফলস্বরূপ পায় জিপিএ ৫·০০ বা জিপিএ ৪·০০৷

প্রকৃত মেধাবী বলেন অথবা মেধাবীদের মধ্যে মেধাবী বলেন,এদের পরিচয়টাই কিন্তু আলাদা৷বলা হয়ে থাকে,পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা চান্স পায় তাঁরা প্রত্যেকেই মেধাবী৷কথাটি সর্বাংশে সত্য না হলেও সর্বাংশে সত্যের সহোদর৷প্রকৃতপক্ষে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য যেসব প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয় সেগুলো প্রথম শ্রেণি থাকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত খুঁটিনাটি বিষয় এবং কিছু জেনারেল নলেজ থেকে৷

ফলে,যেসব শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অক্ষরের হাড়ে হাড়ে ঢুকে গবেষণা করে অধ্যয়ন করেছে তারাই উত্তীর্ণ হয় ভর্তি পরীক্ষায়৷অনেক জিপিএ ৫·০০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী আছে যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় না৷আবার অনেক শিক্ষার্থী এর চেয়ে কম পয়েন্ট পেয়ে চান্স পেয়ে যায়৷এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে,শুধু মুখস্থ আর ঠোটস্থ করলেই মেধাবী হওয়া যায়না৷মেধাবী হতে হলে প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন অধ্যবসায়৷

আবার,আমাদের সমাজে দুই শ্রেণির অজ্ঞ-বিজ্ঞ লোক আছেন৷এক শ্রেণির লোক আছেন যারা মনে করেন কেবল ধনীর সন্তানেরাই মেধাবী হয় বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়৷কারণ তারা বিভিন্ন অভিজাত কোচিং সেন্টারে গিয়ে লেখাপড়া করে৷আবার আরেক শ্রেণির অজ্ঞ-বিজ্ঞ লোক আছেন যারা এই ধারণাটির ঠিক উল্টো হিসাব-নিকাশ কষেন৷তারা ধারণা করেন যে,পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গরীবের সন্তানেরাই চান্স পায়৷কারণ তারা ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারেনা৷আবার বিদেশ ও যেতে পারেনা৷এসব শিক্ষার্থীদের মাথা গোঁজানোর ঠাঁই কোথাও নেই৷তাই এরা বই নামক পুঁথি পাঠেই ব্যস্ত থাকে৷

আমার মতে,দুই শ্রেণীর লোকের ধারণাই সর্বাংশে ভুল৷প্রথম শ্রেণির লোকের উদ্দেশ্য আগেই বলেছি,গাদা গাদা বই মুখস্থ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া যায় না কিংবা মেধাবী হওয়া যায় না৷এখন দ্বিতীয় শ্রেণির লোকদের উদ্দেশ্যে বলছি,মেধাবী তারা হয়না অথবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরা চান্স পায়না; যাদের মাথা গোঁজানোর ঠাঁই কোথাও হয়না৷পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তারাই ভর্তির সুযোগ পায়; যারা সবসময় অধ্যবসায়ের সাথে নিয়োজিত থাকে,লেখাপড়াকে নিয়ে গবেষণা করে,গাদা গাদা বই মুখস্থ না করে গাদা গাদা বই নিয়ে গবেষণা করে৷

পরিশেষে,সকল শ্রেণির লোকদের উদ্দেশ্যেই বলছি:আসুন এসব বাজে কথা ডাস্টবিনে রেখে দেই৷সেই সাথে সমস্বরে সুর তুলি,ধনী-গরীব নয়; মেধাবীদের পীঠস্থানই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়৷এতে মেধাবীরা লেখাপড়া করতে উৎসাহ পাবে৷দেশ ও জাতি হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ৷সোনার বাংলার সোনার সন্তানেরাই পারবে তৃতীয় বিশ্বে মাথা উঁচু করে সগৌরবে দাঁড়াতে৷


লেখক:নাসিম আহমদ লস্কর
শিক্ষার্থী;ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ (১ম বর্ষ)
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়৷

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: একদম সত্যি কথা, যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়েনি তারাই ওই ধরনের কথা বলে।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

আল ইফরান বলেছেন: ফেইসবুকের এই ক্যাচাল ব্লগেও টেনে নিয়ে এসেছেন ? ? ?
পড়েন তো ১ম বর্ষে তাই সবকিছুই রঙ্গিন রঙ্গিন লাগে, ৩য়/৪র্থ বর্ষে উঠেন তখন ঠেলা টের পাইবেন |-)
মেধাবী বলতে কোন শব্দ নাই, যেইটা আছে তার নাম অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
আমার পরিচিত এক ভাই যে কিনা পাশ করছে প্রাইভেট (টপ র‍্যাংকড প্রাইভেটও না) থেকে, সে বাটারওয়ার্থ লেক্সিস-নেক্সিস এর এডিটর হিসেবে কাজ করে। যেই কাজ পরিচিতির মধ্যে আমার ভার্সিটির খুবই সিনিয়র এক প্রফেসর (নাম জানার দরকার নাই, আল্লাহ উনাকে নিয়ে গেছেন) করতেন। সো এইগুলান বাদ দিয়া পড়েন, দেশের উন্নতি আপনারও লাভ। :-B

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন।
ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: প্রাইভেট এর ছেলেরা কিভাবে চাকুরি পায় তা কি আর কেউ জানে না। এরা বেশীর ভাগই বড়লোকের সন্তান।দেখা যায় বাবা শীল্পপতি,চাচা শীল্পপতি অথবা ক্লাসমেটের বাবা শীল্পোপতি;বন্ধু বন্ধুরে চাকুরি দিয়ে দেয়।এসব নিজের চোখে দেখা।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

কালীদাস বলেছেন: আমাগর ইউনিভার্সিটিগুলাতে আমরা কি বালডা পড়াই আর কি মাল পয়দা করি সেইটা আপনার ব্লগিং দেখলেও বুঝা যায়। কেউ কমেন্ট করলে যে রিপ্লাই দিতে হয় সেইটাই আমরা আমাগর স্টুডেন্টডের শিখাইতে পারি নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.