![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইন্ডিয়ার দালাল অথবা ভারতের দালাল এই শব্দ হারহামেশাই শোনা যায় আমাদের দেশে।মজার ব্যাপার ভারত প্রাসাঙ্গিক এই শব্দ যেভাবে শোনা যায় পৃথিবীর আর অন্য কোন দেশ নিয়েই এধরনের কোন শব্দ সেভাবে শোনা যায়না।হয়তো কেউ রাত-দিন ২৪ঘণ্টা লন্ডন-অ্যামেরিকা যাবার জন্য পাগল হয়েও লন্ডন-অ্যামেরিকার দালাল হতে পারেনা।আমাদের সিলেটের বেশিরভাগ পরিবারেরই কেউ না কেউ লন্ডনে থাকে।তারপরেও তারা লন্ডনের দালাল হতে পারেনা।অথচ ভারতে কেউ থাকুক বা না থাকুক ভারতের পক্ষে অথবা পাকিস্তানের বিপক্ষে কেউ কথা বললেই আমাদের দেশে সে ভারতের দালাল হয়ে যাবে।
এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক এই শব্দের উৎপত্তি।৪৭ উপমহাদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়ে জন্ম নেয় দুটি রাষ্ট্রের ভারত-পাকিস্তান;যার মধ্যে পাকিস্তান পুরোপুরি ধর্ম ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র।ইসলাম ব্যাবহার করে জন্ম নেয় পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একে অন্যের যে বিরোধিতা;ধর্ম ও রাষ্ট্র ভিত্তিক তারও আঁচ লাগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালিদের।পশ্চিম পাকিস্তানিদের মত বেশিরভাগ পূর্ব পাকিস্তানিরাও ছিল ভারত বিরোধী।কিন্তু মজার ব্যাপার হল পূর্ব পাকিস্তানের সাচ্চা বাঙালি-পাকিস্তানিরা যতই ভারত বিরোধী হোক না কেন জাতিগতভাবে তারা বাঙ্গালীই ছিল।আর পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছে বাংলা মাত্রই হিন্দুদের ভাষা,ভারতের ভাষা;বাঙালি সংস্কৃতি হিন্দুদের সংস্কৃতি,ভারতের সংস্কৃতি।ফলে বাঙালি পাকিস্তানিদের তারা কখনই পাকিস্তানি ভাবতে পারতোনা,মুসলিম ভাবতে পারতোনা।ফলে বাঙালি পাকিস্তানিদের তারা জোর করে উর্দু ভাষা গেলাতে চেষ্টা করল।বাংলা সংস্কৃতিকে এদেশ থেকে মুছে ফেলতে চেষ্টা করল।
কিন্তু তাদের এই অন্যায় দাবি কখনোই মেনে নেয়নি বাঙালি পাকিস্তানিরা।(কিছু সংখ্যক যে মেনে নিয়েছিল তা আমাদের অজানা নয়।কি নামে তাদের সম্বোধন করবো বুঝতে পারছিনা।৭১ এ এরাই রাজাকার-আলবদর নামে পরিচিতি পায়।এদের অস্তিত্ত এখনো এই বাংলার মাটিতে রয়েছে।রক্ত প্রতিম পাকিস্তান প্রীতি হয়েও তারা বাংলাদেশি হয়ে আছে।) ফলে পশ্চিম পাকিস্তান-পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।যে দূরত্ব ছিল দুই পাকিস্তানের মধ্যকার ভৌগলিক অবস্থানের থেকেও অনেক বেশি।
৭১ এ দুই পাকিস্তানের একত্রে থাকার শেষ দিন পর্যন্ত পশ্চিম পাকিস্তানিরা এদেশের বাঙ্গালিদের ভারতের দালাল বলে মনে করতো।স্বাধীনতাকামী প্রত্যেকটা বাঙ্গালিকে তারা ভারতের দালাল মনে করতো।মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতের দালাল মনে করতো।জয় বাংলা শ্লোগান দেওয়া প্রত্যেক বাঙ্গালিকে তারা ভারতের দালাল মনে করতো।
৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে পূর্ব পাকিস্তানের নাম মুছে দিয়ে জন্ম নেয় বাংলাদেশ।স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতে যে ১ কোটি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিল যার বেশিরভাগই ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী।দেশ স্বাধীন হবার পর যার একটা বড় অংশই আর স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেনি।কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বা যুদ্ধের আগে-পরে যে পরিমাণ হিন্দু দেশ ত্যাগ করেছিল তার থেকে অনেক বেশি হিন্দু দেশ ত্যাগ করেছে যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে।
নিচের চার্ট লক্ষ্য করলে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ১৯৭১ এর পরে অন্য সব ধর্মের মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
আরও পিছনে তাকানোর জন্য আমরা নিচের চার্টটি লক্ষ্য করি।
১৯৪৭ সালে এদেশে মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী।১৯৭৫ সালে যা নেমে যায় ১৫.৬ শতাংশে।আর ২০১০ সালে যা মাত্র ৯.৫ শতাংশে নামে।অর্থাৎ পাকিস্তান আমলেও হিন্দুরা এদেশে নিজেদের যতটা নিরাপদ মনে করতো স্বাধীন বাংলাদেশে তারা ততোটা নিরাপদ মনে করেনা।৪৭এ ভারত-পাকিস্তান জন্মের সময় যারা দেশ ত্যাগ করেনি,৬৪ এর দেশভাগের সময় যারা দেশ ত্যাগ করেনি,৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের পরেও যারা ভিটে মাটি ছেড়ে যায়নি,তাদেরই একটা বড় অংশ স্বাধীন বাংলার মাটি ছেড়ে গেছে দেশ স্বাধীন হবার পরে।কঠিন হলেও সত্য ১৯৯১ আর ২০০১ সালে যা তীব্র আকার ধারণ করে।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জয়-পরাজয়ের উপরও নির্ভর করে কি পরিমাণ হিন্দু এবার সীমান্ত অতিক্রম করবে।প্রতি বছর খবরের কাগজে মূর্তি ভাঙ্গার সংবাদ পড়ে আমরা শারদীয় দুর্গা পূজার আভাস যেমন পাই তেমনি নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু (পড়ুন হিন্দু) সম্প্রদায়ের প্রতিনিয়ত খবরের কাগজের শিরোনাম হতে দেখে আঁচ করতে পারি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেশ ত্যাগ করার সময় আবার এসেছে।
স্বাধীনতার সময়কালে নিচের এই পোস্টারের ব্যাপক প্রচলন ছিল।
বাংলার হিন্দু
বাংলার খ্রিষ্টান
বাংলার বৌদ্ধ
বাংলার মুসলমান
আমরা সবাই বাঙালী
ছিলও তাই।ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কাধে কাধ মিলিয়ে বাংলার মাটি শত্রু মুক্ত করেছিল এদেশের বাঙ্গালিরা।কিন্তু বছর বছর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যফ্রন্টের মানববন্ধন উপরের এই পোস্টারটির সার্থকতা প্রকাশ করে?
পাকিস্তানিরা তীব্র মাত্রায় ভারত বিরোধী-হিন্দু বিরোধী।৭১ সালে এদেশে গণহত্যা তারা পশ্চিম পাকিস্তানে প্রচার করেছিল পূর্ব পাকিস্তানের কিছু মানুষ ভারতের দালালি করছে,পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাই পাকিস্তান সরকার সেই সব ভারতের দালালদের প্রতিরোধ করছে।যেহেতু পাকিস্তান সরকার ভারতের দালালদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে তাই পশ্চিম পাকিস্তানিরাও কোন মাথা ব্যাথা দেখায়নি।তাদের কাছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই ভারতের দালালি করা।কিন্তু আমরাতো জানি ৭১এ আমরা ভারতের দালালি করিনি।৭১ আমাদের অস্তিত্ত।৭১ আমাদের স্বাধীনতা।৭১ আমাদের প্রেরণা।
৭১ এ পাকিস্তান দুই টুকরো হয়েছে।স্বাধীন বাংলাদেশ ৪১ বছরে পা দিয়েছে।আজকে স্বাধীনতার ৪১ বছর পরেও আমরা ভারতের দালাল এবং শুধুমাত্র ভারতের দালালই খুজে পাই আমাদের দেশে।এতদিন এদেশের হিন্দুরাকেই শুধুমাত্র ভারতের দালাল হিসেবে গন্য করা হলেও এখন যুগ বদলেছে।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বললে যে কেউই ভারতের দালাল হয়ে যেতে পারে।
‘যদি বাংলাদেশকে একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করা হয় তাহলে ভারতের আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। যেদিন আমার সৈনিকরা বাংলাদেশকে মুক্ত করে সেদিনই আমি এ কথা উপলব্ধি করি। বাংলাদেশীদের কখনোই ভারতের প্রতি তেমন ভালবাসা ছিল না। আমি জানতাম ভারতের প্রতি তাদের ভালবাসা অস্থায়ী। অনুপ্রেরণা লাভের জন্য ভারতের দিকে না তাকিয়ে তারা মক্কা ও পাকিস্তানের দিকে দৃষ্টিপাত করবে। আমাদেরকে সত্যাশ্রয়ী হতে হবে। বাংলাদেশীদের প্রতি আমরা সঠিক আচরণ করিনি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের সব রকমের সাহায্য করা উচিৎ ছিল, কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা তা করেননি। তারা বেনিয়ার মতো আচরণ করেছেন।’
ফিল্ড মার্শাল মানেক শ’
(ভারতের সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান)
স্টেটম্যান, ২৯ এপ্রিল ১৯৮৮।
এই উক্তিটি করেছেন সেই ব্যক্তি, যিনি ১৯৭১ সালে ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার দিনই উপলব্ধি করেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবনধারা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যে চেতনা বিরাজ করছে তাতে করে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার স্থান হওয়া সম্ভব নয়।
৭১ আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে।আমাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।কিন্তু কঠিন হলেও সত্য ৭১ পারেনি আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পাকিস্তানকে।জাতিতে তারা অবশ্যই বাঙালি,কিন্তু হৃদয়ে পাকিস্তানি।
তবে আমাদের দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরও ভারত প্রীতি চোখে পরার মত।কিন্তু তাদের এই অতিরিক্ত ভারত প্রীতিতে সমাজের ভুমিকাও কম নয়।ছোট থেকেই নিজ ধর্ম,ধর্মের মানুষদের নির্যাতিত হতে দেখে মনের অজান্তেই তারা এসব থেকে মুক্তি চাইতে শুরু করে।চাকরির বাজারে থাকে অবহেলিত।মানসিকভাবে ধর্ষিত।এসব থেকে মুক্তির আশায় তাকিয়ে থাকে ভারতের দিকে।আর যখন দেয়ালে ঠেকে যায় পিঠ,সীমান্ত পারি দিয়ে চলে যায় ভারতে।
বাংলাদেশের হিন্দুরাও যে ইসলাম বা মুসলিম বিদ্বেষী নয় ব্যাপারটা ঠিক তা নয়।এদেশের হিন্দুরাও মুসলমানদের পছন্দ করেনা।আগে প্রায়ই শোনা যেতো,অনেক হিন্দু তাদের রান্নাঘরে কোন মুসলমানকে ঢুকতে দিতেননা।মুসলমানের স্পর্শ করা খাবার তারা মুখে নিতোনা।কিন্তু এদেশের মুসলিমদের হিন্দু বিদ্বেষ বিভিন্ন সময়ে যতটা প্রকাশ পেয়েছে এবং পাচ্ছে,হিন্দুদের মুসলমান বিদ্বেষ সেভাবে প্রকাশ পায়নি।এর কারন হিন্দুরা এখানে নিজেদের নিরাপদ মনে করেনা,প্রকাশ্যে মুসলিম বিরোধিতা কিভাবে করবে?
৭১ আমাদের নতুন একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু অন্তরের স্বাধীনতা দিতে পারেনি।পাকিস্তানি চেতনা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি।পাকিস্তানিদের মতই তীব্র ভারত বিরোধিতা করেই সময় চলে যায় আমাদের,দেশের কথা ভাববে কখন?ক্রিকেট খেলতে অন্য কোন দেশ যখন পাকিস্তানে যেতে চায়না নিরাপত্তার অভাবে আমাদের বিসিবি সভাপতি লোটাস কামাল জাতীয় দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।দেশের বেশিরভাগ মানুষই এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি কিন্তু যারা মেনে নিয়েছে তাদের সংখ্যাও কম নয়।
৭১ এ দেশ স্বাধীন করেছিল কারা?দেশে এতো পাকিস্তানপন্থি দেখি,ক্ষমতাবান রাজাকার দেখি।মুক্তিযোদ্ধা তো দেখিনা…মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো দেখিনা…।
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১০
নাস্তিক দীপ বলেছেন: আপনাদের মত মানুষদের কাছে বাংলাদেশে দুই ধরনের মানুষ রয়েছে।
১। ভারত পন্থী
২। ভারত বিরোধী
বাংলাদেশি বলে কোন শব্দ আপনাদের মত মানুষদের শব্দভান্ডারে নেই।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০২
এম এ আলীম বলেছেন: লেখাটা পড়ে মনে অনেক প্রশ্ন জাগলো।বাংলাদেশে ৭১ পরবর্তী সময়ে হিন্দু মুসলমান কোন সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা হয়নি।যেমনটা ভারতে হয়।সাধারনত জামায়াতের লোকদের রাজাকার বা পাকিস্তানপন্থী বলা হয়,অথচ আওয়ামী লীগ বা অন্ন ঘরানার লোকদের পাকিস্তান প্রীতি চোখে পড়ার মতো।তখন কোন পতিক্রিয়া দেখিনা।কিছু কথা লিখেছন যা অস্বীকার করার উপায় নেই ভারতের আচরনই আমাদেরকে ভারত বিদ্বেষী করে তুলছে।হিন্দুরা বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করেনা।আগে করত কারন আগে তারা ছিল সংখাগুরু আর এখন তারা সংখালঘু।
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১২
নাস্তিক দীপ বলেছেন: বাংলাদেশে কখনোই হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা হয়নি। বাংলাদেশে হয় সংখ্যালঘু নির্যাতন।
আগে দাঙ্গা আর নির্যাতনের পার্থক্য শিখুন।
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩২
লুকার বলেছেন:
সংখ্যালঘুরা সরকারী চাকরির উচ্চপদে ৩০% বা আরো বেশী আছেন এখন। এনজিও, বিদেশী, আন্তর্জাতিক সংস্থায়ও তাদের অগ্রাধিকার। উল্লেখ্য যে, বেশীরভাগ সংখ্যালঘুর আত্মীয় আছেন ভারতে বা তাদের নিজেদেরই বাড়ী আছে সেখানে। বৈধ অনুমোদন ছাড়া কয়েক লক্ষ ভারতীয় এদেশে চাকরি ও ব্যবসা করছেন, কেউ কেউ বাংলাদেশী পাসপোর্টও করে ফেলেছেন। অথচ ভিসা ছাড়া এবং বেশীদিন থাকলে লোকাল পুলিশের কাগজ ছাড়া একদিনও বাংলাদেশীরা সেদেশে থাকতে পারবে না।
১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫১
নাস্তিক দীপ বলেছেন: //সংখ্যালঘুরা সরকারী চাকরির উচ্চপদে ৩০% বা আরো বেশী আছেন এখন।//
//বৈধ অনুমোদন ছাড়া কয়েক লক্ষ ভারতীয় এদেশে চাকরি ও ব্যবসা করছেন, কেউ কেউ বাংলাদেশী পাসপোর্টও করে ফেলেছেন।//
রেফারেন্স দেন।
৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৭
কমলা_বিড়াল বলেছেন: দারুণ লেখেছেন... আসলে আমাদের এখানে হিন্দু-মুসলিম জাতিগত বিদ্বেষের ব্যাপারটা ব্রিটিশরাই অনুপ্রবেশ করিয়ে দিয়ে গেছে... যার সার্থক বাস্তবায়ন হল ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটা রাষ্ট্রের জন্ম! আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও পাকিরা এই বিদ্বেষকে ব্যবহার করেছে আমাদের জনগনের উপর... আমাদের ভারতীয় দালাল সীল মেরে তাদের জনগনের সমর্থন আদায় করেছে! সেই সিস্টেম কিন্তু এখনও চালু আছে... ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলা কিন্তু এই কথাগুলাই বারবার বলে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টায় লিপ্ত... আমাদের সবার এসব অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত!
১৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩৩
নাস্তিক দীপ বলেছেন: ভাল বলেছেন। সহমত
৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:২৫
বোকা ছেল বলেছেন: ভাই জাতিগত দাংগা বা সমস্যা যাই বলেন না কেন এটা কিন্তু সব দেশেই কম বেশি আছে। এক্ষেত্রে আমাদের হিন্দুদের নিজেদের দোষও কিন্তু আছে এবং সেটা কোনভাবেই এড়িয়ে যাবার মত নয়। আপনি সেটাও কিছুটা তুলে ধরেছেন এখানে। তবে এখনকার সময় এ দেশ ত্যাগ আমি কোনভাবেই সমর্থন করি না। ওখানেও যে নিরাপত্তা নেই। আর অনেকেই সেখানে গিয়ে মনে করে বেঁচে গেলাম বড়লোকের দেশে চলে এলাম। অথচ যে টাকা খরচ করে আর যে ঝক্কি ঝামেলা পার করে ওখানে গিয়েছে তার যদি অর্ধেক বাংলাদেশে করে তাহলে এখানে জমিদারের মত জীবন যাপন করতে পারত। আমার কিছু আত্মীয় স্বজনের অবস্থা দেখে বলছি। এখানে থাকলে রাজার মত জীবন যাপন করতে পারতো। যাই বলেন না কেন ভাই আমাদের মনের সংকীর্নতার কারনেই এখনো পুরোপুরি দেশপ্রেমিক হয়ে উঠতে পারি নি।
আর আমার মুসলিম বন্ধুদের প্রতি মাঝে মাঝে মেজাজ খারাপ হয় সব কিছুতেই তারা ধর্ম টেনে নিয়ে আসে। সামান্য খেলা দেখতে গেলে যে দলে মুসলিম আছে সেই দলের সমর্থন করে এবং তাকে নিয়ে ঐ টিমের বিস্তর গবেষনা শুরু হয়ে যায় যেখানে খেলাটা মুখ্য বিষয় নয়।
ধর্মতো নিজের বিষয় এতো টানাটানি করার কি দরকার। যে ধার্মিক তার কাছ থেকে শিক্ষা নাও। সবকিছুতেই ১টা ধর্মীয় ব্যাখ্যা দিয়ে ঝামেলা করবে অথচ সে নিজেও সেটা করে না
১৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৬
নাস্তিক দীপ বলেছেন: ভাল বলেছেন ভাই। সহমত
৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৩১
বোকা ছেল বলেছেন: তবে ভাই ভাল বলেছেন আমার অনেক দিনের মনের কথা। ধন্যবাদ
১৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৩
নাস্তিক দীপ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই
৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৫৭
বোকা ছেল বলেছেন: ভাই ঐ পরিসংখ্যানের ডাটা কোথা থেকে দিয়েছেন। সেটা দিলে আর ১টু ভাল হয়।
১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫৩
নাস্তিক দীপ বলেছেন: ভাই উইকি দেখেন। পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ
৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:০৫
মিশনারী বলেছেন: ভারতের আচরনই আমাদেরকে ভারত বিদ্বেষী করে তুলছে।
১। প্রতিদিন সীমান্তে দিকে তাকাইলে তার প্রমান পাওয়া যায় ।
২। বাংলাদেশ থেকে তাদের আবদার সব সময় বড় হয়ে থাকে । যেমন তিস্তার পানি বন্টন ।
৩। ভারতের মানুষরা বাংলাদেশের মানুষকে মনে করে না । যেমন বিদেশে চাকরি করতে গেলে তার প্রমান পাওয়া যায় ।
৪। বাংলাদেশের মানুষকে পশুর মত মনে করে । যেমন ছয়মাস আগে একজন বাংলাদেশি গরুর দালাল, যাকে ভারতে উলংগ করে মারে, তা ইউটিউবে আছে ।
৫। যারা বাংলাদেশের নদীকে বাধঁ দিয়ে, ভারতের জন্য মিশিনারী পাঠায়, আমাদের বুকের উপর দিয়ে, আর তারা বাংলাদেশে থেকে তাদেরকে সাপোর্ট করে ।
আরো কি প্রমান চান ?????????????
আর এসব ঘটনায় যাহারা বাংলাদেশের লোক হয়ে ও বাংলাদেশের কথা না বলে, চোখ কান বন্দ্ব করে, ভারতের পক্ষে কথা বলে, তাদেরকে ভারতে দালাল বলা হয় ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৬
নাস্তিক দীপ বলেছেন: //ভারতের আচরনই আমাদেরকে ভারত বিদ্বেষী করে তুলছে।//
আমাদের জন্মলগ্নের আগের থেকেই আমরা ভারত বিরোধী।
//১। প্রতিদিন সীমান্তে দিকে তাকাইলে তার প্রমান পাওয়া যায় ।//
কোন দেশে বেআইনি ভাবে প্রবেশ করার অধিকার আমাদের কে দিয়েছে?কোন দেশের সার্বভৌমত্ত্ব লঙ্ঘন করার কোন অধিকার আমাদের নেই। তেমনি অধিকার নেই অন্যদেশের কর ফাকি দিয়ে তাদের পন্য নিজেদের দেশে আনার।প্রতিটা দিন এভাবে ওদের দেশে বেআইনিভাবে মানুষজন পন্য আনছে,ঢুকছে।
ভদ্রতারও একটা সীমা আছে।
//২। বাংলাদেশ থেকে তাদের আবদার সব সময় বড় হয়ে থাকে । যেমন তিস্তার পানি বন্টন ।//
আমরা আমাদের আবদার বড় করে তুলতে পারিনা এটা আমাদের ব্যার্থতা।নিজেদের ব্যার্থতার জন্য অন্যের বিরোধিতা করার মধ্যে কোন কৃতিত্ব নেই।
//৩। ভারতের মানুষরা বাংলাদেশের মানুষকে মনে করে না । যেমন বিদেশে চাকরি করতে গেলে তার প্রমান পাওয়া যায় ।//
কি প্রমাণ পেয়েছেন ভাই অনুগ্রহ করে বলবেন?আমিও জানতাম।
আমি এতদিন জানতাম ভারতীয় জনগন না সাহায্য করলে ইন্দিরা গান্ধীর বাবাও পারতেননা ৭১ এ আমাদের সাহায্য করতে।
//৪। বাংলাদেশের মানুষকে পশুর মত মনে করে । যেমন ছয়মাস আগে একজন বাংলাদেশি গরুর দালাল, যাকে ভারতে উলংগ করে মারে, তা ইউটিউবে আছে ।//
যারা করেছে তাদের শাস্তি হয়েছে। ভারত এসব লুকিয়ে রাখেনি।ওদের এনডিটিভি তেই প্রথম দেখানো হয়েছিল ভিডিওটা।
আমাদের দেশের সঙ্খালঘুদের প্রতি যে অত্যাচার করা হয় বিশেষত নির্বাচনের পরে,তার কি কি আমাদের দেশের সরকারি-বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হয়?
//৫। যারা বাংলাদেশের নদীকে বাধঁ দিয়ে, ভারতের জন্য মিশিনারী পাঠায়, আমাদের বুকের উপর দিয়ে, আর তারা বাংলাদেশে থেকে তাদেরকে সাপোর্ট করে ।//
আপনার খিচুড়ি বুঝলামনা। পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলুন।
//আরো কি প্রমান চান ?????????????//
কিছুই তো প্রমান দিলেননা ভাই!!লল
//আর এসব ঘটনায় যাহারা বাংলাদেশের লোক হয়ে ও বাংলাদেশের কথা না বলে, চোখ কান বন্দ্ব করে, ভারতের পক্ষে কথা বলে, তাদেরকে ভারতে দালাল বলা হয় ।//
আর পাকিস্তানের দালাল কাকে মনে হয় অনুগ্রহ করে বুঝিয়ে বলবেন??
৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১৪
বিবেকহীন বলেছেন: ভারত-দালালীর পক্ষে বেশ মজার একটা পোস্ট দিলেন। দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা অংশের মুসলিম-বিদ্বেষ আভাস দিয়ে খানিকটা বাস্তববাদী হওয়ার ভেক ধরলেন, পরক্ষনেই সেই বিদ্বেষটাকে ডিফেন্ড করলেন নিরাপত্তাহীনতার দোহাই দিয়ে। একটা বিষয় অবশ্য পরিস্কার করেছেন, সেটা হলো ভারতের দালালীপনায় জ্ঞানপাপীদের ন্যায় আপনারা বেশ পরিশ্রমী আর সূক্ষ্ম চালাকীর আশ্রয় নিয়ে থাকেন।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তীব্র ঘৃণা সহকারে পাকিস্তান ভেঙ্গে যাওয়ার পরও পাকিস্তানী দালালদের অপনারা নিয়া ব্যাপক দুশ্চিন্তিত, আর নয়-দশমাংশেরও বেশি সীমানার প্রতিবেশী ভারতের দালালী নিয়া বিন্দুমাত্র দুশ্চিন্তা প্রকাশ করতে দেখি না। এসব ভারতীয় দালালরা এমনই যে দোর্দান্ড প্রতাপে ক্ষমতায় বসে নদীতে আড়াআড়ি বাধ দিয়ে ট্রানজিটের রাস্তা বানিয়ে দেয়, ভারতের দালালীপনা রক্ষায় বহির্বিশ্বের সাথে কূটনৈতিক-সম্পর্কহানী করতেও দ্বিধা করে না!
ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয় মূলত জাতিসত্তার ভিত্তিতে যেটাতে ধর্মকে লেবেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বৃটিশ-ভারতে হিন্দু নেতাদের চরম সাম্প্রদায়িক মনোভাবই এই ভাগকে তরান্বিত করেছে, যেটার উদাহরন হিসেবে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি বঙ্গভঙ্গের মত ঘটনা দিয়ে। মাত্র কয়েকদিন আগে হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যু পরবর্তী কলকাতার একজন সাহিত্যিক পশ্চিম বাংলার মানুষের পূর্ব বাংলার সাহিত্য পাঠে সংকীর্ণ-সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষী-মনোভাবের কথা বলেছেন। অথচ বাংলাদেশে কলকাতার সাহিত্যিকদের কদর সবারই অল্প-বেশি জানা, কলকাতার সাহিত্যিকরাও সেটা সব সময়ই স্বীকার করে থাকেন। এসব বিচারে ধারনা করা যায় কাদের মনোভাব সংকীর্ণ।
বাংলাদেশের যেসব হিন্দুরা পশ্চিম বাংলায় মাইগ্রেট করেছে তাদের অধিকাংশের ভাষ্যমতে বাংলাদেশে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা কলকাতার থেকেও বেশি, জাত-পাতসহ সামাজিক-ধর্মীয় কিছু বিধিনিষেধের (ম্লেচ্ছ সংসর্গ) কারনে তারা পশ্চিম বাংলায় মাইগ্রেট করে। একটা ক্ষুদ্র অংশ মাইগ্রেট করে সম্পত্তির নিরপত্তাহীনতায় যেটার পেছনেও ধর্ম একটা লেবেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়, প্রকৃতপক্ষে সেটা ছিলো দূর্বলের উপর সবলের শোষন (এখনো ভূমি দস্যুদের কারনে এসব প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে), এসবের পেছনে ভারত বা বার্মার রায়টের মত কিছু কাজ করেনি। সব মিলিয়ে বলা যায় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কারনেই কিছু হিন্দু মাইগ্রেট করে। আর পরিসংখ্যানকে বলা হয় তিন মিথ্যের সমাহার, কারন পরিসংখ্যানিক ফলাফলকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহার করা যায়।
যেসব হিন্দুর ভারতপ্রীতির কথা উল্লেখ করেছেন, সেটার পেছনে নিরাপত্তাহীনতা কোন বিষয়ই নয়, আসল বিষয় ম্লেচ্ছ জ্ঞান করা অর্থাৎ মুসলিমদের সাধারন নাগরিক অধিকারের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করা (বঙ্গভঙ্গের কথাই চিন্তা করে দেখুন)। দেশের হিন্দু নাগরিকরা কোন ধরনের নাগরিক অধিকার বঞ্চিত নয়, বরং প্রচলিত শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে থাকার কারনে তুলনামূলক বেশি সুবিধাপ্রাপ্ত। মজার ব্যাপার হচ্ছে কোন হিন্দুকে পাকি-দালালী করতে দেখা যায় না, কিন্তু ভারত-দালালীপনার সম্মুখভাগে মুসলিম-নামধারীদের উপস্থিতি প্রকট।
১৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৯
নাস্তিক দীপ বলেছেন: দুর্দান্ত বলেছেন।
অনেকটা নিজামির মত;
বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি।
১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫৯
সোহাইব সিনান বলেছেন: দাদা, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধে আমেরিকা তো তালেবানদের সাহায্য করেছিল। পরবরতি প্রেক্ষাপট ব্যাক্ষা দেয়ার প্রয়োজন মনে করি না। আমেরিকা, ভারত ইত্যাদি পুঁজিবাদী দেশগুলি কমবেশি একই নীতিতে চলে, তা হল সময়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে বিশ্বাস ঘাতকতা। পাকিস্তান যখন বাংলাদেশের সংস্পর্শে ছিল, তারাও তাদের হীন পুঁজিবাদী মতাদর্শের কারণে আমাদের স্বার্থ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল। আজ পাশে ভারত আছে এবং তারা বারংবার আমাদের স্বার্থহানি করছে। তাই আমাদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে ভারত বিরোধিতা বাংলাদেশি মাত্রই অস্ফুটে বেরিয়ে আসে কিছু মাদারি ভারতের দালাল ব্যাতিত।
১৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২১
নাস্তিক দীপ বলেছেন: ভাল বলেছেন।
১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:২৪
সুদীপ্ত কর বলেছেন: ৭১ আমাদের নতুন একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু অন্তরের স্বাধীনতা দিতে পারেনি।পাকিস্তানি চেতনা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি।পাকিস্তানিদের মতই তীব্র ভারত বিরোধিতা করেই সময় চলে যায় আমাদের,দেশের কথা ভাববে কখন?
চমৎকার একটা সত্য কথা
১৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২২
নাস্তিক দীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩৮
কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশে কখনোই হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা হয়নি। বাংলাদেশে হয় সংখ্যালঘু নির্যাতন।
আগে দাঙ্গা আর নির্যাতনের পার্থক্য শিখুন।
১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪০
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার এটাই যে প্রকৃতির নিয়মে লেখা । সর্বস্হানেই এমন হয় । হিন্দু বলতে দুভাগ করে ফেলেন , একদল হলো ভালো অবস্হানে চলে গেছে । তাদেরকে কেউ বালটা ছিড়তে পারবেন না । আরেকদল নিরীহ , তারাই শিকার সবার, ধর্মের, রাজনীতির !
যেমন আপনার সিলেটের কথাই ধরেন । সিলেটের পশ্চিম দিকটা কোন আওয়ামী সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রন করে ? নামটা বলেন তো ?
সিলেটের পূর্বদিকটা কোন আওয়ামী সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রন করে নামটা বলুন তো ?
সত্যি করে সাথে অসুর (সুর) লাগিয়ে নামগুলো বলবেন ।
পুরো মাদক, নারী, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মন্দিরের তহবিলের নামে চাঁদা আদায়, সব ওরা নিয়ত্রন করে । ওরা কিন্তু নামে হিন্দু । ওরা হিন্দু বলে কেউ কোন বালটা ছিড়তে পারবেন । আছেন কোন মুসলিম সন্তান ! বহুত মুসলিম সন্তান ওদের পাছা টিস্যু দিয়ে মুছিয়ে দেয় , জিহ্বা দিয়ে চাঁটে
************************************************
কাল দেখছিলাম , হারানো বিএনপি নেতা ইলিয়াসের বউ কাচুমাচু মুখ করে সন্তানগুলোকে পাশে নিয়ে ইলিয়াস উদ্ধারের কথা বলে , ইলিয়াসের মা এর আগেরদিন বলেছে ।
আমি বলতে চাই , ইলিয়াস যখন মানুষকে অত্যাচার করেছিল তখন এই দুই মহিলা কোথায় ছিলো ? সিলেটের পশ্চিম দিকের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের অনেক জায়গা ছিলো, অনেক কোটি টাকার সম্পত্তি । এই ইলিয়াস গত বিএনপি সরকারের আমলে সেই এলাকার এক যুবলীগ নেতাকে সাথে নিয়ে পুরোটা নামমাত্র মূল্যে দখল করেছিলো ।
****অসহায়তা দেখুন .........
পরিবারটি কি মামলা করতে পেরেছে ? এমনকি তাদের ছেলেকে অপহরন করে ফেলা হয়েছিলো , সেই ছেলের সাথে তার বন্ধু এক পুলিশ অফিসারের ভাই ও ছিলো , চট্টগ্রাম থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে । কোন মামলা হয়নি , হবে না, হলে ও স্বাক্ষী পাওয়া যাবে না ।
কারন কি ? এমনই পৃথীবি , দূর্বল সবসময়ই দূর্বল
১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: @ দিগন্তের পথিক
বাংলাদেশে একটা হিন্দু খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না যে হিন্দুটার ভারতে কোন আত্মীয় নাই বা ভারতের সাথে কোন যোগসূত্র বা যোগাযোগ নাই। বাংলাদেশের প্রায় ১০০% হিন্দু সব সময় প্রস্তুতি নিয়ে রাখে এবং প্রস্তুত থাকে, যে কোন সে যেন এই দেশ ছেড়ে ভারতে পাড়ি দিতে পারে।
====================================
উপরের আলাদা করা যে লাইনগুলো লিখেছেন এগুলো চরম মিথ্যে । খেতে পায় অনেকে আবার ভারতের সাথে লাইন মারবে ? কোন সুযোগ নেই । আপনার কথাগুলো চরম অবাস্তব ।
# দেখুন বাংলাদেশ বা পাকিস্হানে নিপীড়িত হচ্ছে শুধু নিরীহ হিন্দুরাই - এবং হচ্ছে এটা সত্য । অন্যরা যারা রাজনীতির ক্ষমতায় বলীয়ান তাদের কিছু হচ্ছে না ।
========= বেশি করে বলার মতো সময় নেই । তবে আপনার লাইনগুলো মিথ্যে ।
১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩১
েমা আশরাফুল আলম বলেছেন: দিগন্তের পথিক, ভালো বলেছেন।
১৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৫
মিশনারী বলেছেন: দাদা ভদ্র হয়ে কথা বললে পয়সা তো লাগে না । আমি তো আপনাকে যুক্তি দিয়েছি, লল/ বা আপনার মনোভাব করে কথা লিখে নাই ।
তারপর ও আপনার জ্ঞ্যাতার্থে জানাচ্ছি, বাংলাদেশী এক ভাই, সে খ্রীষ্টান পরিবারের ছেলে, সে অস্ট্রিলিয়া থেকে পাশ করে এদেশে আসে, সে যখন কিছু ভারতীয় দের সাথে কাজ করে, ৩ মাসের মধ্যে চলে আসতে বাধ্য হয়, তার কথা আমি বলেছিলাম । আর আমি ও আমেরিকার নিউয়র্ক শহরে ফাইনেনশিয়াল ডিষ্ট্রিক এ কাজ করি, আমার ডিপার্টমেন্টে কোন এশিয়ান নাই, কিন্তু আমার কোম্পানীতে অনেকে ভারতীয় কাজ করেন । তাদের মনোভাব এমন যেন, উনারা ছাড়া অন্য কেহ কিছু জানেন না ।
পাশের দেশ অর্থনীতিতে উন্নত থাকলে, পাশের দেশের মানুষ প্রবেশ করবে তাই স্বাভাবিক । তারা যে ন্যায় করেছে, আমি বলব না । তারা পেটের দায়ে এসব করে । তারা ও জানে তাদের জীবন মৃত্যু নিয়ে ওরা এসব করে থাকে । আর এসব ভারতীয় জানোয়ারা তাদের মৃত্যু মুখে ঠেলে দেয় । পেটের জ্বালা যে কি জিনিস আপনি হয়ত জানেন না । তাই তারা করে, তাই বলে কি তাদের এভাবে মেরে ফেলতে হবে ? পৃথিবীতে আর ও অনেক দেশে এসব মাইগ্রেশান বা মালামাল আনায়ন করে থাকে, তারা ও ধরতে পারলে, জেলে-হাজতে পুরাইয়া রাখে, তাই বলে এইভাবে হত্যা, উলংগ করে পিঠানো কোন দেশে আছে ? মালোশিয়াতে, আমেরিকাতে, আরব দেশ গুলিতে এসব প্রতিনিয়ত হচ্ছে । তারা কি ভারতীয়দের মত আচরন করে ?
কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশে কখনোই হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা হয়নি। বাংলাদেশে হয় সংখ্যালঘু নির্যাতন। আগে দাঙ্গা আর নির্যাতনের পার্থক্য শিখুন।
উপরের ভাই থেকে আপনার উত্তরটা নিতে পারেন ।
//আর পাকিস্তানের দালাল কাকে মনে হয় অনুগ্রহ করে বুঝিয়ে বলবেন??//
যাহারা বাংলাদেশের লোক হয়ে ও বাংলাদেশের কথা না বলে, চোখ কান বন্দ্ব করে, পাকিস্হানের পক্ষে কথা বলে, তাদেরকে পাকিস্হানের দালাল বলা হয় । উত্তর নিশ্চয়ই পছন্দ হয়েছে ।
//আপনার খিচুড়ি বুঝলামনা। পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলুন।//
আমার কথা আপনি কি করে বুঝবেন দাদা, তালপাতার বিড়ি খেয়ে তো এসব না বুঝার ই কথা । শিক্ষা দিক্ষা আরো ভালো হলেই বুঝে যাবেন ।
তারপর ও আপনাকে ধন্যবাদ । মন্তব্যটা যে মুছে দেন নাই ।
১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০১
বীরেনদ্র বলেছেন: ১৯৪৭ সালে বৃটিশ ভারত ভাগ হয় ধর্মের ভিত্তিতে। ১৯৪০ সালের জিন্নাহ'র "দ্বিজাতিতত্ব" ছিল এই ভাগের ভিত্তি। ১৯৪৭ সালে ভাগের সময় হিন্দুদের জন্য হয় ভারত এবং মুসলমানদের জন্য হয় পাকিস্তান। কিন্তু জাতি ও ধর্ম যে এক নয়, এবং ধর্ম যে একমাত্র বন্ধনের যোগসুত্র হতে পারে না তা অচিরেই টের পেতে থাকে পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারন। ১৯৪৭ সালেই তৎকালীন কংগ্রেস নেতা এবং পরবর্তীকালের ভারতের শিক্ষামন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেছিলেন " Pakistan is a bird having two wings and no body" তা টিকবে না।
১৯৪৭ সালে যে সমস্ত হিন্দুর পক্ষে সম্ভব হয়েছে দেশ ছাড়ার তার কিন্তু চলে গেছে। এরপর পাকিস্তান আমলে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ ভারত তথা হিন্দু বিদ্বেষকে সযত্নে লালন করেছে , পূর্ব পাকিস্তানের উপর শাসন শোষন অব্যাহত রাখতে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে তারা বলতে চেয়েছে ভারতীয় ষড়যন্ত্র, ইসলাম বিরোধী, মুক্তিযোদ্ধারা, আওয়ামী লীগ এবং হিন্দুরা ভারতের দালালা ইত্যাদি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। ৭১ যে ১ কোটি শরনার্থী ভারতে আশ্রয় নেয় তার অধিকাংশ ছিল হিন্দু, এর কারন হল পাকিস্তানীদের এবং রাজাকারদের শিকার ছিল ধর্মীয়ভাবে হিন্দুরা আর রাজনৈতিকভাবে দেখতে গেলে আওয়ামী লীগাররা এবং স্বাধীনতাকামীরা।
বাংলাদেশের পরও হিন্দুদের ভারতে অভিবাসন অব্যাহত থাকে আজও আছে। শুধুমাত্র হিন্দুরা কেন? মুসলমানেরাও সম্ভব হলে বাংলাদেশ ছাড়ছে। যেমন মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম প্রোগ্রামে হাজার কোটী টাকার ও বেশী বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশীরা যার অধিকাংশই মুসলমান। কানাডা,অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা বা যুক্তরাজ্যের কথা বাদই দিলাম।
এরা কেন দেশ ছাড়ছে? অর্থনৈতিক কারন এবং নিরাপত্তাহীনতা।বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা, বড়লোকেরা কিন্তু এক পা দিয়ে রাখেন আমেরিকা বা কানাডাতে বা উন্নত বিশ্বের অন্য কোথাও।
একই রকম কারন হিন্দুদের জন্যই প্রযোজ্য। এর উপর হিন্দুদের জন্য বাড়তি কারন হল ধর্ম। হিন্দুরা ধর্মীয় সংখ্যা লঘু- এই ধারনা কিন্তু না হিন্দু , না মুসলমান সবার মন থেকেই মুছে ফেলা সম্ভব হয় নি। হিন্দুরা দোষ দেবে মুসলমানদের একই ভাবে মুসলমানেরা দোষ দেবে হিন্দুদের।
যেদিন হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে সবাইয়ের সবচে' বড় পরিচয় হবে বাংলাদেশী সেদিনই এ সমস্যার সমাধান হবে। অনেকটা সেই মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের মত। তবে তা হতে হবে কিন্তু স্বতঃস্ফুর্তভাবে। জোর করে কারো উপর এই জাতীয়তাবাদের তকমা এটে দেওয়া সম্ভব নয়।
১৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৮
ধান শালিক বলেছেন: ইতিহাস এত ছোট নয় , ৪৭ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আরেক টু পেছনে যান । বঙ্গভঙ্গ দেখেন , ব্রিটিশ শাসন , তার পুরবের জমিদারী । সেখানে সুবিধা বঞ্ছিত কারা , আর কারা সুবিধা ভোগী ।হিসাব সহজ হয়ে যাবে । আজ যার মনেই যতটুকুই ক্ষোভ টা একদিনে তৈরি হয়নি । রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা ছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি , পারস্পরিক বিশ্বাস ,খুব তাড়াতাড়ি এসে যাবে এমন ভাবার কোন কারন নেই , কারন ধর্ম এখন রাজনীতির দাবার গুটি। আপনার আমার মত আমজনতার হাতে নাই । ভালো থাকবেন ।
১৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:১৬
বীরেনদ্র বলেছেন: @ধানশালিক,
আপনি আরো পিছনে যান, যেমন সম্রাট আঔরঙ্গজেব, জিজিয়া কর, বা সুলতান মাহমুদ কে দেখুন। তখন থেকেই কিন্তু এই ধর্ম এর ভিত্তিতে পার্থক্য করা শুরু হয়েছে।
ভারতবর্ষে সুলতানী আমল বা মোঘল আমলের পর যখন বৃটিশরা ভারতবর্ষ দখল করল, তখন স্বাভাবিক ভাবেই তারা ধর্মীয় অনুভূতি কে কাজে লাগাল ।মুসলমানদের চেয়ে হিন্দুদেরকে বেছে নিল তাদের শাসন পাকাপোক্ত করতে কারন হল সেই সময় মুসলমানেরা ছিল শাসক এবং বৃটিশরা ক্ষমতা দখল করেছিল মুসলমানদের কাছ থেকেই। বৃটিশ আমলে তারা হিন্দুদেরকে সুবিধা দেওয়ার কারনেই হিন্দুরা এগিয়ে যায়। আরো একটা কারন হল মুসলমান শাসন আমলে সরকারী ভাষা ছিল ফার্সী। কিন্তু ইংরেজদের শাসন চালাতে প্রয়োজন ছিল ইংরেজী জানা লোক। মুসলমানরা ইংরেজী শিখতে চায় নি, এবং গতানুগতিক ফার্সীকেই আকড়ে ধরতে চেয়েছিল। বৃটিশ শাসনের ১০০ বছরেরও বেশী পরে এই সত্যিটা উপলব্ধি করেছিলেন স্যার সৈয়দ আহমেদ। এবং তাকে কিন্তু মৌলভীরা মুরতাদ ঘোষনা করেছিল।
আজ কিন্তু আপনি উপলব্ধি করছেন স্যার সৈয়দ আহমেদের অবদান কি ছিল।
বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর কি? না, নয়। কারন হল তারা মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগেরও কম। এবং তারা যদিও প্রায় সবাই আওয়ামী লীগকে ভোট ও দেয় তাহলেও কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল খুব বেশী প্রভাবান্নিত হবে না।
ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ এবং হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠের দেশ। হিন্দুদের বিরোধিতা করে ভারত বিরোধী হয়ে জনসাধারনের সমর্থন আদায়ই এই রাজনীতির উদ্দেশ্য।
২০| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:২৭
রাজদরবার বলেছেন: যেসব হিন্দুর ভারতপ্রীতির কথা উল্লেখ করেছেন, সেটার পেছনে নিরাপত্তাহীনতা কোন বিষয়ই নয়, আসল বিষয় ম্লেচ্ছ জ্ঞান করা অর্থাৎ মুসলিমদের সাধারন নাগরিক অধিকারের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করা (বঙ্গভঙ্গের কথাই চিন্তা করে দেখুন)। দেশের হিন্দু নাগরিকরা কোন ধরনের নাগরিক অধিকার বঞ্চিত নয়, বরং প্রচলিত শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে থাকার কারনে তুলনামূলক বেশি সুবিধাপ্রাপ্ত। মজার ব্যাপার হচ্ছে কোন হিন্দুকে পাকি-দালালী করতে দেখা যায় না, কিন্তু ভারত-দালালীপনার সম্মুখভাগে মুসলিম-নামধারীদের উপস্থিতি প্রকট।
আপনি আরও বলেছেন হিন্দুরা তাদের মুসলিমবিদ্বেষ প্রকাশ করেনা। কিন্তু আমি নিজের চোখে দেখেছি হিন্দুরা সুযোগ পেলে তাদের সাম্প্রদায়িকতাকে কি নগ্নভাবে প্রকাশ করতে পারে এই একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে বসে।
আপনার পোস্টের অনেক কথাই বাস্তব সত্যের বিপরীত। যেমন আপনি বর্তমানে ৯.৫ শতাংশ যে হিসাব উল্লেখ করেছেন তার চেয়েও কম হিন্দু ২০০১ এ আওয়ামী আমলের আদমশুমারীতে উল্লেখ ছিল। এদেশের হিন্দুদের একটি বড় অংশ ইন্ডিয়ায় থাকে যাদের নাম আদমশুমারীতে উঠানো হয় নির্বাচনে বর্ডার ক্রস করে ভোট দেয়ার জন্য। সুতরাং হিন্দুদের সংখ্যা ৫ শতাংশেরও কম হওয়া উচিত
২১| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১৪
মুহাম্মাদ আলী বলেছেন: দেখুন আপনি আপনার নামের শেষে লাগিয়েছেন নাস্তিক।কিন্তু আসলে আপনি কি আমি তা জানি না।আমি নিজেও একজন নাস্তিকদের সাপোর্ট ছিলাম।কিন্তু আমি যখন দেখেছি যে আমাদের দেশের নাস্তিকদের একটাই লক্ষ আর তা হল ইসলাম ধর্ম।তারা তাদের প্রতিটা লেখাতেই শুধু ইসলামকে অপমান করে।কিন্তু অন্য কোন ধর্মের নামে তারা কিছুই বলে না।আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই তারা হিন্দু ধর্মের নামে কিছুই বলে না।this is a Common Sense
২২| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১১
মুহাম্মাদ আলী বলেছেন: this is a Common Sense যে তারা হিন্দু ধর্মের সাপোর্ট করছে।এ সমস্ত লোকেরা নিজেরা হিন্দু কিন্তু তারপরও তারা নাস্তিকতার নাম করে ইসলামকে অপমান করছে।তারা নাস্তিকতার সাথে একটা মুসলিম নাম ও জুড়ে দেয়।নাস্তিকতা মানে সব ধর্ম সমান।আমার কাছে প্রথমে ভালই লাগত।কিন্তু এখন আমার কাছে নাস্তিকতা মানেই হিন্দু।বাংলাদেশে কোন নাস্তিক নেই।এরা সবাই ছুপা হিন্দু।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ভারত উপকারি বন্ধুর মত বাংলাদেশের কি করেছে?কি করেছে?বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে চীন,সৌদি আরব,ইউরোপ বা আমেরিকা।ইউরোপ বা আমেরিকায় বাংলাদেশের সবচাইতে বেশী রপ্তানি হয়।সৌদি আরব আমাদের দায় খয়রাত করে আর চীন আমাদের কম দামে পণ্য সরবারাহ করে।অথচ বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী ভারত কিছুই করে নি।
আপনি পশ্চিম বাংলার না বাংলাদেশের তা আমি জানি না।পশ্চিম বাংলার মানুষেরা বাংলাদেশের মানুষকে দেখলে যে কি নোংরা দৃষ্টিতে তাকায় তা আমি নিজে প্রত্যক্ষ করেছি।ফেসবুক এ পশ্চিম বাংলার কিছু ফ্রেন্ড আছে আমার।তাদের কথায় বাংলা ভাষায় কথা বললেই নাকি বাঙালি হওয়া যায় না।মুসলিমরা ভারতবর্ষ শাসন করেছে ১০০০ বছর।কিন্তু মুসলিমরা বাঙ্গালির মন পাবে না।যে সমস্ত মুসলিম বাংলায় কথা বলে তারা মুসলিম তারা বাঙালি নয়।
তাদের কথায় যারা মুসলিম তারা বাঙালি নয়।।আমি বলি বাঙালি কারা?হ্যাঁ বাঙালি পশ্চিম বাংলার মানুষেরা?পশ্চিম বাংলার মানুষেরা বাংলাদেশের মানুষদের বাঙালি ভাবে না।আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা যাযাবর।এই নোংরা তাদের মানুসিকতা।অথচ তারাই আবার ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালন করে।যে দিনে মুসলিমরা ভাষার জন্য মারা গিয়েছিল।আর আপনি আপনার পোস্ট এ বাঙ্গালির কথা বলতে এসেছেন।আমি এখন নিজেকে বাঙালি না ভেবে মুসলিম ভাবি।হ্যাঁ আমি হিন্দুদের কাছে হেরে নাস্তিক হতে চাই না।আমি আমার দেশকে এবং ধর্মকে ভালবাসি।আর তারাই দাবি বাংলাদেশ নাকি সাম্প্রদায়িক দেশ?অথচ ভারতেই বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে,৯২ এ মুম্বাই দাঙ্গা হয়েছে,গুজরাট দাঙ্গা হয়েছে,কিছুদিন আগে আসাম দাঙ্গা হয়েছে।বাংলাদেশে দেখাতে পারবেন এমন কোন দাঙ্গা হয়েছে?পারলে দেখান?কিছুদিন আগে পশ্চিম বাংলায় ট্রেনে মুসলিমদের মারা হয়এখানে
তাছাড়া বাংলাদেশে যে সমস্ত হিন্দু পেজ আছে সেখানে হিন্দু ধর্মের আলোচনা না হয়ে শুধু মুসলিম ধর্মের সমালোচনা করা হয়।এখানে দেখুন আমি হিন্দু
তাছাড়া তারা বাংলাদেশ বিরোধী পেজ ও বানিয়েছে।আমরা বাংলাদেশের সবাই ভারতের অঙ্গরাজ্য হতে চাই
তারা নোংরা ভাষায় বাংলাদেশকে গালি দিয়ে পেজ বানিয়েছে fuck bangladesh
আর এখানে ভারত বিরধিতার কি দেখলেন।বাংলাদেশের চাইতে ভারত ২২ গুন বড়।বাংলাদেশ এবং ভারতের লড়াই একটা অবাস্তব ব্যাপার।স্বাধীনতার পরে ভারত তো আমাদের উন্নয়নের বন্ধুর মত কোন সাহায্য করেই নি উল্টো আরও খারাপ আচরন করছে।আরও নদী মাত্রিক বাংলাদেশের নদীর উৎসে বাধ নির্মাণ করছে।একটা নদী মাত্রিক গরিব দেশ তাহলে কিভাবে বাঁচবে।কে চায় নিজেদের দেশের মানুষের সিমান্তে মারা যাক অন্য দেশের সীমান্ত রক্ষি দ্বারা।আমরা কি নিজেদের দেশকে ভালোবেসে নিজেদের পক্ষ নিতে পারবো না।আমরা কি হিন্দি সংস্কৃতি থেকে নিজেদের বাঁচাতে চাইতে পারবো না।আপনারা না বাঙালি আপনাদের তো উচিৎ হিন্দি সংস্কৃতির হাত থেকে বাংলাকে রক্ষার জন্য কথা বলা।আর আমরা এটা বলি দেখেই আমরা ভারত বিরোধী হয়ে গেলাম।শুনুন আমরা ভারত সরকারের বিরোধিতা করি ভারতের মানুষের না।
২৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ও,
এই ব্লগারের স্টাইল তো পুরনো।
তিনি নাস্তিকের মত এটা ভাল ও অগ্রসর মতের ধারক- এই দাবী করেন, কিন্তু কাজটা আমাদের হিন্দু ভাইদের মতও করেন না, করেন না মুসলমানদের মতও, বরং
সাম্প্রদায়িক উস্কানির মত।
এর পোস্ট তো আদ্যিকাল থেকেই এমন আসে।
পারলে ক্ষমা করে দেন, না পারলে তথ্য সহ প্রমাণ করেন। মুসলমান হিন্দু নিয়ে সাম্প্রদায়িক গালাগালি করে নিজ নিজ ধর্মরে গান্ধা কইরেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫৮
কষ্টবিলাসী বলেছেন: ব্যাপারটা খুবই সহজ। ভারতকে আপনারা পূণ্যভূমি মনে করেন। বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট খেলায় আপনারা ভারতকে সমর্থন করেন। প্রমাণ, ঢাবির জগন্নাথ হল।