নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকের ধর্মকথা

মানুষেরে ঘৃণা করি'/ ও কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি' মরি'/ ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর ক'রে কেড়ে,/ যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে।/ পূজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল! - মূর্খরা সব শোনো,/ মানুষ এনেছে গ্রন্থ; - গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো!/......।(নজরুল)

নাস্তিকের ধর্মকথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিল্পী এস এম সুলতান ও ভিনসেন্ট ভ্যান গঘঃ জীবন কারিগর

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭









উপরের ছবিদুটির প্রথমটি এস এম সুলতানের, আরেকটি ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের। ভ্যান গঘের এই ছবি আগেই দেখা, এরপরে সুলতানের ছবিটি যখন আমার চোখে পড়ে, তখন কেন যেন ভ্যান গঘের এই ছবিটির কথা মনে পড়ে যায়। দুটি ছবিরই উপজীব্য হারভেস্ট- ফসল। একটিতে দেখা যাচ্ছে ফসলের মাঠ, পাকা ধানের মাঠ, একটি ল্যাণ্ডস্কেপ। আরেকটি পেছনে পাকা ধানের মাঠ, সাথে সাথে ছবিতে উঠে এসেছে কৃষকের উঠানে কাটা ফসলের কর্মযজ্ঞ, এসেছে কৃষকের প্রাণ চাঞ্চল্য। দুটো ছবিতেই হলুদের সমারোহ, এবং দুটিতেই জীবনের ছোঁয়া। ছবি দুটিই যেন কত জীবন্ত, কত আশাবাদ, অফুরন্ত সম্ভাবনার সমারোহ।



আমি যতই সুলতান ও ভ্যান গঘের ছবি দেখতে থাকি, ততই ওনাদের কাজের মধ্যে মিল খুঁজে পাই। দুটি ভিন্ন সময়ে, ভিন্ন দুটি অঞ্চলে- ভিন্ন সমাজে জন্ম নিয়ে ও বেড়ে উঠেও ওনারা যেন কত আপন, কতই না কাছাকাছি। আমি আঁকার স্টাইল বা ফর্ম নিয়ে বলছি না, আমি এ বিষয়ে যথেস্টই অজ্ঞ, আমি শুধু বলতে পারি আমার অনুভূতির কথা এবং সত্যি বলতে কি আমি যখনই ওনাদের ছবি দেখি, অবাক হয়ে ভাবি ওনারা যেন এক আত্মা। যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করি, কেন এমন মনে হয়? এ কি আমার বোঝার ভ্রম অথবা আরোপিত কিছু? ভাবতে থাকি, আরো বেশী করে ছবি দেখি, আবার ভাবি। শেষে মনে করার চেষ্টা করি, সুলতানের ছবি দেখলে কোন অনুভূতি সবচেয়ে বেশী নাড়া দেয়? গঘের ছবি দেখলে মনের গভীরে কোন অনুভূতিটি সবচেয়ে বেশী ক্রিয়া করে? অনুভূতির প্রকাশ কতখানি করতে পারবো জানি না, তবে ওনাদের দুজনের ছবি যখন দেখি, একটি আলোড়ন অনুভব করি, সুলতানের ছবি জীবনের কথা বলে, একই সাথে ভ্যান গঘের ছবিও তাই। ভ্যান গঘের ছবি দেখলে একটা বিষয়ই মনে আসে, মানুষের প্রতি দরদের জায়গাটি, অকৃত্রিম ও খাঁটি। সুলতানের ক্ষেত্রেও তাই। মূল বিষয় মানুষ। এই মানুষ কিন্তু শহুরে, বা সভ্য জগতের মানুষ নয়, কেউকেটা টাইপের তো নয়ই, এরা একান্ত গ্রামীণ, অভাবী খেটে খাওয়া। সুলতান ও ভ্যান গঘ উভয়ের সম্পর্কেই একই অভিযোগ ছিল, তাঁরা নাকি মানুষের এনাটমি জানেন না। কিন্তু এই মিলের চেয়েও আমার কাছে বড় মিল হলো এই যে, ওনাদের সৃষ্ট এই এনাটমি না মানা কিম্ভুত মানুষেরা যেন জীবনের আধার। আকিরা কুরুশাওয়ার ড্রিমস ফিল্মটিতে যখন দেখি আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে, ভ্যান গঘের ছবিটি যখন নড়েচড়ে ওঠে তখন পার্থক্য করে উঠতে পারি না কোনটি গঘের ছবি আর কোনটি আকিরার সেট।



আমাদের কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের কৃষকরাই সুলতানের প্রধান আকর্ষণের বিষয়। ওনার ছবির বিশালাকায় পেশীবহুল কৃষক ও কৃষক পত্নী জীবন জীবিকায় ব্যস্ত। কখনো ফসলের মাঠে, কখনো নদীতে নৌকায় কাটা ফসল তোলাতে, কখনো জলাশয়ে মাছ ধরতে, কখনো উঠোনে ধান মাড়াই করতে, কখনো অলস দুপুরে হাতের কাজ সারতে দেখা যায়। কিষাণীকেও দেখা যায় গরুর দুধ দোয়ানোর কাজে, কিষাণের সাথে কাঁধ মিলিয়ে মাড়াই কাজ করতে, বা কখনো পুষ্করিনী থেকে পানি আনতে, ঢেকিতে ধান ভানতে, ধান ঝাড়তে, কখনো অলস দুপুরে সখীর চুল আছড়াতে। সুলতানের ভাষায় "আমি মানুষকে খুব বড় করে এঁকেছি, যারা অনবরত বিজি আফটার ওয়ার্ক। .... আমি সবসময় কৃষকদের এঁকেছি, কৃষকরা যুগ যুগ ধরে অমানবিক পরিশ্রম করে চলেছে। ওদের উপজীব্য করেই সমাজটা গড়ে উঠেছে। কিন্তু ওদের চিরকালই বিট্রে করা হয়েছে। ব্রিটিশরা করেছে, পাকিস্তানীরা করেছে, '৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের অনেক আশা দেয়া হয়েছিল কিন্তু দে ওয়ার বিট্রেড। এই যে একটা এক্সপ্লয়েটেশন প্রসেস, আমার ছবি তার প্রতি একটা চ্যালেঞ্জ। শোষণ করো, কিন্তু কোন মশা এদের শেষ করতে পারবে না, ব্রিটিশরা করেছে, পাকিস্তানীরা লুটেপুটে খেয়েছে, এখনো চলছে, কিন্তু এরা অমিত শক্তিধর। কৃষককে ওরা কখনো শেষ করতে পারবে না, আমার কৃষক এ রকম"







আর এজন্যই তো ওনার ছবিতে কৃষকের এই পেশী, পেশী তো শক্তিরই অপর নাম। সাধারণভাবে আমরা আমাদের হতদরিদ্র কৃষকদের কথা ভাবলেই চোখে ফুটে ওঠে হাড়জিড়ে হালকা পটকা কিছু মানুষের কথা। কিন্তু এই হাড়জিড়ে মানুষই কিন্তু দিনরাত অবিরাম কঠোর পরিশ্রম করে, সে লাঙ্গল চাষ করে, কোদাল দিয়ে মাটি কোপায়, বীজ দেয়, চারা বোনে, সেচ দেয়, ফসল কাটে, মাড়াই করে। এসব কাজ আমাদের কৃষকের শক্ত দুহাতই সমাধা করে। সেই শক্ত হাত-পায়ের পেশী আমরা সুলতানের চোখে দেখি আর কৃষকদের নতুন করে আবিষ্কার করি। তাইতো সুলতান তাঁর ছবির থিম সম্পর্কে বলেন, "আমার ছবির ব্যাপার হচ্ছে সিম্বল অব এনার্জী। এই যে মাসলটা, এটা যুদ্ধের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, সয়েলের সঙ্গে যুদ্ধ। তার বাহুর শক্তিতে লাঙ্গলটা মাটির নীচে যাচ্ছে, ফসল ফলাচ্ছে। শ্রমটাই হলো বেসিস। আর আমাদের এই অঞ্চল হাজার বছর ধরে এই কৃষকের শ্রমের উপর দাঁড়িয়ে আছে। অথচ সেই কৃষকদের হাজার বছর ধরে মারা হয়েছে। .....আমি কৃষকের হাজার হাজার বছরের এনার্জীকে, ওদের এনার স্ট্রেন্থকে এক্সাজারেট করে দেখিয়েছি। কাজের ফিলিংসটাকে বড় করে দেখিয়েছি..।"







এই যে কাজের ফিলিংস, এটাই মূল। সেকারণে সুলতানের ছবিতে সুন্দরী, মোহিনী নারী চরিত্র পাওয়া যায় না। কেননা দুধে আলতা গাত্রবর্ণ, পরিপাটি বেশ ও গহনা পরিহিতা, মসৃণা অনড়-অকর্মণ্য রমনী পুতুল সদৃশ সৌন্দর্য তৈরী করলেও, সুলতানের ছবির কর্কশ-কর্মঠ, প্রাণচঞ্চল নারী-চিত্রের মত জীবন সেখানে পাওয়া যায় না। এমনকি সুলতানের ছবিতে চুল আছড়াতে ব্যস্ত নারীদের দেখেও মনে হয়, এরা যেন একটু আগেই ধান মাড়াই দিয়েছে, বা হেসেল ঠেলেছে, বা গাভী দোহন করেছে।







এই তো সুলতানের ছবির নারী, সে কিন্তু কামনীয় নয়, পুরুষের মনোরঞ্জনই নারীর জীবন নয়, সেও কাজ করে এবং শক্তি ধরে। ভ্যান গঘের নারীও একই ভাবে কুৎসিত, সমসাময়িক সকল শিল্পীদের কামনীয় -মোহনীয় নারীর তুলনায় তো বটেই। কুৎসিত, কিন্তু শক্ত-সামর্থ্য; অভাবী কিন্তু পরাজিত নয়। এবং এভাবেই সুন্দর, এই সৌন্দর্য দেহবল্লরীর নয়, এটি জীবন সংগ্রামের।







ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের ছবিতেও তো তাই। ঘুরে ফিরে এসেছে কৃষকেরা, শ্রমিকেরা, নারীরাও সেসব পরিবারের। অভাবী, হতদরিদ্র। ভ্যান গঘের পটেটো ইটার্স ছবিটি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়েই থাকি। সুলতানের মত করে বলি, "দরিদ্র একটা ক্ষুদার্ত পরিবার নিবিষ্ট মনে আলো-আধারিতে বসে কটা আলু খাচ্ছে, একটা কষ্টের ছবি অথচ সেখানেও একটা বিউটি আছে, সেটা ইন্সপায়ার করে। ছবি এমন হওয়া উচিৎ- যা দেখে মানুষ নিজেকে ভালোবাসতে পারে, জীবনকে ভালোবাসতে পারে"







ভ্যান গঘের ছবিও একইভাবে মেহনতি মানুষের প্রতিধ্বনি করে। খনি মজুর দিয়ে শুরু, এরপরে তিনি ক্রমাগত এঁকে গেছেন কৃষকদের, শ্রমিকদের। যখন প্রকৃতিকে ধরেছেন, তখনও জীবনকে দেখেছেন, রঙ্গের খেলায় জীবনকেই আমরা তাই পাই, এমনকি তাঁর স্টিল লাইফও তাই অন্যদের স্টিল লাইফের মত 'স্টিল' নয়। তাঁর স্টিল লাইফ "শুজ" ছবিটি দেখলেই বোঝা যায়, এ জুতা জোড়া কোন শ্রমিকের, অথবা কৃষকের, জরাজীর্ণ, ছিড়ে যাওয়া কিন্তু বাতিল নয়। যেন এই মাত্র কোন মজুর কাজ শেষে খুলে রাখলো, অথবা কোন মজুর এখনি হয়তো ওটা পরে রওনা দিবে তার কর্মক্ষেত্রে। ওই জুতা জোড়াই যেন এখানে যুদ্ধ করছে, জীবন যুদ্ধ এবং সেটি পরাজিত নয়। অনেকটা এই জুতা জোড়াই যেন সংগ্রামরত মানুষের প্রতিচ্ছবি।







ভ্যান গঘের সান ফ্লাওয়ার সিরিজের ছবিগুলো তো জীবনেরই প্রতীক।







এই যে, জীবনকে এভাবে তুলে ধরতে পারা, সেটি সম্ভব হয়েছে কেননা তাঁরা দুজনই জীবনকে খুব কাছ থেকে অনুভব করতে পেরেছেন। ভ্যান গঘ বাবার মতই একসময় ঈশ্বরের পথে পা বাড়ান, বেলজিয়ামের বোরিনেজে একটি কয়লা খনি অঞ্চলে যাজক হিসাবে কাজ শুরু করে। সেখানে গিয়ে সেই হতদরিদ্র এবং জঘণ্য জীবনের অধিকারী খনি শ্রমিকদের সাথে একাকার হয়ে যান। সেখানে তার পারিশ্রমিকের বড় অংশই তিনি দিয়ে দিতেন তাদেরকে, খুব কাছ থেকে সেই মানুষগুলোকে তিনি দেখেন এবং অনুভব করেন। একসময় এমন হয়, শীতে কষ্ট পাওয়া- রোগে জরায় মৃত প্রায় মানুষগুলোর সেবা-শুশ্রুষায় ব্যতিব্যস্ত থাকতে গিয়ে, বাইবেল পাঠ বা জেসাস ক্রাইস্টের বানী শোনানোও তাঁর হতো না। এক সময় ধীরে ধীরে এই সামাজিক অনাচার অনিয়ম ঈশ্বরের প্রতিই তাঁর ক্ষোভ ও পরে কিঞ্চিৎ অবিশ্বাসও তৈরী করে।



তবে, এস এম সুলতানের তুলনায় ভ্যান গঘকে সংগ্রাম করতে হয়েছে অনেক বেশী। ভ্যান গঘের জীবদ্দশায় প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা, সর্বসাকূল্যে তাঁর একটি ছবি তিনি বিক্রয় করতে সক্ষম হন। ভাই থিও ভ্যান গঘের কল্যাণে কোন রকম তার জীবন চলতো, দিনের পর দিন না খেয়ে থাকাটা তাঁর জন্য খুবই নৈমত্তিক ব্যাপার ছিল। কাকারা ছিল ছবির ব্যবসায়ী, গুপিল এণ্ড কোং এর ডিলার, পরে ভাই থিও ভ্যান গঘও এই লাইনে যথেষ্ট উন্নতি করে। কিন্তু সেই স্টুডিও তে হাজার চেষ্টা করেও থিও ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের ছবি ঢুকাতে পারেনি। যদিও শুরুতে কাকাদের আনুকুল্য ছিল, এবং টারস্টিগও মাঝে মধ্যে ধর্ণা দিয়ে যেত (এবং ছবি দেখে যথারীতি মন্তব্য করতো অবিক্রয়যোগ্য ও উইদ আউট চার্ম! তারপরেও আসতো ছবির জন্য সে তো গঘের কাকাদের কারণেই)। যে একটি ছবি বিক্রয় হয়েছিল, সেটি তার কাকা কিনেছিল এবং আরো বেশ কিছু ছবির অর্ডারও দিয়েছিল। কিন্তু বাঁধ সাধে যখন ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ একজন বারবণিতার সাথে বাস করা শুরু করে দেয় এবং তাকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে বিয়ে করার ঘোষণা দেয়। সিয়েনের সাথে তার পরিচয় আকস্মিক, তখন সিয়েন গর্ভবতী এবং ইতিমধ্যে তার আরেকটি বাচ্চা আছে, যার বাবার কোন খোঁজ নেই- এমন সিয়েনকে গঘ সত্যিকারের ভালোবাসাই দিতে চেয়েছে।







এই সিয়েন ও ভ্যান গঘের এত কাছাকাছি হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় যেটি কাজ করেছে সেটি হলো উভয়ের সীমাহীন দারিদ্র ও একাকিত্ব। কিন্তু কারণ হিসাবে এর চেয়ে কোন অংশে কম নয় ভ্যান গঘের সেই নরম ও তীব্র মনটি। তিনি তার ভাইকে পত্র মারফত জানাচ্ছেন, "ক্রিস্টিন (সিয়েন) আমার জন্যে মোটেও কোন সমস্যা বা প্রতিকূলতা নয়, বরং সহযোগীতা। যদি সে একা থাকতো সম্ভবত এর মধ্যেই সে মারা যেত। আমরা এমন সমাজে বাস করি যেটি দুর্বলকে ছেড়ে দেয় না, বরং পা দিয়ে তাকে মাড়িয়ে পিষ্ঠ করে এবং যখন কোন দুর্বল নারী পড়ে যায় তখন তাকে তার চাকার নীচে ফেলে পিষ্ঠ করে চলে যায়। এরকম এক সময় এমন সমাজে ক্রিস্টিনার মত নারীকে একা ফেলে দেয়া মোটেও উচিৎ নয়। তাই আমি যেহেতু অসংখ্য দুর্বলকে হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখি তাই বর্তমান সভ্যতা ও উন্নতির প্রতি সন্দেহ তৈরী হয়। আমি সভ্যতায় বিশ্বাস রাখতে চাই, এমনকি এরকম একটি সময়েও, কিন্তু সে সভ্যতাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ মানবিকতার উপর গড়ে উঠতে হবে। আমি মনে করি, যা কিছু মানব জীবনকে ধ্বংস করে তা-ই বর্বর এবং আমি তাকে শ্রদ্ধা করি না"।



আর, সুলতানও তার বোহেমিয়ান জীবনে মানুষের কাছাকাছি যেতে পেরেছেন, গিয়েছেন সবসময়ই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের প্রতি, বিশেষত খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি ভালোবাসাই তার মধ্যে গড়ে তুলেছে অনন্য এক জীবনবোধ। বাঙালী মুসলমান বিষয়ে তাঁর মত জানতে চাইলে তাইতো তিনি অকপটে বলেন, "ওসব তো সব চক্রান্ত। বাঙালির কোনো ধর্ম নাই, নবী নাই। ওসব হোসেন শাহ আর সব গৌড়ের সুলতানদের চক্রান্ত। বাঙালি ক্যারেক্টারটা পাওয়া যায় ঐ গৌড়ের ইতিহাসটা পড়লে। তখন হিন্দু মুসলামান সবাই বৈষ্ণব পদাবলী লিখত। কৃত্তিবাস, বিদ্যাপতি, আফজল খাঁ, মালাধর বসু এঁরা সব রাজকবি। এঁরা বৈষ্ণব পদ লিখেছেন। মুসলামানরাও লিখেছে। মুসলামানদের ঐ এক ইউসুফ-জুলেখা লেখা হয়েছে। এসব বেসিকেলি সব সেক্যুলার বই। রামায়ণ ছিল কাব্য, ওটাকে ধর্মগ্রন্ত করেছে সামন্ত প্রভুরা, ওরাই সব ডিভিশন করেছে। ..... বঙালির কোন অলি-দরবেশ নেই, তোমরা তো অলি হতে পারবে না, তাই আল্লাহ আল্লাহ করো। ....... বাঙালির বেসিক কিছু গুণ আছে, সে ত্যাগী, সংযমী, সরল, সত্যবাদী, অতিথিপরায়ন। আর আমাদের মধ্যে অনেক বড় মাপের অ্যাবসেলিউট থিংকার তৈরি হয়েছে, সেক্যুলার থিংকার। কালিদাস, বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জয়দেব, তারপরে ঐ মধুসুদন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল।বিদ্যাসাগর আরেকজন বড় মানুষ। মধুসুদনের মেঘনাদবধকাব্য, তিলোত্তমাসম্ভব, শর্মিষ্ঠা এগুলো রিলেজিয়াস মোটিভ নিয়ে লেখা হলেও ওগুলো আসলে অসাম্প্রদায়িক"। ঈশ্বর সম্পর্ক আপনার কী ভাবনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে সহজেই বলেন, "কোন ভাবনা নেই। আমি যখন ঐ পাতার রঙ দেখি, আকাশ দেখি তখন ভাবি, যদি কেউ থেকে থাকে সে খুব বড় মাপের একজন আর্টিস্ট"।





সূত্রঃ

১। কথা পরম্পরাঃ গৃহীত ও ভাষান্তরিত সাক্ষাৎকার- শাহাদুজ্জামান

২। অনুবাদ জীবনী উপন্যাস- জীবন তৃষা- অদ্বৈত মল্ল বর্মন

৩। http://www.vggallery.com

৪। থিও ভ্যান গঘ (ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের ভাই)কে লেখা পত্রসমূহ

৫। যদ্যপি আমার গুরু - আহমদ ছফা

৬। Dreams- আকিরা কুরুশাওয়া

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +৩৭/-১

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৭

(অ)গাণিতিক বলেছেন: "যদি কেউ থেকে থাকে সে খুব বড় মাপের একজন আর্টিস্ট"

দারুণ একটা কথা!

অসাধারণ একটা প্রবন্ধ লিখেছেন! খুব মনযোগ দিয়ে পড়লাম! ছবি গুলো দেখবো আরো কয়েকবার।
এই দুইজন সম্পর্কে কৌতুহল ছিল অনেক দিন ধরেই। আপনার লেখা টা তার কিছুটা হলেও মেটাতে পেরেছে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে!
+

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৪

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ......

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:৫২

দিনমজুর বলেছেন:
সরাসরি প্রিয় পোস্টে....

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ধন্যবাদ....

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৪১

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: সরাসরি প্রিয় পোস্টে।

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৪৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: সরাসরি প্রিয় পোস্টে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:

ধন্যবাদ.....

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৫৭

বুমবুম বলেছেন: ছবিগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৭

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
যে লিংক দিয়েছি, সেখানে ভ্যান গঘের অনেক অনেক ছবি পাবেন, আর এখানেই পদ্মানন্দের একটি পোস্টে সুলতানের বেশ কিছু ছবি পাবেন......

পোস্টের আলোচনা কেমন লাগলো.....
আসলেই কি দুজনের ছবির মধ্যে কোন মিল আছে??????

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২২

অমলকান্তি বলেছেন:
অসাধারন অসাধারন অসাধারন....
এত্ত সুন্দর পোস্ট সা.ইন পড়ছি কিনা সন্দেহ হয়।(আছে মনে হয় দুই একটা)
অথচ পাঠকের কোনো প্রতিক্রিয়াই নাই।
আবার আপনারই অন্যপোস্ট গুলাতে মন্তব্যের ফুলঝুরি ছোটে...অবাক লাগে।
সুলতান বিষয়ে কিছু পড়লেই আমার একটা দৃশ্য চোখে ভাসে।
"শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে গভীর রাতে একজন চন্দ্রাহত মানুষ ক্যানভাসের এপাশ থেকে ওপাশ দৌড়াচ্ছে আর ছবির পর ছবি ভেসে উঠছে।"(আবদুল্লাহ আবু সাইয়্যিদ এর চোখে দেখা)
"ক্যানভাসে ছবি থাকে না থাকে ইতিহাস"--সুলতান এর ছবি দেখলেই আমার এই কথাটা এত বেশিবার কেন মনে পড়ে বুঝি না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
"ক্যানভাসে ছবি থাকে না থাকে ইতিহাস"--


হুমম

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:০২

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: পড়লাম এবং মুগ্ধ হইলাম। ভ্যানগঘের ছবি খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। এস এম সুলতান সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ধন্যবাদ।

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:২৭

অমলকান্তি বলেছেন: ভয়ংকর একটা ভুল হয়ে গ্যাছে।
(আবদুল্লাহ আবু সাইয়্যিদ এর চোখে দেখা)*
এখানে হবে আহমদ ছফার চোখে দেখা।
এই ভুলটা ক্যামনে হইল? ধুর....পুরা ফাউল লাগতাছে।

আপনি ক্যামন আছেন?
আপনার গুনমুগ্ধ পাঠক।

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৭

দ্বিধা বলেছেন: তোফা !

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
তোফা!!!!!!

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০১

আকাশচুরি বলেছেন: সরাসরি প্রিয় পোস্টে।

অসাধারন পোস্ট!!

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ধন্যবাদ.....

১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

সারওয়ার জামান চন্দন বলেছেন:

সরাসরি প্রিয় পোস্টে।

অসাধারন পোস্ট!!

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ধন্যবাদ...

১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আরিফুর রহমান বলেছেন: আমার পেইন্টিং নিয়ে চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

সুলতানের সাথে আমার ছবির মিল আছে ঝানতাম না তো!!! :P





(জোকিং এসাইড, প্রবন্ধ আসলেই ভালো হয়েছে)

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৫৬

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
সুলতানের সাথে আপনার ছবির আসলেই মিল আছে কি না বোদ্ধারা বলতে পারবেন, আমি শুধু এটুকুই বলতে চেয়েছি, আপনাদের দুজনের ছবি দেখলেই আমার একই ধরণের অনুভূতি হয়.....

আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:০৩

সব্যসাচী বলেছেন:
প্রিয় পোস্টে রাথলাম।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৪

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ধন্যবাদ।

১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:১০

সমালোচনাকারী বলেছেন: সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেছেন: +

০৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:১৭

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
সৈয়দ সাহেবকে এখানে কোন কমেন্ট করতে দেখলাম না!!

আপনি কি বলছেন??

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:২১

নেমেসিস বলেছেন: +++++

শোকেসে পারমানেন্ট ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:২১

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ধন্যবাদ।

১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৫

রামন বলেছেন: অসাধারণ শক্তিশালী পোষ্ট। সুন্দর শব্দচয়ন সমন্বয়ে এ রকম লেখা ব্লোগে কম দেখেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৩০

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:

আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৭| ০৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:৩৫

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ভাই থিওকে লেখা ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের কিছু পত্র অনুবাদ করার ইচ্ছা আছে,..... পরে সময় সুযোগ মতো অনুবাদ করে পোস্ট দিবো।

১৮| ০৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:৫০

জুবুথুবু বলেছেন: চেতনায় আঁকা জীবনের ইমেজটারে জতটা সহজে বুঝা যায়, জীবনকে বুঝা তার চাইতে অনেক ভিন্ন রকমের ব্যাপার। পোস্ট অসাধারন হইছে।
থিওরে লেখা ভ্যান গঘের পত্রের অনুবাদের একটা সংকলন দেখছিলাম; বইটা খুজেঁ দেইখো, অনুবাদের আগে।

০৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:৫১

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:

তাই নাকি??

কই পাবো??????????

১৯| ০৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:২৭

মৃদুল মাহবুব বলেছেন: সরাসরি প্রিয় পোষ্টে। ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।

০৯ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৫৮

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ধন্যবাদ...

২০| ০৮ ই মে, ২০০৮ রাত ১:৫৬

সিহাব চৌধুরী বলেছেন:
ইনক্রিডেবল ! টু মাচ ব্রিলিয়ান্ট ওয়ার্ক ! শিশির ভেজা গবেষণা পত্র যেন ! নতুন করে আপনার ভক্ত হলাম ।
প্রিয়পোষ্টে না নিয়ে নিস্কৃতি নেই ।

০৯ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:৩৭

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ডরাইলাম...

২১| ০৯ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:৪৯

মুকুল বলেছেন: দারুণ পোস্ট। এস এম সুলতান আমার খুবই প্রিয় শিল্পী।

"কথা পরম্পরা" - বইটিতে তাঁর সাক্ষাৎকারটিও পড়েছি। ধন্যবাদ এমন একটি পোস্টের জন্য। পোস্টটি দেরিতে চোখে পড়লো। প্রিয় পোস্টের লিঙ্কে রাখলাম। :)
*****

০৯ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:০৪

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
আর ভ্যান গঘ???
আপনি অদ্বৈত মল্ল বর্মনের জীবনতৃষা পড়ে দেইখেন (অরিজিনাল বই ও লেখকের নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না), আলাদা বই পাবেন না, তক্ষশীলায় অদ্বৈত মল্ল বর্মন রচনাসমগ্র আছে, সেখানে পাবেন।

ভ্যান গঘকে কিছুটা বুঝতে পারবেন। এমন তীব্র জীবন বোধ কোন মানুষের থাকতে পারে, কল্পনাই করা যায় না। আর যে সাইটের লিংক দিয়েছি সেখানে অনেক ছবি পাবে ভ্যান গঘের, সাথে পাবেন ভাইকে লেখা তার চিঠি। এই চিঠি একবার পড়া শুরু করলে- শুধু গোগ্রাসে গিলতেই থাকবেন!!!


যাহোক, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।

২২| ০৯ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:০৭

মুকুল বলেছেন: ভ্যানগঘ ও প্রিয়। ভ্যানগঘইতো সম্ভবত নিজের কান কেটে প্রেমিকাকে পাঠিয়েছিলেন! তাই না?

০৯ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:১৪

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
হুম গঘ সম্পর্কে কান কাটার গল্পটি ব্যাপক প্রচলিত, বলতে গেলে ওনার কথা আসলেই কান কাটার গল্পই প্রথমেই চলে আসে।

সেটা তার জীবনের শেষ সময়ের দিকের ঘটনা। মানসিক ভাবে অলরেডী তিনি অসুস্থ। আর কান কেটেছিলেন ঠিক প্রেমিকার জন্য না, একজন বারবণিতা- যে কথায় কথায় কান কাটার শর্ত জুড়ে দিয়েছিল।

তার কয়েকবছর পরে তিনি সুইসাইড করেন।

২৩| ১০ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:০১

জামাল ভাস্কর বলেছেন: লেখাটা আগেই পড়ছি কিন্তু মন্তব্য করা হয় নাই সময় স্বল্পতায়...তারপর ব্যস্ততায় ভুইলা গেছিলাম...লেখার গবেষণাধর্মীতাই কেবল আমারে কিছুটা দূরে সরায়...নাইলে লেখকের যেই ব্যক্তিগত উপলব্ধি তাতে আমার প্রাণ ছুঁইয়া যায়।

সুলতান আমার প্রিয় শিল্পী না...কিন্তু তার চেতনা আর চিন্তা আমারে আকৃষ্ট করে, চিত্রশিল্পরে তিনি যেমনে সাধারন্যের বানাইছেন তাতে আমি অবনত হই...সুলতানের জীবন যাপনে আমার অনেক প্রশ্ন থাকলেও...চিত্রাঙ্কন কেন্দ্রীক তার জীবন...প্রশ্নহীন!

ভ্যন গঘ আমার প্রিয় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে চাকরী করনের টাইমে একটা পেইন্টিং এ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স আয়োজন করতে হইছিলো, যার বরাতে ভ্যান গ'র প্রায় ১৫০টার মতো ছবির প্রিন্ট দেখছিলাম স্লাইডে...

ছবিতে জীবনের যেই খোঁজ সম্পর্কীত বিশ্লেষণ করলেন, তাতে সহমত আর ভালো লাগলো...

১০ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:১০

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
আপনার আলোচনা খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ.....

২৪| ১১ ই মে, ২০০৮ সকাল ১০:০৫

মুক্ত মানব বলেছেন: পরিশ্রমী লেখা। পাবলিকে শুনলে পিটাইবো আমারে, নেদারল্যান্ডে ৩ মাস থেকেও ভ্যানগঘ ম্যুজিয়ামে যাও্য়া হ্য়নি....। প্রিয় পোষ্টে।

২৫| ১৩ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৪৮

সামী মিয়াদাদ বলেছেন: কোন মন্তব্য না কইরা সোজা শোকেইজ্ড

২৬| ১৬ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:৩৯

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর.........।

২৭| ২০ শে জুন, ২০০৮ সকাল ৯:২৬

বাফড়া বলেছেন: আপনার লেখাটার একটা লিন্ক আমার একটা পুস্টে দিয়েছি আপনার অনুমতি না নিয়েই। আশা করি রাগ করবেন না

২১ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:১৫

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
আপনার পোস্টে ঢু মেরেছি, কিন্তু নেট স্পিড এতই স্লো যে ভিডিও দেখতে পারলাম না।

তারপরেও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ২৪ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:১১

বাফড়া বলেছেন: সময় এবং স্পীড পেলে দেখে নিয়েন। বাই দ্য ওয়ে পোস্ট টা আপনি ও আরিফুর রহমান আপনারা দুজন ভ্যান গগের ভক্ত কে উতসর্গ করা হয়েছে।

২৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

অ রণ্য বলেছেন: এমন একটা লেখা প্রিয়তে না রেখে কোন উপায় নেই
আপনার শ্রমসাধ্য লেখাটিকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই
সেই সাথে আপনাকেও

৩০| ১০ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৫

দূরন্ত বলেছেন: লেখাটা খুব ভালো লাগলো।

৩১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৯

মেঘ মনির বলেছেন: এই আলোচনা গুলো খুব হওয়া দরকার . . .

৩২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:২৩

দিনমজুর বলেছেন:
নাস্তিকের ধর্মকথা,
আপনার এই লেখাটি নাইল্যাকাডা ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যায় প্রকাশের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। আপনার মতামতের ভিত্তিতে এবং অনুমতি সাপেক্ষে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে লেখাটিতে। কিছু ছবি কমানো হয়েছে এবং ছবিগুলো সাদাকালোতে দেয়া হচ্ছে। আমরা অন্তত ১ম দুটি ছবি কালার দেয়ার চেস্টা করেছিলাম- তবে শুধু তার জন্যই খরচ প্রায় বেড়ে যায় ৮০০০ টাকার মত। বিজ্ঞাপন বিহীন- পত্রিকা বিক্রি থেকে সেরকম কোন রিটার্ণের আশা ছাড়াই বের করা এই পত্রিকাটির জন্য ৮০০০ টাকা বড় অংক, ফলে সেটিও সম্ভব হচ্ছে না।

আশা করি- আগামি সপ্তাহেই পত্রিকাটি আজিজে পাওয়া যাবে।

৩৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৬

মুনীর উদ্দীন শামীম বলেছেন: লেখাটি নাইল্যাকাডায় পড়লাম এবং ভীষণ ভাল লাগলো!!

৩৪| ১৩ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:০১

শিমুল সালাহ্উদ্দিন বলেছেন: সরাসরি প্রিয় পোষ্ট। ধন্যবাদ।

৩৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬

হুমায়রা হারুন বলেছেন: আমার ম্যাগাজিনের জন্য কি নিতে পারি আপনার এ সুন্দর পোস্ট টি?

আমার ম্যাগাজিন লিংক

http://www.nauba-aloke-bangla.com/

অনুমতি দলে খুব খুশী হব।

৩৬| ২১ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:২০

নির্বাসন বলেছেন: অসাধারণ++++++++

৩৭| ২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ৮:০৮

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: দেরীতে হলেও প্রিয়তে....

৩৮| ২৭ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩০

আলতাফ হোসেন বলেছেন: আজ চোখে পড়ল। বিষয়টি পছন্দের। সেজন্য প্রথমেই প্রিয়তে নিলাম। আপনার অন্য যা লেখা পড়েছি খুবই দরকারি ও কাজের মনে হয়েছে। এখন থেকে লিঙ্কটা পাওয়া সহজ হয়ে যাবে।

৩৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

চিন্তা শিল্পী বলেছেন: +++++++++

৪০| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৪

দীপান্বিতা বলেছেন: "যদি কেউ থেকে থাকে সে খুব বড় মাপের একজন আর্টিস্ট" --- সত্যিই তাই…+

৪১| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪১

আকাশ অম্বর বলেছেন: অনবদ্য।।

৪২| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৪

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
সাপ্তাহিক বুঝবারের গত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে

৪৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অসাধারন....

৪৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। খুব খুব ভালো পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। ভ্যান গঘ পোস্ট ইম্প্রেশনিস্ট পেইন্টার। ভ্যান গঘ,পল গঁগা, ক্লঁদ মনে,এদুয়ার মানেরা মিলে পোস্ট ইম্প্রেশনিস্ট ছবির গোড়াপত্তন করেন। সুলতানের প্রথম দিকের ছবিতে বিশেষত: কাশ্মীরের কৃষি/কৃষক নিয়ে আঁকা ছবিগুলোতে এর ছাপ খুব বেশী পড়েছে। এরপর শিল্পী সুলতান নিজের স্বতন্ত্র শৈলী খুঁজে পেলেন। সেখানেও পোস্ট ইম্প্রেশনিস্টদের সাথে ভাবনাগত ও দর্শনগত মিলটা থেকেই গেছে। এরা সবাই সমাজের প্রান্তিক মানুষদের সর্বস্বজ্ঞান করেছেন। সেজন্যই এই মিল রয়েছে। কারণ পোস্ট ইম্প্রেশনিস্টরা সেই কালের প্রথা ভেঙ্গে ছবি এঁকেছেন। সুলতানও প্রথাবিরোধী।

২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৯

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ভালো বলেছেন, ধন্যবাদ।

৪৫| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪০

মুম রহমান বলেছেন: Simply great. Thanks.

৪৬| ০৪ ঠা মে, ২০১০ সকাল ১১:০২

এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাল লেগেছে ।+।

৪৭| ১৮ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪১

রুদ্র নীল বলেছেন: এই দুজন কে নিয়ে আরো লেখা চাই ++

৪৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯

জুনায়েদ ফারুকী জিওনবেস্ট বলেছেন: ব্যক্তিভেদে জীবনবোধের তারতম্য সর্বজন স্বীকৃত। দুজন শিল্পীর দার্শনিকতা এক হলেও লিওনার্দোর শহুরে বাস্তবতা উপেক্ষা করা যায় না। শিল্পীকে তার স্বকীয়তা দিয়ে বিচার করতে হবে। শহর গ্রাম দিয়ে শিল্প বিচার করলে নিজের গহবরে আটকে থাকতে হয়।

৪৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪৬

মহম্মদ মহসীন বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখি, ছবি নিয়ে কোনো লেখায় কমেন্ট করা আমার ধৃষ্টতা বলে মনে করি কারণ ছবি সম্বন্ধে আমি কতটা ওয়াকিবহাল তা তো আমি নিজেই জানি।তবুও এই লেখাটি পড়ে আমার নিজের মতো করে মনে হোলো অনেক কিছু যেন বুঝেছি।বিশেষ করে প্রথম ছবিতে হলুদের ছড়াছড়ি জীবনের প্রাণশক্তির প্রাচুর্য প্রতিষ্ঠা করেছে অনেক প্রকট ভাবে। ভ্যান গঘের এই ছবিতে সুর্‌রিয়ালিস্টিক আন্দোলনের একটা তরঙ্গ ছাপিয়ে ওঠার উপক্রম বোধহয়। ভ্যান গঘের এই ছবিটার দৃশ্যপট এতো বিস্তৃত যে এর প্রাণবন্ততা ছোখ বুজে অস্বীকার করার উপায় থাকেনা।আমার মনে হোলো আমি যেন কিছু কিছু বুঝতে পারছি । জানিনা !!

৫০| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪৯

মহম্মদ মহসীন বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখি, ছবি নিয়ে কোনো লেখায় কমেন্ট করা আমার ধৃষ্টতা বলে মনে করি কারণ ছবি সম্বন্ধে আমি কতটা ওয়াকিবহাল তা তো আমি নিজেই জানি।তবুও এই লেখাটি পড়ে আমার নিজের মতো করে মনে হোলো অনেক কিছু যেন বুঝেছি।বিশেষ করে প্রথম ছবিতে হলুদের ছড়াছড়ি জীবনের প্রাণশক্তির প্রাচুর্য প্রতিষ্ঠা করেছে অনেক প্রকট ভাবে। ভ্যান গঘের এই ছবিতে সুর্‌রিয়ালিস্টিক আন্দোলনের একটা তরঙ্গ ছাপিয়ে ওঠার উপক্রম বোধহয়। ভ্যান গঘের এই ছবিটার দৃশ্যপট এতো বিস্তৃত যে এর প্রাণবন্ততা ছোখ বুজে অস্বীকার করার উপায় থাকেনা।আমার মনে হোলো আমি যেন কিছু কিছু বুঝতে পারছি । জানিনা !!

৫১| ২০ শে মে, ২০১২ রাত ৮:৪১

খেয়া মেজবা বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে। সুলতানের ড্রইং এর ক্ষেত্রেও মিকেল এঞ্জেলোর প্রভাবও দেখা যায়।

৫২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৮

রেওয়াজ বলেছেন: ভাল লেগেছে ।+।

৫৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ , সরাসরি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.