![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?
আচ্ছা, ব্যাপারটা কি? আমি কি কিছু মিস করে গেলাম? হ্যাস ট্যাগ দিয়ে সবাই গাযাকে সাপোর্ট দিচ্ছে দেখলাম টাইম লাইনে। বিষয়টা কি? নতুন কিছু কি হয়েছে? আমি তো কিছুই জানতে পারলাম না! কেউ কি কিছু বলবেন? আমার খুব জানার ইচ্ছা যে কি হচ্ছে!
সবাই কি যুদ্ধে যাচ্ছে নাকি ইজরাইলের বিরুদ্ধে? ব্যাপারটা চিন্তা করেই উত্তেজনায় গায়ের সব লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। কিভাবে যাচ্ছে? পায়ে হেঁটে না অন্য কোন উপায়ে? অস্ত্র? গোলাবারুদ? যুদ্ধ করলে তো অস্ত্র লাগবে। অস্ত্র পাচ্ছে কোথায়? অস্ত্র ছাড়াই কি সবাই যুদ্ধে চলে যাচ্ছে?
নাহ! কি পাগলের মতো কথাবার্তা! যুদ্ধে গেলে কেউ কি অস্ত্র ছাড়া যায়? নিশ্চয়ই কেউ না কেউ আমাদের অস্ত্র সাপ্লাই দিচ্ছে! আমার মনে হয় রাশিয়া। নাকি ইন্ডিয়া? এহ! ইন্ডিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে আমাদের যুদ্ধে যেতে হবে? অসম্ভব! তবে আমার ধারণা ভুলও হতে পারে! ক'দিন আগেই রাশিয়া ইজরাইলকে একটা কড়া ধমক দিয়েছিল। ওরা পাত্তা দেয় নাই। হু হু বাব্বা এখন? এখন কি করবি? ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে দেখলি তো? এবার আর আমেরিকা-ইজরাইল পালানোর পথ পাবে না। এতো দিন একা একা খুব চোটপাট করেছে আমেরিকা। এবার ওদের মাস্তানি শেষ। সুপার পাওয়ার রাশিয়া ইজ দস ব্যাক ইন অ্যাকশন।
আচ্ছা, ইজরাইলের তো অনেক ফায়ার পাওয়ার, শুধু অস্ত্র নিলে তো হবে না। স্থল পথ এবং আকাশ পথে আক্রমণ করতে হবে ওদের। যুদ্ধ বিমান আর ট্যাঙ্কও লাগবে। আমি ভাই যুদ্ধে গেলে ট্যাঙ্কে করে যাবো। হাঁটতে আমার বড়ই কষ্ট লাগে।
ছি! কত নিচু মন মানসিকতা আমার! সবাই যেখানে নিজের জীবন হাতে নিয়ে যুদ্ধে চলে যাচ্ছে সেখানে আমি হাঁটা নিয়ে চিন্তিত! ছি! রায়ান ছি! তোর লজ্জা পাওয়া উচিৎ।
ওহ! গাযাবাসী তোমারা চেয়ে দেখ। বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায় তোমাদের জন্য বিক্ষোভ হচ্ছে, স্লোগান দিচ্ছে সাধারণ মানুষ! সারা পৃথিবীর মানুষ যা করেনি সেটা আমরা বাঙ্গালিরা করে দেখিয়েছি। অবশেষে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে পেরেছি যে আমরাই সেরা! বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে শান্তি রক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এখন সেটা বাংলাদেশের জনগনের করে দেখানোর পালা।
আমার মনে হয় রাজাকারের বিচারের ঝামেলাটা গাযা থেকে ফিরে এসেই সমাধান করলে ভালো হবে। যুদ্ধ অনেক সিরিয়াস একটা ব্যাপার। এর মধ্যে রাজাকার ফাজাকার টেনে আনার মানে হয় না। ত্বকি হত্যার বিচারটাও তো মনে হয় আমরা করতে পারলাম না। থাক। ওটাও মাইনর একটা প্রবলেম। ওটার কথা এই মুহূর্তে না ভাবলেও চলবে। শামিম ওসমান সাহেব ও কি যুদ্ধে যাচ্ছেন? অসাম লোক। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শেলটার দেয়! চিন্তা করা যায়? এর সাথে ঝামেলা না করাই ভালো। থাক বাবা, ত্বকির ব্যাপারটা চাপা পড়েই থাক ভাই। বুড়িগঙ্গা নদীটা ওই নারায়ণগঞ্জেই। মাছের আধার হওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নাই।
আচ্ছা, আমি কি ধরণের অস্ত্র নেব সাথে করে? একে-৪৭ কালাশনিকভ? ওয়াও! নামটাই ভাবের। আর এটার পারফর্মেন্সও ভালো। “কল অফ ডিউটি” গেমটা খেলার সময় আমি সব সময় কালশ্নিকভই ব্যবহার করতাম। গুলি পেতে সুবিধা হয়। তাছাড়া রিলোড করতেও সুবিধা। রিলোড করার সময় কি যে যেন একটা ঠুং করে ছুটে যায়। ভাবই আলাদা। সাথে করে কয়টা গ্রেনেডও রাখতে হবে। কখন কাজে লাগে বলা তো যায় না! শুনেছিলাম আর্জেস না কারা যেন গ্রেনেড বানায়। ওটাও কি রাশিয়ান নাকি? হওয়ারই কথা। অ্যাটলিস্ট ইন্ডিয়ান না হলেই ভালো।
আচ্ছা, সাগর-রুনির ঝামেলাটাও বোধহয় এখনো শেষ হয় নাই, তাই না? আমি আবার পেপার পত্রিকা তেমন একটা পড়ি না তো, তাই সব সময় আপডেট নিউজটা থাকে না। বেচারাদের ঘরের ভেতর এভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে মেরে রেখে গেল! সেজন্যই একটু খারাপ লাগে। ছোট্ট একটা ছেলেও আছে মেঘ না কি যেন নাম। এই অল্প বয়সে এতিম হয়ে গেল! আহারে!
অসুবিধা নাই। গাযা থেকে ফিরেই এর একটা ব্যবস্থা করতে হবে। আগে ইজরাইলরে একটু সাইজ করে নেই। খুব বাড়ছে ওরা!
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ভালো না সুমন ভাই, অত্যান্ত দুঃখজনক এবং লজ্জার কথা বলেছি। কিন্তু আমরা মনে হয় এই সবের উর্ধে চলে গেছি তাই গায়ে লাগে না।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: আরে মামুন ভাই! কোই ছিলেন?
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
জসীম অসীম বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়লাম এবং আরেকবার পড়লাম। ভালোই হয়েছে , এটুকুই নয়-খুবই ভালো হয়েছে। লেখা আসলে এমনই হওয়া উচিৎ । মৌলিক। লেখার তাৎপর্যও চমৎকার। ভালো থাকবেন।।
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ জসীম অসীম ভাই ব্লগে আসার জন্য।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: গাজা নিয়ে শুধু যে আমরাই হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রতিবাদ করছি, মিছিল করছি তা তো না, বিশ্বের সবখানেই এমনটা হচ্ছে। তাই বলে নিজেদের সমস্যাগুলো ভুলে যায় নি কেউ। ওদের যুদ্ধ ওদেরই করতে হবে, তাই বে একটু সহানুভূতি কি আমরা দেখাতে পারবো না!
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই,
সহানুভুতি আপনি অবশ্যি দেখাবেন। এটা মানুষ হিসেবে আপনার /আমার দায়িত্ব।
এই আমি বা আপনিই যখন আপনার দেশের বীভৎস হত্যা কান্ডের বিচার না চেয়ে, বা আন্দোলন করে (দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা সেই ধরনের আন্দোলন আসলে করিই নাই) বিচার করাতে না পারি- তখন আসলে এই ধরনের সহানুভুতি একধরনের ফাইজলামি বলে মনে হয় আমার কাছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।