![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?
“জ্বরতত্ত্ব”
(৯-৮-১৪ – ১২-৮-১৪)
শিলমুন থেকে সেদিন আমরা ফিরে ছিলাম রাত এগারোটায়। জামা কাপড় ছেড়ে বিছানায় শোয়া মাত্র আমি একটা ঘোরের জগতে চলে গেলাম। প্রচন্ড জ্বরে আমার মাথায় বৃষ্টির মতো ঝম ঝম শব্দ হয়। আমি বিছানায় শুয়ে বৃষ্টির শব্দ শুনতে লাগলাম। ধীরে ধীরে জ্বর বাড়তে লাগলো। আমি কোন রকমে একটা কাঁথা গায়ে দিয়ে বিছানায় শুয়ে কাঁপতে লাগলাম। সকালে অফিসে ফোন করে জানিয়ে দিলাম যে অফিস যাচ্ছি না। ঈদের পর সাইটে এখনো লোকজন আসেনি। কাজের তেমন কোন তাড়া নেই। ফলে ছুটি পেতে সমস্যা হল না।
প্রথম রাতের জ্বর ছেড়ে গেল পরদিন দুপুরের দিকে। সকালে রাজর্ষি ফোন করে জানালো সেতুকে সাথে নিয়ে ও আমাদের বাসায় আসবে বিকেলের দিকে।
সেতু বাসায় এসেই বিছানায় গা-টা এলিয়ে দিল। আমি ভেবেছিলাম সেতু আমার শরীরের হাল হকিকত জানার চেষ্টা করবে। কিন্তু সে ওদিকে গেলই না। আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“বন্ধু, তোর জীবনের উদ্দেশ্য কি?”
অন্য যে কেউ এই জাতীয় উচ্চমার্গের প্রশ্ন শুনে বিভ্রান্ত হয়ে যেত। আমি এই প্রশ্ন গত দশ বছর ধরে শুনে আসছি। লম্বা একটা হাই তুলে ওকে জবাব দিলাম, “আমার জীবনের উদ্দেশ্য একটা না দুইটা। ট্যাকা কামানো আর আরাম করা। আর কোন উদ্দেশ্য নাই।”
রাজর্ষি ওর পাশ থেকে প্রশ্ন করল, “সেতু, তোর জীবনের উদ্দেশ্য কি? একটু খুলে বল।”
সেতুর বেহুদা প্রশ্ন বন্ধ করার এটাই এক মাত্র অস্ত্র। রাজর্ষির প্রশ্ন শুনে সেতু নির্বাক হয়ে গেল। এর মধ্যে আম্মা গরম গরম চপ ভেজে দিয়ে গেল। সেতু চপ চাবাতে চাবাতেই জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবতে লাগলো। ব্যাটা জাতে মাতাল হলে কি হবে, তালে ঠিক আছে। রাজর্ষি বলল বাসে করে শ্যামলী আসতে আসতে সেতু তাঁর জীবনের সমস্ত ধ্যান ধারণা রাজর্ষির কাছে তুলে ধরেছে। সেকারণে শুরুতেই ওকে থামাতে হল। একই গল্প বারবার শোনার কোন মানে হয় না। সেতুর ধারণা ওর মাথায় সমস্ত পৃথিবী ভেঙ্গে পড়েছে। ওর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। অথচ বউ, বাচ্চা নিয়ে সে ভালোই আছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে সারাক্ষণই এক ধরণের শঙ্কা থাকাটা সেতুর এক ধরণের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
সেদিন সন্ধ্যার পর অন্তু, সামি, পাহাড়ি, সেতু, রাজর্ষি আর আমি মিলে প্রায় দশটা পর্যন্ত আড্ডা দিলাম। বাসায় ফেরার সময় টের পেলাম গায়ে আবার কাঁপুনি শুরু হচ্ছে।
আমি ভেবেছিলাম হঠাৎ করে সিজনাল জ্বরে পড়েছি। এইসব সিজনাল জ্বর আমার জন্য এক দিনের সিক লিভের আশীর্বাদ নিয়ে আসে। কিন্তু না, দীর্ঘ তিন দিন ১০২-১০৩ জ্বর পার করে আমি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে গেলাম। জ্বরের মধ্যে খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে গেল।
আমার আবার প্যারাসিটামল খাওয়ার ব্যাপারে তীব্র বিরক্তি কাজ করে। ফলে রোগের তীব্রতা যতই হোক, সাধারণত আমি প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ এড়িয়েই চলি। এবার সেটা এড়াতে পারলাম না। “খাবো না”, “খাবো না” করতে করতে এক সময় জ্বরের অবস্থা খারাপ দেখে মুখ চুন করে প্যারাসিটামল খেতেই হল। তাতে সাময়িক ভাবে জ্বর কমলেও কিছুক্ষণ পর আবার জ্বর ফেরা শুরু করল। এতে বাসার লোকজনের মুখ শুকিয়ে গেল। কারণ আমাদের বাসার সবার ধারণা একমাত্র পেট খারাপ ছাড়া আর সকল রোগের ঔষধ হচ্ছে এই প্যারাসিটামল। এর মধ্যেও আবার ঘটনা আছে। বাসার সবাই আবার একই কোম্পানির প্যারাসিটামল খায় না। কেউ খায় নাপা, কেউ খাবে এইস, কেউ প্যারাপাইরল। প্যারাসিটামল আমার চিকিৎসায় ফেল মারার পর বাসার সবাই একটু চিন্তিত হয়ে পড়লো।
তাছাড়া জ্বরের লক্ষণও ভালো না। হঠাৎ করেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, সাথে হঠাৎ হঠাৎ বমি। লেপ-কাঁথা- দিয়েও সেই কাপাকাপি কমানো সম্ভব হয় না। কাঁপুনি কমে আসলে ধীরে ধীরে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। প্রথম প্রথম কয়দিন তাপমাত্রা ১০২ এর বেশী ওঠেনি। কিন্তু যতই দিন যেতে লাগলো টেম্পারেচারও একটু একটু করে একশ তিন পার করে একশ চারের দিকে রওনা হল।
মধ্যবিত্ত পরিবারে সামান্য জ্বর নিয়ে আদিখ্যেতা দেখানো হয় না। আমাদের বাসার সবাই তাই ব্যাপারটাকে ওই পর্যায়েই ধরে রেখেছিল। কিন্তু একশ চার জ্বর অন্য জিনিষ। এরজন্য আলাদা শ্রদ্ধা আছে বাসায়। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার তৃতীয় দিন আমার জ্বর একশ চার ছাড়ানোর পর ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া লাগলো। সেটা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার তিন দিন পর। তিন দিন পর আমি বিছানা ছেড়ে বাসার বাইরে এলাম।
.........
“জন্ডিস আতংক”
শ্যামলীতে যে ডাক্তারের কাছে আমরা অসুস্থ হলেই শরণাপন্ন হই তাঁর কাছে আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ এক রাতে আম্মা হঠাৎ করেই প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। আম্মাকে নিয়ে কোথায় যাবো, না যাবো সেটা ভেবেই উঠতে পারছিলাম না। প্রচন্ড পেট ব্যাথায় আম্মা কাতরাচ্ছেন এটা সহ্য করা আমার জন্য অত্যান্ত কঠিন ছিল। অথচ কিছুতেই কিছু করা যাচ্ছে না। সে রাতে আম্মাকে কোন রকমে ধরে ধরে শ্যামলীতেই আল মারকাজুল হাসপাতাল নামে একটা ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে ছিলাম। ডাক্তার ভদ্রলোক সে সময় তাঁর চেম্বারে ছিলেন। তিনি আম্মাকে দেখে মুহূর্তেই ইঞ্জেকশন টিঞ্জেকশন দিয়ে ব্যাথা কমিয়ে ফেললেন। আম্মার যে অবস্থা সেদিন দেখেছিলাম তাতে এতো দ্রুত যে কোন নিরাময় হতে পারে সেটা আমার কল্পনার বাইরে ছিল। ফলে ভদ্রলোকের প্রতি আমার অন্য ধরণের একটা আস্থা জন্মে গেল।
আম্মাকে নিয়ে বাসায় ফেরত আসার সময় তিনি এটাও বলে দিলেন যে রাতে যদি আবার ব্যাথা ওঠে তাহলে কি করতে হবে। এবং, রাতে যদি কোন রকমের কোন সমস্যা হয় তাহলে যেন আমরা অবশ্যই তাঁর সাথে যোগাযোগ করি, সেটা যত রাতই হোক। ডাক্তারের প্রতি শ্রদ্ধায় আমার মাথা নত হয়ে এলো। রাতের বেলা অফিস থেকে প্রায়ই আমার ফোন-টোন আসে এবং আমি খুবই বিরক্তির সাথে সে সসব ফোনের জবাব দেই। অথচ এখনে ভদ্রলোক নিজের তাগিদেই বলে দিলেন আমরা যেন কোন সমস্যা হলেই তাঁর সাথে যোগাযোগ করি। শুধু বয়স বা অভিজ্ঞতা হলেই হয় না, প্রফেশনের প্রতি ডেডিকেশন আলাদা একটা জিনিষ। এটা ভেতর থেকে আসে। জোর করে হয় না।
ডাক্তার আমাকে দেখে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন দিয়ে দিলেন। সাথে কিছু টেস্ট দিয়ে
দিলেন। আমার জন্ডিস হতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করলেন। টেস্ট রিপোর্ট হাতে পেলেই বোঝা যাবে কি অবস্থা।
জন্ডিস আমার কাছে এক মুর্তিমান আতংকের নাম। ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হয়েই আমি আর ইলা ব্লাড টেস্ট করতে দিলাম। আগামীকাল সেটার রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
পরদিন রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর দেখা গেল ডাক্তারের আশংকাই ঠিক। জন্ডিসই হয়েছে আমার। অবশ্য টেস্ট রিপোর্টের কারনেই কিনা জানি না, ততক্ষণে আমি মোটামুটি হলুদ ভূতে পরিণত হতে শুরু করেছি। বমি করার পরিমাণও বেড়েছে। জ্বর কমলেও শারীরিক দুর্বলতার শেষ বিন্দুতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছি আমি। নিজে থেকে উঠে গিয়ে বাথরুমে যাবো সেই শক্তি টুকু শরীর থেকে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেছে। গভীর রাতে প্রচন্ড তৃষ্ণায় ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছিল বারবার অথচ মুখের কাছে পানি আনলেই মুখ ভর্তি বমি উল্টে আসতে লাগলো। প্রচন্ড খারাপ একটা সময় পার হতে লাগলো। কিছু খেতে পারি না, বিছানায় মাথা তুলে বসতে পারি না, সারাক্ষণ মনে হয় বমি হবে।
এর মধ্যে শুরু হল আরেক যন্ত্রণা, তীব্র মাথা ব্যাথা। যেন কেউ ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাথার ভেতর তীব্র যন্ত্রণা ভরে দিচ্ছে। সামান্য নড়াচড়াতেই শরীরের এখানে ওখানে তীব্র ব্যাথা শুরু হল, যেন কেউ চাবুক মারছে। ডাক্তারের কাছে বারবার ফোন করা শুরু হল। ডাক্তার বলল, প্রচন্ড শারীরিক দুর্বলতার কারনেই এমন ঘটছে। কিন্তু যেহেতু এই সময় লিভারের অবস্থা খুব নাজুক থাকে সেকারনে তিনি কোন রকম ব্যাথানাশক দিলেন না। বরং জোর করে খাওয়া দাওয়া করে শরীরটাকে একটু শক্ত করার কথা বললেন।
আমার শরীর খারাপ হাওয়া সাথে সাথেই বাসার সবাই গবেষণায় বসে গেল রায়ানের এই এই অসুস্থতার পেছনে কে দায়ী। দুই খালা আর আম্মার সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম গঠন করা হল।
প্রাথমিক ভাবে জন্ডিসের কারণ হিসেবে রাস্তায় একদিন লেবুর শরবত খেয়েছিলাম সেটাকেই দায়ী করা হল। সেই লেবুর শরবত নাকি ড্রেনের পানি দিয়ে বানানো হয় এবং এগুলোর মধ্যে নাকি জন্ডিসের জীবাণু সব সময় কিলবিল কিলবিল করতে থাকে। আমি কারো কথা শুনি না বলেই এই সব বাইরের হাবিজাবি খেয়ে জন্ডিস বাঁধিয়েছি। কথাগুলো শুনে রাগে আমার গা জ্বলে গেল। কিন্তু প্রতিবাদ করার মতো অবস্থা আমার ছিল না বলে চুপ করে গেলাম।
জন্ডিসের সরূপ নির্ধারণের পর এবার শুরু হল রোগীর পথ্য নিয়ে গবেষণা। আমি সেসময় ফলমূল ছাড়া কেবল চিঁড়া-কলা খেতে পারছিলাম। আর যে কোন কিছুই পেটে ঢুকাতে পারছিলাম না। মেডিকেল বোর্ড জানালো শুধু চিঁড়া খেলে হবে না। আমাকে “জাউ” নামক এক অখাদ্য খেতে হবে। আমি কোন রকমে চিঁচিঁ করে জানালাম আমার সামনে কেউ যদি “জাউ” নিয়ে আসে তাহলে কিন্তু কুরুক্ষত্র হয়ে যাবে!
কিন্তু আমার অবস্থা আরও খারাপ হল। একসময় চিঁড়াও আর গলা দিয়ে নামাতে পারছিলাম না। এদিকে শরীরের অবস্থা দ্রুত খারাপ হয়ে যাচ্ছে। শেষমেশ আনা হল সেই বিখ্যাত জাউ। কিন্তু একটু খানি মুখে দিয়েই আমি ঘোষণা দিলাম – প্রয়োজনে আমি জীবন দিয়ে দেব কিন্তু এই জাউ আমাকে খাওয়ানো যাবে না। আমার কাছে জাউ খাওয়া মানে “কাঁচা গু” খাওয়া। মানুষের পক্ষে “গু” খাওয়া সম্ভব না। তাই আমার পক্ষেও জাউ খাওয়া সম্ভব না।
সাধারণত আমার দুই খালা আর আম্মা – এই তিন বোন কোন বিষয়ে এক মত হতে পারেন না। আমার কথা শুনে খালারা বিনা দ্বিধায় একমত হয়ে বললেন, এই ছেলে নেম্বার ওয়ান বেয়াদপ। বাসায় রেখে এর চিকিৎসা হবে না। একে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
এখানে একটা কথা বলে রাখি। জন্ডিস ধরা পড়ার এক সপ্তাহ পর ডাক্তারের নির্দেশ ছিল পুনরায় জন্ডিসের টেস্টগুলো করা যেন রোগীর অবস্থা সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় আমার বিলুরুবিন ছিল ১৩.৪। এক সপ্তাহ পর টেস্ট করে জানা গেল আমার বিলুরুবিন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩.৪। সাধারণত এক সপ্তাহে মানুষের বিলুরুবিন কিছুটা কমে আসে। আমার ক্ষেত্রে উল্টো ঘটনা ঘটায় ডাক্তার চমকে গেলেন। আমার শরীর খারাপ লাগায় আমি সেদিন যেতে পারিনি, ইলা রিপোর্ট নিয়ে গিয়ে ছিল। ডাক্তার ইলাকে টেস্টগুলো আবার করিয়ে আমাকে সাথে নিয়ে যেতে বললেন।
সে রাতেই টেস্ট করানো হল। এবার রিপোর্ট কিছুটা সহনীয় ২৪.৫। কিন্তু এবার ডাক্তার আমাকে দেখে চমকে গেলেন। কারণ ততদিনে জন্ডিসের প্রভাবে আমার আপাদমস্তক হলুদ হয়ে গেছে। না খেতে পেরে শুকিয়ে আমশি হয়ে গেছি, চামড়া ঝুলে গেছে, চুল এলোমেলো – মোটামুটি ভয়াবহ একটা অবস্থা। তার মধ্যে আমার অক্ষি কোটরে বসে যাওয়া হলুদ চোখের দিকে তাকিয়ে ডাক্তারের চোখে পানি চলে আসলো। তিনি তার সিধান্ত জানালেন- আমাকে ইমিডিয়েটলি হসপিটালাইজড করতে হবে। একে আর বাসায় রেখে চিকিৎসা করা যাবে না।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হা হা হা। নারে ভাই জাউরে অবজ্ঞা করি নাই। জিনিষটা খাই না, তার উপর আবার জন্ডিসের আক্রমনে জিহ্বায় কোন স্বাদ নাই, তাই এই অবস্থা!
জাউ যে চরম উপভোগ করেছেন সেটা বুঝতে পারলাম আপনার বর্ননা থেকে। ভালোই হল একদিক দিয়ে। জাউ সম্পর্কে একটা খারাপ ধারণা হয়ে যাচ্ছিল, সেটা দূর হল।
ভালো থাকবেন।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: এখন কি অবস্থা? সুস্থ হয়ে উঠুন ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২২
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: অবস্থা এখন আগের চাইতে ভালো মামুন ভাই। খোঁজ খবর নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। বিলুরুবিন ৩৫ এ গিয়ে উঠেছিল। নামাতে কষ্ট হচ্ছে। আপাতত ফুল বেড রেস্টে আছি।
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
নতুন বলেছেন: এখন কি অবস্থা? সুস্থ হয়ে উঠুন ।
ফুল রেস্ট আর খেতে চেস্টা করুন.. ঠিক হয়ে যাবেন..চিন্তা করবেন না.
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধীরে ধীরে ইম্প্রুভ হচ্ছে। অনেক দুর্বল হয়ে গেছি।
আপাতত ফুল রেস্টেই আছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮
ভিটামিন সি বলেছেন: ভাইজান জাউরে অবজ্ঞা করলেন, ছুডুবেলায় প্রতিদিনই সকালের নাস্তা ছিল এই জাউ। তাও আবার শাইল ধানের আতপ চালের জাউ। সাথে চিনি, কলা, দুধ।