নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় কিছু পাপের কাছে আমি বন্দি হয়ে আছি

নাভিদ কায়সার রায়ান

তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?

নাভিদ কায়সার রায়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজি অ্যাট পিজি

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

২১-৮-১৪

স্থান: পিজি হাসপাতাল, হেপাটোলজি বিভাগ।



জন্ডিসের রিপোর্ট আর আমার কটকটে হলুদ চোখ দেখে ডাক্তাররা আমাকে ইমিডিয়েটলি হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য উপদেশ দিলেন। ডাক্তারদের তাগিদ দেখে আমাদের বাসার লোকজনও ভয় খেয়ে গেল। তারা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য চাপাচাপি করতে লাগলো।

কিন্তু সমস্যা হল আমি হাসপাতাল একেবারেই পছন্দ করি না। নিজের অসুস্থতার কারণের হাসপাতালে ভর্তি হওয়াটা আমার জন্য রীতিমত লোমহর্ষক একটা ব্যাপার। যেখানে পারতপক্ষে সৌজন্যের খাতিরেও আমি হাসপাতালে অসুস্থ রোগী দেখতে যাই না সেখানে সামান্য জন্ডিসের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোন মানে আমি খুঁজে পেলাম না। এক ক্যান্সার অথবা মুমুর্ষ রোগী ছাড়া আমার মতে হাসপাতালে কেউ ভর্তি হয় না। আর আমি যেহেতু এই দুই ক্যাটাগরির কোনটাতেই পরি না সেক্ষেত্রে আমি আমার অবস্থানে অটল থাকলাম, হাসপাতালে আমি ভর্তি হব না।

একটা ব্যাপারটা অনেকেই জানে না। শেষ যেবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম সেবার আমার অবস্থা খারাপ। ইউনিভার্সিটিতে মাস্তানি করতে গিয়ে আমি আর অন্তু একবার চূড়ান্ত মার খেলাম। মাথা টাথা ফেটে সারা শরীর রক্তে ভেসে একাকার। কোন রকমে জান হাতে নিয়ে সেবার পালিয়েছি। মাথা দিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ছে, এর মধ্যে শুনলাম অন্তুকে নাকি মারতে মারতে কোথায় নিয়ে গেছে, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কথা শুনে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেল। আমি ওই অবস্থাতেই অন্তুকে উদ্ধার করতে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার সাথের বন্ধুরা আমাকে জাপটে ধরে এ্যাম্বুলেন্সে তুলে একটা ক্লিনিকে নিয়ে গেল। ওখানে পৌঁছে আয়নায় নিজের চেহারা দেখে ওই অবস্থাতেই হাসলাম। অনেক সাহস ছিল তখন। ওরা যে আমাকে মেরে ফেলতে পারেনি সেই খুশিতেই হেসেছিলাম। লোকজন সাধেই আমাকে সাইকো ডাকতো না।

সেই ক্লিনিকে আমার মাথার যেখানে চামড়া কেটে রক্ত ঝরছিল সেখানে চেতনা নাশক কোন কিছু না দিয়েই এক লোক ঘস ঘস করে একটা ব্লেড দিয়ে মাথার চুল কামিয়ে দিল। ব্যথায় আমার পিলে চমকে গিয়েছিল। ওর মধ্যেই দেখলাম সবাই অন্তুকে ধরে বেঁধে নিয়ে এসেছে। ওর অবস্থা আরও করুন। সারা মুখ থেঁতলানো। ফুলে গেছে এখানে ওখানে। এতো রাতে সেই ক্লিনিকে ডাক্তার ছিল না। ফলে কোন রকমে গজ ব্যান্ডেজ দিয়েই আমাদের ছেড়ে দেয়া হল। বলা হল মেডিকেল নিয়ে হবে। হেড ইনজুরি, এখানে চিকিৎসা দেয়া ঠিক হবে না।

রাতের বেলাতেই আমাদের চিটাগাং মেডিকেলে ভর্তি করা হল। সেখানে অ্যানেস্থেসিয়া না দিয়েই মাথার কাটা ওয়াস করা হল। সে যে কি রকম ব্যথার অনুভূতি সেটা বলে বোঝানো যাবে না। ওয়াস করার পর সেই অবস্থাতেই ডাক্তার সেলাই করে দিল। ব্যথায় আমার অবস্থা ততোক্ষণে ত্রাহি বৃন্দাবন।

যাক, সেসব অনেক পুরনো কথা। বর্তমানে ফিরে আসি।

এর মধ্যে একজন ডাক্তার বললেন রিপোর্টগুলো নিয়ে ডাক্তার সেলিমুর রহমানকে দেখাতে। উনি পিজির হেপাটোলজির হেড। লিভার বিশেষজ্ঞ। আর আমার লিভারের রিপোর্টগুলোই যেহেতু খারাপ আসছে সেহেতু তার মাধ্যমেই চিকিৎসা নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আমিও সায় দিতে বাধ্য হলাম যে উনি যদি বলেন হাসপাতাল তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।

প্রফেসর সেলিমুর রহমান যেহেতু পিজিতে বসেন সেহেতু সরাসরি পিজিতে গিয়েই তাকে ধরার প্ল্যান করা হল। বড় বড় ডাক্তারদের যে এভাবে ধরা যায় না সেটা আমরা পরে বুঝেছিলাম।

আমরা সকাল সকাল পিজির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম। মাঝে কয়দিন বৃষ্টি হয়ে আকাশ পরিষ্কার করে দিয়ে গেছে। বাইরে বের হয়ে দেখলাম চমৎকার রোদ উঠেছে।

হাসপাতালে পৌঁছানোর পর আমাকে বসিয়ে রেখে ইলা এখানে ওখানে ছোটাছুটি শুরু করে দিল। আমি বসে বসে দেখছি। বেচারি। মনে হয় আমার অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গেছে। ভয় পাওয়ারই কথা। কারণ এমনিতে আমার স্বাস্থ্য খানিকটা ভেঙ্গে গেছে। গাল বসে গিয়েছে। আর চোয়ালের হাড় উঁচু হয়ে চেহারা হয়েছে নেশাখোরের মতো। শুধু তাই না হাই বিলুরুবিনের কারণে আমার গায়ের রং হয়েছে আফ্রিকান ডাইনীদের মতো, তার সাথে চুল দাঁড়ি না কাটায় আলাদা একটা সাইড ইফেক্ট এসেছে। কষ্ট করে শুধু আমার কাঁধে একটা আজদাহা সাপ ঝুলিয়ে দিলেই আমাকে যে কোন মন্দিরে কালীমূর্তির পাশে বসিয়ে রাখা যাবে। পূজারীরা কালীকে দেখে ভয় না পেলেও আমাকে দেখে পিলে চমকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমাকে শুধু পূজারির দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে একটা হাসি দিতে হবে। ভয়ে ব্যাটা নেংটি খুলে পালাবে। হা হা হা। তার মধ্যে পিজিতে আসার সময় আমার কটকটে হলুদ চোখ ঢাকার জন্য ঢাউস একটা সানগ্লাস পড়ে এসেছি। ভাগ্যিস আয়নায় নিজের চেহারা দেখি নাই সেদিন। নিজের চেহারা দেখে ভিমড়ি খেয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল।

যাই হোক, এক সময় সেলিমুর রহমানকে পাওয়া গেল। ভদ্রলোক মহা ব্যস্ত। রিপোর্টগুলো তিনি তার জুনিয়রের হাতে দিয়ে বললেন দেখে দিতে। বলেই ছুটে বেড়িয়ে গেল। সেই জুনিয়র ডাক্তার আমাকে দেখে একই কথা বললেন, হাসপাতালে সিট পেলে ভর্তি হয়ে যান। আমি মাথা নেড়ে বললাম, কাভি নেহি। আমি ঠিক আছি। হাসপাতালে কেন ভর্তি হব?

ইলা আমার কথা অগ্রাহ্য করে সেদিনই হাসপাতালের একটা কেবিন ম্যানেজ করার জন্য আবার দৌড়াদৌড়ি শুরু করল। আমি একা একা ওয়েটিং রুমে বসে আছি। এমন সময় দুই পাঙ্কু এসে আমার পাশে বসলো। গায়ে স্কিন টাইট গেঞ্জি আর চকরা-বকরা জিনস। একজনের এক কানে আবার দুল ঝুলছে। দুই জনের মাথার চুলে দুই রকম ডিজাইন। মাথার চুলের এইটা কোন ডিজাইন আমি বুঝতে পারলাম না। সম্ভবত টর্নেডো স্টাইল। দূর থেকে দেখলে মনে হবে মাথার উপর দিয়ে ছোটখাটো টর্নেডো বয়ে গেছে। দুই দোস্ত খানিকক্ষণ ফুসুর ফুসুর আলাপ আর মোবাইল টেপাটেপির করল। তারপর উশখুশ করতে করতে তাদের নজর পড়লো আমার উপর। আমাকে দেখেই উৎসাহে তাদের চোখ জ্বল জ্বল করে উঠলো। বেচারাদের সময় কাটছিল না।

“ভাইজান কি গায়ে হলুদ মাখসেন?”

“হ্যাঁ ভাই। যেন তেন হলুদ না। আসামের মিরিঙ্গা হলুদ। কবিরাজি ক্ষমতা আছে।”

দুই বন্ধু একে অপরের দিকে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকাল। এরা সম্ভবত মিরিঙ্গা হলুদের নাম শোনেনি।

একজন আমার কাছে ঘেঁসে ফিসফিস করে বলল, “কবিরাজি ক্ষমতা?...মানে কাজটা কি?”

আমি তখন সানগ্লাস খুলিনি। সেই অবস্থাতেই ছেলেটার দিকে তাকিয়ে ইঙ্গিতপুর্ন একটা হাসি দিলাম।

ছেলেটা দুইটা কি বুঝলো কে জানে! তবে তাদের চেহারায় তেলতেলে একটা হাসি ফুটে উঠলো।

একজন আবার আমার কানের কাছে মুখ এনে বলল, “ভাই, কাজ হয়?”

আমিও ফিসফিসিয়ে বললাম, “কাজ নাহলে কেউ এই রকম হলুদ চেহারা নিয়ে রাস্তায় বের হয়? বোঝেন না?”

“তাও একটা কথা।”

“ভাই, ঠিকানাটা কি পাওয়া যাবে?”

আমি আবারো হাসি দিলাম।

“আপনার দরকার?”

ছেলে দুইটার মধ্যে দুলওয়ালা এতক্ষণ কথা বলেনি। লাজুক মুখে বলল,

“মাঝে মাঝে একটু সমস্যা হয় ভাই।”

“তাহলে তো সমস্যা।”

“হ্যাঁ ভাই। সমস্যা।”

“কিন্তু বছরের এই সময় তো সাধু বাবারে পাওয়া যাবে না।”

দুই বন্ধুর চেহারা নিমিষেই কালো হয়ে গেল। দুই জন এক সাথে বলল, “তাহলে উপায়?”

“কিচ্ছু করার নাই। সাধু বাবার মোবাইল নাই। তার কোন ঠিকানাও নাই।”

“আপনি উনার খোঁজ পাইলেন কিভাবে?”

“দরকার হইলে খোঁজ এমনিতেই পাওয়া যায়।”

“সেইটা অবশ্য ঠিক।” দুই বন্ধু এক সাথে মাথা নাড়ে। সাথে একটা দীর্ঘশ্বাস।

“আমি আপনাদের একটা বুদ্ধি দেই।”

“বলেন ভাই, বলেন।”

“সাধু বাবাকে বছরে মাত্র একবার পাওয়া যায়। তাও সেই শবে কদরের রাতে। শবে কদরের রাতে উনি মিরপুরের মাজারে আসেন। সাথে উনার জড়িবুটির ওষুধ নিয়ে আসেন। মাথায় জটা আর গেরুয়া পোশাক দেখে তাকে সহজেই চেনা যায়। সারা রাত মাজারের বাইরে বসে হিন্দিতে কি সব বলে বলে ওষুধ বিক্রি করেন। পরদিন তাকে আর কোথাও পাওয়া যায় না। কোথায় যেন চলে যান। উনাকে আবার সেই পরের বছর, আবার সেই সবে কদরের রাতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে উনাকে পাওয়ার আর কোন চান্স নাই।”

“মিরপুর মাজারে? ওইখানে তো সব ধান্দাবাজের আখড়া।”

“এইটাই লোকে ভুল করে। সবাইকে এক ভাবে দেখা ঠিক না। লোকে বিশ্বাস করে দুই নম্বরিদের। আর ঠক খায়। খুবই আফসোসের কথা।”

দুই বন্ধু আবারো সম্মতিতে মাথা ঝাঁকায়।

“তাহলে তো ভাই ম্যালা দিন অপেক্ষা করতে হবে।”

“তা তো করতেই হবে। উপায় নাই। সবুরে মেওয়া ফলে।”

“তাহলে ভাই আজকে আসি। আপনার সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগলো। আমরা দুই দোস্ত জনি আর রাহাত। গেন্ডারিয়া থাকি। ওইদিকে আসলে দেখা কইরেন। খুশী হমু। ফোন নাম্বারটা রাখেন।”

“আমার কাছে তো মোবাইল নাই। মোবাইল সাথে রাখা নিষেধ আছে।” আমার সাথে আসলেই মোবাইল ছিল না। আমি বললাম, “থাক ভাই। নাম্বার রাখার দরকার নাই। আল্লাহ চাইলে এমনিতেই দেখা হয়ে যাবে।”

“ঠিকই বলসেন ভাই।” দুই জনের মুখেই হাসি।

হ্যান্ড শেক করে দুই বন্ধু যেভাবে এসেছিল সেভাবেই ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে চলে গেল।

এরপর আসলেন নেতাজী। নেতাজীর সাথে অসুস্থ হওয়ার পর এই প্রথম দেখা। ইলা আসার আগে হাসপাতালে ভর্তি, ডাক্তার দেখানো নিয়ে অনেক গোপন কথা হল। কথা বলতে বলতেই ইলা চলে আসলো।

আল্লাহর অশেষ রহমতে ইলার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে সেদিন আর কেবিন পাওয়া গেল না। আমি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এলাম।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

বিলিভ ইট অর নট (শ্যামল বিশ্বাস) বলেছেন: পিজি কি পিজি আছে ? ওটা এখন বাংলাদেশের একমাত্র মেডিকেল ইউনিভার্সিটি আগে যখন পোষ্ট গ্রাজুয়েট ইন্সটিটিউট ছিল তখন নাম ছিল পিজি। এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: পিজি যে আর পিজি নেই সেটা জানি। এতদিন ধরে পিজি ডেকে ডেকে বদঅভ্যাস হয়ে গেছে মনে হয়।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
জন্ডিসটাকে হালকা ভাবে নিয়েন না , নাভিদ ভাই। সাধারনত জন্ডিসের জন্য হাপাতালে ভর্তি হতে বলা হয় না। আনুসাঙ্গিক পরীক্ষা গুলো যে গুলো এ্যডভাইস করা হয়েছে সেগুলো করিয়ে নিয়েন। বাসায় সম্পূর্ন বিশ্রামে থাকুন। তেল চর্বি ভাজা পোড়া আপাতত বাদ। চিনি গ্লুকোজ বা কার্বোহাইড্রেট বেশী খান। ধুন্দোল নামক শবজি বেশী করে খান। পানি পান করুন এটু বেশী।

আল্লাহের উপর ভরসা রাখুন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন , এই কামনা থাকল।

আসসালামুয়ালাইকুম

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: মুদ্‌দাকির ভাই, এই জন্ডিসকে হালকা ভাবে নিয়ে আমার এক খালু লিভার সিরোসিসে মারা গেছেন। জন্ডিসকে তাই হালকা ভাবে নেয়ার কোন উপায় নাই।
খাওয়া দাওয়া খুবই অনিচ্ছা সত্ত্বেও রেস্ট্রিকশনে রেখেছি। তাছাড়া আমার তেল চর্বি ভাজা পোড়া খাওয়ার তেমন অভ্যাস নাই।
নানা রকম কবিরাজি শরবত খাচ্ছি, সাথে গ্লুকোজও আছে।
আল্লাহ্‌ পা'ক যেন আপনার দোয়া কবুল করেন। আমারও আর এই বন্দী জীবন ভালো লাগছে না।
ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাই। ভালো থাকবেন।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪

ডি মুন বলেছেন: দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।

শুভকামনা রইলো।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন ভাই

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: এই অবস্থায় হাসপাতালে থাকাই ভাল । মেডিকেশন আর রেস্ট দুটোই হবে ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হাসপাতালের কথা শুনলেই আমার কেমন যেন করে ওঠে মামুন ভাই। তাছাড়া জন্ডিসের কোন মেডিকেশন নেই, রেস্টই আসল থেরাপি - আর সেটা তো বাসাতেই হচ্ছে!
বাসায় থাকলে একটা সুবিধা সবার সাথে থাকা যাচ্ছে। হাসপাতালে তো প্রায় বন্দী জীবন যাপন করতে হবে।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৪৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: হাসপাতালে ভর্তি না হোন কিন্তু চিকিৎসায় অবহেলা করবেন না। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই দোয়া করি।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৫

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: না ভাই, চিকিৎসায় কোন অবহেলা করছি না। পর্যাপ্ত রেস্ট নিচ্ছি, খাওয়া দাওয়া করছি সতর্কতার সাথে।
আপনাদের কাউকেই আমি সামনাসামনি চিনি না, কিন্তু তার পরও আপনারা আমার প্রতি যে সহমর্মিতা দেখাচ্ছেন তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞ। নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। বিলুরুবিন ৩৫ থেকে কমে ১৭ তে নেমেছে। আরও কিছুদিন মনে হয় অপেক্ষা করতে হবে পুরোপুরি সুস্থ হতে গেলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.