![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?
মাঝে মাঝে আর ঘরে ফিরতে ইচ্ছা করে না
মনে হয় কোন এক অচেনা গাছের নিচে
বসে থাকি চুপচাপ,
একটা কবিতা পড়ি
অথবা সূর্যাস্ত দেখি
হয়তো আজ সূর্যোদয় হবে অন্যভাবে।
আজকাল অফিস থেকে আর ঘরে ফিরতে ইচ্ছা করে না
মনে হয় যে কোন একটা বাসে চড়ে বসি
কেউ যদি জিজ্ঞেস করে - কোথায় যাবেন
বলবো, আমি জানি না
পথের শেষ প্রান্তে আমাকে নামিয়ে দিয়ো বন্ধু
আজ আমার আর ঘরে ফেরা হবে না।
ইদানিং খুব পালিয়ে যেতে ইচ্ছা করে
কারো কাছ থেকে নয়
নিজের কাছ থেকেই
নিজেকে বড্ড ক্লান্ত মনে হয়
বহুদিন মাটিতে মিশিয়েছি রোদ্দুর কোমল যতনে
বহুদিন তৃষ্ণার্ত ধুলায় বান ডেকেছে আমার বয়ে যাওয়া ঘামে
এই ব্যস্ততা, খেয়ে পড়ে দিনান্তে বেঁচে থাকা
আমাকে দিয়ে হবে না।
এবার আমাকে যেতে হবে
অসংখ্য তারার মৃত্যুকে সাথে নিয়ে
কোন এক নতুন দিগন্তের সন্ধানে
আমাকে ফিরতে হবে।
আর কোন কবিতা নয়
এবার আমাকে ফিরে যেতে হবে
আজ এখনই এই মুহূর্তে!
পথের শেষ প্রান্তে তুমি আমাকে নামিয়ে দিয়ো বন্ধু
আজ আমার আর ঘরে ফেরা হবে না।
=====================================
আমার অন্যান্য কবিতাঃ
১) ঘুণপ্রলাপ
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: জীবনানন্দের কবিতা বেশ ভালো লাগে আমার। যদিও আমি শক্তি চট্টপাধ্যায়ের কবিতার ভক্ত!
এই কবিতাটা লেখার পেছনে সুকান্তের একটা কবিতার থিম কাজ করেছে। আপনার জন্য তুলে দিলামঃ-
অসহ্য দিন! স্নায়ু উদ্বেল। শ্লথ পায়ে ঘুরি ইতস্তত
অনেক দুঃখে রক্ত আমার অসংযত।
মাঝে মাঝে যেন জ্বালা করে এক বিরাট ক্ষত
হৃদয়গত।
ব্যর্থতা বুকে, অক্ষম দেহ, বহু অভিযোগ আমার ঘাড়ে
দিন রাত শুধু চেতনা আমাকে নির্দয় হাতে চাবুক মারে।
এখানে ওখানে, পথে চলতেও বিপদকে দেখি সমুদ্যত,
মনে হয় যেন জীবনধারণ বুঝি খানিকটা অসঙ্গত।।
"অসহ্য দিন"
- সুকান্ত ভট্টাচার্য
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২০
ডি মুন বলেছেন: সুকান্ত আমারো ভীষণ প্রিয়।
আমার মৃত্যুর পর থেমে যাবে কথার গুঞ্জন,
বুকের স্পন্দনটুকু মূর্ত হবে ঝিল্লীর ঝংকারে
জীবনের পথপ্রান্তে ভুলে যাব মৃত্যুর শঙ্কারে,
উজ্জ্বল আলোর চোখে আঁকা হবে আঁধার-অঞ্জন।
(আমার মৃত্যুর পর / সুকান্ত ভট্টাচার্য)
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩০
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: আহ! অসাধারণ! এইসব কবিতা পড়লে আর কিছু লিখতে ইচ্ছা করে না!
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিজের সাথে মিল পেলাম। ভালো লাগলো।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৫
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: কবিতার বিষয়বস্তু কারো সাথে মিলে গেলে তাহা নিতান্তই কাকতাল মাত্র, এর জন্য লেখককে কোন ভাবেই দায়ী করা যাবে না
ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম হাসান মাহবুব ভাই।
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ঠিকই আছে, আমারও মাঝে মাঝে ঘরে ফিরতে ইচ্ছে হয় না ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০০
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হা হা হা! পালানোর অভ্যাস মনে হয় সবারই অল্প বেশী আছে মামুন ভাই!
কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া একটা গান আছে না -
"যারে ঘর দিলা সংসার দিলা রে
তারে বৈরাগী মন কেন দিলা রে"
ব্যাপারটা অনেকটা সেই রকমই।
৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৬
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: দরুন লিখেছেন। বার বার পড়তে ভালো লাগছে ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৫
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ওহ! ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম খুব। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: সবার আমার কথাটা যেন উঠে এসেছে! মাঝে মাঝেই জেন কোথাও ফিরতে ইচ্ছে করে না!
নিজের একটা লেখার কথা মনে পড়ে গেল, তুলে দিতে ইচ্ছে হল-
একদিন হাঁটতে হাঁটতে
চলে যাব অনেক দূর
আমাকে হেঁটেই যেতে হবে
কাউকে তো অপেক্ষায় রাখিনি
তাই ট্রেন বাস উড়োজাহাজ সবই বাহুল্য
আমার কোনো-
ভাড়া নেই
তাড়া নেই,
গন্তব্য নেই
আমাকে শুধু তাই যেতে হবে-
কোথাও না, শুধু আমি হতে অনেক দূরে
আমাকে হেঁটেই যেতে হবে, সেটাই ভাল
তাহলে আমি খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে
মুখ থুবড়ে মুক্তি পাব
জীবন মাড়িয়ে
জীবনের পথ
আর কত?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৭
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: আরে! আসলেই তো কাছাকাছি হয়ে গেছে! অদ্ভুত ব্যাপার! সবারই মনে হয় মাঝে মাঝে পালিয়ে যেতে ইচ্ছা করে। কেউ কেউ "পালাতে পারবে না" - এই বিষয়টা মেনে নেয়, কেউ কেউ সত্যিই পালিয়ে যায় আর যারা পারে না, তাই কবিতা লেখে।
আমি ঠিক করেছি আর পালিয়ে যাওয়ার কবিতা লিখব না। এইবার সত্যিই কয়েক দিনের জন্য পালাব।
পুরনো পোষ্টে মন্তব্য পেতে ভাল লাগলো।
আপনার নামটাও তো আজব।
খন্ড তঁ।
তাও আবার তিনবার।
খন্ড তঁ তঁ তঁ।
হা হা হা।
৭| ২১ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: বাসায় এখন ছেলে মেয়ে এবং উনিও নেই তাই বেশ আবৃতির ভঙ্গিতে পড়লাম ,খুব ভাল লাগল । শুভ কামনা ।
২১ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
ডি মুন বলেছেন: ইদানিং খুব পালিয়ে যেতে ইচ্ছা করে
কারো কাছ থেকে নয়
নিজের কাছ থেকেই
নিজেকে বড্ড ক্লান্ত মনে হয়
বাহ, কবিতা ভালো লেগেছে। আর আপনার কবিতা পড়তে পড়তে মনে হলো জীবনানন্দের 'বোধ' কবিতাটির কথা,
সব কাজ তুচ্ছ হয় __পণ্ড মনে হয়
সব চিন্তা __ প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়।
শুভেচ্ছা সতত।