![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?
ঈশ্বরের কাছে এক দিনের জন্য মৃত্যু দাবী করেছিল তরুণ এক কবি
এখানে আজ তার ভাল লাগছে না,
এক দিনের জন্য সে মরে যেতে চায়-
যদিও কাজটা সহজ নয় - এই মরে যাওয়াটা
কিন্তু তারপরও তাকে যেতে হবে!
পৃথিবীর সব বেমানান সৌন্দর্যে তার ঘেন্না ধরে গেছে
ভরা পূর্ণিমায় নদীর কাছে দাঁড়ালে সে এখন কান্না শুনতে পায়
কী শীতলতা আর হাহাকার ভরা থাকে সেই চাপা ক্রন্দনে!
অথচ শুষ্ক আর জরাগ্রস্থ সে নদীর কাছে এসে কেউ বলেনি-
“তোমার বুকের বাঁধ আমি ভেঙ্গে দেব হে নদী
তুমি আবার তরুণী হয়ে ওঠো
দুকূল ভাসিয়ে তুমি বয়ে চল দক্ষিণে
রাঙা প্রভাতে আমি তোমার নগ্ন সমুদ্রস্নান উপভোগ করব”
নদীর মোহনায় এখন বাজার বসেছে
বেশ্যার মত থলথলে দেহ আর পিচ্ছিল কাদা মাখানো জল
নদীর দেহ থেকে খসে খসে পড়ে,
তরুণ কবি একদিনের জন্য তাই মরে যেতে চায়
কেননা মরণের ওপারে সে দেখতে পায় এক সুগভীর জলের নদী
বুকের মধ্যে গভীর সব ঢেউ তুলে যে নদী শান্ত হয়ে
তারই অপেক্ষায় আছে।
তরুণ কবি একদিনের মৃত্যুই চেয়েছিল
সে হিসেব করে দেখেছে
একদিনে কতটা পথ ঘুরে আসা যায়
এক দিনে - কতটা দুঃখ ভুলে থাকা যায়-
কেননা আকাশের নীল আগলে রেখেছিল যে শঙ্খচিল
সে আজ তাঁর কৌমার্য হারিয়েছে এক শহুরে নেড়ি কুকুরের কাছে
আকাশের দিকে তাকালে এখন দেখা যায় কংক্রিটের সুতীক্ষ্ণ খাঁজ
কবির নরম দৃষ্টি সে ধারালো খাঁজে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে,
তখন নক্ষত্রবিহীন রাতে নিতান্ত অনিচ্ছায় ওঠা চাঁদ
তাঁর নোংরা হাতে কবির চোখে দুঃখের জীবাণু ছড়িয়ে দেয়
তরুণ কবি তাই একরাতের জন্য তাঁর মৃত্যু দাবী করে
মৃত্যুর ওপারে আছে এক অবারিত খোলা প্রান্তর
সেখানে সে অপেক্ষায় থাকবে
উথাল পাথাল এক জোছনা রাতে
নক্ষত্রের চুমকি বসানো নীল শাড়ি পড়ে
কবির খুব কাছে এসে বসবে তার ভুলে যাওয়া প্রেমিকা
স্নিগ্ধ সুন্দরী এক রুপালী রাত্রি।
আমার অন্যান্য কবিতাঃ
১) ঘুণপ্রলাপ
২) আমার আজ আর ফেরা হবে না
৩) মুর্খের আত্মপোলব্ধি
৪)মরীচিকায় কানামাছি
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: যাক, মনে কিছুটা শান্তি পেলাম। আমি ভেবেছিলাম কেউ হয়তো পড়বেই না।
ধন্যবাদ অপূর্ণ রায়হান।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২
ডি মুন বলেছেন: তরুন--- তরুণ
জড়াগ্রস্থ---- জরাগ্রস্থ
টাইপো দুটো ঠিক করে নিয়েন রায়ান ভাই
কবিতা খুব চমৎকার হয়েছে। বিশেষ করে এই যায়গাটা চমৎকার লাগল,
তরুন কবি একদিনের মৃত্যুই চেয়েছিল
সে হিসেব করে দেখেছে
একদিনে কতটা পথ ঘুরে আসা যায়
এক দিনে - কতটা দুঃখ ভুলে থাকা যায়-
কেননা আকাশের নীল আগলে রেখেছিল যে শঙ্খচিল
সে আজ তাঁর কৌমার্য হারিয়েছে এক শহুরে নেড়ি কুকুরের কাছে
শুভেচ্ছা সতত।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: বানান ভুলটা দেখেছি। ঠিক করার কথাটাও খেয়াল আছে। মোবাইল থেকে টাইপ করতে কষ্ট লাগে।
কবিতা ভাল লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আমার কবিতাও কি ইয়ে টাইপ হয়ে গেল নাকি? হা হা হা।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
ডি মুন বলেছেন: আরে না, আপনার কবিতা ঠিক আছে।
আমি তুমি বিষয়ক কবিতা ছাড়া ইয়ে টাইপ হওয়ার চান্স নাই
শুভেচ্ছা রইলো ভাই
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: যাক মনে একটা শান্তির সুবাতাস পেলাম। আমার বন্ধু বান্ধব তো আমাকে জ্বালায় মারল। এইটা নাকি কবিতাই হয় নাই! আমি নাকি চাঁদনী নামের এক মেয়ের সাথে পরকীয়া করি ইত্যাদি ইত্যা্দি
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: মৃত্যুর ওপারে আছে এক অবারিত খোলা প্রান্তর
সেখানে সে অপেক্ষায় থাকবে
উথাল পাথাল এক জোছনা রাতে
নক্ষত্রের চুমকি বসানো নীল শাড়ি পড়ে
কবির খুব কাছে এসে বসবে তার ভুলে যাওয়া প্রেমিকা
স্নিগ্ধ সুন্দরী এক রুপালী রাত্রি।
এর জন্য শুধু তরুণ কবি নয়, সবাই একবার হলেও মৃত্যুর স্বাদ নিতে চায় ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৫
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: মামুন ভাই, ফাঁকি দিলেন। কবিতা কেমন লাগলো সেটা বললেন না।
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন:
ঈশ্বরের কাছে এক দিনের জন্য মৃত্যু দাবী করেছিল তরুণ এক কবি
শিরোনাম দেখেই ছুটে আসলাম! অসাধারণ লাগলো! আপনার লেখা আগে পড়িনি কেন সেটাই ভাবছি!
মুগ্ধপাঠ!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪০
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: আগে আমার লেখা মনে হয় অদৃশ্য হয়ে ছিল তাই মনে হয় দেখতে পারেন নি। হা হা হা।
কবিতা ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো।
কবিতা লেখার মধ্যে একটা মজা আছে। এই কবিতায় আমার জীবনের একটা খুব গোপন কথা বলে ফেলেছি। সেটা ফেসবুকে শেয়ার করেছি। কিন্তু কেউ বুঝতে পারেনি। মজা না?
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫
ডি মুন বলেছেন:
হা হা হা
শেষমেশ পরকীয়ার অপবাদ !!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৩
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হ্যাঁ মুন ভাই, আমার মতো শরীফ লোককে আমার বদমায়েশ দোস্তরা এই ভাবে অপবাদ দেবে সেটা আমি বুঝতেই পারিনি।
৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যুর ওপারে কী আছে কবিরই তা দেখতে চাওয়া উচিত অন্তত একদিনের জন্যে হলে। এই অধিকার ঈশ্বর যে কেন দিলেন না!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: দিয়েছে তো মাহবুব ভাই! তবে সমস্যা হল অইপাড়ে দেখতে গেলে তো আর ফিরে আসা যাচ্ছে না!
৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৬
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার কবিতায় ভালো লাগা।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ভাল লাগল জেনে। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো +
শুভেচ্ছা অনেক