![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?
আকাশ পাড়ি দেয়া নক্ষত্রের মিছিল
হানা দ্যায় অকস্মাৎ, এই নিগুঢ় সীমান্তে।
ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠে জোনাকিরা,
শত কোটি চোখ আঁধার দ্যাখে -
অবাক, অপলক, সবার অজান্তে!
ওরা কি জানে না,
কিভাবে ক্লান্ত পথিক নিষ্ক্রান্ত হয়?
রাতের শেষে আবার কেন রাতই আসে?
তবে কেন এই মিথ্যা জাগরণ?
কথা আছে, ঢের কথা জমে আছে
এই প্রান্তে - হয়তো কহিলো মহাজীবন।
খুঁজে দেখো, পাবে সেই অজানারে
বৃথা এই পলায়ন।
“আর স্বপ্ন আলোক?” – নম্র কণ্ঠে বিদ্রোহী প্রশ্ন,
পদ্ম পাতায় জমে থাকা যে শিশির
খসে পড়ে অর্ণবে অনন্ত
সে কেন হয় বোবা পাথর?
এর চাইতে মৃত্যু নয়, নিদ্রা ভালো।
ভুলে থাকা যায় আবার ভালোবাসাও যায় -
এই শীতের কুয়াশায়!
এই অসত্য নির্ঘুমে।
আমি দেখেছি ওই নরম হাতে আদর মাখা থাকে
-আঁধারে শুয়ে একাকী জোনাক ভেবেছে যাকে,
সেই মায়া পড়ে থাকে ধূলা-কাদায়,
আর ভ্রান্তিবিলাসে ক্লান্ত মন
দুর্দান্ত প্রভাতে উষ্ণ রোদ স্বপ্নে মাখায়
এই অসত্য নির্ঘুমে।
এই কবিতার উৎস কোথায় সেটা আমার পাঠকের জানার অধিকার আছে বলে আমি মনে করি। তাই এই বাড়তি কথাগুলো বলতে হচ্ছে।
এই পৃথিবীর কোন এক জায়গায়, একটা অদ্ভুত ঘর আছে। ঘরটা অন্ধকার। আর সেই অন্ধকারে কারা যেন বাস করে! তাদের পরিচয় আমরা জানি না কিন্তু আমরা জানি ওরা আছে। কারণ আমরা টের পাই যে ওরা আছে! তারাও আমাদের মতোই সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা নিয়ে তৈরি। যেহেতু আমরা ওদের কোন কিছুই জানতে পারছি না – তাই ওদেরকে আমাদের অপরিচিত লাগে, অচেনা লাগে। এই অচেনা জীবগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক কি সেটা আমরা পরে জানতে পারবো। আপাতত বলব - ওদের ব্যাপারে আমরা অচেতন নই, বরং অবচেতন আছি।
মাঝে মাঝে গভীর রাতে ওদের মধ্য থেকে একজন আমার সাথে দেখা করতে আসে, কথা বলে। সেই অন্ধকারে। সে কথা বলে, আমি শুনি। আমাদের দুই জনের কাছ থেকে একটু দূরেই যেখানে আঁধার একটু গাঢ় আর ঘন, সেখানে বাকীরা কিলবিল করতে থাকে। ওরা অপেক্ষা করে। এসব দেখে আমার মনে অশুভ চিন্তা খেলে যায়। কিন্তু আমি সেই আঁধারের প্রাণীর প্রতি আমার তীব্র আকর্ষণ লুকাতে পারি না। আমি বার বার সেই আঁধারের কাছে ছুটে যাই। আমি ওখানে গেলেই সে ছুটে আসে। আর বাকীরা অপেক্ষা করে।
ওরা কেন অপেক্ষা করে?
ওরা কোন শব্দ করে না, কেবল দূর থেকে আমাদের কথা বলতে দেখে। প্রথম প্রথম আমার খুব অস্বস্তি লাগতো। কিন্তু এখন আমি এসব উপেক্ষা করতে শিখে গেছি। এখন আমি রাত জেগে সেই আঁধারের প্রাণীর নানা রকম কৌতূহলী কথাবার্তা শুনি। ওর নানা রকম আজগুবি প্রশ্নের জবাব দেই। এমন প্রায়ই হয়েছে যে ওর কথা শুনতে শুনতে আমি কখন ঘুমিয়ে পড়েছি, টেরই পাইনি! আমি ঘুমিয়ে গেলেও সে জেগে থাকে। ওরাও জেগে থেকে।
ওরা - কেন জেগে থাকে?
আমার অন্যান্য কবিতাঃ
১) ঘুণপ্রলাপ
২) আমার আজ আর ফেরা হবে না
৩) মুর্খের আত্মপোলব্ধি
৪)মরীচিকায় কানামাছি
৫)ঈশ্বরের কাছে এক দিনের জন্য মৃত্যু দাবী করেছিল তরুণ এক কবি
৬) প্রায় অজানা সুদূর অতীতে
৭) বাস করছি আপন অমাবস্যায়
৮) শ্মশানযাত্রী
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ভাই, ব্লগে আমার ইন্টারেকশন যে খুব খারাপ সেটা আমি জানি। এইটা নিয়ে ভাবলে মনটা খারাপই লাগে। অনেক দিন ধরেই ব্লগে আছি। তারপরও দুই তিন জন ছাড়া আর কাউকেউ চিনি না। এটা খুব খারাপ আর লজ্জাজনক একটা ব্যাপার। আসলে সম মনা অনেকের সাথে কথা বার্তা চালিয়ে যেতে খুব ইচ্ছা করে। পারি না। অফিস আর বাসার মাঝে যে টুকু সময় পাই সেই সময়টা পড়তে ব্যয় করি। মন্তব্য করতে আলসেমি লাগে!
কাজটা ঠিক করি না জানি। কথাটা আবার মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কবিতা এবং কবিতার গল্প দুটাই পড়তে ভাললাগলো।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু একটি নদী...
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
অবুঝ১ বলেছেন: সুন্দর লিখনি
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ অবুঝ১
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
এর চাইতে মৃত্যু নয়, নিদ্রা ভালো।
ভুলে থাকা যায় আবার ভালোবাসাও যায় -
এই শীতের কুয়াশায়!
এই অসত্য নির্ঘুমে। বিদগ্ধ, বিমূর্ত অনুভূতি ৷
কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ত খোঁজা হয় ৷ যদিও উত্তর অনেকটাই অজ্ঞাত বা অস্পৃর্শ্য ৷
আত্ম-স্বীকারোক্তি কথনে প্রীত হলেম ৷ প্রশ্ন জেগে থাকুক ৷সুন্দর মুহূর্তেরা সঙ্গী হোক ৷
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ওহ! ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর আলম ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
উত্তর আসলেই পাওয়া যায় না। এটা একটা বিরাট কষ্ট। আবার অনেক উত্তর জানা থাকা সত্ত্বেও লুকিয়ে ফেলতে হয় সেটাও আরেক কষ্ট। মন-সংকটে পড়ে মাঝি তখন নৌকা বায় উল্টা পথে।
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২
জেন রসি বলেছেন: এক চেনা জীবন এবং এক অচেনা জগতের কাব্যময় গল্প ভালো লেগেছে।
+++
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৪
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি।
৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০১
সুমন কর বলেছেন: কবিতা আর কবিতার পিছনের কথা ভালো লাগল।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: কবিতা পড়তে আসার জন্য ধন্যবাদ সুমন ভাই।
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী এক প্যাশন ছিলো একসময়! এখনও আছে নাকি এরকম?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: "প্যাশন" - ছিল। সেটা একসময় পরিণত হয়েছিল অবশেসনে। অবশেসন সিকনেসে। ঝামেলা এখনও তো আছেই। পার্মানেন্ট প্যাশনেট শেপার্ড হয়ে গেছি। হা হা হা।
৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই পৃথিবীর কোন এক জায়গায়, একটা অদ্ভুত ঘর আছে। ঘরটা অন্ধকার। আর সেই অন্ধকারে কারা যেন বাস করে! তাদের পরিচয় আমরা জানি না কিন্তু আমরা জানি ওরা আছে। কারণ আমরা টের পাই যে ওরা আছে! তারাও আমাদের মতোই সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা নিয়ে তৈরি। যেহেতু আমরা ওদের কোন কিছুই জানতে পারছি না – তাই ওদেরকে আমাদের অপরিচিত লাগে, অচেনা লাগে। এই অচেনা জীবগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক কি সেটা আমরা পরে জানতে পারবো। আপাতত বলব - ওদের ব্যাপারে আমরা অচেতন নই, বরং অবচেতন আছি।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হায় হায়! কি হল?
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখা ভালো লেগেছে। মন্দ নয়।
নিজের লেখায় অন্যদের মতামত জানতে অন্যদের ব্লগে যান, তাদের লেখা সম্পর্কে মতামত জানান। এটা লেখা ভালো করতে দারুন ভুমিকা রাখে।