![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Loading ... ╔════════════════╗ ║█████████████99% ║ ╚════════════════╝ নিজের সম্পর্কে ঢাক ঢোল পেটানো উচিৎ না।যদি এখানে আমি নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে যাই,তাহলে হয়তোবা শুধু আমার ভাল দিক গুলোই বেশি বলে ফেলব।কারন মানুষ স্বভাবতই নিজের প্রশংসা শুনতে ভালবাসে। তাই নিজের সম্পর্কে কিছুই বলতে যাব না। আমার বলা ''আমি'' আর বাস্তবের ''আমি'' এক না ও হতে পারে। প্রতিটা মানুষ চেতন বা অবচেতন মনে নিজেকে সবচেয়ে '' ঠিক '' ভাবতে ভালবাসে।তাছাড়া নিজের ভুল,অপরাধ বা দোষ নিজের চোখে খুব কম ই পড়ে। তাই নিজেকে নিয়ে কিছু বলতে চাইনা। আমার সাথে যারা মিশবে তারা আপনা আপনি আমাকে জানতে পারবে, আমার নিজের থেকে ও ভাল বলতে পারবে আমার সম্পর্কে।
এক রাখাল গহীন জঙ্গলে বাশি বাজাচ্ছিল। পাশের এক যুবক ওই রাখালের গ্রামে গিয়ে খবর দিল, “রাখাল কে বাঘে ধরেছে”।... গ্রামবাসী লাঠিসোডা নিয়ে দেখে রাখাল আরামচে বাশি বাজাচ্ছে।... এদেখে গ্রামের সব লোক ফিরে গেল।... কিছুদিন পর আবার ঐ যুবক গ্রামে গিয়ে একই কথা বলল... প্রথমে গ্রামের লোক যেতে অস্বীকার করলে ও পরে সবাই গিয়ে দেখল রাখাল বাশি বাজাচ্ছে।... আবার তারা ফিরে গেল। ... এরপর একদিন সত্যি বাঘ এল।... রাখাল চিৎকার করল বাচাও বাচাও বলে।... কিন্তু এদিন আর কেউ বাচাতে গেল না... অনেক পর গ্রামের সবাই এসে দেখল রাখাল কে বাঘ খেয়ে ফেলেছে।
---
গল্পটা সবার পরিচিত। ... পার্থক্য শুধু ‘আসল গল্পে’ রাখাল নিজেই গ্রামবাসীদের মিথ্যা বলে... আর এখানে তৃতীয় পক্ষের এক যুবক...
...
আমাদের মাঝে থেকে “বিশ্বাস” নামের শব্দটা উঠে গেছে।... মনের মাঝে ঢুকে গেছে “সন্দেহ” নামক বীষ... এর জন্য দায়ী গল্পের সেই যুবকের মত তৃতীয় পক্ষের “কেউ”... “কেউ” হল রাজনীতীবিধ, মিডিয়া... আর নীরিহ রাখাল হচ্ছে “ভিক্টিম” ... আর গ্রামবাসী হল “আমাদের মত সাধারন কেউ” যারা ভিক্টিম কে সাহায্য করতে প্রস্তুত।... কিন্তু সেই তৃতীয় পক্ষের “কেউ” ই এই রাখাল আর গ্রামবাসীর মাঝে অবিশ্বাসের সেতু তৈরি করছে... ফলে বিপদে ও আমরা একজন অন্যজন কে বিশ্বাস করতে পারি না...
---
... আজ আপনে পানিতে ডুবে বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করেন।... দেখবেন কেউ একচান্সে বিশ্বাস করবে না...কেউ আপনাকে খব বিপদের কথা বলে ১০ টাকা ধার চাইলে আপনে ও অজুহাত দেখাবেন।... কারন অবিশ্বাসের সেতু আগেই “কেউ” তৈরি করে রেখেছে।... আপনার চাই প্রমান, আর তার চাই সাহায্য... যখন প্রমান খুজতে খুজতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন, তখন দেখবেন পেছনের সেই “ভিক্টিম” চলে গেছে অনেক দূরে, না ফেরার পথে... তখন সেই ক্লান্ত শরীরে চাইলে ও তাকে সাহায্য করতে পারবেন না... সময় সাহায্য করতে দেবে না... তখন আর আফসোস আর মায়া কান্না করা ছাড়া কিছুই থাকবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
খেলাঘর বলেছেন:
ওকে