![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলা ভাষার অক্ষরগুলোকে এদিক সেদিক ঘুরিয়ে ফিরেয়ে ভাষাটার সাথে বেয়াদবী করি। বেয়াদবীগুলোর মধ্যে নকশা খুঁজতে গেলে গোলকধাঁধায় পড়বেন বলে দিচ্ছি।
বাংলাদেশের, বিশেষ করে ঢাকার বাসিন্দা হিসেবে এই মুহুর্তে সবচেয়ে লজিক্যাল যে কাজটা আপনি করতে পারেন তা হল মাস্ক, গ্লাভস ছাড়া বাইরে বের হয়ে টানা দু তিন দিন একবারও বাসায় না ফিরে পুরোটা সময়েই হাট বাজারে গিয়ে সবার গা ঘেষে দাঁড়িয়ে বড় পাঙাস মাছটার দাম নিয়ে ফাও ফাও মুলোমুলি করে, এর ওর হাঁচি কাশির খুব কাছাকাছি গিয়ে থুতুর স্প্রেতে ভিজে, পাবলিক বাসে পুরো ঢাকা চষে বেরিয়ে নিজেকে করোনা পজিটিভ করা।
যদি জীবন্ত, চলন্ত ঢাকা আপনাকে করোনা দিতে না পারে তাহলে কুর্মিটোলা বা বড় কোন করোনা হাসপাতালে পা টিপে টিপে আইসিইউতে ঢুকে কোন করোনা রোগীর গলা জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে তাকে স্বান্তনা দিয়ে আসতে পারেন। ইনশাল্লাহ, আক্রান্ত না হয়ে পারবেনই না।
পরবর্তী লজিক্যাল কাজ হবে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি হয়ে একটা বেড অথবা নিদেনপক্ষে একটা বারান্দার কোনা দখল করা। নার্স বা অন্যান্যদের টাকা পয়সা খাইয়ে দু তিনটে অতিরিক্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার দখল করতেও ভুলবেন না। আর পকেট যদি বেশি গরম থাকে তাহলে এখানে সেখানে কয়েকটা বড় নোট খরচ করে এমন ব্যবস্থা করে ফেলুন যাতে ভবিষ্যতে আপনার জীবন তরল অবস্থায় পৌছুলে হাসপাতালের আইসিউ থেকে কোন লাশ বের হবার পর গরমাগরম অবস্থাতেই ঢুকে যেতে পারেন।
এখন প্রশ্ন থাকতেই পারে, কেন করবেন এতসব? বেশ চুপচাপই তো ঘরে বসে বসে ভ্যারেন্ডা ভাজছেন।
এতসব করবেন কারন, ঘুমন্ত বাংলাদেশ যেভাবে আড়মোড়া ভেঙ্গে জীর্ণ চৌকির উপরে সরাসরি দাঁড়িয়েই যেতে চাইছে তাতে জুনের মাঝামাঝিতে গিয়ে হাসপাতালের সামনের ফুটপাতেও একটা "সিট" ধরতে দালাল খুঁজতে হবে। সুতরাং, লেগে পড়ুন কাজে। সময় বেশি নেই।
৩১ তারিখ পর্যন্তই মাত্র।
©somewhere in net ltd.