নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাভিলা

নাভিলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহর নাম ‘আল্লাহ’ কিভাবে আসল?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে,
আল্লাহর নাম কি সত্যিই আল্লাহ, নাকি অন্যকিছু?
শুরুতে বলি, কেউ যদি বিশ্বাসই করে যে সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন,
তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন জাগবে স্রষ্টা আপনাকে কেন সৃষ্টি করেছেন?
এবং আপনাকে কি কি করতে হবে পৃথিবীতে?
যেহেতু স্রষ্টা আপনাকে সৃষ্টি করেছেন সেহেতু তার একটা নির্দেশিকা বা গাইড অবশ্যই আছে।
আর আমরা জানি প্রত্যেক ধর্মের বেসিক কথা একই, সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করা, অন্যায় না করা ইত্যাদি ইত্যাদি।

ধরুন আপনি বাজারে ডেল কার্নেগীর একটি বই কিনতে গেলেন।
আপনি বাজারে গিয়ে উক্ত বইয়ের পূরনো সংস্করন কিনবেন, নাকি সর্বশেষ সংস্করন কিনবেন?
নিশ্চয়ই সর্বশেষ সংস্করনটিই কিনবেন, কারন পুরনো সংস্করনে কোন না কোন ভূল থাকতে পারে!
কিংবা অসময়োপযোগী লেখা থাকতে পারে।
আমরা জানি সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক সর্বশেষ সংস্করনকৃত সেই গ্রন্থটির নাম আল-কুরআন।
সেই আল-কুরআনে সৃষ্টিকর্তা নিজেই বলে দিয়েছেন যে তাঁর নাম আল্লাহ (আরবীঃ ক্বুল হুয়া আল্লাহ)।
আল্লাহ নামটি ছাড়াও তাঁর আরো ৯৯টি নাম রয়েছে, যেগুলো পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে।
এমনটি কুরআনে এও বলা আছে, পূর্বে যেসব গ্রন্থ এসেছে সেগুলোর নাম তওরাত, জবুর ও ইঞ্জিল।
আমি যতটুকু জেনেছি পূর্বের গ্রন্থসমূহেও সৃষ্টিকর্তার নাম আল্লাহই ছিল।
যেমন হিব্রু ভাষায় সৃষ্টিকর্তার নাম 'আল্লেহ'।

বাইবেল মূলত ছিল হিব্রু ভাষায়। হিব্রু ভাষা থেকে কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ হওয়ার পর ইংরেজীতে অনুবাদ করা হয়।
তবে মূল গ্রন্থকে বিকৃত করেছে তারা, এজন্য একেক দেশে একেক প্রকার বাইবেল।
সবচেয়ে বড় কথা হলো একমাত্র কুরআন ছাড়া পূর্বের আর কোন আসমানী গ্রন্থই আল্লাহর দায়িত্বে নেই আর।
যেমন ধরা যায় উইন্ডোজ এক্সপির কথা!
মাইক্রোসফট এক্সপির দায়দায়িত্ব অনেক আগেই গুটিয়ে নিয়েছে, কিন্তু তবুও বহু মানুষ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করে!
এখন কেউ মাইক্রোসফটের কথা অগ্রাহ্য করে যদি এক্সপি ব্যবহার করে, আর তার ড্যাটা যদি ভাইরাসে আক্রান্ত হয় সেজন্য মাইক্রোসফটকে দায়ী করতে পারবে কি? কখনোই পারবে না।
তাই যেসব ধর্মগ্রন্থের মূলবানী মানুষ পরিবর্তন করতে পারে তা এক্সপির মতই!
আর ঐসব গ্রন্থ বিশ্বাস করে যদি কেউ ভূল পথে যায় তার জন্য কিন্তু আল্লাহ দায়ী নন।
আর একটি কথা বলি, গড হচ্ছে ইংরেজী শব্দ কিন্তু বাইবেল এসেছে হিব্রু ভাষা থেকে।
হিব্রু বাইবেলে কোথাও গড শব্দটি নেই! তার মানে গড শব্দটি ভূল?
আসলে ভূল বলা যায়না, আবার এটা সৃষ্টিকর্তার নিজের দেওয়া কোন নাম বলেও ধরা যায়না।
তবে এমনও হতে পারে আমরা যেমন বাংলায় আল্লাহকে বিভিন্ন নামে ডাকি,
যেমন, তুমি অসীম, তুমি মহিয়ান, তুমি সর্বশক্তিমান ইত্যাদি।
অথচ এই নামগুলো কোন ধর্মগ্রন্থে নেই, কিন্তু আমরা ব্যবহার করি।
ঈশ্বর, গড কিংবা খোদা এধরনের নামগুলো সম্ভবত এভাবেই এসেছে।
এবার অদৃশ্যে বিশ্বাস সম্পর্কে একটু ক্লিয়ার করতে চাই।
অনেকে প্রশ্ন করেন যাকে দুচোখে দেখিনা তাকে কিভাবে বিশ্বাস করবো?
আমার উত্তর হচ্ছে, অনেক কিছুই আমরা দেখিনা কিন্তু নাস্তিক, আস্তিকসহ সবাই বিশ্বাস করি।
যেমন বাতাসকে দেখিনা কিন্তু বাতাস আছে এটা বিশ্বাস করি।
আমাদের গরম লাগে কিন্তু গরমকে দেখা যায়না।
শরীরে ব্যথা হয়, কিন্তু ব্যথাকে দেখা যায়না।
আমাদের সবার সঙ্গে আত্না বা রূহ আছে, পৃথিবীর কোন বিজ্ঞানী এটা অস্বীকার করেনি।
কিন্তু কেউ কি কখনো আত্নাকে দেখেছে?
আজকাল নাসার বিজ্ঞানীরা বলছে পৃথিবীতে অদৃশ্য এ্যলিয়েন রয়েছে।
তারমানে অদৃশ্যে বিশ্বাসও লজিক্যাল, বিজ্ঞানীর ভাষ্যানুসারে।
যদিও আমরা মুসলিমরা এলিয়েন এর ব্যাপারে একমত কিংবা দ্বিমত পোষন করিনা।
তবে আমরা বিশ্বাস করি যে পৃথিবীতে আরেকটি অদৃশ্য প্রাণী রয়েছে যাদের নাম জ্বীন।
যদি ধরেই নেই নাসা যাকে এলিয়েন বলছে সেটা মূলত জ্বীনই।
তাহলে কি দাড়াল?
জ্বীনের তথ্য এসেছে চৌদ্দশত বছর আগের পবিত্র কোরআনেই?
কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা এলিয়েন আবিস্কার করলো কয়েক বছর আগে মাত্র!!
আলহামদুলিল্লাহ কুরআন এগিয়ে আছে, এবং কেয়ামত পর্যন্ত এগিয়েই থাকবে।
ইনভিজিবল আল্লাহতে যারা বিশ্বাস করতে অনিচ্ছুক তাদের বলি,
আমাদের আশপাশেই কতো ব্যাকটেরিয়া ঘুরঘুর করছে, আমরা তা খালি চোখে দেখিনা!
কিন্তু দেখিনা বলে কোন ব্যাকটেরিয়া নাই এটা বলা যাবে?
মহাকাশের কয়টা তারা/নক্ষত্র আমরা খালি চোখে দেখতে পারি?
কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, কোটি কোটি নক্ষত্র আমাদের দৃষ্টি সীমার বাইরে!
যারা জন্ম থেকে অন্ধ তারাতো কোনদিন চাঁদকে ছুঁয়ে দেখাতো দূরের কথা,
চাঁদের আলোই কোনদিন দেখেনি!
তাই বলে সেকি বলবে চাঁদ বলে কিছু নেই?
তাকেও আমাদের কাছ থেকে শুনেই অদৃশ্যে বিশ্বাস করতে হচ্ছে।
সর্বশক্তিমান এক আল্লাহর কাছেও আমরা অন্ধের মতই!
আামাদের জন্য এই জীবনটি হচ্ছে একটি মহাপরীক্ষা!
আমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্যই তিনি অদৃশ্য থাকলেন।
তিনি দেখতে চান কে কে তাঁকে না দেখেও বিশ্বাস করে, ভয় করে?
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর পথে পরিচালিত করুন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অার এভাবেই অাল্লাহ নামটি চলে এলো?

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

নাভিলা বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে।
আসলে ওটা হচ্ছে সারসংক্ষেপ।
বিস্তারিত বলতে গেলে লেখা শেষ হবেনা।
মানুষ যেন তার প্রতিপালককে চিনতে পারে সেজন্য সৃষ্টিকর্তা লাখ লাখ নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।
আমি যেসব তথ্য উল্লেখ করেছি তা যাচাই করে নিতে পারেন।
ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার।ভাল লেগেছে।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০১

নাভিলা বলেছেন: স্বাগতম, অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক ভাল পোষ্ট।

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২১

নাভিলা বলেছেন: স্বাগতম এবং ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.