নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিভাবান নাকি সাধারন? আপনি কোন কাতারে??

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২


অনেকেই মনে করেন কেবলমাত্র মেধার পার্থক্যের কারনেই কিছু মানুষ কর্মক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকেন, কিন্তু আসলে সফল ব্যক্তিরা যাদের আমরা প্রতিভাবান বলে থাকি তাদের সাথে "সাধারণ ব্যক্তিদের" প্রধান পার্থক্য যতটা না মেধা বা প্রতিভার দিক থেকে তার চেয়ে বেশী মানসিকতা, মানসিক অভ্যাস ও তাদের কাজের নীতির দিক থেকে।

অধিকাংশ সাধারণ লোক অলস হয়ে পড়ে, এবং নিজেদের সক্ষমতার ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, তাই তারা বেশি পরিশ্রামসাধ্য বা কঠিন মনে হয় এমন কাজের ক্ষেত্রে ব্যার্থ হওয়ার ভয়ে অনেক সময় চেষ্টাই করতে চান না।

অন্যদিকে সফল ব্যক্তিরা পরিশ্রমী ও কর্মঠ হয়ে থাকেন। এবং কঠিন সমস্যা গুলোর প্রতি বিশেষ ভাবে আগ্রহী হয়ে থাকেন। চ্যালেঞ্জিং সমস্যাগুলো নিতে তারা দ্বিধা করে না কেননা তাদের ব্যর্থতা নিয়ে অতটা ভয় থাকে না, তারা ব্যর্থতার সম্ভাবনা, বা এর পরিণাম নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন না। তারা জানেন যে তারা স্মার্ট। তাদের কারো কাছে কিছু প্রমান করার নেই। তাই সফল হোন বা না হোন এটি তাদের আত্মসন্মানে আঘাত করে না। এর ফলে তারা কাজের প্রতি ভাবনাহীন, স্বচ্ছন্দ মনোভাব ধারণ করতে পারেন। এবং খুব সহজভাবে এটিকে উপভোগ করতে পারেন।

যেটিকে সাধারণ লোকেরা "কাজ" হিসেবে নেন সেটিকে প্রতিভাবানরা আনন্দের সাথেই করতে পছন্দ করেন। তারা কাজকে একধরণের কৌতুকপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখে থাকেন। এবং এর মধ্যে মজা খুঁজে পান। আর সাধারণ লোকেরা যেহেতু কাজকে "কাজ" হিসেবেই নিয়ে থাকেন এর ফলে তারা কাজ ৯টা থেকে ৫টার মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে এবং সাথে করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবেনা এমন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখে থাকেন। তারা "সাধারন" কাজের সময় এর বাহিরে এর সম্পর্কে চিন্তা করাও বন্ধ করে দেন।

অন্যদিকে সত্যিকারের প্রতিভাবান ব্যক্তিরা তাদের কাজ সম্পর্কে ভাবা বন্ধই করতে পারেন না। কারণ এটি তাদের মাঝে যে উত্তেজনা, উদ্দীপনা আনে তা তারা ভীষণভাবে ভালবাসেন। কাজ বা অবসরের এই কৃত্রিম পার্থক্যের অস্তিত্ব তাদের জন্য থাকে না। তারা তাদের কাজ এবং এর সমস্যাদি নিয়ে ২৪/৭ অর্থাৎ সব সময়েই ভেবে থাকেন।

আর এ কারন গুলোই সফল ব্যক্তি ও সাধারন ব্যক্তিদের মধ্যে পার্থক্য গড়ে তুলে। সফলরা তাদের কাজ কে উপভোগ করে, এর মধ্যে মজা খুঁজে পায় এর ফলে তারা তুলনামূলক বেশি সময় ধরে এর পেছনে সময় দেন, মাথা খাটান।
তাই আপনি যদি সফলদের মত কাজ করার তিনটি পরামর্শ চান তবে সেগুলো হবেঃ

* আপনি যে কাজ করেন তা সত্যিকার অর্থে উপভোগ করুন। নিজের কাজের মাঝে মজা খুঁজে নিন।
* কাজ সম্পর্কে চিন্তা করা বন্ধ করবেন না। কারণ আপনার অন্তস্থ সৃজনশীলতা ৯টা থেকে ৫টার সময়সূচী মেনে চলে না। দিন বা রাতের যে কোন সময়েই আপনার সেই “ইউরেকা” মুহূর্ত চলে আসতে পারে।
* নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। ব্যর্থতার ভয় করবেন না। কেননা এসব ভয় আপনাকে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে বাঁধা দিবে। সবচেয়ে অসাধারণ হবে যদি আপনি কঠিন সমস্যাগুলোকে নিজের সক্ষমতা প্রমান করার এবং নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করার সুযোগ হিসেবে দেখতে পারেন।
সুত্র: অন্যরকম প্রকাশনীর একটি ই-মেইল অবলম্বনে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

মো:সাব্বির হোসাইন বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ধন্যবাদ সাব্বির ভাই। মন্তব্যের জন্য।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ভাল পোস্ট।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ধন্যবাদ.........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.