নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম সাক্ষাতেই বাজিমাৎ

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬


জানেন তো, একজন নতুন গ্রাহক অথবা নিয়োগকর্তা - ব্যবসায়িক সম্পর্কের ভিত্তি গড়ার জন্য 'প্রথম সাক্ষাৎ' খুবই গুরুত্বপূর্ণ!
দেখার বিষয়, কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ- আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং সক্ষমতা প্রকাশ করা নাকি বিশ্বস্ততা প্রমাণ করা?
বেশির ভাগ মানুষই প্রথমটির সাথে একমত। আসলেই আপনি যদি আমাকে কোন কাজ করতে দেন বা আমার সাথে ব্যবসায়িক কোন কাজ করতে শুরু করেন তাহলে আমার দক্ষতা সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। তাই এটাই স্বাভাবিক যে, আমরা আমাদের এই গুণাবলী গুলি প্রথম দেখায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
স্বাভাবিক কিন্তু ভুল!!
এ্যামি কাডির লেখা 'Presence' বইটি অনুসারে, "লোকে প্রথম দেখাতে আপনার দক্ষতা নিয়ে কমই ভাবে, বরং তাদের মাথায় এই প্রশ্ন আসে যে, আপনি কি বিশ্বস্ত?" তাঁর গবেষণায় এটি প্রমানিত হয়েছে।
যদি নিজের বিশ্বস্ততা প্রমাণ করতে পারেন, তারপরেই দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ পাবেন। আপনি ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়তে ও বজায় রাখতে পারদর্শী, আশেপাশের মানুষজন আপনাকে পছন্দ করে, এটিই কর্মক্ষেত্রে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
কিভাবে করা যায়? কিভাবে সঠিক পথে নিজের বিশ্বস্ততা প্রমাণ করতে পারবেন?

১. বলার থেকে শুনুন বেশি করে
কথা বলার সময় প্রশ্ন করুন, আই কন্টাক্ট রাখুন বক্তার সাথে, সাড়া দিন তবে মৌখিকভাবে নয়, শরীরী ভাষায়। এই কাজগুলো প্রমাণ করে অপরপক্ষ আপনার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বেশি উপদেশ দেওয়া ঠিক নয়, কারণ উপদেশ দেওয়ার সময় সাধারণত আমরা নিজের ব্যাপারেই বেশি কথা বলি। তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ না হলে কথা বলার প্রয়োজন নেই।

২. স্পটলাইট অন্যের উপরে রাখুন
মানুষের প্রশংসা করুন। কারো প্রশংসা করলে সে প্রশংসাবাক্যের পাশাপাশি আপনার স্নেহ ও মনোযোগ অনুভব করে। প্রশংসার ফলে তারা নিজেদের আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করে।

৩. কথা শোনার ক্ষেত্রে সিলেক্টিভ না হওয়াই ভালো
কিছু মানুষ অপরদের কথা পুরোটা শোনে না।কিছুটা কিছুটা শুনে বাকীটা শোনার ভান করে, যা মোটেও উচিত নয়। আন্তরিকভাবে অন্যদের কথা শোনার মাধ্যমে সহজেই মানুষের ঘনিষ্ঠ হওয়া যায়, কাছাকাছি আসা যায়।

৪. কাজের জিনিসগুলো সরিয়ে রাখুন
কথা বলার সময় ফোন চেক করার অভ্যাস বাদ দিন। কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকানোও উচিত নয়। এমনকি এক মুহূর্তের জন্যও না। কাজের জিনিসগুলো থেকে নিজেকে সরাতে না পারলে কখনোই অন্যদের সাথে আন্তরিক হতে পারবেন না। আপনার পূর্ণ মনোযোগ অন্যদের কাছে উপহারস্বরূপ।

৫. কিছু পাওয়ার আশা না করে দিতে শিখুন
কি পাবেন তা নিয়ে চিন্তা না করে কি দিচ্ছেন তা নিয়ে ভাবুন। দান করার মাধ্যমেই সত্যিকারের সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।

৬. নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা বাদ দিন
শুধুমাত্র যে সব মানুষেরা নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, নিজেকে নিয়ে অহংকারী-তারাই আপনার এ আচরণ পছন্দ করবে। বাকিরা আপনাকে ঘৃণা করতে শুরু করবে।

৭. ‘নিজের থেকে অন্যরা বেশি গুরুত্বপূর্ণ’- এটা বুঝতে হবে
আপনি যা জানেন-তা ইতিমধ্যেই জানেন। নিজের মতামত জানেন, নিজের দৃষ্টিভঙ্গিও জানেন। নিজের সবকিছু জানার পরেও নিজেকে গুরুত্ব দেওয়ার মানে নাই। আপনি নিজের কাছ থেকে কিছুই শিখতে পারবেন না। অন্যরা কতটুকু জানে বা কতটুকু ভাবে- তা আপনি জানেন না। তাই নিজের থেকে বাকিদের বেশি গুরুত্ব দিন-তাহলে শিখতে পারবেন অনেক কিছু।

৮. শব্দ নির্বাচনে সচেতন হোন
কথপোকথনে শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে সতর্কতা- সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। উদাহরণস্বরূপ- 'মিটিং-এ যেতে হবে' না বলে 'বাকিদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি' বলা উচিত। আবার 'চাকুরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতে যাচ্ছি' না বলে 'টিমের জন্য নতুন কিছু মানুষ নির্বাচন করতে যাচ্ছি' বলা যায়। আমরা সুখী মানুষের সাথে থাকতে পছন্দ করি। শব্দ নির্বাচনের কারণে অন্যরা আপনার সাথে থাকতে স্বস্তিবোধ করবে।

৯. অন্যের ব্যর্থতা নিয়ে বেশি আলোচনা না করাই ভালো
সত্যি বলতে আমরা সবাই গুজবে কান দিতে পছন্দ করি। অন্যদের জড়িয়ে নোংরা গল্প ছড়াতেও পছন্দ করি। গল্প পছন্দ করলেও লোকে গল্পকারকে পছন্দ করে না, অর্থাৎ গুজবকারী বা গিবতকারীকে পছন্দও করে না, সম্মানও করে না। তাই অন্যদের পেছনে হাসাহাসি করা বাদ দিন, হয়তো আপনাকে নিয়েও কেউ হাসবে কখনও।

১০. সবশেষে...... নিজের অনুভূতিকে স্বীকৃতি দিন
প্রথম দেখাতেই চমক লাগাতে অসাধারণভাবে সফল হতে হবে এমন কোন কথা নাই। কিন্তু সফলতার জন্য চমক দেখানোর জন্য সৎ হওয়া প্রয়োজন। নিজের ভুল স্বীকার করুন। আন্তরিক হোন। অন্যদের নিয়ে হাসাহাসি না করে নিজেকে নিয়ে হাসুন। তাহলে তারাও আপনাকে নিয়ে হাসবে না। তারা আপনার সাথে হাসবে। সবাই আপনার পাশে থাকতে চাইবে।
সুত্র: অন্যরকম প্রকাশনীর একটি ই-মেইল অবলম্বনে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০০

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কিছু পরামর্শের। জন্য

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ধন্যবাদ অরু আপু। ভাল থাকবেন নিরন্তর.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.