নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
কেঁদোনা যুবক।
কাঁদলে তোমার হৃদয় পচে যাবে।
যদি কাঁদ তবে তোমার হৃদয় বিক্রি হয়ে যাবে।
তুমি কি চাও তোমার হৃদয় পচে যাক অথবা বিক্রি?
কথাগুলো সঙ্গীতের মতো পৌঁছালো আমার মর্মরে। খুব করে খেয়াল করিনি। আপন মনে শোকার্ত মনকে প্রশ্রয় দিচ্ছিলাম। ভাবছিলাম দু:খ বোঝাই নৌকার গন্তব্য নিয়ে কিংবা অসাধারন কিছু স্বপ্নের দু:সহতা নিয়ে।
চোখ মেলে তাকালাম সরলরেখায়। বসেছিলাম একপাশের গাছতলায়। ঘাসের উপর। মাথাটা গাছের কোলে। নির্জন প্রকৃতি তৈরী করেছে অসীম শুন্যতা।
মাথাটা তুলব কিংবা ডানে বায়ে তাকাবো। এমন মনে হয়নি। ভেবেছিলাম ঘটে যাওয়া অনেকগুলো দু:স্বাপ্নিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
পুন:মনোযোগ দিয়ে শুরু করলাম দু:খ বিলাস।।
অশরীরী কিছুর উপস্থিতি টের পেল ইন্দ্রিয় সকল। সাহসের উপর ভর করে তাকালাম শুন্যতায়। না কোন অশরীরী নয়। পুরোপুরি পদার্থ।
প্রথমেই চোখ পড়ল মেয়েটির ঠোঁটের কোনের গাঢ় কালো তিলের উপর। আর কিছুই দেখলাম না।
বললাম, আপনিই কি গান গাইছিলেন?
গান! কন্ঠে বিষ্ময়। গান কোথায় শুনলেন?
এই তো এখন আবার শুনলাম।
মেয়েটিকে ঈষৎ লজ্জিত কিংবা দুরন্ত মনে হল। অথবা তার দুরন্তপনায় যেন নিষ্প্রভ ভাব।
-আপনি কাঁদছিলেন?
আবার শুনলাম সঙ্গীত সুর।
মনে পড়ল আমার দু:খ বিলাসের কথা। নড়েচড়ে বসে ঝট করে হাত ছোঁয়ালাম কপোলের ভালে। টের পেলাম ঝরনার ঝরঝর জল।
দু:খিত হব নাকি লজ্জিত। ভেবে উঠার আগেই হয়ে গেলাম আড়ষ্ট।
অভয় দিল মেয়েটি।
কন্ঠে পিয়ানোর সুর তুলে বলল, আমি কি একটু বসতে পারি?
বসল মেয়েটি। কি সাধারন বসার ভঙ্গি। এই সাধারন ভঙ্গিটাই কোথায় যেন অসাধারন হয়ে উঠল। যেন কোন এক সুদূর নির্জন বনে এই ভঙ্গিটাই তৈরী করল নিস্তব্ধ কোলাহল।
নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে কোন রকম ভনিতা না করে মেয়েটি বলল, আমি কি আপনাকে একটা গল্প শুনাতে পারি?
তার প্রশ্নে আছে সম্মতি পাওয়ার আকুল আকুতি। আকুতিটা এতই প্রবল যে অনিচ্ছা থাকা স্বত্তেও না বলা যায় না।
সম্মতি পেয়ে তার ঠোঁটের কোনার তিলটা একটু স্থানচ্যুত হল। তিলের বিচ্যুতি উদ্ভাসিত করল মেয়েটির অপার সৌন্দর্য্য।
নিশ্চয় খুব ছোট একটা গল্প শোনাবেন আপনি? নিজের চঞ্চলতা যতটা সম্ভব গোপন করে বললাম।
আমাকে প্রিয়জনের মত আশ্বস্ত করে সে শুরু করল সঙ্গীত সুর -
রাজ কন্যার জানালার পাশে থাকত একটা দোয়েল। একদিন, দুদিন, সবদিন দোয়েলটি প্রেমে পড়ল রাজকন্যার।........(চলবে)
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ও ভাই ভয় পাইয়ে দিলেন তো............
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:২০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
গালে তিল আর টোল এই দুই জিনিসের অপার দৈহিক সৌন্দর্য। কিন্তু মন বলে যে জিনিসটা আছে আমরা সেটা ভুলে যাই।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২২
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: কথাটা ঠিক বলেছেন ভাই। আমি আপনার সাথে একমত। মনকেই আগে গুরুত্ব দেয়া উচিত। আমরা প্রকৃতি দেখি। একটি ফুলের বাহ্যিক সৌন্দর্য আগে দেখে তারপর গন্ধ শুঁকি। বিষয়টা প্রাকৃতিক। যদিও মনুষ্য চরিত ব্যপক ব্যতিক্রম।
পয়েন্ট বের করার জন্য ধন্যবাদ। আপনি মনোযোগী পাঠক। নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে। আমার ব্লগে স্বাগতম।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: পুরোটা পড়ে মন্তব্য করবো।