নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
কিছু কাজে আমরা তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে পারি। অর্থাৎ হা বা না বলতে পারি। কিছু কাজে হা বা না বলতে পারি না। তখন তৈরী হয় কনফিউশন।
খুব কম মানুষই হা বা না এর মধ্যে থাকতে পারে। বাকী বেশির ভাগ মানুষ থাকে কনফিউশনে। অর্থাৎ তারা কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারে না। মানে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
কনফিশন থেকে মানুষের মিসগাইড হওয়ার সম্ভাবনা খুব প্রকট।
এখন প্রশ্ন হল, কনফিউশন কেন তৈরী হয়। কিছু কারনতো অবশ্যই বিদ্যমান। যেমন:
নিজকে চিনতে না পারা :
মানুষ নিজকেই সবথেকে কম চিনে। আপনার কোন কাজটা করতে সবথেকে ভাল লাগে? আলোচনার প্রিয় বিষয় কি? অবসর সময় কি করতে ভাল লাগে? আপনি কতটুকু মানবিক? কি ধরনের বন্ধু আপনার দরকার? কোন ধরনের মানুষের সাথে সময় কাটাতে আপনি পছন্দ করেন, কেন? আপনার স্বপ্ন কি? আপনার ভিতরের বিশ্বাস উপলব্দি করেন কিনা? ইত্যাকার প্রশ্নগুলোর উত্তর কি আপনি জানেন? তাই সক্রেটিসের মত করে বলুন, Know Thyself- নিজেকে জানুন।
আপনি কি চান তা জানেন না :
আমরা প্রায়ই অভিযোগ করি, যা চাই তা পাই না। এটা একটা কমন অভিযোগ। আমি বলব, আপনার চাওয়াটাকে কখনো সংজ্ঞায়িত করেছেন? কখনো কাগজে লিখেছেন? ওটা নিয়ে কত সময় ব্যয় করেছেন? কয়টা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর যদি না হয় তাহলে একথাই ঠিক! আপনি কি চান তা আপনি জানেন না।
লোভ :
লোভ একটা ভয়ানক ব্যাধি। লোভের কারনে পূর্বপর সমস্যা সম্ভাবনা বিচারবোধ হারিয়ে যায়। নিজের ভেতরে একটা তাড়াহুড়ো কাজ করে। যার কারনে সত্য-মিথ্যা চোখে পড়ে না। এ পর্যায়ে নিজকে খুব চালাক মনে হয় কিন্তু দিনের শেষে সে নিজের সাথে নিজেই প্রতারনা করে।
নতুন কিছু শিখতে না চাওয়া :
শেখাটা খুব সহজ। ভুলাটা কঠিন। আপনি শত চেষ্টা করেও আপনার নিজের নাম ভুলতে পারবেন না। কিন্তু আমরা শেখার মত সহজ একটা বিষয়কে কত জটিল করে রেখেছি। সবজান্তা ভাব ধরে বসে আছি। সহজেই আমরা আমাদের খোলস বদলাতে চাই না। নতুন কিছু শিখতে গেলেইতো মানুষ জেনে যাবে আমি কিছু জানি না। গোমর ফাঁস হয়ে যাবে। আমি ছোট হয়ে যাব। কি অদ্ভুত চিন্তাধারা। আর এতে তৈরী হয় এক বিরাট শুন্যতা।
কোন মতে হলেই বাঁচি :
দৈনন্দিন জীবনে এই অভ্যেসটা আমাদের কমন একটা বিষয়। কোন মতে হলেই হল। কাঁচাবাজার করতে গেলেন, কোন মতে মাছ-তরকারী নিয়ে এলেন। বাসায় এনে কোন মতেই আর রান্না করে খেতে পারলেন না। কোন মতে টেনেটুনে পড়ালেখা শেষ করলেন। কিন্তু কোন মতেই চাকরী পেলেন না। কোনমতে মটরসাইকেল চালানো শিখলেন কিন্তু ব্রেক কষা শিখলেন না। এরকম হলে কিছু অবশিষ্ট থাকবে আর? তাই এই কোনমতে বেঁচে থাকার নাটক বন্ধ করতে হবে।
অন্যের উপর নির্ভরশীল হওয়া :
আমাদের নিজেদের কাজ অন্য কেউ এসে করে দিবে, এটা প্রত্যেকের একটা স্বপ্নে পরিনত হয়েছে। সন্তান মানুষ করার দায়িত্ব বাব-মার। কিন্তু মানুষ হচ্ছে বুয়ার কাছে। সন্তান কার মত হবে? বন্ধুকে বই কিনে দিলাম। সে পড়ুক। পরীক্ষার হলে একটেবিলে বসে কপি-পেস্ট করে দিব। হবে?
নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নিয়ে একটা গল্প প্রচলিত আছে। পলাশীর যুদ্ধে হেরে নবাব পালানোর প্রস্তুতি নিলেন। কিন্তু এখনো চাকর এসে জুতা পরিয়ে যায়নি। তাই তিনি পালাতে পারছেন না। ওদিকে মীর জাফর এসে পৌঁছে গেছে। বাকীটা ইতিহাস। তাই পরনির্ভরশীলতা একটি জঘন্য ব্যাপার।
ফ্রি পাওয়ার মানসিকতা :
কথায় বলে ফ্রি পেলে বাঙালী আলকাতরাও পকেটে রাখে। কি জঘন্য প্রবচন। বানিজ্যে ফ্রি’র ধারনা সম্পূর্ণ আই ওয়াশ, একটা পলিসি মাত্র। ভাল মন্দ বিচার না করে ফ্রি নিয়ে মত্ত থাকলে বিচারবোধ সংকীর্ণ হয়ে যায়।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১০
আবু আফিয়া বলেছেন: একান্তই বাস্তব, ভাল লাগল, ধন্যবাদ
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়ে ভালো লাগলো।
০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। নুর ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০
মৌরি হক দোলা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট