নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
১৬।
একজনের সাথে দেখা হল। কথা হল। গল্প হল। বিদায়ের সময় বললেন,'ভাল থেকো।'
আমি প্রশ্ন করলাম, ' কিভাবে ভাল থাকব?'
আমার প্রশ্ন শুনে ভদ্রলোক খুবই বিব্রত হলেন। প্রশ্নটা করে আমি নিজেও লজ্জায় পড়ে গেলাম। ভাবলাম, বোকামি করে ফেলেছি!
স্কুলে থাকতে মুরুব্বিরা বলেছিল, ভাল করে পড়ালেখা কর।
তাই খুব ভালভাবে পড়ালেখা করে অংক বই এবং সব অংকের সমাধান মুখস্থ করে ফেললাম। মুরুব্বিদেরর কথা মত ভাল পড়ালেখা করেছি বলে আত্মপ্রসাদ অনুভব করলাম।
কিন্তু...
পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখলাম সব অংক কমন পড়েছে ঠিকই কিন্তু অংকের ফিগার কমন পড়ে নাই।
মাথা চক্কর দিয়ে উঠল। সেই চক্করে ডাব্বা মারলাম। আর মুরুব্বিদের মুন্ডুপাত করলাম।
এরপর মুরুব্বিরা বলা শুরু করল,' ভাল হয়ে যা।'
এবার আর ভুল করিনি। অংকের মত ডাব্বা মারার ভয়ে ভাল হওয়ার চেষ্টা করিনি। না জানি তাতেও কখন ডাব্বা মেরে বসি।
হ্যাঁ, আমাদের এরকম হিতাকাঙ্খীর অভাব নেই। যারা সর্বোতভাবে আমাদের ভাল চায়। সবসময় বলে, ভাল থেকো, ভালভাবে পড়ালেখা কর ইত্যাদি।
এগুলো একেকটা উপদেশ। খুবই সোজা এবং দায়সারা। পুরো সমাজে তিনারা ভরপুর। বুদ্ধির জাহাজ।
সবই ঠিক আছে। যেটা ঠিক নেই সেটা হল, তাঁরা কেউ বলেন না, কিভাবে ভাল থাকব। কিভাবে ভাল পড়ালেখা করব। কিভাবে ভাল মানুষ হব। কিভাবে স্বপ্ন দেখব আর তা বাস্তবায়ন করব।
আশার কথা হল, হাতে গোনা দু'য়েকজন আছে, যারা বলে, কিভাবে পড়তে হবে, কিভাবে স্বপ্ন দেখতে হবে। কিভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে ভাল থাকা যায়।
কোন কাজ কিভাবে করলে স্বার্থক হওয়া যায়।
অর্থাৎ ফ্যাক্ট নিয়ে কথা বলে।
তাঁরা শুধু উপদেশ দেন না। উৎসাহ দেন। অনেকটা পথ এগিয়ে দেন।
প্রকৃতিতে এই মহৎ মানুষগুলোর সংখ্যা খুবই কম। একটা সমাজে এক দু'জন খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়।
এমনও হয় কয়েক যুগে একজন আসেন তাঁরা।
তাঁরা মানুষ হয়ে আসেন; অবিকল মানুষের মত কতকজনকে মানুষ বানিয়ে দিয়ে যান।
আপনি কখনো দেখেছেন এমন কাউকে?
আপনার আশে পাশে খুঁজে দেখবেন কি?
-- এমন মানুষ!
১৭।
বিজ্ঞানী আইনস্টাইন একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। বিভিন্ন আলাপচারিতার এক পর্যায়ে মেয়েটি বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করলেন, আপনি কি করেন?
বিজ্ঞানী বললেন,'আমি পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র।'
মেয়েটি খুবই অবাক হয়ে অবিশ্বাস্যকন্ঠে বলল, আমি গত বছর পদার্থ বিজ্ঞানে ডিগ্রী শেষ করে ফেলেছি আর আপনি এই বুড়ো বয়সে এখনো পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে আছেন! পাশ করতে পারেন নি?
এ পর্যস্ত পড়ে সবাই ভাবছেন তারপর বিজ্ঞানী কি বলল? তাই নয় কি?
হতে পারে, তবে আমি ভাবছি অন্য কথা।
আমি ভাবছি মেয়েটির চিন্তা জগতের কথা।
আমি কি এই মেয়েটির প্রতিচ্ছবি নই? আমরা পড়ালেখা করি ক্লাসের সংখ্যা গুনে গুনে।
ম্যাট্রিক, আই,এ, বি,এ, এম,এ।
এম,এ পাশ! ওরে বাপরে! মেলা পড়ালেখা হয়ে গেছে। আমি এখন ছাত্র কি! আমি এখন শিক্ষকের বাপ!
ক্লাস গোনা শেষ হয়ে গেলে আমরা ছাত্র পরিচয় দিতে কুণ্ঠাবোধ করি।
কারণ আমরা যতটা মনোযোগের সাথে ক্লাস গুনেছি তার সিকিভাগ মনোযোগও পড়ালেখায় দিইনি।
তাই পাশ করি ঠিকই কিন্তু বাঁশখাওয়া বন্ধ হয় না আমাদের।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৮
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আমাদের কিছু ডায়নামিক প্রবীন দরকার।
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: চিন্তার কোণের গলদ থাকায় আমাদের প্রচুর কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে।
৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
বিজ্ঞ কচটতপ বলেছেন: আপনার চিন্তাধারা পরিষ্কার | এটা নিশ্চয় আশা করা যায় যে, আপনি আপনার পরিচিত ছোটদের খবরদারি করার সময় উপদেশের সাথে তাদেরকে সামনের পথটুকুও বাতলে দিবেন! হতাশা যখন ব্যাপার কি জানেন অধিকাংশের ক্ষেত্রে ছোটদের উপদেশ দেয়ার জন্য ঢের সময় থাকে কিন্তু পথটুকু সহজ করে দেয়ার 'সময় বা মানসিকতা' থাকে না | কারন সেও যে এই সমাজেরই বাসিন্দা_তাকেও যে একসময় বেধরক উপদেশ দেয়া হয়েছিল!
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৫
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: হা ভাই। আপনার অনুমান সঠিক। এগুলো আমি ব্যক্তিগতভাবে প্র্যাকটিস করি। এবং চলমান। এই ধরণের কাজ করতে গিয়ে এগুলো উপলব্ধি করেছি। আমি আশা করছি আমরা সবাই এভাবে ভাবব।
আপনার জন্য ভালবাসা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৯
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বেশ যুক্তি পূর্ণ--------