নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কেমন মানুষ? পর্ব- ১১

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৬

২০.

প্রতিটি মানুষের পৃথিবীতে আসাটা অনিবার্য।

সেই অনিবার্য বিষয় এড়াতে না পেরে একটা নির্দিষ্ট মাধ্যমে পৃথিবীতে মানুষের আগমন।

আপনি পৃথিবীতে এলেন। এরপরেই মূলত যাবতীয় হিসেব নিকেশ শুরু। অনেকগুলো ধাপে। ধাপে ধাপে। প্রতিটি ধাপের সিঁড়ি ভাঙতে অন্যের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। তবে সঠিক লাইনে উঠাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ধরুন,
একটা ট্রেন স্টেশনে একটা মানুষের জন্ম। মানুষটি জীবনের হিসাবে পোক্ত হওয়ার জন্য ট্রেনে উঠতে হবে। সেই ট্রেন তাকে দিবে তার জীবনের যাবতীয় উদ্দিষ্টতার আঞ্জাম।

এখন একটা সদ্যজাত মানুষের বাচ্ছার জন্য নিজে নিজে ট্রেনে উঠে বসাটা একেবারেই অসম্ভব। অন্যকোন মানুষ তাকে ট্রেনে তুলে দিতে হবে।

ধরুন, একজন আগন্তুক বাচ্ছাটাকে ট্রেনে উঠিয়ে দিল। দু'মিনিটের কাজ। ব্যাস, ঐ আগন্তুকের আর কোন দায় নেই।

মানুষের বাচ্ছাটি আগন্তুকের সাহায্যে ট্রেনে উঠে গেল। ট্রেন চলতে থাকল। ট্রেনেই জীবনের সকল সুবিধা পেয়ে শিশুটি বাড়তে লাগল।

একদিন পরিপূর্ণ হয়ে সে ট্রেন থেকে বের হয়ে এল। এখন সে সক্ষম।

এদিকে ঐ আগন্তুকের কথা এই সক্ষম মানুষটির মনে থাকার কথা নয়। তার কোন স্মৃতি নেই।

স্মৃতিহীন সময়ের ক্ষণিকের উপস্থিতি জীবনের সবল বেলায় কোন অনুভূতি রাখার কথা নয়।

এই সবল বেলায় এসে সেদিনের সেই শিশুটি ভাবতে পারে সে মানুষ হয়েছে।

নাহ!
সেদিনের সেই ক্ষণিকের আগন্তুককে যদি স্মরণ না করেন, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব না করেন তবে নিশ্চিত জেনে রাখুন আপনি অনেক কিছু হয়ে গেছেন তা ঠিক কিন্তু মানুষ হতে পারেননি।

পুনশ্চঃ সেই আগন্তুকটি মা-বাবা, প্রতিবেশী, বা অন্য যে কেউই হতে পারে।


২১.

গরীব ঘরের বড় ছেলে। টানাটানির সংসারে হাল ধরার জন্য খুব অল্প বয়সেই পুরনো বই খাতা ইত্যাদি বাঁধাইয়ের কাজ শিখে তা দিয়ে জীবিকা নির্বাহের প্রচেষ্টা হাতে নেয়। ক্রমে নিজ বুদ্ধি এবং পরিশ্রমে ব্যবসার ভীত তৈরী হয়।

নিজের ছোট ভাইকে ব্যবসায়ে নিয়ে আসে। দুই ভাইয়ে মিলে ভাল ব্যবসা করতে থাকে। একসময় ব্যবসা অনেক বড় হয়। কালক্রমে শহরের নামকরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয় তারা। অভাব অনেক আগেই কেটে গেছে। এখন সুখ আর সুখ।

নিজের ভাগিনাকেও নিয়ে এল ব্যবসায়ে। বড় ভাই ব্যবসা সম্প্রসারণে এবং বড় বড় খাতে তার মেধা খাটায়। ব্যবসায়ে সাফল্য আসতে থাকে। কিন্তু...

কিন্তু একদিন ঘটল বিপত্তি। বড় ভাই ক্রমে টের পেল ব্যবসায়ে গন্ডগোল হচ্ছে। অনেক বড় গন্ডগোল।
একদিন প্রমাণ হল, ছোট ভাই আর ভাগিনা মিলে তহবিল তছরুপ করছে। ভাগিনাকে অব্যাহতি দেয়া হল।

ছোট ভাইকে অব্যাহতি দেয়া গেল না। ভাইয়ের ভাগ। সমান ভাগ। ছোট ভাই যা দাবি করল তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সবাই জানে এবং মানে। বিচার বসল। ছোট ভাই বিচার মানে না। তার সবটা চাই।

সুষ্ঠু বিচারের আশায় দুই ভাই দুই দলের আশ্রয় প্রার্থনা করল।


দুই ভাই-ই নিজের হিস্যা বুঝে পাওয়ার জন্য অন্য ভাইয়ের পেছনে গুন্ডা লাগায়। টাকা খাওয়ায়। মুখ দেখাদেখি বন্ধ। ব্যবসা দুই ভাগ হয়ে গেছে। এক ভাই নিচ তলায় দোকান করে, আরেক ভাই উপর তলায় দোকান করে।

এখন, একদিন ছোট ভাইয়ের দাদাদের হাতে বড় ভাই মার খায়। তারপরদিন বড় ভাইয়ের দাদাদের হাতে ছোট ভাই মার খায়।

এ সুযোগ নিচ্ছে সর্বস্তরের ধান্ধাবাজরা। দুই ভাইয়ের জীবনই দুর্বিষহ!

আহা সুখ! আহা মানুষ!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


২য় শ্রেণীতে প্রমোশান পেয়েছেন? অনেক উত্তেজিত মনে হচ্ছে!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০২

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: গৌরাঙ্গের বাজারে শান্ত থাকার বিদ্যা আয়্ত্ব করা বড়ই কঠিন এবং সময়সাধ্য ব্যাপার। সেখানে প্রমোশন লাগেনা, যে কোন পরিস্থিতিই পরিবেশ ঘোলাটে করে দিতে পারে।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন:

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: হ ভাই, দশ কথার এক কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.