নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
২২.
মানুষ জম্মের পরে যে জিনিসটা সুস্পষ্টভাবে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজন বিশ্বাস করে তা হল মৃত্যু।
সবাই মরে। তবে কখন মরে?
এক কথায় বলা যায়, যখন তার দায়িত্ব বা পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় তখন মরে।
ধরুন, আপনি বার্ষিক পরিক্ষা দিচ্ছেন। সময় তিন ঘন্টা। দেখবেন, কেউ দুই ঘন্টা পরে বের হচ্ছে, কেউ দেড় ঘন্টা পরে বের হচ্ছে। কেউ তিন ঘন্টা শেষ হওয়ার পরেও আরও লিখতে চায়।
কিন্তু সময় নির্দিষ্ট! আপনি চাইলেই সারাদিন বসে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ নেই।
এই পরীক্ষার হলে বসে অনেকেই তাদের পাশ ফেল নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়।
কারও সব প্রশ্ন কমন। দু' ঘন্টায় পরীক্ষা শেষ। তাদের মধ্যে কেউ হল থেকে বেরিয়ে যায়। কেউ তার পিছিয়ে থাকা বন্ধুদের সাহায্যের জন্য বসে থাকে। এই সাহায্য সবাই করে না। দু' একজন করে হয়ত। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পরে আর কেউ হলে থাকতে পারবে না।
এখানে,
হল হলো দুনিয়া।
পরীক্ষার সময় হলো মানুষের আয়ু।
প্রশ্নপত্র হলো মানুষের গাইডলাইন।
মানুষ বিভিন্ন বয়সে মারা যায়। এর অর্থ হতে পারে, ঐযে হল থেকে যে কারনে যে যখন বের হয়।
যে কম বয়সে মরল তার মানে তার পরীক্ষা তখন শেষ।
হতে পারে,
এক. সে কম সময়ে আল্লাহর দেয়া পরীক্ষা যথাযথভাবে শেষ করেছে।
দুই. নিশ্চিত সে পাশ করবে না। খামাখা হলে বসে থেকে লাভ কি?
অপরদিকে-
যে অনেক বেশি আয়ু পেল, তার মানে হতে পারে দুইটা।
এক. তার আমল খারাপ। সে দিশেহারা। পাশ করার আপ্রান চেষ্টা করছে। সফল হলেও হতে পারে। না হলেও হল থেকে বেরুতে হবে।
দুই. সে সফলকাম। তবে তার দ্বারা হয়ত কেউ হেদায়েত হবে অর্থাৎ অন্যের উপকারের জন্য আল্লাহ তার আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছেন।
পরীক্ষার হল থেকে যে যখনই বের হোক না কেন, সব পরিক্ষার্থীই তাদের ফলাফল নিয়ে উদ্ভিগ্ন থাকে। বুক ধুরু ধুরু করে। শুধু একটা ক্লোজিং ব্রাকেটের জন্য পুরো অংক কাটা যেতে পারে। কোথায় কি ভুল হয়েছে তা একমাত্র পরীক্ষকই বলতে পারবে। সব কিছুই অনিশ্চিত।
সবচেয়ে বড় পরীক্ষক সর্ব বিষয়ের স্রষ্টা মহান আল্লাহ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৮
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: বিভিন্ন ব্যাখ্যা অবশ্যই আছে। প্রশ্ন হল এখানে যে যুক্তি দেখানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে কোন যুক্তি দেখানো যায় কি না। কী কী উপায়ে এটাকে অস্বীকার করা যায়?
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৩
কামরুননাহার কলি বলেছেন: মানুষ জন্মগ্রহণ করা মানেই পরিক্ষার হলে বসা। যে এই পরিক্ষার হলে ভালো পরিক্ষা দিবে সেই ফাস্ট সেকেন্ড থার্ড হবে। যেমন টা আল্লাহ বলেছেন।
প্রথমতো কিছু মানুষ সবোর্চ্চ আমলনাম হাতে পাবে, তারা খুবই ভাগ্যবান। দ্বিতিয়তো কিছু মানুয় তার থেকে একটু ভালো আমলনামা হাতে পাবে তারাও ভাগ্যবান। আর তৃতীয় কিছু মানুষ কিছুই পাবে না তাদের হাত জিরো তারা কতই না হতভাগা। আর হতভাগা ঐ দলটিই যাবে জাহা্ন্নামের দ্বারপ্রান্তে। যেখান থেকে কখনোই ফিরে আসতে পারবে না।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৬
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: প্রতিটি সৃষ্টিই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এবং তাদের মধ্যে একমাত্র মানুষেরই জবাবদিহিতা বা দায়বদ্ধতা বিরাজ করে। তাই মানুষকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে সম্যক অবগত হতে হবে।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ৭০ বছর পর্যন্ত বেচে থাকবো।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৭
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আল্লাহ কবুল করুন। তবে ৭০০ বছর বাঁচার পরেও মরতে হবেই। তাই এর মধ্যেই পরীক্ষায় পাশ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
পোস্ট ভালো লাগলো।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৭
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ভালবাসা ভাই।
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৮
করুণাধারা বলেছেন: জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যি যাকে আমরা ভুলে থাকতে পারলেই বাঁচি, তাই নিয়ে লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগলো।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: বাঁচতে আর পারল কই?
আসলে আমরা চরম সত্যকে অস্বীকার করে আত্মতৃপ্ত হই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সবাই মরে। তবে কখন মরে?
এক কথায় বলা যায়, যখন তার দায়িত্ব বা পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় তখন মরে।
......................................................................................................
বিভিন্ন প্রেক্ষাপট , বিষয়ের ব্যাখ্যা ভিন্ন রকম , ধর্মীয় ব্যাখ্যা আরও কঠিন ।
তাই আমাদের বিশেষজ্ঞ হবার দরকার কি ???