নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কেমন মানুষ? পর্ব- ১৩

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

১।
এই বাংলা মুল্লুকের শিক্ষিত প্রফেশনালরা সবচেয়ে বেশি রুচিহীন।

রাজধানী ঢাকার বয়স চারশ বছরের বেশি। এই গত চারশ বছর ধরে এখনো তার নির্মাণ কাজ চলছে। এমন কোন রাস্তা বা গলি নাই যা ওয়ার্ল্ড ক্লাসের সাথে ন্যুনতম প্রতিযোগিতা দিতে পারে। পুরোটা একটা আধুনিক বস্তি!

দুর্ভাগ্য! গত চারশ বছরে একজন রুচিশীল স্বপ্নবাজ মানুষ এই অঞ্চলে পয়দা হয়নি।

আজ দেখলাম সোনাপুর মিউনিসিপ্যাল মার্কেটের নির্মাণ কাজ চলছে। দেখে মনে হল ভালই। পাশ থেকে একজন বলল, রাখেন মিয়া ভাল! নিচ তলায় কোন দোকান রাখার প্ল্যান ছিল না। খালি থাকবে। এখন দেখেন পুরোটা দোকান। কয়টা টাকার কাছে সৌন্দর্য বিক্রি!

ভাবেন একবার। এই রুচিহীন কাজের পেছনে কারা জড়িত। সবগুলাই পেশাজীবি। এই প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার প্রতিবাদ করেছে? করলেতো এমন হওয়ার কথা না।

সরকারি হাসপাতালগুলোর কথা কি বলব! ময়লা, আবর্জনা, দুর্গন্ধ, রীতিমত বাজে ব্যাপার।

একজন ডাক্তার। তার রুচিতে কিভাবে দেয় এরকম একটা বাজে পরিবেশে চাকরি করতে?

রোগীর আত্মীয়ের হাতে মার খেয়ে মানববন্ধন করতে পারে কিন্তু হাসপাতালগুলোর পরিবেশ রুচিসম্মত করার দাবি করতে পারে না। কেন পারে না? রুচির অভাব।

আরে, টাকা ইনকামের জন্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার হওয়া লাগে?

একজন মুচি দৈনিক প্রায় দেড়, দুই হাজার টাকার বেশিও ইনকাম করে।

এই মুচির কাজ দেখে বুঝা যায় সে কত মনযোগ দিয়ে তার কাজ করে। কাজের সুন্দর ফিনিশিং দেয়। এক কথায় রুচিশীল।

নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়ালে মনে হয় একটা মার্কেটের সামনে দাঁড়ালাম। কেউ পড়তে না পারলে, অথবা কেউ না বললে সে বুঝতেই পারবে না এটা একটা বিশ্ববিদ্যায়।

অথচ টাকা, জমি ইত্যাদির অভাব ছিল? না! অভাব ছিল রুচিসম্মত ডিজাইনের।

হায়রে রুচি।
শিক্ষত হলাম, টাকা কামালাম, শুধু রুচিবান হতে পারলাম না!

২।
বাংলার জনমানুষের চেতনা আছে, হুশ নাই।

একেবারে চব্বিশ ক্যারেটের চেতনা। কিন্তু মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়ার জন্য যে ন্যুনতম হুশ দরকার তার লেশমাত্রের উপস্থিতি নেই।

সেদিন দেখলাম কোন এক স্থাপনার সিঁড়িতে লাল সবুজের কম্বিনেশনে রং করা হয়েছে। এখন এখানে অনেকেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা খুঁজে পেয়েছে। চলছে চামড়া ছিলা আন্দোলন। চেতনার ঢোল বাজছে আগডুম বাগডুম।

অথচ পরিবার বিক্রি করে যেসব দেশে ভিক্ষাবৃত্তি করতে যাইতে কোন লজ্জাবোধ কাজ করে না, সে সব দেশ, যেমন আমেরিকা, অস্ট্রেলীয়া ইত্যাদি দেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইন দিয়ে অর্ন্তবাস পর্যন্ত বানায়।

আর বিশ্বব্যাপি সে সব জিনিস দেদারছে বিক্রি হয়। আর এসব দেখে তাদের চেতনা ডিগবাজি খায় কি না, তা নিয়ে কোন আর্টিকেল পাওয়া যায় না।

এসব জিনিস নিয়ে আমাদের দেশপ্রেমের চেতনা আহত হলেও, নিজ বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ইট তুলে নিয়ে চৌকির তলায় ঠেস দেয়ার সময়, অথবা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিতে আমাদের দেশপ্রেম মনে থাকে না।

বিআরটিসির গাড়ীগুলোর ভিতরের ফ্যান বেশিরভাগ চুরি হয়ে যায়, আর যেগুলো থাকে সেগুলোর অবস্থা এমন যেন তাদের উপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে গেছে।

প্রতিনিয়ত যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয় করছে তাতে দেশপ্রেমের কোন খবর নাই।

আমাদের দেশপ্রেম মাথাছাড়া দেয় শুধু ইন্ডিয়া আর পাকিস্তান ইস্যুতে।

আর যখনি অন্যকে হেয় করার সুযোগ পাই তখনি দেশপ্রেমের অস্ত্রে শান দিই।

এই তথাকথিত সুবিধাবাদী দেশপ্রেম গত অর্ধ শতকে আমাদেরকে কতটা তলানিতে নিয়ে গেছে তা বুঝতে যে হুশ দরকার তা চেতনার তলানিতে ঢাকা পড়ে গেছে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: সহমত

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: প্রতিটি মানুষ তার দায়িত্বের অর্ধেকও পালন করলে কোন সমস্যা থাকার কথা না।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সঠিক ভাবনা।
সঠিক ভাবনা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: একটা পরিকল্পিত জেনারেশন দরকার।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৪

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: আপনার এই লেখাগুলি খুব ভালো হয়। গ্রুপেও পড়েছি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০১

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরের মানুষ বদ। বেয়াদব। তাই চার শ' বছরেও এ শহর সুন্দর হয় নি। হবেও না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০১

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আমি যতবার এই টপিকটা নিয়ে ভাবি, ততবার আমার মাথা খারাপ অবস্থা হয়!

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষ দিন দিন অসভ্য হতে অসভ্য হচ্ছে

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: এই কথাটা এই অঞ্চলের জন্য সত্য।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগারদের লেখা অনুসরণ করেন, শিক্ষিতদের বুঝতে পারবেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: শিক্ষিত শব্দটার প্রচলিত সংজ্ঞায় আমার আপত্তি আছে।
আপনার মন্তব্যটাকে উপদেশ হিসেবে নিলুম।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগাটাকে আজকাল মনে হয়, কিশোর সাহিত্যিকদের আসর।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৮

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: এটাই সবচেয়ে সেফ! কি দরকার ঝামেলায় জড়ানোর?

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নয়ন বিন বাহার,




কঠিন সত্য কথা লিখেছেন। সব জায়গাতেই রূচির অভাব, বড় বেশি করেই অভাব।
রাস্তা ঘাটে আর বাড়ীর সুন্দর দেয়ালে হরেক রংএ চিকা মারা, বাসের সীট বা পাবলিক প্লেসগুলো নোংরা লেখায় ভরা ইত্যাদি কোনও রূচিশীল মানুষের কাজ নয় । কোথাও আপনি সুন্দরতার ছবি দেখবেন না।
এসব কারা করে ? আমরাই করি। আমরা কি শিক্ষিত নই ? না, আমরা মোটেও শিক্ষিত নই; আমরা শুধু স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডী পার হওয়া লোকজন। এ কারনেই আসল বিদ্যাবুদ্ধি কম বলে কান্ডজ্ঞানও কম - বেহুশও ..................

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৮

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আমাদের শিক্ষার কনসেপ্টে বড় ধরণের গলদ আছে।

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শুধু বললে হবে না কোন এক জায়গা থেকে শুরু করতে হবেএবং সমগ্র জাতীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।মনে সামান্য একটা স্ফুলিংগ বিরাট অগ্নি কান্ডের কারন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৯

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: জি ভাই, শুরু করতে হবে এবং ছড়িয়ে দিতে হবে।
কিছু কাজ করছি। খুবই ছোট পরিসরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.