নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ: বইয়ের দাম: ‘কাগজের দামে নয়, লেখার দামে বই কিনুন’

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৫

প্রতি বছর ২১শে বই মেলা উপলক্ষে প্রচুর বই ছাপা হয়। এছাড়াও সারা বছর ধরে বই ছাপা অব্যাহত থাকেই। সৃজনশীল এই বই গুলোর দাম কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?

বইয়ের ছাপা খরচ, কাগজের দাম, বাইন্ডিং, প্রচ্ছদ ইত্যাদি সহ আরো নানান খরচ যোগ করে তার সাথে প্রকাশকের মুনাফা যোগ করে বইয়ের একটা দাম নির্ধারণ করা হয়।

এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, বইয়ের দাম নির্ধারণে লেখা বা কন্টেন্টের দাম যোগ হয় না। অর্থাৎ লেখকের লেখার কোন দাম বইয়ের দামে সরাসরি প্রভাব ফেলে না।

তাহলে কী দাঁড়াল?
দাঁড়াল এই লেখকের লেখা উপেক্ষিত রইল। আমরা কাগজ, কালি, মলাট ইত্যাদি কিনলাম, কিন্তু লেখকের লেখা কিনলাম না।
অথচ লেখক থেকে পাঠক সকলেই ভাবে লেখকের লেখা বিক্রি হয়েছে আসলে তা নয়, লেখকের লেখা বিক্রি হয় নি, বিক্রি হয়েছে কাগজের মলাটবদ্ধ একটা বস্তু। যার নাম বই। লেখক পাঠক প্রকাশক বইয়ের পাতার মান, বাঁধাইয়ের মান ইত্যাদির উপর গুরুত্ব দিয়ে বইয়ের দাম নিয়ে বাধানুবাদ করে থাকেন।

বইয়ের দাম নির্ধারণের এই প্রকিৃয়া সঠিক নয় বলে আমি মনে করি। আমি মনে করি বইয়ের দাম নির্ধারণে কন্টেন্ট বা লেখার মানের বিবেচনা আমলে নেওয়া খুবই জরুরী। মনস্তাত্তি¡কভাবে পদ্ধতিটা বদলাতে হবে।

এই পদ্ধতিগত পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে পাঠক নিজে। এবং লেখক ও প্রকাশকও।

প্রচলিত পদ্ধতিতে পাঠক দেখে বইয়ের ছাপা ঝকঝকে কি না, বাঁধাই মজবুত হয়েছে কি না ইত্যাদি। সে একবারও কী ভাবে লেখার মান কতটা উন্নত। যদি লেখার মান নিয়ে ভাবে তবে সাথে সাথে দামটা তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কী না তা কী ভাবে?

যদি বইয়ের দামের সাথে মানের মানদন্ড সামনে থাকত তবে বই নিয়ে পাঠকরা সম্মিলিত সমালোচনা করার সুযোগ পেত। তখন তারা ভাবত কাগজ কিনি নাই, লেখা কিনেছি। টাকা জলে গেল কী না দেখি। অথচ এখন পাঠক ভাবে কাগজ কিনেছি, টাকা উসুল।

না! পাঠককে ভাবতে হবে,‘কাগজ নয়, লেখা কিনেছি।’ সেটা জলে গেল কী না দেখি।

এতে লেখক পাঠক প্রকাশক ইন্টারেকশন বাড়বে বলে মনে করি। ভাল ভাল লেখা বের হবে। মান সম্মত লেখা এবং লেখক উঠে আসবে। সবচেয়ে বড় কথা পাঠকের ঠকার সম্ভাবনা কমে যাবে। এতে লেখক মূল্যায়িত হবে।

তাই ‘কাগজের দামে নয়, লেখার দামে বই কিনুন’।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪

সাসুম বলেছেন: আমি বইয়ের দুই ধরনের ভার্সান বের করার পক্ষপাতী। একঃ নরমাল ভার্সান দুইঃ প্রিমিয়াম ভার্সান

একই জিনিষঃ এক্টা নরমাল বাজার রেটে সেল হবে। আরেকটা বই হাই কোয়ালিটি পেপারে ছাপানো, ভাল মলাট, লেখকের অটোগ্রাফ সহ এবং এটার দাম নরমালের চেয়ে ডাবল। কেউ যদি লেখক কে এগিয়ে গিয়ে একটু বেশি সাপোর্ট করতে চায় সে ডাবল দাম দিয়ে কিনবে। বাকিরা নরমাল বাজার রেটে র‍্যাক ভার্সান কিনবে।

বইয়ের কোয়ালিটির চেয়ে আজকাল কোয়ান্টিটি বেশি চলে। এটা বন্ধ করা দরকার। অল্প কোয়ান্টিটি ভাল বই হলেও চলা দরকার।

বিঃদ্রঃ এবারের বই মেলায় বেস্ট সেলারঃ প্যারা মজিদ-৩ আসছে। লিখেছেন বেজ্ঞানী আরিফ আজাদ। লিখে রাখেন, এই বই লাখ কপি সেল হবে। কোয়ালিটি বা মান থাকুক আর না থাকুক।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: প্রস্তাবটা খুব সুন্দর। আমাদের প্রকাশকগুলা বদ।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: দেশে বই প্রকাশ করে আর ক্ষতিগ্রস্ত হতে চাই না। ছাপাখানা আর প্রকাশনার অর্থ কয়জন জানে আমি জানি না।

সম্পাদনা শব্দ অবহেলিত।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: সম্পাদনা শব্দ অবহেলিত।
একেবারেই সঠিক। সম্পাদনা বা সমালোচনা শাখাটা এদেশে বিকশিত হয় নি।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৩

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: লেখার মান কিভাবে মূল্যায়ন করিব?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০০

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: একজন পাঠক মাত্রই বুঝতে পারার কথা।
আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমেও বুঝা যায়।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০২

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: বই এর যদি ১০০ টাকা লেখা থাকে তাহলে ১৫০ টাকা লেখক কে কি বিকাশে পাঠাবো?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আপনি তো অন্য প্রসঙ্গে ঢুকলেন।
আলোচনার টপিক হলো বইয়ের দাম ১০০ টাকা কিসের ভিত্তিতে হলো!

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ইংলিস উপন্যাস শেষ করে যখন Bloomsbury Publishing এর পাঠিয়েছিলাম তখন ওরা আমাকে বলেছিল বইটা সম্পাদনা করে পাঠাও আমরা পড়ব। সম্পাদনার জন্য ৩ হাজার পাউন্ড চেয়েছিল, তা প্রায় ১০ বছর আগে। এখন আপনি বলুন লেখার মান যাচাই করতে হলে কী করতে হবে? মনে রাখতে হবে, ভালো সম্পাদকরা সকল লেখা সম্পাদনা করে না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১০

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: বড় ভাই,
যে বইটা ৩ হাজার পাউন্ড দিয়ে সম্পাদনা করা হবে তা ৩ লক্ষ পাউন্ড আয় করবে।

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ব্লগার সাসুম যথার্থ বলেছেন। আমি আরোও যোগ করতে চাই বই মেলায় বেস্ট সেলার আবুুলের চটপটি ফুচকা, হাবুলের কাচ্চি ডিম খিচুড়ি আর কাবুলের ঝালমুড়ি। এবং নারী পুরুষের ধাক্কাধাক্কি এই হচ্ছে বই মেলা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১২

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ঠাকুর সাহেব,
নষ্ট যা হওয়ার হয়েছে, এখন ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আলোচনা শুরু করতে হবে। হয়তো কালকেই পরিবর্তন আসবে না তবে একদিন ঠিকই আসবে। বীজটা রোপণ করতে হবে।

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সে উপন্যাস আমি আরো কয়েকবার রিরাইট করেছি এবং এখনো প্রকাশ হয়নি। সম্পাদনায় বইর আদল বদলে যায়। সপ্টওয়ার থাকলে ইংলিস বই নিজে সম্পাদনা করা যায়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৯

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ওদের সিস্টেমটাই সেই।
সেখানে কোনো লেখকের পক্ষে বিলিওনিয়ার হওয়া সম্ভব। বাংলাতে নয়।

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: দেশে মাত্র কয়েকটা প্রকাশনা আছে, বাকি সব ছাপাখানা, তা কি জানেন?

আজ আমি যে গল্প পোস্ট করেছি তা এখনো সম্পাদনা করা হয়নি কিন্তু প্রকাশ করেছি। ব্লগে পোস্ট করার পর শব্দ একটা কেটেছি, দুই সংলাপে কাজ করেছি এভং বানান কয়েকটা ঠিকঠাক করেছি।

বই মেলায় বেশিরভাগ বই স্বপ্রকাশিত, স্বপ্রকাশ মানে সর্বনাশ নয় যদি তা সম্পাদিত হয়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: এরা মূলত লেখকের কাছ থেকে ৫-১০হাজার টাকা লাভ করে যাচ্ছে তাই ভাবে যা তা করে। লেখককে মূল্যায়ন করে না, সম্মানটাও দেয় না।

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখার দাম কি কেউ দিতে পারবে ?
যাই হোক অন্য প্রসঙ্গে আসি।
বই মেলাতে প্রবেশ টিকেটের সিস্টেম রাখা উচিত। ২০ টাকা দিয়ে মেলায় বই কিনতে ঢুকতে সমস্যা হবার কথা না। বরং অযাচিত ভীড় কম হবে।
চটপটি ফুসকার রিভিউ দিতেও অনেকে বইমেলার আসে পাশে ভিড় করে। কি আর বলবো !

আপনার বই বাজারে আসছে। শুভকামনা রইলো।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখার দাম কি কেউ দিতে পারবে?
না ভাই, পারবে না।
তবুও মানসিকভাবে একটা সান্তনা পাবে।
টিকিট সিস্টেম আইডিয়াটা দারুন। কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারে।
ভালোবাসা ভাই।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯

জোবাইর বলেছেন:
বই প্রকাশনা ও বই লেখার পেছনে একসময় যেই একটা মহতী উদ্যোগের মন-মানসিকতা ছিল তা এখন নেই। এখন প্রকাশকদের উদ্দেশ্য টাকা কামানো, আর লেখকদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ছাইপাস কিছু একটা লিখে তথাকথিত "লেখক" হয়ে যাওয়া।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি:
১। প্রকাশকেরা চাই কম পরিশ্রম ও কম পুঁজি দিয়ে বেশি লাভ করা। অর্থাৎ মুদ্রণ, বাধাঁই, কাগজের দাম যতটুকু সম্ভব কমদামের ব্যবহার করা। সম্পাদনা ও মুদ্রণযোগ্য পান্ডুলিপি লেখককে দিয়ে করিয়ে নেওয়া। সম্ভব হলে বই মুদ্রনের খরচ লেখক থেকেই নেওয়া।
২। বইয়ের বিষয়বস্তু যাই হোক না কেন, বইয়ের পৃষ্টা সংখ্যা ৪০০ থেকে বেশি হতে পারবে না। কারণ এতে বইয়ের দাম বেশি পড়ে যায়, তাতে প্রকাশকের লাভ কমে যায় এবং অনেক পাঠক ইচ্ছা থাকলেও বাজেট স্বল্পতার কারণে বই কিনে না।
৩। বই কত কপি বিক্রি হলো এর সঠিক সংখ্যা প্রকাশ কখনো লেখককে জানায় না। বই ভালো চললেও প্রকাশক লেখককে বলবে "মোটামুটি"। আর কম চললে লেখকের সাথে কথাও বলবে না।
৪। বইয়ের বিক্রি ভালো হলে প্রকাশক বইয়ের পুনঃমুদ্রণ করে কিন্তু তা লেখককে জানায় না।
৫। বই খুব ভালো চললে লেখককে রয়্যালটি হিসাবে সামান্য অর্থ দেয় যা সত্যিকারের বিক্রির তুলনায় খুবই কম।
৬। পাঠকের দৃষ্টি আকষর্ণের জন্য অনেক সময় নতুন সংস্করণ হিসাবে বই মুদ্রণ করে অথচ আগের ভুলত্রটি কিছুই সংশোধন করা হয় না।


১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: জোবাইর ভাই,
ধন্যবাদ আপনাকে দীর্ঘ মন্তব্য করার জন্য।
অনেকগুলো হীডেন পয়েন্ট তুলে এনেছেন। মূলত কোয়ালিটিহীন তথাকথিত প্রকাশকরাই এই বইয়ের বাজারটা ধ্বংস করেছে। এদের লোভ এবং জ্ঞানহীনতা ‍প্রকৃত লেখক বঞ্চিত হওয়ার কারণ।

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মনে রাখতে হবে, "লেখালেখি নেশা কিন্তু বই প্রকাশ করা হলো পেশা" © Mohammed Abdulhaque

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: বড় ভাই,
অনেকেই এই পেশায় কিছুই পায় না। বিশেষ করে আমাদের দেশে।

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২২

ফারহানা শারমিন বলেছেন: পাঠকদের ও মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। অনেকে আছে বাজে খরচা অনেক করতে পারে কিন্তু বই কিনতে অনেক হিসাব করে। সবার মন্তব্য পড়তে ভালো লেগেছে। জুবায়ের ভাই এর মন্তব্যে একটা উপকার হয়েছে। আমি এতদিন ভাবতাম, শুধু আমার সাথে এমন হয়! আমার বই এর কততম মূদ্রণ চলছে আমি জানি না। অন লাইনে আমার বই বিক্রি হতে দেখি। কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত কোন অর্থ পাইনি।। প্রকাশককে অনুরোধ করেছি আর না ছাপাতে। অন্য কোথাও থেকে ছাপাবো।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: কী বলব আপু,
এখনকার পোলাপানে বাস ভাড়া পাঁচ টাকা কম দেয়ার জন্য ঝগড়া করে। হোটেলে গিয়ে তিন চারশত বিল দিয়ে ওয়েটারকে বিশ পঞ্চাশ টাকা বকশিশও দেয়।
কিন্তু বই কিনে না। কিনলেও দাম অনেক বেশি ইত্যাদি দুনিয়ার কাসুন্দি ঘাটে।
আপনার প্রকাশকতো দেখি খুব বজ্জাত!

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সাসুম বলেছেন: আমি বইয়ের দুই ধরনের ভার্সান বের করার পক্ষপাতী। একঃ নরমাল ভার্সান দুইঃ প্রিমিয়াম ভার্সান

একই জিনিষঃ এক্টা নরমাল বাজার রেটে সেল হবে। আরেকটা বই হাই কোয়ালিটি পেপারে ছাপানো, ভাল মলাট, লেখকের অটোগ্রাফ সহ এবং এটার দাম নরমালের চেয়ে ডাবল। কেউ যদি লেখক কে এগিয়ে গিয়ে একটু বেশি সাপোর্ট করতে চায় সে ডাবল দাম দিয়ে কিনবে। বাকিরা নরমাল বাজার রেটে র‍্যাক ভার্সান কিনবে।

বইয়ের কোয়ালিটির চেয়ে আজকাল কোয়ান্টিটি বেশি চলে। এটা বন্ধ করা দরকার। অল্প কোয়ান্টিটি ভাল বই হলেও চলা দরকার।



খুব পছন্দ হইছে এই মন্তব্য !

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৯

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: এই পদ্ধতিটা ট্রাই করা যেতে পারে।

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: বিমেলায় মানুষ এখন বই কিনতে যায় না যায় আড্ডা মারতে, টাংকি মারতে এবং ফটো সেশন করতে। ঘুরে বেড়াবে, নাস্তা করবে, বিভিন্ন স্টলে যেয়ে বিরক্ত করবে।
১% লোকজনও বই কিনে না।
প্রাকটিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স থেকে বলছি।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৯

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আর যারা বই কিনতে যায় তারা এত ঝামেলা করে না।

১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫০

মোল্লা সাদরা বলেছেন: কাগজপত্রের দাম বাকি রাখিয়া যে লভ্যাংশ প্রকাশক নিজের জন্যে আলাদা করিয়া রাখেন, ঐখানেই লেখকের ঢুঁ মারিতে হইবে। পাঠকের সন্নিকটে এমন লেখা পৌঁছাইতে হইবে, যাতে করিয়া একবার তাহার লেখা পড়িলে দ্বিতীয়বারও তাহার লেখা জেবের পয়সা খরচ করিয়া খরিদ করিবার খাহেস জাগে মনে। তবেই প্রকাশক লেখক্কে তাহার সম্মানী দিতে আগ্রহী হইবেন, যাতে করিয়া সোনার ডিম পাড়া হাঁস হাতছাড়া না হইয়া যায়। নতুবা 'লেখার মান' পরিমাপের নৈব্যত্তিক মাপকাঠী কাহারই বা জানা আছে? বইয়ের কাটতি বৃদ্ধি ছাড়া পরিমাপ করিবারই বা কি উপায়, সাদা চক্ষে?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩২

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: প্রকাশকের ঐখানে ঢুঁ মারা সহজ কম্ম নয়! বেশিরভাগই বাটপার।
প্রচারেই প্রসার। আমরা বহুল প্রচারকেই জনপ্রিয় বলি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.