নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমতার লাড্ডু

২০ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:২৭

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খান দায়িত্ব পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের ছেলে, মেয়ে, শ্যালক-শ্যালিকার ছেলে ও ভাতিজাকে নিয়োগ দিয়েছেন।

নিজ স্ত্রীকেও অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছিলেন।

এইসব ঘটনা এদেশে কেন ঘটে?

আমাদের সমাজে প্রবাদের মতো একটা কথা চালু আছে, বংশের মধ্যে একটা জায়গামত যাইতে পারলে চৌদ্দগুষ্ঠীর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় না।

এই রকম চালু কথাগুলো সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বিশ্বাস করে। এবং বাস্তবায়ন করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। আর এ চেষ্টা অবশ্যই খারাপভাবে করে।

এর কারণগুলো কী?

আমাদের সমাজে বেশিরভাগ পরিবারগুলো আর্থিকভাবে এভারেজ লাইনে থাকলেও তারা নৈতিকভাবে বিলো এভারেজ।
একটা সমাজ যখন নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে তখন সামাজিক বাস্তুসংস্থান ভেঙ্গে পড়ে।

গত এক বা দুই প্রজন্মের অনেক সিনিয়ররা নৈতিকতাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে তারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ে।
তাদের উত্তরসূরীরা এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখে যে তার বাবা বা দাদার সৎ জীবন যাপন এই পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ।

অন্যদিকে যারা সমান্তরাল সময়ে বিভিন্ন কারসাজিমূলক পন্থা অবলম্বন করেছে সমাজ তাদেরকে বন্ধনায় গীত করেছে। সৎ জীবিকাকে সমাজ বা রাষ্ট্র কোনভাবেই উৎসাহিত করেনি।

এই নৈতিক মানুষগুলো অবহেলা এবং চরম বঞ্চনার স্বীকার হয়েছে।
অন্যদিকে অনৈতিকার জয়জয়কার।

এইসব অভিজ্ঞতার আলোকে প্রজন্ম আর কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি।
যে ঝুঁকি তার দাদা বা বাবা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে, সে ঝুঁকি সে কেন নিবে?

তাই নিজে ক্ষমতা বা পদ বা সুযোগ পেয়ে সর্বপ্রথম নিজের পরিবারের ভিত শক্ত করার কাজে নেমে পড়ে।
বরং এটাই যৌক্তিক! কারণ সে অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছে যারা এই সুযোগ পেয়েও কাজে লাগায়নি তারা জনমের ঠকা ঠকেছে।
তাছাড়া আরও একটা প্রকট কারণ বিদ্যমান। তা হলো, আমাদের সমাজে এই সব পদ বা ক্ষমতা বা সুযোগ স্বয়ংক্রিয় পন্থায় আসে না।
এখানে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রবিশেষে বিশাল অংকের বিনিয়োগও লাগে।

তাই বিনিয়োগ তুলে লাভের খাতা খুলতে হয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
একজন বিনিয়োগকারী লাভের প্রতিটি সম্ভাবনাকেই কাজে লাগাবে, এটাই স্বাভাবিক।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ওটাকে পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয় নাম দেয়া যেতে পারে; ভিসি সাহেব বিশ্ববিদ্যালয়ে রেটিং নিচে নামিয়ে দিচ্ছেন।

২| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এইসব ঘটনা কেন ঘটে ?

কারন হলো -

১। জনসংখ্যার আধিক্য ।
২। আইন না মানার প্রবণতা বা অপরাধ প্রবণতা।
৩। পরিবার প্রীতি বা স্বজন প্রীতি ।
৪। নৈতিক ও সমাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়।

৩| ২১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: লোকটা দায়িত্ববান।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

মোঃ আবদুল লতিফ সবুজ বলেছেন: উনি তো মানুষ না মহামানুষ, আসলেই বুদ্ধিমান আর চরম দায়িত্ববান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.