নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কেনো বেঁচে আছেন?

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৬

মানুষ জম্মের পরে যে জিনিসটা সুস্পষ্টভাবে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজন বিশ্বাস করে তা হল মৃত্যু।

সবাই মরে। তবে কখন মরে?
এক কথায় বলা যায়, যখন তার দায়িত্ব বা পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় তখন মরে।

ধরুন, আপনি বার্ষিক পরীক্ষা দিচ্ছেন। সময় তিন ঘন্টা। দেখবেন, কেউ দুই ঘন্টা পরে বের হচ্ছে, কেউ দেড় ঘন্টা পরে বের হচ্ছে। কেউ তিন ঘন্টা শেষ হওয়ার পরেও আরও লিখতে চায়।

কিন্তু সময় নির্দিষ্ট! আপনি চাইলেই সারাদিন বসে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই।
এই পরীক্ষার হলে বসে অনেকেই তাদের পাশ ফেল নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়।
কারও সব প্রশ্ন কমন। দু' ঘন্টায় পরীক্ষা শেষ। তাদের মধ্যে কেউ হল থেকে বেরিয়ে যায়। কেউ তার পিছিয়ে থাকা বন্ধুদের সাহায্যের জন্য বসে থাকে। এই সাহায্য সবাই করে না। দু' একজন করে হয়ত। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পরে আর কেউ হলে থাকতে পারবে না।

এখানে,
হল হলো দুনিয়া।
পরীক্ষার সময় হলো মানুষের আয়ু।
প্রশ্নপত্র হলো মানুষের গাইডলাইন।

মানুষ বিভিন্ন বয়সে মারা যায়। এর অর্থ হতে পারে, ঐযে হল থেকে যে কারণে যে যখন বের হয়।
যে কম বয়সে মরল তার মানে তার পরীক্ষা তখন শেষ।
হতে পারে,

এক. সে কম সময়ে তার পরীক্ষা যথাযথভাবে শেষ করেছে।
দুই. নিশ্চিত সে পাশ করবে না। খামাখা হলে বসে থেকে লাভ কি?
অপরদিকে-
যে অনেক বেশি আয়ু পেলো, তার মানে হতে পারে দুইটা।

এক. তার কর্ম খারাপ। সে দিশেহারা। পাশ করার আপ্রান চেষ্টা করছে। সফল হলেও হতে পারে। না হলেও হল থেকে বেরুতে হবে।

দুই. সে সফলকাম। তবে তার দ্বারা হয়ত কেউ হেদায়েত হবে অর্থাৎ অন্যের উপকারের জন্য আল্লাহ তার আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছেন।

পরীক্ষার হল থেকে যে যখনই বের হোক না কেনো, সব পরীক্ষার্থীই তাদের ফলাফল নিয়ে উদ্ভিগ্ন থাকে। বুক ধুরু ধুরু করে। শুধু একটা ক্লোজিং ব্রাকেটের জন্য পুরো অংক কাটা যেতে পারে। কোথায় কি ভুল হয়েছে তা একমাত্র পরীক্ষকই বলতে পারবে।
পরীক্ষার্থীর কাছে সব কিছুই অনিশ্চিত।

চলবে...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


পরীক্ষার হলে অনেক ভালো ছাত্র ভালো পরীক্ষা দিয়েও আফসোস করে, অপরদিকে খারাপ ছাত্র খাতায় ছাইপাস লিখেও বলে খুব দারুন লিখেছি ১০০ পাবো।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৩

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: পরীক্ষক ঠিকই মূল্যায়ন করেন।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৪

কামাল৮০ বলেছেন: মৃত্যুর বিশ্বাস করতে হবে কেন?মৃত্যু তো বাস্তব।বিশ্বাস করতে হয় অবাস্তব কিছু কে ।যা দেখা যায় না।
যে শিশুটি জন্মের সাথে সাথে মারা গেলো,তার কি পরীক্ষা হলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.